• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় উৎপাদিত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চায় ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে তৈরি বাংলাদেশি পোশাকের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন ওষুধ, সিরামিকসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানির সুযোগ এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) এর অন্তবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। এখানে পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা দরিদ্র জনগোষ্ঠির, তাদের জীবমান উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র যদি অবদান রাখতে চায় তাহলে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করতে পারে। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধান অনুসারে আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রেখেছে। তাহলে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলো কেন পাবে না। আমরা ইতোমধ্যে শ্রম পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি করেছি এবং আইনি সংস্কার আনা হয়েছে।  তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা প্রযুক্তি সহায়তা চেয়েছি, যার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারি। একইসঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন এবং প্রয়োজনীয় এ্যাক্রিডিটেশন নিশ্চিতকল্পে সহায়তা চেয়েছি।   তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অধিক উন্নতির জন্য সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এছাড়া তারা মেধাস্বত্ব আইনের যথাযথ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন ফ্যাসালিটিজের আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র ইতমধ্যে তুলা আমদানিতে ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার বাজারের হিস্যা ছিল ৯ শতাংশ। ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করার পর এখন তা বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদিত আরএমজি পণ্যগুলোতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। সূত্র : বাসস
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৭

সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম
ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এখনও কমেনি। এরমধ্যে নতুন করে পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। এদিকে এখনও চড়া দামেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের সরবারহ ঠিক থাকলেও পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে। কেনাবেচা কিছুটা কম হলেও বাড়তি পণ্যের চাপ নেই। রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি  শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত অন্য সময়ে এ ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩০০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে থাকে। রামপুরায় মুরগি বিক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, আজ দুই-তিন মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই দাম ১০ টাকা কমলে ২০ টাকা বাড়ছে। গরমে দাম আরও বাড়তে পারে।    এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। কোথাও কোথাও কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। সেই হিসেবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার বেশি। অন্যদিকে, ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি নেমেছিল ৫০ টাকার ঘরে। কেজি কেনা গেছে ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে। কিন্তু ঈদের পর চড়া হতে থাকে দাম। কয়েক দফায় বেড়ে এখন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল উদ্দিন বলেন, এখন অনেকে বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ না করে সংরক্ষণ করছেন। যার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০  টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা।  বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সয়াবিন তেলের নতুন দাম ঘোষণা করেন। তাতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে খোলা সয়াবিনের লিটারে কমানো হয়েছে দুই টাকা। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলে দর বেড়েছে ১৮ টাকা। ফলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৬৭, পাঁচ লিটারের দর হবে ৮১৮ এবং খোলা সয়াবিনের লিটার হবে ১৪৭ টাকা। অন্যদিকে, সুপার পামওয়েলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। তবে সুপার পামওয়েল বাজারে এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

জোরেশোরে চলছে কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার কাজ (ভিডিও)
কারওয়ান বাজার সরিয়ে নিতে যাত্রাবাড়ী ও গাবতলিতে আড়তদারদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কাজ হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না গেলে নতুন জায়গার বরাদ্দ বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মেয়র। গাবতলিতে যেতে না চাইলেও যাত্রাবাড়ীতে আপত্তি নেই ব্যবসায়ীদের, সেক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই কাঁচাবাজার খালির কাজ শুরু হচ্ছে।  