• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেয়েকে হত্যা করে পুঁতে রাখেন সৎ বাবা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ৯ বছরের শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার সলঙ্গা থানার অলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) আমশড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে।  গ্রেপ্তার শরিফুল অলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে।  সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুড়বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল।  হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে। এরই অংশ হিসেবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদরসায় যাওয়ার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। ওই রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানখেতে পুঁতে রাখে। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় জিডি করেন। ওসি বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে শরিফুল ও হাসমত আলী আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধানখেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়