• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির নতুন প্রস্তাব
ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। শনিবার (৪ মে) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে। সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডি’র গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।   
০৪ মে ২০২৪, ১৫:০৩

জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি।  এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।  যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে। যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।  বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে।  এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।  ১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে। রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে।  এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
০৩ মে ২০২৪, ১১:৩১

ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলাতে পাকিস্তানের নতুন প্রস্তাব
এশিয়া কাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা নিয়ে দোটানায় পড়েছে পাকিস্তান। যার মূল কারণ, দেশটিতে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া। তবে কোহলিদের পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স খেলা নিশ্চিত করতে ভারতকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারতের সব ম্যাচ লাহোরের এক ভেন্যুতেই আয়োজন করতে চায় পিসিবি। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে। কয়েক দিন আগেই বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছিল এশিয়া কাপের মতো এই টুর্নামেন্টও হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায় ভারত। আর এটি কিছুতেই হতে দিতে চায় না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কয়েকদিন আগে তারা আইসিসিকে তিনটি ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। নিরাপত্তার স্বার্থে এবার তারা ভারতের সব ম্যাচ কেবল লাহোরেই আয়োজন করতে চায়। একই শহরে হবে টুর্নামেন্টটির ফাইনালও। ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক শহরে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করলে, লজিস্টিকস এবং ভ্রমণকেন্দ্রিক নিরাপত্তাজনিত মাথাব্যথা কমে যায় পিসিবির।  এ ছাড়াও লাহোর শহরের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানে ওয়াগাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছাকাছি জায়গায়। আর এর মাধ্যমে সহজেই ভারতীয় দর্শকরা দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ থাকছে।    পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি খসড়া পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তিনি  জানান, টুর্নামেন্টটি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আয়োজন করা হতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত হবে প্রতিযোগী আটটি দেশের আলোচনার ভিত্তিতে।  এর মাঝে আবার ভারত সেখানে খেলবে কি খেলবে না তারও নিশ্চয়তা চেয়েছে পিসিবি। ২০০৮ এশিয়া কাপের পর থেকে আর কোনো ভারতীয় দল পাকিস্তানে সফর করেনি। ওই বছরই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ক্রমাগত।  গত মঙ্গলবার করাচিতে আশাবাদী হয়ে পিসিবি সভাপতি নাকভি জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আট দলের সবাই পাকিস্তানে সফর করবে। যেখানে তিনি ভারতের খেলতে না চাওয়ার কোনো নেই বলেও উল্লেখ করেন।  পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টটি আয়োজনে খুব মরিয়া, কারণ ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর আর কোনো আইসিসির ইভেন্ট আয়োজন হয়নি দেশটিতে।  এরপর ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান দলের ওপর আরেক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপও সরিয়ে নেওয়া হয় পাকিস্তান থেকে। এরপর দেশটিতে ৬ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে বাবর আজমদের দেশে। যেখানে এরই মাঝে ভারত বাদে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রায় দেশই আলাদাভাবে সিরিজ খেলতে গিয়েছে। এর আগে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল ২০১৭ সালে। যেখানে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। 
০২ মে ২০২৪, ১০:৩৫

