• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেল পাড়া নিয়ে সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজীব আলমকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে পংভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাজীব ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে ও ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।  এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। তারা হলেন মো. আজাহার, তার স্ত্রী শিল্পী বেগম, ছেলে মো. শান্ত, মো. পলাশ, তার ছেলে মো. রুবেল এবং রুবেলের মেয়ে বৃষ্টি খাতুন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলম মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী মো. আজাহারের জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সীমানায় থাকা গাছের বেল মাটিতে পড়লে আজাহারের বাড়ির লোকজন সেটি কুড়িয়ে নিয়ে যায়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া ও সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে চাপাতি ও দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই রাজীব মারা যান। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, ছুরিসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
৪ ঘণ্টা আগে

জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবদানের কারণে আমার পক্ষে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সংসদ অধিবেশনে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারেন।  তিনি বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুসংগঠিত করে। আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পারেন।  শেখ হাসিনা বলেন, একসময় ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল, আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশির ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো। কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসাব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বারবার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন। সংসদ নেতা বলেন, এটাই সবচেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বারবার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরে তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। এ সময় নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ। এদিন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদকপ্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে

রাজধানীতে বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ
সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী ও রাঙ্গামাটি ও কুমিল্লায় বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার খবর জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও রাজধানীর তাপমাত্রা কমেনি। মেঘের দেখা মিললেও আসেনি পথ চেয়ে থাকা কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আজ রাজধানীতে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি জানান, বিগত কয়েকদিনের যে প্রচণ্ড দাবদাহ ছিলো, তা কিছুটা কমে এসেছে। ৫ মে সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে চলমান যে দাবদাহ তা কমে আসবে। মো. ওমর ফারুক জানান, সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আজ দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।    এই আবহাওয়াবিদ জানান, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে একটি ১৬ থেকে ৩১ মে এর মধ্যে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে

প্রভাসের ‘বাহুবলী’ নিয়ে নতুন খবর
দক্ষিণী পরিচালক রাজামৌলির সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহের শেষ নেই। ২০১৫ সাকে ‘বাহুবলী’ সিনেমা দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সিনেমাটি দিয়ে নতুন করে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছিলেন প্রভাস। বাহুবলীর প্রথম কিস্তিতে দর্শকের মনে নানান প্রশ্ন এসেছিল যার উত্তর মিলেছিল দুই বছর পর ‘বাহুবলী টু’ সিনেমাটিতে। দুই কিস্তিতে বাহুবলী এখনও বিশ্বব্যাপী ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। বাহুবলীর সাফল্যের পর এর দর্শকপ্রিয়তা দেখে নির্মাতা রাজামৌলি ঘোষণা দিয়েছিলেন বাহুবলীর গল্প নতুন করে দর্শকদের সামনে আনবেন। এবার নিজের কথা রাখলেন রাজামৌলি। নতুন রূপে ‘বাহুবলী’ নিয়ে আসছেন এই নির্মাতা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন এসএস রাজামৌলি। তিনি লিখেছেন, জনগণ যখন মহেশমতির নাম ধরে চিৎকার করেন, তখন মহাবিশ্বও তার প্রত্যাবর্তন আটকাতে পারে না। ‘বাহুবলী: ক্রাউন অব ব্লাড’ অ্যানিমেটেড সিরিজের ট্রেলার আসছে। ২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন প্রভাস, রানা দাগ্গুবতি, আনুশকা শেঠি, তামান্না ভাটিয়া প্রমুখ। ১৮০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৬৫০ কোটি রুপি। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল মুক্তি পায় ‘বাহুবলী-দ্য কনক্লুশন’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন প্রভাস, রানা দাগ্গুবতি, আনুশকা শেঠি, তামান্না ভাটিয়া প্রমুখ। ২৫০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে আয় করে ১ হাজার ৭৮৮ কোটি রুপি।
১৯ ঘণ্টা আগে

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক
চলচ্চিত্রের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।   গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্নধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ। গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহবায় রফিকুল ইসলাম রতন। এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সাথে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দিবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়। এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঘাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব।   ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্নধার আরশাদ আদনান বলেন, এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে।   চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্কিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদানে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’। এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন, বাচসাস সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেক জান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমনসহ অনেকেই।
১৯ ঘণ্টা আগে

শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
দুই প্রাক্তন স্ত্রীর বাগবিতণ্ডায় বিরক্ত ও বিব্রত শাকিব খানের পরিবার। যার ফলে দুজনের জন্যই বন্ধ হয়ে গেছে এই নায়কের বাড়ির দরজা। তাদের কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে চায় না শাকিবের পরিবার। এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ে করছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক। খবরটি পুরোনো হলেও নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না অপু। রীতিমতো বিরক্ত তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশেষে মুখ খুললেন এ নায়িকা। অপু বলেন, শাকিব তো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলার থাকলে তিনি নিজেই বলবেন। তিনি তো আমার ছেলে জয়ের মতো ছোট নন। তবে প্রতিনিয়ত এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে আমি বিরক্ত। এ সময় ছেলে জয়কে নিয়ে অপু আরও বলেন, শাকিব শুধু বাংলাদেশের সব থেকে বড় তারকা নন। তিনি আর্ন্তজাতিক মানের তারকা, বুদ্ধিমান মানুষ। আমার ও শাকিবের যেহেতু সন্তান রয়েছে, তাই সম্পর্ক থেকেই যায়। একসময় আমার তরফে জয়ের পরিচয় দিতে সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিতে হয়েছিল। সেই সময় পরিস্থিতি তেমনই ছিল। তবে এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি না। দীর্ঘ নয় বছরের সম্পর্ক আমাদের। ওর পরিবারের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তা তো ছিন্ন হওয়ার নয়! আর এই মুহূর্তে, বিশেষত ছেলের একটা সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওকে বাইরে পাঠাচ্ছি। শোনা যাচ্ছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। শাকিবের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সীগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন।
২১ ঘণ্টা আগে

