• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দিনের বেলায় রাত নেমে এলো মনপুরায়, লন্ডভন্ড বাড়িঘর
দিনের বেলায় রাত নেমে এলো মনপুরায়, সকাল ১০টা থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকার হতে থাকে।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলাজুড়ে যেন রাত নেমে আসে। এ সময় প্রবল বেগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে থাকা মানুষ চারদিকে ছুটোছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। শুরু হয় প্রবল বেগে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা।  এই আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ৬৬০টি বাড়িঘর পুরোপুরি ও প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এ ছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে ৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এ দিকে অসংখ্য গবাদি পশু নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য না দিতে পারলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও। তিনি বলেন, আজ সকাল ১১টায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রাতের মতো অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় নেমে আসে প্রবল কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলে এ ঝড়ের তাণ্ডব। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মনপুরা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, সকাল ১১টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে হঠাৎ প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পুরো মনপুরায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমরা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করি। 
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৩

২২ ঘণ্টা ধরে চলে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, অর্ধশত বাড়িঘর ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’গ্রুপের পূর্ব বিরোধের জেরে ২২ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। আহতদের মধ্যে মামুন (৩৮), সম্রাট (১৬), মনির (৪০), রামিম (২০), সাকিব (২০), বাছির মিয়া (৫১), সোহেল (৪০),  তাজিম (১০), সাগর (২৪), আশিক (৩২), রোকসানা (৫০) ও আলম (৩৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি গ্রুপে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠীর আরেকটি গ্রুপ এ সংঘর্ষে জড়ায়। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউপি আরজু মিয়া। এ দুগ্রুপের সঙ্গে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানরাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা থেকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩০

মামলা করায় বাদীর পরিবারে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট
পূর্ববিরোধে হামলার মামলা করায় বাদীর পরিবারের ওপর ফের হামলা করেছে আসামিরা। এ সময় বাদীর বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। হামলায় বাদীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে।  স্থানীয়রা জানান, কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী উজ্জ্বল আলীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষ ডাবলু সরদারের লোকজনের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত। এরপর গত বছরের ২৪ এপ্রিল উজ্জ্বলের দাদির চল্লিশা অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া নিয়ে ফের বিরোধ হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর চালায় প্রতিপক্ষরা।  এরপর ৮ মে প্রতিপক্ষরা উজ্জ্বলের ওপর হামলা চালায়। তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। এ নিয়ে উজ্জ্বলের বোন দুনিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে চাপ ও হুমকি দিতে থাকে। কোনো-না কোনো অজুহাতেই আসামিরা বাদীর ওপর হামলা করতে থাকে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরদিনও (৮ জানুয়ারি) উজ্জ্বলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে বাড়িছাড়া হয় উজ্জ্বলের পরিবার। এ যাত্রায় পুলিশ বিষয়টি মিটমাট করে দিয়ে উজ্জ্বলের পরিবারকে বাড়িতে তুলে দেন।  মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পূর্বের মামলার নোটিশ আসে বাড়িতে। পিয়ন নোটিশে স্বাক্ষর করার কথা বললে বিষয়টি জেনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আসামি পক্ষ। নিজেদের লোকজনকে জড়ো করে উজ্জ্বলের বোনের বাড়িঘরে মামলা চালায় তারা। এ সময় বাড়ির সবকিছু ভেঙে নষ্ট করে তারা। এ ছাড়াও টিভি, ফ্রিজ, সোনার গহনা, নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। লাঠির আঘাতে উজ্জ্বলের চাচি শিরিনা, বোন দুনিয়া খাতুন ও ফারিয়া খাতুন আহত হন। বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় আসামি পক্ষ ডাবলু সরদার ও তার সঙ্গে থাকা ১০ থেকে ১২ জন লাঠিসোঁঠা দিয়ে বাড়িঘরে থাকা সব জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে। এ সময় বাধা দিতে এলে এই তিন নারীকে মারধর করে তারা।  আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এবার উজ্জ্বলের বোন দুনিয়া খাতুন আবারও কুষ্টিয়া মডেল থানায় এই হামলার মামলা দায়ের করেছেন।  এ ব্যাপারে মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ মিটানোর জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪

কুষ্টিয়া-৪ আসন / নৌকায় ভোট দেওয়ায় কর্মীদের ওপর চলছে নির্যাতন, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট
নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেসব এলাকায় নৌকা প্রতীকে বেশি ভোট পড়েছে, সেসব এলাকায় নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদা আদায় করেছে। বেশ কয়েকটি পরিবার সব হারিয়ে প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন। জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি  রাতে খোকসার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের রাধানগর উথলী গ্রামে এশার নামাজ শেষে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে নৌকার কর্মী মোস্তফার বাড়ীতে হামলা চালানো হয়। বাড়িঘরের সবকিছু তছনছ করে দেওয়া হয়। সোনাদানা, কাপড়চোপর ও লোনের দুই লাখ টাকা লুটপাট হয়। সব হারানোর পরও দুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন। তার স্ত্রী রুপালি খাতুন তিন সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছেন।  একই রাতে ইউপি সদস্য বদিয়ার রহমান, সালাম ও কুতুবের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। যে চায়ের দোকানে নৌকার কর্মীরা চা খেত সেই চায়ের দোকানটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। টেলিভিশন ছিনিয়ে নিয়েছে হামলাকারীরা।  মোস্তফার স্ত্রী রুপালী খাতুন বলেন, তার সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন হামলাকারীরা। ঘরের খাট, লোনে কেনা ফ্রিজ, সমস্ত আসবাবপত্র, ঘরের টিনের বেড়া সব কেটে কেটে আলাদা আলাদা করে দিয়েছে। লোনের দুই লাখ টাকা, গরু কিনবো বলে রেখেছিলাম সেটাও নিয়ে গেছে। ছেলে মেয়ের সোনার গহনা এমনটি কাপড়চোপড় নিয়ে গেছে তারা। শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে ধ্বংস দেখছিলাম। কথা বলার ভাষাও ছিল না। স্বামী বাড়ীতে ছিল না। থাকলে কুপিয়ে তাকেও শেষ করে দিত। এখনও বাড়ী আসতে পারিনি সে। আর আমাদের খাবার কিছুও নেই। তার (স্বামী) অপরাধ সে নৌকায় ভোট করেছে। আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছি। এই কেন্দ্রে নৌকা ফাস্ট হয়েছে। সেলিম আলতাফ জর্জ নৌকা প্রতীক নিয়ে হেরে যাওয়ায় নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি আব্দুর রউফের লোকজন এই তান্ডব চালায়।  ইউপি সদস্য বদিয়ার রহমান বলেন, চরম আতঙ্কে রয়েছি। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে। লোকজনরা চাঁদা ধরছে। চাঁদা দিয়ে নাকি এলাকায় থাকতে হবে।  এছাড়াও সান্দিয়ারা বশিগ্রামে নৌকার কর্মী তিন জনের বাড়ী থেকে চারটি গুরু ও তিনটি ছাগল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। নৌকায় ভোট দেবার কারণে টাবলুর কাছ থেকে গরু ছাগলসহ আরও ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে স্বতন্ত্র এমপির লোকজন।  কুমারখালীর কয়াতেও নৌকার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিও ছুড়েছে হামলাকারীরা। এসব ঘটনায় অন্তত ১০ জন নৌকার কর্মী আহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান নির্যাতিতরা।  খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার বলেন, নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ হেরে যাওয়ার পর থেকে বর্তমান এমপি আব্দুর রউফের সমর্থকরা জামায়াত বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নিধন করছে। এটাই তার মূল উদ্দেশ্য। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেন, উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে কুষ্টিয়ায় অন্তত ৫০টির মত সহিংস ঘটনা ঘটেছে যা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে জেলাজুড়ে।   
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়