• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অবৈধভাবে টিভি চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।  সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তগুলো হলো: ১. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে। ২. ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না। ৩. সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না। ৪. টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫. বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যে কোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৬. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না। ৭. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না। ৮. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ৪ (১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। ৯. অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০. আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
০৬ মে ২০২৪, ১২:৪৯

অন্তর্বাস প্রদর্শন লজ্জার কিছু নয়: পরমা
পশ্চিমবঙ্গের কণ্ঠশিল্পী পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সারা জীবন যে কাজটি করতে সাহস করেননি, ৫০-এ এসে সেই কাজটি করলেন । অন্তর্বাস পরে ছবি প্রকাশ করলেন সামাজিক মাধ্যমে।  সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিজের অন্তর্বাস পরা ছবি প্রকাশ করে পরমা লিখেছেন, আমাদের বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে, শাড়ির ব্লাউজ বা স্লিভলেস টপের অংশ থেকে ‘ব্রা’র স্ট্র্যাপ উঁকি দিলেই শুরু হতো নিন্দে মন্দ। বাড়ির বয়স্ক কাকিমা, মাসি বা হয়তো কোনো দিদি আপনার কাছে ছুটে আসবে এবং খানিক গোপনীয়তা বজায় রাখার ভঙ্গিমাতে আলতো করেই সেই অন্তর্বাস ঢুকিয়ে দেবেন। অন্তর্বাস প্রদর্শন লজ্জার কিছু নয় বলে মনে করছেন পরমা। তার মতে, আগেকার দিনে অন্তর্বাসের রঙ সীমাবদ্ধ ছিল সাদা, কালো অথবা ঘিয়েতে। তবে নতুন প্রজন্ম যেভাবে অন্তর্বাসকে আর একটি পোশাকের তকমা দিয়েছেন, তাতে তিনি খুশী। আর সেই খুশী থেকেই জন্ম নিয়েছে তার আত্মবিশ্বাস। এই গরমে তাই এমন পোশাক পরতে আর কোনো দ্বিধা নেই তার। ট্রলিংকে পাত্তা না দিয়ে, স্বামী ও দুই ছেলের সহায়তায় আজ তিনি অনেক বেশি সাহসী। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বহুসাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী সেদেশের জাতীয় বহুসাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে এ বহু সাংস্কৃতিক উৎসবের শোভাযাত্রায় শনিবার (১৭ ফ্রেব্রুয়ারি) ব্যানার-ফেস্টুনসহ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ  অংশগ্রহণ করেন।  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও বাংলা সংগীত পরিবেশনসহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচিত করা সম্ভব হবে।  এ উৎসবে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে বরাদ্দকৃত স্টলে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্প্রতি তুলে ধরা হয়। স্টলটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, পর্যটন, পাট ও বস্ত্র শিল্পের নানা কারুকার্যের জিনিসপত্রও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এসময় দর্শনার্থীদের মাঝে  দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য পরিবেশন করা হয়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যানবেরায় বহু সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিন দিন ব্যাপী এ উৎসব এবছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসবে ৩৫০ টি কমিউনিটি ভিত্তিক দলের অংশগ্রহণ এবং ৭১টি দেশের কূটনৈতিক মিশন জড়িত থাকার মধ্য দিয়ে এটি একটি বহুজাতিক ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত হয় যাতে প্রায় দুই লক্ষ মানুষের আগমন ঘটে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়