যে কারণে গ্যাংস্টার সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কোয়েল
সব অভিনয়শিল্পীই বলিউডে নিজেকে মেলে ধরার স্বপ্ন দেখেন। তবে সেই তালিকায় নেই টালিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। তিনি বলিউডের সুপারহিট সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।  যেখানে সবাই মুখিয়ে থাকেন সিনেমা করার জন্য, সেখানে কোয়েল প্রস্তাব পেয়েও কেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন আজও উঁকি দেয় অভিনেত্রীর ভক্তদের মনে। জানা গেছে, বলিউডের বিগ বাজেটের সিনেমার অফার পেয়েছিলেন কোয়েল। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় কঙ্গনা রানাওতের। আর এই সিনেমার প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলে রঞ্জিতকন্যা। কিন্তু সেই সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কোয়েল।  কারণ অন্তরঙ্গ দৃশ্যে আপত্তি ছিল কোয়েলের। আর তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই সেটি লুফে নেন কঙ্গনা। এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কঙ্গনা।    টালিপাড়ায় প্রায়ই কানাঘোষা শোনা যায়— সেদিন ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে না দিলে কোয়েলও হয়তো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন বলিউডে। নিজের ক্যারিয়ারে দেব, যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তীদের বিপরীতে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কোয়েল। রোমান্টিক সিনেমা হোক কিংবা থ্রিলার, পর্দায় সমান দাপটই দেখিয়েছেন তিনি।  ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে পর্দায় মেলে ধরেছেন কোয়েল। টালিউডে নিজের অভিনয়গুণে তৈরি করেছেন শক্ত অবস্থান। কিন্তু অশ্লীলতার স্রোতে গাঁ ভাসাননি তিনি। প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে ২০১৩ সালে সুরিন্দর ফিল্মসের মালিক নিসপাল সিং রানের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কোয়েল। বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেছেন এই জুটি। ২০২০ সালে দম্পতির সংসার আলো করে আসে প্রথম সন্তান কবীর।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৯

বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ভোটে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ। শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ওআইসি পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি তুলেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৬ মাস ধরে হামাস নির্মূলের নামে গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার রাষ্ট্রটির সেনাবাহিনীর অব্যাহত অভিযান ও হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও তা মানছেনই না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিপরিষদ।   এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। এ সময় গাজায় সম্ভব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করারও দাবি জানায় সংস্থাটি। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন চলছে। ছয় মাস ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাস হলেও এই সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, প্রতীকি অর্থে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে তেল আবিব। অন্যদিকে, গাজায় আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে তেল আবিবে অস্ত্র রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এরপরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্ররা। প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যেসব দেশ: বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম। প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরায়েলের পক্ষে ভোটদানকারী ছয় দেশ:  আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র। ভোটদানে বিরত থাকা ১৩ দেশ:  আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৬

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে। বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৬

গাজায় গণহত্যা চলছেই, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানছে না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হচ্ছে না। বরং   গণহত্যা চলছেই। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের। প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্বর এই হামলার বিপক্ষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।  কিন্তু কোনো কিছুতেই কর্ণপাত করছেনা ইসরায়েল।   জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে জাতিসংঘের স্পেশাল পোর্টিউর ফ্রাসেস্কা আলবানিজ বলেছেন, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে, তা গণহত্যা। এ জন্য তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।  আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলকে কেউ যেন অস্ত্র সরবরাহ না দেয়। মানবাধিকার পরিষদের ওই অধিবেশনে যোগ দেয়নি ইসরায়েল। তবে তারা তার এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।  আলবানিজ বলেন, আমার দায়িত্ব হলো মানবতার পক্ষে কথা বলা। সবচেয়ে খারাপ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া। ফলাফল উপস্থাপন করা। জেনেভায় তিনি ‘দ্য অ্যানাটমি অব এ জেনোসাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে– এটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে।  গাজায় খাদ্যাভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ। মানুষ খাবারের অভাবে গাছের পাতা খাচ্ছে। এদিকে বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে সাগরে ফেলা ত্রাণ আনতে গিয়ে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি পানিতে ডুবে গেছেন। সোমবার বেঈত লাহিয়া উপকূলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৩

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পর  ইসরায়েলের হামলায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। গাজায় হামলার পাশাপশি পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এদিনও বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েল। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৪ জন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫০

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস
ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদের এক ভোটাভুটিতে এ সম্পর্কিত প্রস্তাবটি পাস হয়।  এ ছাড়া প্রস্তাবে অবিলম্বে ও নিঃশর্তে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি রাষ্ট্র প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও অতীতে তিনবার ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক্স বার্তায় বলেছেন, এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। ব্যর্থতা হবে ক্ষমার অযোগ্য। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হলো আন্তর্জাতিক আইন। জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র তা মেনে চলতে বাধ্য। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওইদিন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। গাজায় চলমান এই গণহত্যায় ইসরায়েলকে সরাসরি অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানির মতো পশ্চিমা দেশগুলো। সূত্র : আল জাজিরা
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৯

