• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: বিচার মেলেনি ১১ বছরেও
দেশের ইতিহাসে বড় হৃদয় বিদারক ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ধস। এই ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১০ তলা রানা প্লাজা ভবন ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। আহত হন দুই হাজারের বেশি মানুষ। জীবিত উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৮ জনকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় এই শিল্প দুর্ঘটনা।  কিন্তু  দীর্ঘ ১১ বছরেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকরা।  এ ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়। হত্যা মামলার ৫৯৪ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৮৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এত দিনেও বিচার শেষ না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে শ্রমিক মৃত্যুর এই মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অপরদিকে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইনে দায়ের করা মামলাটিও হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। ফলে, আইনি জটিলতার কারণে এগোচ্ছে না এই মামলার কার্যক্রম।  শ্রমিক মৃত্যুর হত্যা মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে আসামিপক্ষ। হাইকোর্টে পাঁচ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে। পরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত এক বছর তিন মাসে এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমদ্দার মামলাটি সম্পর্কে জানান, মামলাটিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে আসামিরা সেই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান। শুরু থেকে মামলাটি বিভিন্নভাবে সময় নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য আইনগত বাধা পেরিয়ে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু সাক্ষীরা ঠিকমতো হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।  মামলায় কারাগারে থাকা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্ট জামিন দেয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে জামিন স্থগিতের আবেদন জানায়। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ বছরের ১৫ জানুয়ারি সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির বেঞ্চ।  আইন না মেনে ভবন নির্মাণের অভিযোগে ওই সময় সোহেল রানাসহ ১৩ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৎকালীন (রাজউক) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর সোহেল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার সাক্ষী করা হয় ১৩০ জনকে।  জানতে চাইলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সাবেক জেলা ও দায়রা জজের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত বিচারিক ক্ষমতা বলে হত্যা মামলার পাশাপাশি ইমারত নির্মাণ আইনের মামলাটিও নিয়ে যান। যাতে একইসঙ্গে দ্রুত এই দুই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। তবে উচ্চ আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যায়নি। মামলাটির এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। এই মামলায় ১৬  আসামির মধ্যে সবাই জামিনে আছেন।  রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুই মামলায় আট বছর আগে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। তিনি বলেন,  মামলা দুইটির বিচার শেষ না হওয়ায় আসামি সোহেল রানা কারামুক্ত হতে পারছেন না। তার মতে আসামি সোহেল রানা বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন।  অনুসন্ধানে দেখা যায়, রানা প্লাজা নির্মাণে ছয় তলার অনুমোদন থাকলেও আট তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এ কারণে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মফিদুল ইসলাম। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ এস এম জিয়াউর রহমানের আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। সর্বশেষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক এম এ মফিদুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। তবে তার জেরা শেষ না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। রানা প্লাজা ধসের মামলাকে একটি দুর্ঘটনার মামলা উল্লেখ করে এ বিষয়ে আসামি রানার আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন,  এই মামলায় রানা গত ১১ বছর ধরে জেলহাজতে রয়েছে। বাকি সবাই জামিনে পেলেও রানা জামিন পাচ্ছেন না। মামলার রায়ে যা হওয়ার তাই হবে। এভাবে বিনা বিচারের ১১ বছর জেলে থাকা মানবিক দিক থেকে অন্যায়। তাই আদালতের উচিত হয়তো মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করা, নয়তো আসামিকে জামিন দেয়া। আশা করছি এ মামলার রায়ে রানাসহ অন্যান্য আসামিরা খালাস পাবেন। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি। এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ভবন মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র রেফায়েত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, নিউওয়েব বাটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান, সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সারোয়ার কামাল, আমিনুল ইসলাম, নিউওয়েব স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রহমান তাপস, ইথার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, নান্টু কন্ট্রাকটার এবং রেজাউল ইসলাম। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় তিন মামলার বাইরে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলাটিই কেবল নিষ্পত্তি হয়েছে।  ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর তৎকালীন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস। রায়ে সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় তার মা মর্জিনা বেগমকেও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রানা প্লাজা ধসে হাজারের বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় আজও কাঁদছেন তাদের স্বজনরা। পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন অসংখ্য শ্রমিক। এ ঘটনার ১১ বছরেও ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। রানা প্লাজার সামনে অঝরে কাঁদছিলেন ৭০ বছর বয়সী সাফিয়া বেওয়া। রানা প্লাজা ধসে মেজ ছেলে লাল মিয়াকে হারিয়েছেন তিনি। লাল মিয়া কাজ করতেন ভবনটির তৃতীয় তলায়। এ ঘটনায় বিচার না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে নেতারা বলছেন 'রানা প্লাজা ধসের পর থেকেই আমরা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে আসছি। গত ১১ বছরেও আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। এত বছর পর আমরা একই দাবি জানাচ্ছি।' গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনা একটি হত্যাকাণ্ড। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু আমাদের দাবি নয়, এটা সবার দাবি।' এ ঘটনায় আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘১১ বছরেও আমাদের কোনো দাবি পূরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের সুদৃষ্টি আশা করছি।   
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

