• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সমাবেশ শেষে আয়োজন হবে বর্ণাঢ্য শ্রমিক শোভাযাত্রার।   বুধবার (১ মে) বিকেল তিনটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে এ সমাবেশ করবে দলটি। সমাবেশ ঘিরে গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যেই কর্মসূচির জন্য ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে অবগত করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে ঢাকার দুই মহানগর থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এজন্য গত দুই সপ্তাহ ঢাকার দুই মহানগর ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোকে নিয়ে দফায় দফায় প্রস্তুতি বৈঠক করেছে দলটি।  সমাবেশ শেষে বর্ণাঢ্য একটি শ্রমিক শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে, যা নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে। তীব্র গরমের কারণে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই সমাবেশের সব আয়োজন শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  
১ ঘণ্টা আগে

দল থেকে বিএনপির আরও চার নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় আরও চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দলটির সহদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানোনো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সহসভাপতি মোসা. সাবিরা বেগম, সুনামগঞ্জ জেলাধীন শাল্লা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজিরুল ইসলাম আজহার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ এবং যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমানকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বহিষ্কারকৃতদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ২১ জন।  
১৭ ঘণ্টা আগে

পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির বিক্ষোভ 
সারাদেশে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এ সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অন্যান্য দিনের মতো বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। কিছুদূর না যেতেই মিছিলটিকে সামনে এগোতে বাধা দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিএনপি নেতারা।  সমাবেশে দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে এ সময় অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত। তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। তিনি অভিযোগ করেন, একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ (উপজেলা চেয়ারম্যান), রাঙামাটি জেলা কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী (উপজেলা চেয়ারম্যান) এবং শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা সোনাহার (ভাইস চেয়ারম্যান)। এর আগে, শুক্রবার একই কারণে ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। তাদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী হয়েছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৬

দিনাজপুরে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলার ৫ জন নেতাকে প্রাথমিক পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হলো।  যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন (চেয়ারম্যান প্রার্থী), ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবদলের যুব বিষয়ক সম্পাদক সেলিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি পারুল নাহার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), বিরামপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) ও বিরামপুর উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম বানু (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান)।  দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারের অধীনে প্রহসনের কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির একটি চলমান আন্দোলন। কিন্তু যারা এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছে, তারা বিএনপির চলমান এই আন্দোলনের প্রতি কুঠারাঘাতের শামিল। তাই তারা দলের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।  
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৪

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড়শ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নয় নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়েছে দলটি। এনিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রূহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রার্থী হওয়া নেতাদের এই শোকজপত্র পাঠানো হয়।   সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার।     শোকজপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এবিএম কাজল সরকার, ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু, উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদ আল রাজী কমল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান এবং ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী জানান, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এ কারণে অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।             প্রার্থীতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম।   এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধার ধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই, এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবি’ মনে করি। আমি দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে, আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হব।   তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা মো. এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি দল আমাকে বহিষ্কার করবে না, আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬

যে কারণে ৬৪ নেতাকে বিএনপির শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন। নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দলটির সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের শোকজের চিঠির উত্তর পাওয়ার পর দলীয় ফোরামের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া দলীয় পদে আছেন এমন সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। ৬৪ নেতাদের মধ্যে বহিষ্কার ৫ জন হলেন, নীলফামারী জেলাধীন জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (কমেট চৌধুরী), দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, সদস্য জহুরুল আলম এবং কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঈদগাঁ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪

লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
লালমনিরহাটে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন এ নির্দেশ দেন। পরে বিকেলেই পুলিশ পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর আলম সুজন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ পাটোয়ারী ও ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মমিনুল হক এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর খান লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক মিজানুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এদিকে আবার বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি নেতাদের কারামুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি। শহরের বিডিআর রোডে জেলা বিএনপির কার্যালের সামনে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট  জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুসহ অন্য নেতারা। উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালে উভয় দলের সংঘর্ষের সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর। এ ঘটনার ৩ দিন পর লালমনিরহাট সদর থানায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার কারাগারে পাঠানো আসামিরা এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৭

জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপির সমাবেশের দিনে কর্মসূচি দিই: কাদের
জনগণের জানমাল রক্ষার্থেই বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকে, সেদিন আওয়ামী লীগও নিজেদের কর্মসূচি দেয় বলে দাবি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। বিএনপির সমাবেশের দিনেই আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস ও আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকে যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।  তিনি বলেন, আমরা মাঠে থাকলে বিএনপি নিজেদের অপকর্ম করার ক্ষেত্রে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সেজন্যই আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণের ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এখনও মন্ত্রী-এমপিদের অনেক স্বজন বলেছেন যে, ‘আমরা বিষয়টি আরও আগে জানলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।’ কিন্তু  নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। এখানে কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবে না তাদের ব্যাপারে সময়মতো দল সিদ্ধান্ত নেবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৫

বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির আরও এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ওইদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়