• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কোটচাঁদপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ 
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। গত ২৪ মার্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ২৭ এপ্রিল শেষ হবে। এই সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বিপুল অর্থের বিনিময়ে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান আলম সম্রাটের সঙ্গে যোগসাজশ করে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাক ও যশোরের দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলছেন তারা। কিন্তু পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে ওই দিনের পত্রিকা দেখে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। জালিয়াতি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কাগজে লিখে ওই দিনের পত্রিকার সঙ্গে ফটোকপি করে চালানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কার্ড ইস্যু থেকে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক এ বিষয়টিও লঙ্ঘন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিজের পছন্দের লোকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১২ লাখ টাকার চুক্তি করেন এবং সেই অনুযায়ী শনিবার (৩০ মার্চ) কালীগঞ্জ সরকারি নলডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড পরীক্ষার তারিখ ধার্য করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে কেউ জানেন না। এ ব্যাপারে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান আলম বলেন, প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য বলেছিলাম এবং তিনি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিল নিয়েছেন। তবে তিনি এরকম কাজ করবেন আমি ভাবতেও পারিনি। অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সরকার বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে তা বাতিল করা হবে। প্রধান শিক্ষক যদি ভুয়া নিয়োগ দেয় তাহলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার কন্যাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার। জানা গেছে, গত বছরের ১৫ জুন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির একাধিক পদে নিয়োগের কথা জানায়।  পত্রিকাটি খেয়াল করলে দেখা যায়, ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১ জন অফিস সহায়ক, ১ জন আয়া, ১ জন পরিচ্ছন্ন-কর্মী ও ১ জন নৈশ প্রহরীসহ ৫ পদে ৫ জনকে মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। এ আবেদনে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিপরীতে ৩০ প্রার্থী আবেদন করে, যেখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২১ প্রার্থী। মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা বলছে, শিক্ষক নিয়োগসহ বিদ্যালয়ের সব নিয়োগ পরীক্ষা হবে বিদ্যালয়টির যে কোনো শ্রেণি কক্ষে অথচ সেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে (৩০-১১-২৩) পাশের মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পরদিন ১-১২-২৪ তারিখে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের শ্যালক আমিরুল ইসলামকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যালয়টি। একই সময় বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার তহমিনা খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেন।  প্রতিবেদকের হাতে আসা নথি বলছে, ৪০ উর্দ্ধো তহমিনা খাতুনকে ৩৫ বছর দেখিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন বছির উদ্দিন। এ সময় বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জুর অগ্রণী ব্যাংক কন্যাদহ শাখায় অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়। ১৫-০৬-২৪ থেকে ৩০-১১-২৪ পর্যন্ত সঞ্জু কন্যাদহ অগ্রণী ব্যাংক শাখায় কয়েক লাখ টাকা রেখেছেন। যা বিগত কয়েক বছরের লেনদেনের চেয়ে অস্বাভাবিক। স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জুই সব প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের মোটা টাকাও তার হিসাবে রাখা হয়েছে । আর এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেছেন বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার ও প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম । এ ব্যাপারে সঞ্জুর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে, প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন তিনি। অভিযোগের ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। আর আপনি আসেন, বসে কথা বলি। বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ম্যানেজিং কমিটির কাজে আমার হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আর আমি এসব ব্যাপারে জানি না।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বাণিজ্যের অভিযোগ রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রচলিত আইন নয়, সরকারের ইচ্ছায় কারাগারে রয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে বিরোধী দলগুলোর ওপর ক্রাকডাউন চালিয়েছে সরকার। অপরদিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বাণিজ্য করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দেন রিজভী। আগামী শনিবার নয়াপল্টনে এ মিছিল করবে দলটি। এ জন্য ডিএমপির কাছ থেকে মৌখিক অনুমতিও পেয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রিজভী সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগ করেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১

মাদরাসায় কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের উজির আলী দাখিল মাদরাসার দপ্তরি ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য তিনটি পদের বিপরীতে একাধিক লোকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ডিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ ও মাদরাসা সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন এবং মাদরাসা সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. মোকাররমের বিরুদ্ধে একাধিক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন। আর ঘুষ বাণিজ্যে ওই মাদরাসার শিক্ষক কারী মহিউদ্দিন সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। জানা গেছে, ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয়ের ডিজির ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতি নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়‌। আর পরীক্ষা শুরুর আগেই চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ডিজি ও মাদরাসার সভাপতির নাম ভাঙিয়ে ৫০ হাজার থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন। এ ছাড়াও চাকরি নিশ্চিত করতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান অভিযুক্তরা। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বলে চলে যান। কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি ও মাদরাসার সভাপতি নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করেন।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চাকরিপ্রার্থী জানান, মাদরাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন তাদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ডিজি ও সভাপতিকে ম্যানেজ করতে টাকা নিয়েছে। মাদরাসার সভাপতি আ.লীগ নেতা। যদি নাম প্রকাশ করা হয় তাহলে তাদের সমস্যা হবে। অভিযোগের বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদের সামনে মাদরাসার সভাপতি ও পাথরঘাটা উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে নিয়োগ দিই তারপর কথা বলব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনজির আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মাওলানা মোকাররমকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফোন কেটে দিয়ে সুইচ অফ করে রাখেন। বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি অনিয়ম দেখে নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। এ ব্যাপারে আমাকে ফোন না করে ওখানে (ডিজির প্রতিনিধির সঙ্গে) কথা বলেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়