• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১২ সিনেটরের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস অব বাংলাদেশী আমেরিকানের চিঠি
সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে লেখা চিঠির বিপরীতে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস অব বাংলাদেশী আমেরিকানরা। রিচার্ড জে ডার্বিনকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে তারা বলেন, আমরা নিম্নস্বাক্ষর করা বাংলাদেশী আমেরিকানরা, ২২ জানুয়ারিতে অন্য এগারোজন সিনেটরের সাথে আপনার যে চিঠি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা হয়েছে সে বিষয়ে আমাদের হতাশা প্রকাশ করতে লিখছি। চিঠিটি আপনারা একজন বাংলাদেশী নাগরিক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। যারা দাবি করেছেন যে তিনি দেশের শ্রম আইনের অধীনে তাদের কর্মসংস্থান অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের জন্য চিঠিতে আরও সম্মান দাবি করে। কারণ এটি তাকে অভিবাদন দিয়ে শুরু না করে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করাটা সার্বভৌম সরকারের প্রধানকে সম্বোধন করার ন্যূনতম শিষ্টাচারের বিরুদ্ধে যায়। চিঠিটি একটি বিদেশী দেশে চলমান বিচারিক মামলার বিষয়ে মন্তব্য করার আগে আরও বোঝার প্রয়োজনীয়তার কথা নির্দেশ করে। কারণ এর ভাষাকে যুক্তির পরিবর্তে ক্রোধ দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন যে দেশের আইন প্রণেতারা দেওয়ানি আদালতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন এবং আইন আদালতকে সম্মান করছেন না কিন্তু আদালতের রায়কে নিয়ে নানাভাবে বাহ্যিক প্রভাবের চেষ্টা করছেন। সিনেটরদের অবস্থানগত সমালোচনা করে চিঠিতে বলা হয়,  আমরা আপনাকে এবং অন্যান্য সিনেটরদের গবেষণা করার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে সম্মান করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আপনাকে একজন শক্তিশালী কর্পোরেট প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ না নেওয়ার জন্য এবং তার পরিবর্তে দরিদ্র ও অসহায় সাধারণ কর্মচারী/শ্রমিকদের তাদের আইনি ও আর্থিক অধিকার থেকে বঞ্চিত সমর্থন করার জন্য উত্সাহিত করছি। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কিন মূলধারার মিডিয়া, সিবিএস নিউজ, তাদের অনলাইন সংবাদে যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল তার প্রতিফলন আপনাদের চিঠিতে আমরা প্রত্যক্ষ করি যখন কিনা তারা বলেছিল, ‘যেমন ইউনূস পশ্চিমের রাজনৈতিক অভিজাতদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের জন্য পরিচিত, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, অনেকে মনে করেন এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চিঠিতে অনুরোধ করা হয় যে আপনি এবং অন্যান্য সিনেটররা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করুন, বাংলাদেশ সরকার নয়। প্রয়োজনে, আমরা আপনাকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবীদের বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন এবং ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগের সাথে জড়িত নথি পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আপনাকে এই চিঠি থেকে আপনার নাম প্রত্যাহার করতে উত্সাহিত করি, যা আমরা মানহানিকর এবং অপ্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা বলে বিবেচনা করি। চিঠিতে সাক্ষর করেছেন কংগ্রেস অব বাংলাদেশী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, শামীম চৌধুরী, মি মঞ্জুর চৌধুরী, ড. প্রদীপ রঞ্জন করসহ আরও ৩৪ আমেরিকান বাংলাদেশি।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২০

বাংলাদেশী এনায়েত আলী প্রথম অক্সিলারি পুলিশ ক্যাপ্টেন
বাংলাদেশের সন্তান সৈয়দ এনায়েত আলী প্রথম অক্সিলারি পুলিশ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বক্সিংয়ের প্রাক্তন হেভি ওয়েট চ্যাম্পিয়ন এবং দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের রানার্সআপ বক্সার। ১৯৮৮ সালের বডিবিলডিংয়ে হেভি ওয়েট মিস্টার বাংলাদেশ ১৯৮৯ সালে  আমেরিকা চলে আসেন। তিনি অক্সিলারি পুলিশ হিসেবে ২০০২ সালে যোগদান করেন এবং তিনি প্রথম ২০০৯ সালে প্রথম অক্সিলারি পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পান এবং ৯ মার্চ ২০২১ সালেও তিনিই প্রথম অক্সিলারি পুলিশ লেফটেন্যান্ট  হিসেবে পদোন্নতি পান। নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ১৯৫০ সালে অক্সিলারি পুলিশ গঠন করে। এটি মূলত ভলান্টারি সার্ভিস। প্রায় ১১০ জন বাঙ্গালী ভলান্টারি সার্ভিস করছেন কমিউনিটিকে সাহায্য করার জন্য। কোনো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয় বরং কমিউনিটিকে সাহায্যের উদ্দশ্যে এই সকল বাঙালিরা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। কমিউনিটিকে এবং পুলিশ ডিপার্টমেন্টে সাহায্য করার জন্য তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এখানে যোগদান করে এবং পুলিশ ও কমিউনিটিকে তারা বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। এনায়েত আলী বর্তমানে কুইনস নর্থের ১১৪ নম্বর পুলিশ প্রিসেন্টে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপার) করেসপন্ডিং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাপা’র মিডিয়া লিয়াজন জামিল সরোয়ার জানান, আরো অনেক বাংলাদেশী অক্সিলারি পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করবেন তার এই সাফল্য দেখে। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সার্জেন্ট ডিটেকটিভ স্কোয়াড এরশাদুর সিদ্দিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন একেএম আলম এবং সেক্রেটারি  ডিটেকটিভ রাসেকুর মালিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমান্ডিং অফিসার ডেপুটি ইন্সপেক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ, বাপা’র  ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর সার্জেন্ট মুরাদ আহমেদ, কো ট্রেজারার অফিসার জসীম মিয়া, বাপা’র ট্রাস্টি সার্জেন্ট লতিফ, বাপা’র সদস্য অফিসার ইরফানসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়