২৪ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৩০৭ - আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতি মালিক কাফুর দেবগিরি দুর্গ দখল করেন। ১৩৫১ - ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৯৩ - চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা ঘোষিত হয়। ১৮৬১ - লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। ১৯০২ - বাংলায় অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়। ১৯১৮ - জার্মান বাহিনী সোমে নদী অতিক্রম করে। ১৯৩৩ - এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন। ১৯৪০ - শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়। ১৯৪৬ - লর্ড লরেঞ্জের নেতৃত্বে ব্রিটিশ কেবিনেট মিশন ভারতে আসে। ১৯৫৬ - পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৭ - যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা সরাসরি আলোচনা শুরু করে। ১৯৮২ - জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৯৯ - ন্যাটো যুগোশ্লাভিয়ার সার্বিয় সেনা অবস্থানের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে। জন্ম: ১৪৯৪ - জার্মান মণিকবিৎ ও পণ্ডিত গেওরগিউস আগ্রিকলা জন্মগ্রহণ করেন। ১৬৯৩ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন জন্মগ্রহণ করেন। ১৮০৯ - ফরাসি গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ জোসেফ লিওউভিলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৩৪ - ইংরেজ টেক্সটাইল ডিজাইনার, কবি, উপন্যাসিক, অনুবাদক ও সমাজতান্ত্রিক উইলিয়াম মরিস কর্মী জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৩৫ - অস্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও কবি জোসেফ স্টিফান জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৪১ - নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নবাব ওয়াকার-উল-মুলক মৌলভী জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৩ - খ্যাতনামা আইনবিদ লর্ড সত্যপ্রসন্ন সিনহা জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৪ - বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৪ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ পিটার জোসেফ উইলিয়াম ডিবাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৩ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ আডল্ফ ফ্রিড্রিশ ইয়োহান বুটেনান্ডট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ প্রাণরসায়নী জন কেন্ড্রেও জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৫ - বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার কাজী নূরুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক, সুরকার ও নাট্যকার ডারিও ফো জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ - আমেরিকান অভিনেতা স্টিভ ম্যাকুইন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ - সার্বীয় শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী ভজিস্লাভ কস্টুনিকা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ - শ্রীলংকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী রনীল শ্রীয়ান বিক্রমাসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ - জার্মান গায়ক, গীতিকার এবং অভিনেত্রী নেনা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ - আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক জিম পারসন্স জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ - ভারতীয় অভিনেতা ইমরান হাশমি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ - ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রামিরেস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসান জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু: ০৮০৯ - আরব পঞ্চম খলিফা হারুন আল-রশিদ মৃত্যুবরণ করেন। ১৬০৩ - ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথ মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৭৬ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৮২ - একজন মার্কিন হেনরি ওয়েডসওরর্থ লংফেলো মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৯৯ - পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার বিলি বার্নস মৃত্যুবরণ করেন । ১৯০৪ - একজন ইংরেজ কবি এডউইন আর্নল্ড মৃত্যুবরণ করেন । ১৯০৫ - ফরাশী লেখক জুল গাব্রিয়েল ভার্ন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৬ - রাশিয়ান দাবাড়ু আলেকসান্দর আলেখিন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫০ - ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড ল্যাস্কির মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭১ - রেডিসন ব্লু রয়েল হোটেল ও আর্ফস সিটি হলের পরিকল্পক আর্নি জাকবসেন মৃত্যুবরণ করেন। ২০০২ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আর্জেন্টিনার প্রাণরসায়নী সিজার মিলস্টেইন মৃত্যুবরণ করেন। ২০১০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার রন হামেন্স মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৩ - নিউজিল্যান্ড লেখক বারবারা অ্যান্ডারসন মৃত্যুবরণ করেন। দিবস: আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০২:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়