• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩
ছবি : আরটিভি

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার কন্যাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার।

জানা গেছে, গত বছরের ১৫ জুন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির একাধিক পদে নিয়োগের কথা জানায়।

পত্রিকাটি খেয়াল করলে দেখা যায়, ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১ জন অফিস সহায়ক, ১ জন আয়া, ১ জন পরিচ্ছন্ন-কর্মী ও ১ জন নৈশ প্রহরীসহ ৫ পদে ৫ জনকে মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে।

এ আবেদনে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিপরীতে ৩০ প্রার্থী আবেদন করে, যেখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২১ প্রার্থী।

মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা বলছে, শিক্ষক নিয়োগসহ বিদ্যালয়ের সব নিয়োগ পরীক্ষা হবে বিদ্যালয়টির যে কোনো শ্রেণি কক্ষে অথচ সেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে (৩০-১১-২৩) পাশের মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

পরদিন ১-১২-২৪ তারিখে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের শ্যালক আমিরুল ইসলামকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যালয়টি। একই সময় বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার তহমিনা খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেন।

প্রতিবেদকের হাতে আসা নথি বলছে, ৪০ উর্দ্ধো তহমিনা খাতুনকে ৩৫ বছর দেখিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন বছির উদ্দিন। এ সময় বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জুর অগ্রণী ব্যাংক কন্যাদহ শাখায় অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়। ১৫-০৬-২৪ থেকে ৩০-১১-২৪ পর্যন্ত সঞ্জু কন্যাদহ অগ্রণী ব্যাংক শাখায় কয়েক লাখ টাকা রেখেছেন। যা বিগত কয়েক বছরের লেনদেনের চেয়ে অস্বাভাবিক।

স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জুই সব প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের মোটা টাকাও তার হিসাবে রাখা হয়েছে । আর এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেছেন বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার ও প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ।

এ ব্যাপারে সঞ্জুর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে, প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। আর আপনি আসেন, বসে কথা বলি।

বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ম্যানেজিং কমিটির কাজে আমার হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আর আমি এসব ব্যাপারে জানি না।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সদর উদ্দিন মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল 
ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়িতে পালিয়ে বাঁচলেন তরিকুল
ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
X
Fresh