পোশাক শ্রমিকদের নিপীড়ন নিয়ে অ্যামনেস্টির মিথ্যাচার
বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশ্রমিকেরা ভয় ও নিপীড়নের পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এখানে কারখানায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো দায়মুক্তি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি। তাদের মতে, এসব ঘটনা খতিয়েও দেখা হয় না। তা ছাড়া রাষ্ট্রীয় মদদে শ্রমিকদের অধিকার দমন করা হচ্ছে।  আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে রানা প্লাজা ধস, আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে শ্রমিকদের প্রাণহানি এবং ২০২৩ সালে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। অ্যামনেস্টি বলছে, গত মাসে রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১০০ জনের বেশি পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর পাঁচ মাস আগে তাজরীন ফ্যাশনসের কারখানায় আগুন লেগে অন্তত ১১২ পোশাকশ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। দুটি ঘটনাই ঘটেছিল কর্মক্ষেত্রে নজরদারির অভাবে। এগুলো ব্যবসাসংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ বলে উল্লেখ করে তারা। রানা প্লাজার ঘটনা কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বেই তোলপাড় তৈরি করেছিল। এরপর নড়েচড়ে বসে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও। তাদের ওপর চাপ তৈরি হয় পোশাক শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো একজোট হয়ে গঠন করে অ্যাকর্ড। অ্যামেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো গঠন করে অ্যালায়েন্স জোট। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬ দফা অ্যাকশন প্ল্যানো বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর থেকে পরিবেশের অনেক উন্নতি হয়েছে, এমনটা স্বীকার করছেন শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যাক্টিভিস্টরাও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেও অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, কিছু পরিবর্তন তো অবশ্যই হয়েছে। কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেমন ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে এত চিন্তা করা হতো না, এখন সেটা নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের খুবই স্বল্প মজুরি দেওয়া হয়। ন্যায়বিচার, মজুরি বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রের উন্নত পরিবেশের দাবিতে সোচ্চার হলেই তাঁরা হয়রানি, ভয়ভীতি ও সহিংসতার মতো নানা বাধার মুখে পড়েন।   গত বছর ন্যুনতম মজুরি কমিশনের বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে কিছু সংখ্যক পোশাক শ্রমিক। আশুলিয়া ও গাজিপুর এলাকায় দেখা যায় শ্রমিক অসন্তোষ। এতে বিভিন্ন কারখানা, যানবাহন ভাংচুর করা হয়। গত বছরের ৭ নভেম্বর নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। আর তাতে দেখা যায়, ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ন্যুনতম মজুরি। শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যেই এই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়। মজুরি নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠকে মালিকপক্ষ তাদের আগের প্রস্তাব ১০ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। মজুরি বোর্ডের বৈঠকে সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়। পরে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি বলেন, এই মজুরি তারা মেনে নিয়েছেন। ‘ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে’– এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে আন্দোলন শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে তা আশুলিয়া, সাভার ও ঢাকার মিরপুরে ছড়িয়ে পড়ে।  অনেক জায়গায় শ্রমিকরা ভাংচুর শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘাতে এবং এক কারখানায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় প্রাণ যায় অন্তত দুইজনের। পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যায়ক্রমে পাঁচ শতাধিক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অ্যামনেস্টির হিসাবে, ২০২৩ সালের আন্দোলনের পর থেকে পোশাকশ্রমিকদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। এতে ১৬১ পোশাকশ্রমিকসহ ৩৫ হাজার ৯০০ থেকে ৪৪ হাজার ৪৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ৩৫টি মামলার মধ্যে ২৫টি এমন সব পোশাক কারখানা করেছে, যেগুলো বিশ্বের বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক তৈরি করে।   যেকোনো দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করলে ব্যব্স্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শিল্প পুলিশের মতে, আন্দোলন করতে শ্রমিকদের বিভিন্ন মহল থেকে ইন্ধন-উসকানি দেওয়া হয়েছে।  আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম অসন্তোষ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর জানান, এখানকার অধিকাংশ শ্রমিকই শান্ত ও নিরীহ। শ্রমিকরা কাজে এসেছে, অনেক জায়গায় কাজ চলছে। কিছু কিছু শ্রমিক উচ্ছৃঙ্খলা প্রদর্শন করছে। বিভিন্ন মহল থেকে আন্দোলন করতে শ্রমিকদের  ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে, উসকানো হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে কিছু মহলকে শনাক্ত করতে পেরেছি। ঢাকা থেকে শ্রমিকদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সেই জিনিসগুলো আমরা এখানে সম্মুখীন হচ্ছি। তখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান তিনি। এরপর পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির চলমান আন্দোলনে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কারখানা ভাঙচুর, মালামাল লুট, কমকর্তা কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় পৃথক মোট ১২টি মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলাগুলোতে মোট ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত শ্রমিক ও উস্কানিদাতাদের আসামি করা হয়েছে। শুধু একটি মামলায় ১৬ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।   বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও শ্রমিক পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১২ হাজারের বেশি লোককে। মামলাগুলোর ৪টিতে বাদী হয়েছে পুলিশ এবং বাকিগুলোতে বাদী হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ।   মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, বহিরাগত প্রায় দুই শতাধিক দুষ্কৃতকারী গাজীপুরের তুসুকার ভিতরে কাজ চলাকালে কারখানায় প্রবেশ করে। পরে বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা কারখানার শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে সবকটি ফ্লোরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।   এজহারে বলা হয়, এ সময় কারখানার কর্মকর্তাদেরও মারধর করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এছাড়া, কারখানার বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। একইসঙ্গে, কারখানা থেকে নগদ প্রায় আট লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, তুসুকার সামনে পুলিশের যানবাহন ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ২৪ জনকেও তুসুকার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, শ্রমিকরা আন্দোলনের নামে বিভিন্ন কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িয়েছে। এসময় জানমাল, সম্পদ রক্ষায় ও পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও ব্যবহৃত পিকআপে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় ১০ জনের মতো পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।   এ ঘটনায় কোনাবাড়ী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে যে ৪টি মামলা দায়ের করেছে, তাতে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। অ্যামেনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের (বিজিআইডব্লিউএফ) গাজীপুর শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম পোশাকশ্রমিকদের বকেয়া বেতন আদায়ের চেষ্টা করলে হামলায় নিহত হন। একই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলনের সময় আরও অন্তত চারজন পোশাকশ্রমিক নিহত হন।   পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ গেছে শহিদুলের। হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কমিটির প্রধান ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ জানান, শ্রমিক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্ধনেই শ্রমিক নেতা শহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে। এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের ইশারায় অন্য আসামিরা শহিদুলের ওপর হামলা চালায়।   অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও পাওনা বেতন আদায় করে দিতে কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন মো. মোস্তফা, আক্কাছ ও শরিফ নামে আরও তিন শ্রমিক নেতা। এর মাঝে বিভিন্ন কারখানায় কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে শ্রমিক নেতা মাহাজারুল ও রাসেল মণ্ডলদের বিরোধ বাঁধে। এরপর শহিদুলরা কাজ করতেন নগরের গাছা থানা এলাকায়। মাজাহারুলরা কাজ করতেন টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার বিভিন্ন কারখানায়। গত ২৫ জুন শহিদুল ও তাঁর সঙ্গীরা বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে প্রিন্স জ্যাকার্ড লিমিটেডে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করতে যান। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মাজাহারুল ও তাঁর লোকজন।   মে ও জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসকে কেন্দ্র করে ২৫ জুন দুপুর থেকে প্রিন্স জ্যাকার্ড কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিকেলেই কারখানাটির শ্রমিকদের বেতন আদায় করে দিতে কারখানাটিতে যান শহিদুল, মোস্তফা, আক্কাছ ও শরিফ। বেতন ও বোনাসের বিষয়ে কথাবার্তা বলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কারখানা থেকে বের হন তাঁরা। এর মাঝেই স্থানীয় প্রভাবশালী মো. আমির হোসেন ও কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. সালেহর ‘ইশারায়’ মাজাহারুলেরা শহিদুলদের ওপর চড়াও হন। শহিদুলকে মারধর করেন। এতে শহিদুল গুরুতর আহত হন। তাঁকে গাজীপুরের বোটবাজারে এলাকার তাইরুন নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। অর্থাৎ বেতন বৃদ্ধির দাবি আদায়ের সঙ্গে এই হত্যাকান্ডের সম্পর্ক নেই।  
২২ ঘণ্টা আগে

মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা করার পর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়ার পর তার সব অপকর্ম বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আনার পর তার যে অপকর্মগুলো রয়েছে সবগুলো তদন্ত করে বের করা হবে। হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ মারা গেলে মরদেহ দাফনের পর চিকিৎসা ও সিটি করপোরেশনের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে মৃত্যু সনদ দিতেন মিল্টন। সেই সিলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। মিল্টনের বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, আরও দুজন ব্যক্তি থানায় রয়েছে মামলা করার জন্য। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা রুজু হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে তার স্ত্রীকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো অস্বীকার করতে পারেননি তিনি। এর আগে বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। অবশ্য গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিল্টন সমাদ্দার।  
২৩ ঘণ্টা আগে

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ছয়দিনের থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।   থাইল্যান্ডে ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।  পাশাপাশি দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।    
০২ মে ২০২৪, ১১:৩৮

ছয় অলরাউন্ডার নিয়ে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা
আফগানিস্তান ক্রিকেটে যেনো অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ছয়জন অলরাউন্ডারকে নিয়ে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট। যেখানে ব্যাটার রাখা হয়েছে মাত্র ৪ জনকে এবং ১৫ জনের মধ্যে আবার ৮ জনই খেলছেন আইপিএলে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া হাসমত উল্লাহ শহিদির উপর এবার আস্থা রাখতে পারেনি আফগানিস্তান। এমনকি বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও রাখা হয়নি তাকে। এবার রশিদ খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের বিমানে চড়বেন আফগানরা। আফগান স্কোয়াডে চার ব্যাটার হলেন- রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান এবং ব্যাক-আপ উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ ইসহাক।  আর রশিদ ছাড়া বাকি ৫ অলরাউন্ডার হলেন- আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নায়েব, করিম জানাত এবং নাঙ্গেলিয়া খারোত। স্পিন আক্রমণে রশিদের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন নুর আহমেদ ও মুজিব উর রহমান। এছাড়াও অলরাউন্ডার নবি ও খারোতে যোগ হবেন তাদের সঙ্গে। ফলে বলা যায় এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে শক্তিশালী স্পিন বোলিং লাইন আফগানদের। এ ছাড়াও স্কোয়াডে আছেন স্বীকৃত তিন পেসার- ফজল হক ফারুকি, নাভিন উল হক ও ফরিদ আহমেদ। এছাড়া অলরাউন্ডারদের সহযোগিতাও পাবেন তারা। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ আসরে আফগানিস্তানের মূল স্কোয়াডে জায়গা পাননি মারকুটে ব্যাটার হাজরত উল্লাহ জাজাই। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে রিজার্ভে আছেন আরও দুই জন-সাদিকুল্লাহ ও মোহাম্মদ সালেম। আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইশাক, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, নাঙ্গিয়াল খারোতি, নুর আহমেদ, নাভিন উল হক, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক ও মুজিব উর রহমান। রিজার্ভ খেলোয়াড় : হজরতউল্লাহ জাজাই, সেদিকউল্লাহ অটল ও সালিম সাফি।
০১ মে ২০২৪, ১৩:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়