শত বছরের পুরোনো কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার এমন ঘোষণা আসলেও শেষ মুহূর্তে আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার ২৮ মার্চ কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় সরানোর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের ১৭৬টি পাইকারি দোকান গাবতলিতে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে মূলত উত্তরবঙ্গ থেকে আসা পণ্যের জন্য পাইকারি আড়তের কথা বলছে ডিএনসিসি। তবে ব্যবসায়ীরা যেতে চান যাত্রাবাড়ীতে। এ বিষয়ে কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই তিন প্রজন্ম ধরে তারা এখানে ব্যবসা করছেন। কৃষকদের টাকা দাদন দেওয়া আছে। বিভিন্ন জায়গাতে টাকা পড়ে আছে। এই মুহূর্তে বাজার সরালে তাদের টাকাগুলো উদ্ধার না-ও হতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাত্রাবাড়ীর মার্কেটটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে অবহেলায়। সেখানে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা পণ্যের জন্য আড়তের আন্ডারগ্রাউন্ডে যাদের বরাদ্দ মিলবে, তাদের জন্য ৯০ স্কয়ার ফিট বেশি থাকবে। কাঁচাবাজারের পর পর্যায়ক্রমে মার্কেটের অন্যান্য দোকানও সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগে কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সদস্য ও ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম রায়হান খান বলেছিলেন, কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ভবনে থাকা ১৭৬ জন ব্যবসায়ীই শুধু ভবনের ভেতর দোকান বরাদ্দ পাবেন। অস্থায়ী কাঁচাবাজারের ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে বাজারের পূর্ব পাশে খালি জায়গায় দোকান দেওয়া হবে। বেশির ভাগ দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে দক্ষিণ পাশের ভবনে। ঢাকা উত্তর সিটির সূত্র অনুযায়ী, কারওয়ান বাজার আড়ত ভবনে নিচতলায় ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি ও দোতলায় ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান রয়েছে। আর আড়ত ভবনের দুই পাশে টিনের ছাউনির নিচে অস্থায়ী কাঁচাবাজারে ১৮০টি দোকান রয়েছে। ২০০ বর্গফুট আয়তনের এসব দোকান সম্পত্তি বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেওয়া।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬

ঈদের আগে লাগামছাড়া মাংসের বাজার
ঈদুল ফিতরের আগে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। গরুর মাংস, খাসির মাংস, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়, বেশি বাড়ে মুরগির চাহিদা। এই বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত তিন দিনে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে।        বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে মাংসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এই সুযোগে খামারিরাই গরু ও মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি মানভেদে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের দাম আরও বেড়ে ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ বাজার ঘুরে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মুরগি ও গরুর মাংসের দোকানগুলোতে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি ছিল। একই রকম বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। তবে গোটাকয়েক দোকানে এখনো ৭৫০ টাকায়ও গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, ঈদ উপলক্ষে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এখন মুরগির সরবরাহও কম। তাই নতুন করে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। মালিবাগ বাজারে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসজুড়ে মাছ ও মাংস বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে মাংসের দাম আবার বাড়ল। বাজার করতে গেলে তাল পাওয়া যায় না। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা কিনতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এখন বেশির ভাগ মুরগি করপোরেট গ্রুপগুলোর, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অথচ প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা কিনতে হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের সেই ফিড কিনতে হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আর এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, বেশির ভাগ জায়গায় গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে কেউ কেউ ৮০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫

১০ টাকায় ঈদবাজার
আনন্দ ভাগ করে নিতে জয়পুরহাটে ১০ টাকায় ঈদের বাজার করতে পারছেন অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ মানুষরা। একদিনের এই বাজার রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে আজিজ রেজিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই বাজারে ১০ টাকায় সেমাই, দুধ, চিনি, নুডলস, শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে।  ব্যতিক্রমী এই ঈদ বাজারের উদ্বোধন করেন আজিজ রেজিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। এ সময় আজিজ রেজিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক কায়কোবাদ আরাম, ইলিয়াস হোসেন, আবু রশিদ চৌধুরী, সোহাগ হোসেন, সাজ্জাদুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

বাজার ও রাস্তার স্বস্তি নিয়ে স্বজনদের কাছে ছুটছে মানুষ
আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদ উল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করবে গোটা বিশ্ব।  ঈদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে বাড়ির পথে মানুষ। ঊর্ধ্বমুখী বাজার থেকে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই অনেকটা আরামেই এবারের ঈদযাত্রা। একদিকে সরকারের নানা উদ্যোগে কমেছে নিত্যপণ্যের দাম আবার অন্যদিকে সড়ক মহাসড়কে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন সাধারন মানুষ। তাই এখন কারই তেমন কোন অভিযোগ নেই।  এবার ঈদের পরপরই পহেলা বৈশাখ। সব মিলিয়ে ৫-৬ দিনের ছুটি পাবে দেশবাসী। ছুটি শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামে ফিরতে শুরু করবে ঢাকাবাসী। তাছাড়া ছুটি শেষে স্কুল-কলেজ খুলবে ঈদের ১০-১২ দিন পর। ফলে ঈদের পর ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগেই কম দামে নিত্য পণ্য মিলছে বাজারে। কমেছে সবজি এবং মসলার দাম।  রাজধানীর বিভিন্ন  কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের দাম নিম্নমুখী। প্রায় সব সবজির দাম কমলেও ঢেঁড়স, সজিনা, মটরশুঁটি ও করলার মতো নতুন সবজি কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে বেগুনসহ অন্যান্য সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।   মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা কমিয়ে প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকা এবং গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাপকভাবে কমে গেছে তরমুজের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার এবং মানের ভিত্তিতে প্রতি পিস আনারস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা পেঁপে যা রমজানের প্রথম সপ্তাহে ২০০ টাকা বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রমজানের প্রথম ২ সপ্তাহে এই ফলগুলো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।    কাঁচাবাজারে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গরু ও মুরগির মাংস এবং মাছের দামে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।  বিক্রেতারা জানান, রমজান মাসের শুরুর দিকে লেবু যেখানে ১০০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি হয়েছে সেই লেবু এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা হালি। এছাড়া আলুর দাম সামান্য বেড়েছে। বর্তমানে আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। তবে কিছুটা স্বস্তি এসেছে পেঁয়াজের বাজারে। কেনা যাচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে। অথচ রোজার আগেও পেয়াজের কেজি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩০ টাকা। এছাড়া আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেল ও চালের দাম অপরিবর্তিত আছে।   অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত ছয় থেকে সাত মাস আগে জিরার দাম ওঠে কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকায়। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার ঘরে।জিরার পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদসহ কয়েকটি মসলার দামও কমেছে। লবঙ্গের দাম মাঝে বেড়ে গেলেও এখন আবার কমে গেছে। এলাচ ও দারচিনির বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারের পর স্বস্তির দেখা মিলছে ঈদ যাত্রায়ও। দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। এ নিয়ে স্বস্তি এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ঈদযাত্রার এই সময়ে আগে উত্তরের পথে যানজট লেগে থাকতো। কিন্তু এবার ঈদযাত্রায় এখনও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে ক্রমেই গাড়ির চাপ বাড়ছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।  বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী সিদ্দিক বলেন, পরিবারের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছি। এবার অল্প সময়েই ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। সড়কে কোথাও যানজট পাইনি।  লিটন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, গাবতলী থেকে বাসে রওনা হয়েছি। সড়কের কোথাও যানজটে আটকে থাকতে হয়নি। আশা করছি রংপুরে যানজট ছাড়াই পৌঁছাতে পারবো। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, রাতে গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল। সে তুলনায় বর্তমানে চাপ কমই রয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। আশা করছি, ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় বাড়তি গাড়ি দেখা গেলেও নেই অতিরিক্ত চাপ। পথে যানজট বা গাড়ি চলাচলে ধীরগতি নেই। নির্বিঘ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, তেমন চাপ নেই। কোথাও কোনও বিড়ম্বনা নেই। মানুষ সহজেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন।  এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ চাপ দেখা গেছে। কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে যানজট নেই। তবে কয়েকগুণ চাপ বেড়েছে। এই চাপ ঈদ পর্যন্ত হয়তো আরও বাড়বে। আমরা হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করছি৷ আশা করি এ বছরও মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম বলেন, আমাদের এআই ক্যামেরা আছে। পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে মহাসড়কে নজর রাখছি। এখনও কোথাও যানজটের কোনও সম্ভাবনা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের তাৎক্ষণিক রেসপন্স টিম আছে, রেকার আছে, অ্যাম্বুরেন্স আছে সর্বোপরি আমাদের হাইওয়ে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা মাঠে আছে। সবাই নিয়ম মেনে চললে এবং সবার সহযোগিতা থাকলে ভালো একটা ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারবো আমরা। এছাড়া ঈদ যাত্রায় স্বস্তির কোথা জানিয়েছেন ট্রেন যাত্রীরাও। গত ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদের বাড়ি ফেরার চাপ। সেসময় দেখা গেছে ভোগান্তিহীনভাবেই যাত্রা শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের। অন্যান্য বারের মতো স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় বা সিডিউল বিপর্যয় নেই। কমলাপুর থেকে নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।    