• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেনবাগে পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
পুলিশ পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর সেনবাগে এক ফ্রান্স প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) রাত ২টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউপির উত্তর বালিয়াকান্দীর ফজু মুন্সীর বাড়িতে ফ্রান্স প্রবাসী সুজনের ঘরে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মুখোশপরা ৫-৬ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত কলাপসিবল গেইট ও কাঠের দরজা ভেঙে বসতঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রবাসীর স্ত্রী ইশরাত জাহান দিপা, মেয়ে জান্নাতুল নাঈম অর্পা, শাশুড়ি জাহানারা বেগমকে মারধর করে এবং শিশু হুজাফকে জিম্ম করে আলমারি চাবি নিয়ে নগদ ৮৫ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি মোবাইলফোন নিয়ে যায়। পরে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি জানান, পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ মে ২০২৪, ১৭:১৩

পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু, স্ত্রী-সন্তান আহত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে সাইদুর রহমান দুলাল (৩৫) নামের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার স্ত্রী সানজিদা বেগম ও শিশু সন্তান আরিয়ান গুরুতর জখম হয়।   বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে কলাপাড়া-কুয়াকাটার মহাসড়কের সিক্সলেন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাইদুর আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঐ গ্রামের হুমায়ুন কবির মোল্লার ছেলে। সাইদুর গত তিনদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত সাইদুর রহমান নিজ মোটরসাইকেলযোগে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে কলাপাড়া উপজেলা টিয়াখালী ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলী চলাভাঙ্গা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের সিক্সলেন এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা মহিষ বোঝাই একটি মিনি পিক-আপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে তারা গুরুতর জখম হয়।  স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক তাদেরকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত বরিশালের রেফার করেন। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসক সাইদুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করে। 
০২ মে ২০২৪, ১৫:৩৯

আমিরাতে ঋণের দায়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলী সাদিক। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ীক পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে ডুবে যান হতাশার বেড়াজালে। শেষ পর্যন্ত আর কোন কূলকিনারা না পেয়ে বেঁছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।  ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করা নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলি সাদিক (৩৮) লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বাঞ্ছানগর গ্রামের মৃত হারুন উর রশিদের ছেলে। নিহতের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মনির বলেন, শিবলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ী পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে হতাশয় ভুগছিলেন তিনি। পরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবলি। এখন পর্যন্ত মৃতের ব্যবসায়ী পার্টনার প্রতারকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, মৃত শিবলী একই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে তানজিনা আফরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে নিযুক্ত শ্রম কাউন্সিলর লুৎফুন নাহার নাজিম বলেন, মৃত্যুর খবর আমারা জেনেছি। মরদেহ এখন বানিয়াছ এর কেন্দ্রীয় মর্গে রয়েছে। দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ দেশে পৌঁছাতে দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ হামদান সড়কে তার বাসস্থল বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় আবুধাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।  
০১ মে ২০২৪, ০০:২২

মৃত্যুর দু’বছর পর দেশে ফিরছে ২ প্রবাসীর মরদেহ
ব্রুনাইয়ের হাসপাতাল রিপাসে সংরক্ষিত তিন বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসার বিল বকেয়া থাকায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের মর্গে রক্ষিত ছিল দুই বাংলাদেশির মরদেহ। বুধবার ও বৃহস্প‌তিবার দুই ধা‌পে এই বাংলা‌দে‌শিদের মরদেহ দে‌শে পাঠা‌নো হয়। ব্রুনাই‌য়ের বাংলা‌দেশ হাইক‌মিশ‌ন বল‌ছে, তিন বাংলাদেশির মধ্যে বরিশালের শিপন এবং নরসিংদীর মোশারফ হোসেনের মরদেহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দের অর্থায়নে গত বুধবার দে‌শে পাঠা‌নো হয়। এ ছাড়া সুমন খানের (ঝালকাঠি সদর) মরদেহ ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি সদস্যদের থেকে সংগৃহীত অর্থের মাধ্যমে বৃহস্প‌তিবার দেশে পাঠানো হয়।  বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, শিপন ও মোশারফের লাশ গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে রিপাস হাসপাতালের মর্গে রক্ষিত ছিল। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মী প্রবাসে কর্মকালীন মারা গেলে বা অসুস্থ অথবা আহত হলে যথাযথ ইনস্যুরেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কর্তৃক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনে মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে উপরোক্ত ব্যক্তিদের কেউই মৃত্যুর সময় বৈধভাবে ব্রুনাইয়ে অবস্থান করছিলেন না।  ফলে তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শিপন মারা যাওয়ার আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে ১৮ হ‌াজার ৪১১ ব্রুনাই ডলার (প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা) বিল বকেয়া হয়। মরদেহ পাঠানোর আগে এই অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।  পরবর্তীতে হাইকমিশনারের প্রচেষ্টায় ব্রুনাই সরকার ওই অর্থ মওকুফ করে এবং বাংলাদেশ হাই কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দের অর্থে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হয়।  ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে সর্বদায় বদ্ধপরিকর।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮

প্রবাসীর স্ত্রীকে টার্গেট করে প্রতারণা, হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা
প্রথমে নারীদের টার্গেট করেন। বিভিন্নভাবে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিজের মোবাইলে কপি করে নেন। এরপর ব্লাকমেইল কতরে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার নাম নুরুল ইসলাম ভুটো (৪০)। বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভুটোকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ছবিসহ মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে সিরাজপুর ইউনিয়নের বড় রাজাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর স্ত্রী (৩২) বসুরহাট আরডি শপিং মলে মোবাইল মেরামত করতে যান। এসময় নুরুল ইসলাম মেকানিক সেজে তার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ছবি সরিয়ে রাখেন। পরে ওই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। পরে তিনি শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর ব্যক্তিগত ছবি টিকটকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাই নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে লিখিত ভাবে জানালে তিনি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম ভুটো। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬

প্রেম করে বিয়ের ২ মাসের মাথায় প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ফাঁস দিয়ে মুন্নী আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত মুন্নী ওই গ্রামের জাপান প্রবাসী তানভীরের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের কেনা গ্রামের অলি আহমেদের মেয়ে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কিছুদিন পরে স্বামী জাপান চলে যায়। শাশুড়ি ছাড়া ঘরে তেমন কেউ থাকে না। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজয়নগরের ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ জানান, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার সময় উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বুধিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রোমান খান (২৬) উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের আউলাদ খানের ছেলে ও বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বলে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বুধিরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাছানের সঙ্গে সখিপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ী গ্রামের বারেক মিয়ার মেয়ে চম্পা আক্তার (২৫) এর পারিবারিকভাবে ২০১৭ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৯ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রবাসে থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা রোমান খান চম্পা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। প্রবাসী হাছানের জমানো নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কারসহ চম্পাকে নিয়ে উধাও হন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রোমান খান।  প্রবাসী হাছানের বাবা দেলোয়ার হোসেন শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উধাও হওয়া ছাত্রলীগ নেতা রোমান খানের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই শুনতে পেলাম। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানাও ওসি মো. রেজাউল করিম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম, বেঁচে নেই কেউ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই মায়ের গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম হয়েছে।  বুধবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এমন বিরল ঘটনাটি ঘটে।  সখীপুরে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।  প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া জানান, আমার ভাগ্নের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৬) প্রায় ৫ মাস যাবৎ অন্তঃসত্ত্বা। ঈদের দিন হঠাৎ আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সুমনার অবস্থা অবনতি হলে, তাকে দ্রুত মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  তিনি আরও জানান, কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সুমনার পেটে ৬ বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে ৪টি মেয়ে ও ২টি ছেলে প্রসব করানো হয়। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর গর্ভে ৬ সন্তান কেউই বেঁচে নেই। প্রবাসীর স্ত্রীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এ বিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি ছিল না। এমন ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা, অতঃপর...
ফেনীর ফুলগাজীতে রাতের অন্ধকারে বাড়ির সামনের খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে ফাতেমা (৪২) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী খেতের মাঝে ওই নারীকে ফেলে যায় তারা।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর স্বজনরা।  এর আগে শুক্রবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী ফারুকের বাড়িতে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক ট্রিপল ৯৯৯- এ স্বজনরা ফোন দিলে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতেই তাকে পার্শ্ববর্তী একটি খেতের মাঝখান থেকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে ফাতেমা লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ছিল। এ সময় নাকে পোড়া গন্ধ পেয়ে তার মেয়েদের ডেকে নিয়ে ঘরের বাইরে গেলে দেখতে পায় খড়ের গাদায় আগুন জ্বলছে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে আগুন নেভাতে। এর ফাঁকে বাইরে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা সকলের অগোচরে ফাতেমাকে তুলে নিয়ে যায়।  অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে দেখতে না পেয়ে ট্রিপল ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায় স্বজনরা। খবর  ঘটনাস্থলে এসে ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পাশের ধানখেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।  ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফুলগাজী থেকে ফাতেমা নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার মাথায়, হাতে, পায়ে ও শরীরের বেশ কিছু স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফুলগাজী থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনায় ঘটেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এ ঘটনায় আমিনুর রহমান মজুমদার প্রকাশ খোকনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫

প্রবাসীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
দীর্ঘ দুই বছর প্রবাস জীবন থেকে বাড়ীতে এসে যৌতুকের জন্য মারধর পরবর্তী স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ ভেঙ্গে দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী শফিকের বিরুদ্ধে। নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়রে ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সোনাদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এঘটনায় ভোক্তভুগী নারী বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী মো. শফিক (৩০) সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিন সোনাদিয়া গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে।     নির্যাতনের শিকার শারমিন আকতার বলেন, দুই বছর আগে আমার স্বামী মো. শফিক বিদেশে যায়। এইদিকে তার তিন সন্তানকে নিয়ে তারই বাড়ীতে শ্বশুর শ্বাশুড়ীসহ দিনাতিপাত করছি। গত ১৫ মার্চ সে সে বিদেশ থেকে দেশে আসে। কয়েকদিন পর আমা বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি। যার কারণে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে এবং আমার সাথে সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেয়। মার্চের ১৯ তারিখ আমাকে মারধর করার পর আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তারা সামাজিক ভাবে মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে এমন অপরাধ আর না করার অঙ্গীকার করে। পরে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে নেয়ার পর গত সোমবার রাতে সে আমাকে মারধর করে এবং আমার জরায়ুতে কাঁচা মরিচ ভেঙ্গে দিয়ে দেয়। যার অসহ্য যন্ত্রণায় আজ দুইদিন আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। যন্ত্রনায় আমার চোখে কোন ঘুম নেই।   স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে জাহাজমারা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের আবদুল হাসেমের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে সোনাদিয়া ইউনিয়নের দুলাল উদ্দিনের ছেলে মো. শফিক (৩০) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২টি ছেলে ও ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শফিক যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। শারমিনের বাবা আবদুল হাসেম জানান, বিয়ের পর শফিককে কয়েক ধাপে টাকা দেয়া হয়েছে। তাদের সন্তানদের জন্য একটি গাভী গরু ও মাছের ট্রলার বানানোর সময় এক লাখ বিশ হাজার হাওলাত চাইলে তাও দেয়া হয়। তদুপরি সে বিদেশ যাওয়ার সময় একলাখ টাকা দাবি করলে সে টাকাও ধারদেনা করে তাকে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিয়ের সময় উপহার হিসেবে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য সে বিদেশ থেকে ফিরে এসে নতুন করে আবার তিন লাখ টাকা দাবি করলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি। যার কারণে সে সবসময় আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্বজনরা জানান সে হাতিয়ার বাহিরে অবস্থান করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদুল হক জানান, ভিকটিমের বাম উরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর জরায়ুতে নির্যাতনের বিষয়ে গাইনী ডাক্তারের কাছে রেফার করা হয়েছে।  হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ্ত রেজা জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়