দ্য হানড্রেড টুর্নামেন্টে সাকিব-তামিমসহ দল পাননি যেসব ক্রিকেটার
আগামী ২৩ জুলাই ইংল্যান্ডে শুরু হবে দ্য হানড্রেড টুর্নামেন্ট। জমকালো এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে আগ্রহ দেখিয়ে ড্রাফটে নাম দিয়েছিলেন সাকিব-তামিম ইকবালসহ ১৬ বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ব্রিটিশ এ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দল পাননি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়।  বুধবার (২১ মার্চ) রাতে লন্ডনে হয়ে যাওয়া নিলামে সাকিব-তামিম ছাড়াও নাম উঠেছিল ১৪ বাংলাদেশির। যার মধ্যে রয়েছে, ছিলেন লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, জাকের আলী, তানজিদ তামিম, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, শহিদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার ও রনি তালুকদার। এ ছাড়া একমাত্র বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে নাম দিয়েছিলেন জাহানারা আলম। এদিকে পাকিস্তানের দুই তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল পাওয়ায় অবাক হয়েছেন সকলেই। দল পেয়েছেন কেবল দুই পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। শাহিন শাহ আফ্রিদি খেলবেন ওয়েলশ ফায়ারের হয়ে, বার্মিংহাম ফোনিক্সের হয়ে খেলবেন নাসিম শাহ। আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি ও জিম্বাবুয়ের তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজ খেলবেন ম্যানচেস্টার অরিজিনালের হয়ে। এ ছাড়াও দল না পাওয়ার তালিকায় আছেন মার্ক উড ও জেসন রয়, ডেভিড ওয়ার্নার, টিম ডেভিডদের মতো বড় বড় তারকা ক্রিকেটাররা। 
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

যে কারণে রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি দীপিকা
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন ঘিরে অযোধ্যায় ছিল ‘মহোৎসব’। এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে বলিউডের আমন্ত্রিত তারকারা সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরেই পৌঁছে যান অযোধ্যায়।  শুধু বলিউড তারকারা নন, হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণী অভিনেতারাও। অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে উপস্থিত ছিলেন- অমিতাভ বচ্চন, অনুপম খের, রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকারা। তবে বলিউডের তিন খান– শাহরুখ, সালমান ও আমিরের মতো আমন্ত্রণ পাননি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। রামমন্দিরে ডাক না পেলেও নিজ বাড়িতে উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু কেন অযোধ্যায় আমন্ত্রণ পেলেন না তিনি? দীপিকা বরাবরই সাবধানি। বেফাঁস মন্তব্য করতে কখনোই দেখা যায় না তাকে। অস্কারের মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। একাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত তিনি। সিনেমায় তার কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। তবুও রামমন্দির উদ্বোধনে আলিয়া-ক্যাটরিনা-কঙ্গনারা গেলেন, অথচ বাড়িতে বসে আছেন দীপিকা। নিজে সাবধানি হলেও অভিনেত্রীর কিছু পদক্ষেপে নাকি বিরক্ত গেরুয়া শিবির। বলিউড সূত্রের খবর, দীপিকাকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের রাগের কারণ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর এবিভিপির হামলার সময় তাদের সাবেক ও শিক্ষক সংগঠনের ডাকা প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়েছিলেন দীপিকা। সেখানে ছাত্রসংসদের আহত নেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরাও ছিলেন। ছিলেন কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়া যখন আজাদির স্লোগান তুলছিলেন, তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা। কোনো বক্তৃতা দেননি, শুধুই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারও আগে হিন্দু সংগঠন ও গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়েন তিনি ‘পদ্মাবত’ ছবি নিয়ে। সেই সময় তার নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার ছবি বয়কটের ডাকও দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে দীপিকা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। সম্প্রতি ‘পাঠান’ ছবি মুক্তির সময় দীপিকার পরনের গেরুয়া বিকিনি নিয়ে আপত্তি জানায় গেরুয়া শিবির। অনেক জলঘোলা হয় তা নিয়ে। এক্ষেত্রেও চুপ ছিলেন দীপিকা। এবার রামমন্দির উদ্বোধনে আদৌ ডাক পেয়েছেন কি না, সেই বিষয়েও নীরবতা বজায় রেখেছেন তিনি। তবে রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র মুহূর্তে অভিনেত্রী ছোট্ট একটি প্রদীপ জ্বালিয়েছেন নিজ বাড়িতেই।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৮

নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন ৩৬ জন। এতে ১৯ জন নতুন মুখ এসেছে। তবে আগের মন্ত্রিসভার ২৮ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবার ডাক পাননি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এতে নাম ছিল না আগের মন্ত্রীসভার ১৪ মন্ত্রী, ১২ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রীর। ডাক পাননি ১৪ মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক বীর বাহাদুর উশৈ সিং, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ডাক পাননি ১২ প্রতিমন্ত্রী শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা। ডাক পাননি ২ উপমন্ত্রী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এর আগের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ জন সদস্য ছিলেন।  এর মধ্যে মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী তিনজন ছিলেন। আর এবার এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো উপমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। সেই হিসেবে পরবর্তিতে মন্ত্রিসভার আকার বাড়লে, যারা এখনও ডাক পাননি, তারা শপথ নেওয়ার ডাক পেলেও পেতে পারেন। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসনে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৫

২৪ দলের কোনো প্রার্থী জয়ের দেখা পাননি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ২টায় পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এসব ফলাফল বিশ্লেষক করে দেখা গেছে, মাত্র চারটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৪টি দলের কোনো প্রার্থী জয়ের দেখা পাননি। যে দলগুলোর প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, সেগুলো হলো– আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও কল্যাণ পার্টি। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮টি দলের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি আসনে, ইসলামী ঐক্যজোট ৪২টি আসনে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩০টি আসনে, গণফোরাম ৯টি আসনে, গণফ্রন্ট ২১টি আসনে, জাকের পার্টি ২১টি আসনে, জাতীয় পার্টি ২৬৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি-জেপি ১৩টি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৬৬টি আসনে, তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১২২টি আসনে, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১০টি আসনে, আওয়ামী লীগ ২৬৬টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি আসনে, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৬টি আসনে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৬টি আসনে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৫৬টি আসনে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩৮টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ৫টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ৪৫টি আসনে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪টি আসনে, সুপ্রিম পার্টি ৭৯টি আসনে, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩টি আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে, সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে ও গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি আসনে প্রার্থী দেয়। আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জনসহ নির্বাচনে ১৯৭১ জন প্রার্থী অংশ নেয়। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৫টি আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ১১ জন, কল্যাণ পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র ৬১ জন জয়লাভ করেন। সেই হিসাবে ২৯৮টি আসনের ফলাফলে ২৪টি দলের দলীয় প্রতীকের কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৩

১৭ কেন্দ্রে একটিও ভোট পাননি মাহি
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চলছে গণনা। এদিন সতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে কেন্দ্রে যান শোবিজ তারকারাও। এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ১৫৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পাননি তিনি।  এদিকে ভোটের দিন সকালেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন এই নায়িকা। কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ সময় কেন্দ্রের নানান বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন তিনি। ওই সময় তিনি বলেন, ভোটারদের সবার সঙ্গে কথা বলছি, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে আছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো দেখা যাচ্ছে। বাইরে আরও মানুষ অপেক্ষা করছেন। তবে মেয়েদের উপস্থিতিই বেশি দেখতে পাচ্ছি। এখন বেলা যতো বাড়বে ততো বেশি বোঝা যাবে।  নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে মাহি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কেন আমি মেনে নেব। পাশাপাশি আল্লাহ না করুক আমি যদি ফেলও করি, আগামীকালকে এলাকাজুড়ে শোডাউন করব। কারণ, আমার এলাকার জনগণদের আমি জানান দিতে চাই, নির্বাচনে পাশ করলেও আপনাদের সঙ্গে থাকতাম। হেরে গেলেও আপনাদের পাশে আছি আমি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়