কমলাপুরে যাত্রীদের নিরাপত্তায়ও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট ভেরিফাই করে তারপর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে বিনা টিকিটের যাত্রী প্রবেশ রোধ করতে স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও কাজ করছেন। যাত্রীরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।  একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী ফারহান জনি বলেন, অনলাইনে টিকিট পেতে একটু ঝামেলা হলেও স্টেশনে এসে কোনও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। যথা সময়েই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এসেছে। এছাড়া টিকিটবিহীন যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারায় ভিড়ও কম।  বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলছেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের বিলম্ব সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যেসব ট্রেনের সময়সূচিতে বিলম্ব আছে, সেগুলোকে প্রতি ঘণ্টায় মনিটরিং করা হচ্ছে। বিশেষ কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে, তাতে সব ট্রেন সঠিক সময়ে চালানোর ব্যবস্থা করতে পারবো।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১১

ঈদের পর কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কাজ শুরু হবে
কারওয়ান বাজার এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখানকার পাইকারি মার্কেট আমিনবাজারে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর দ্রুতই কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ।    প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজারের পরিত্যক্ত ঘোষিত কাঁচামাল আড়ত ভবনের ১৭৬টি এবং এর দুই পাশে টিনের ছাউনিতে থাকা অস্থায়ী কাঁচাবাজারের আরও ১৮০টি দোকান রাজধানীর গাবতলী এলাকায় আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে। ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, কারওয়ান বাজারের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে দোকানের বরাদ্দপত্র দেওয়া হবে। এরপর তাদের নিজ দায়িত্বে দোকানের মালপত্র স্থানান্তর করতে হবে। না হলে স্থানান্তরে বাধ্য করা হবে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে যাত্রাবাড়ীতে সরানোর কথা বলা হয়েছিল। হঠাৎ করে গাবতলীতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ সেখানকার পরিবেশ খুবই সংকীর্ণ। কারওয়ান বাজারের চারদিকে সড়ক। সারা দেশ থেকে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ ট্রাক কাঁচামাল নিয়ে এখানে ঢুকতে পারে। কিন্তু আমিনবাজারে প্রস্তাবিত পাইকারি বাজারে একসঙ্গে এত ট্রাক প্রবেশ করে অল্প সময়ের মধ্যে মাল খালাস করে বেরিয়ে যেতে পারবে না। ফলে নষ্ট হবে কাঁচামাল, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা।  কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সদস্যসচিব ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে তো ব্যবসায়ীদের আর উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। সব সুবিধা নিশ্চিত করেই ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর করা হচ্ছে। তাই আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে না যাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর কারওয়ান বাজারের পাইকারি মার্কেট ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়েছে। অথচ সেই আমিনবাজারে কোনো স্থাপনাই নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সবজির পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা মার্কেট চাই। যানজটের কথা বলা হচ্ছে। কারওয়ান বাজার থেকে আমাদের মার্কেট সরলেই যে ঢাকা শহরের যানজট কমবে, এমন কোনো তথ্য নেই।  এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, বাইরে মিরপুর শাহ আলী ও দিয়াবাড়ি বেড়িবাঁধে কাঁচামালের আড়ত রয়েছে। এসব ব্যক্তিমালিকানাধীন আড়ত না সরালে গাবতলীতে কেউ যাবেন না। কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সদস্য ও ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম রায়হান খান বলেন, কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ভবনে থাকা ১৭৬ জন ব্যবসায়ীই শুধু ভবনের ভেতর দোকান বরাদ্দ পাবেন। অস্থায়ী কাঁচাবাজারের ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে বাজারের পূর্ব পাশে খালি জায়গায় দোকান দেওয়া হবে। বেশির ভাগ দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে দক্ষিণ পাশের ভবনে। ঈদের আগেই পাইকারি কাঁচাবাজারের জায়গা ফাঁকা করা হবে বলেও জানান তিনি। ঢাকা উত্তর সিটির সূত্র অনুযায়ী, কারওয়ান বাজার আড়ত ভবনে নিচতলায় ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি ও দোতলায় ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান রয়েছে। আর আড়ত ভবনের দুই পাশে টিনের ছাউনির নিচে অস্থায়ী কাঁচাবাজারে ১৮০টি দোকান রয়েছে। ২০০ বর্গফুট আয়তনের এসব দোকান সম্পত্তি বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেওয়া। কারওয়ান বাজারে যেসব ব্যবসায়ীর নিচতলায় দোকান ছিল, তাদের আমিনবাজারেও নিচতলায় দোকান দেওয়া হবে। আমিনবাজারে যেহেতু দোকানের আকার কমবেশি ১৩০ বর্গফুটের, সে জন্য একেকজন ব্যবসায়ী তিনটি দোকান বরাদ্দ পাবেন। আর কারওয়ান বাজারে দোতলার ১১৪ জন ব্যবসায়ীকে বেসমেন্টে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। দোতলার এই ব্যবসায়ীরা দুটি করে দোকান বরাদ্দ পাবেন। আর অস্থায়ী ১৮০টি দোকানের ব্যবসায়ীদের বসানো হবে কাঁচাবাজারের পেছনে খালি জায়গায়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

অস্থির চালের বাজার
অস্থির চালের বাজার। দাম বাড়ছেই। সারা দেশে অভিযান, জরিমানা, শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণে নেই চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এসব পদক্ষেপকে পাত্তাই দিচ্ছে না অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এদিকে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ ও জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে সরকার। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল এসব থেকে বের হয়ে জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একই সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণে মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি  করা হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, এ জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেব। পয়লা বৈশাখ থেকে তা কার্যকর হবে।   এদিকে দাম বাড়ানো নিয়ে একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মিলারদের দুষছেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার সময় বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক থাকার কথা। তাদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই মিলগেটে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।   রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। গুটি স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। ৮-১০ দিন আগে এ দুই জাতের চালের দর ছিল যথাক্রমে ৫২ থেকে ৫৪ ও ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। একই সময় চিকন বা মিনিকেট চালের কেজি ছিল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, ভোক্তাদের এখন কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা দরে। দেখা যায়, এ তিন জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।   রাজধানীর মগবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দনি যে হারে বাড়ছে, সে হারে বেতন বাড়ছে না। তাই আমাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। রোজার শুরুতে আটাশ চাল কিনেছি ৫৪ টাকা। ২০ দিন পর একই চাল  নিতে হলো ৫৮ টাকায়।   অপরদিকে দালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, ধান সংকটের কথা। দায়ী করছেন মৌসুমি মজুতদারদের। তাদের অভিযোগ কৃষকের কাছ থেকে কম দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। ফলে কৃষকের কাছে ধান নেই। মজুতদারের কাছ বেশি দামে থেকে ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মিলাররা। ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিল পর্যায়ে চালের কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বেড়েছে।   কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসের তুলনায় বাজারে এখন সব ধরনের চালের দাম বেশি।   সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৮ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ ও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসের এ সময় চিকন চালের কেজি ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫২ থেকে ৫৬ ও মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে গত এক মাসে এ তিন ধরনের চাল কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।   কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আরও বলছে, শতাংশের হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাঝারি চালে ৬ দশমিক ৪৮ এবং ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম বেড়েছে চিকন চালের দাম।      
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে পণ্যের দাম কমছে : ভোক্তা ডিজি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে আগের চেয়ে দ্রব্যমূল্য এখন অনেকটাই কমছে। মনিটরিংয়ের কারণে বর্তমানে ৮০০ টাকার তরমুজ আজকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকায় এবং ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়তো। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার মনিটরিং ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন। ভোক্তার ডিজি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্য কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ে আমরা এসেছি। তাছাড়া আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। অন্যান্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন প্রমুখ।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু, সরানো হচ্ছে ডিএনসিসি কার্যালয়
কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কার্যালয়টি মোহাম্মদপুরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার সরানোর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) মোতাকাব্বীর আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হলেও ভবনটি ভাঙা হবে পরে। আপাতত কাঁচাবাজার সরানোর কথা ভাবছি আমরা। ব্যবসায়ীদের যেখানে স্থানান্তর করা হবে, সেখানেও কাজ শুরু হয়েছে।’ ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে মোহাম্মদপুর নেওয়া হচ্ছে। শিয়া মসজিদের পাশের মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি এতদিন কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেটে ছিল। ঢাকা সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে, সে তালিকায় এ মার্কেটও আছে। গত ১৮ মার্চ কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারের যে ভবনে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, সেটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। সেই ভবনে ১৭৬টি দোকান রয়েছে। ওই ভবন ঈদের পরে ভাঙা হবে। ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়