• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী 
ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে। স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।’ এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনম্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৭

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১৭ জন নাগরিক। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে।  প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তার এ বক্তব্য বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। ডেইলি ষ্টারের উচিত ছিল ঘটনার পর পরই তাকে সুরক্ষা দেয়ার স্থলে অব্যাহতি দেয়া, তাহলে সম্পাদকের বক্তব্য কিছুটা হলেও অর্থবহ হতো।  এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।  কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ ঘটনার নিরপেক্ষ স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরছি- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।  গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে। চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  ২. খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি ৩. ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী ৪. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫. আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি ৭. রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা রানী, রাঙামাটি ৮. অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৯. অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  ১০. ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১১. প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক ১২. সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩. বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৪. অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৬. কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ  ১৭. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ১৮. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন ১৯. পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২১. অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২. অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৩. রেহনুমা আহমেদ, লেখক। ২৪. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী। ২৫. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬. ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ  ২৭. অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক ২৮. মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৯. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩১. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩২. সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ৩৩.  ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ ৩৫. জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ৩৬. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ৩৭. অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৯. ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪০. ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  ৪১.  স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪২.  নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড ৪৩.  ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ৪৪.  ড. রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক ৪৫. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ৪৬. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক ৪৭.   রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড  ৪৮.  মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৯.   দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০.  জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী।  ৫১.  সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র।  ৫২.  আতিকা রোমা, সমাজকর্মী।  ৫৩.  রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী ৫৪.  বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক ৫৫.  মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৫৬.  সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী  ৫৭.   সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার ৫৮.  বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক ৫৯.  তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক ৬০.  মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী। ৬১.  মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক ৬২. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩.  মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৪.  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী  ৬৫. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬. জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী। ৬৭.  শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৮. রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অর্থনৈতিক বিভাগ বলে কিছু আছে কি?) ৬৯. শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৭০. সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক ৭১. আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৭২. মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ৭৩. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ৭৪.  লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী।  ৭৫. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা।  ৭৬. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  ৭৭.  মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ৭৮.  ৠতু সাত্তার, শিল্পী ৭৯.  সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী ৮০.  মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ৮১.  খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী ৮২.  তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা ৮৩. মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮৪.  ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ৮৫.  তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন ৮৬.  সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপি নিউজ ৮৭.   অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ৮৮.  ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী ৮৯.  সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক ৯০.  ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯১.  অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম ৯২.  কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ৯৩. ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ৯৪. জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ৯৫. শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক ৯৬. চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ৯৭.  অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন ৯৮. ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ ৯৯. বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ১০০. বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ ১০১. হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ ১০২. অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ১০৩. ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০৪. রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৫. নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৬. ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৭. তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৮. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত ১০৯. শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১১০. জনি মানখিন, শিক্ষক ১১১. মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা ১১২. মিঠুন রাকসাম, কবি ১১৩. পরাগ রিছিল, গবেষক ১১৪. মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৫. শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৬. ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৭. এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

জয়েন্টের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, যে ৫ খাবারেই দ্রুত কমবে যন্ত্রণা
ভুল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার যুগলবন্দিতে জয়েন্টের ব্যথায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্যার প্রকোপ বেশি। তবে চিন্তার বিষয় হলো, আজকাল কম বয়সিরাও এই অসুখের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন। তাই জয়েন্টের ব্যথা নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়েন্টের মধ্যে অবস্থিত কুশনের ক্ষয়জনিত কারণেই ব্যথা বাড়ছে। আসলে জয়েন্টে অবস্থিত এই কুশনটি দুটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ হতে দেয় না। তবে কোনও কারণে কুশনটি ক্ষয়ে গেলে হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়াও হাড়ের ক্ষয়জনিত কারণে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। সমস্যা হলো, অনেকেই জয়েন্টে ব্যথা হলো কি না পেইনকিলার খাওয়া শুরু করে দেন। তবে এই অভ্যাস আদতে শরীরের ক্ষতি করে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই ধরনের ব্যথার ওষুধ নিয়মিত খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। বিশেষত, কিডনি ও লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। এদিকে জয়েন্টে ব্যথা, ঠিকমতো অঙ্গ সঞ্চালন করতে না পারা অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের লক্ষণ বলেও জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। তাই সামান্য লক্ষণ দেখা দিলেও তা এড়ানো ঠিক নয়। এতে রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চিকিৎসকদের কথায়, বর্তমান সময়ে অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসে অনেকেই ভুগছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা সঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। সঠিক সময়ে রোগটি ধরা গেলে হাঁটাচলার সমস্যা হয় না। ওষুধ ও সঠিক চিকিৎসার সাহায্যে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে অধিকাংশ রোগী জয়েন্ট ক্ষতি অনেকটা হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে আসেন। সেই সময় হাঁটু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একেবারেই সম্ভব হয় না। তখন জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না। অন্যদিকে অনেক রোগী ব্যথার ওষুধ খেয়েই ব্যথা কমান। এই প্রবণতাও মারাত্মক। ঘন ঘন হাঁটু বা জয়েন্টে ব্যথা হলে হাঁটতে অসুবিধা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। এ ছাড়াও এরকম সমস্যায় পেইনকিলারের বদলে কয়েকটি পরিচিত খাবারকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে দিলেই জয়েন্টের ব্যথার প্রকোপ কমবে অনেকটাই। এই ৫ খাবার খেলেই দ্রুত কমবে হাঁটু ব্যথার যন্ত্রণা- ১. সামুদ্রিক মাছ  ২. সবুজ শাক, সবজি ​৩. বাদাম  ৪. বেরি জাতীয় ফল ৫. আদা ও রসুন
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

দ্রুত ভিসা দিতে ইতা‌লি দূতাবাসের নতুন নির্দেশনা
দ্রুত ভিসা দিতে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকার ইতা‌লি দূতাবাস।  বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দূতাবাস। এতে বলা হয়েছে, ভিএফএস গ্লোবালকে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে দূতাবাস। সেই সঙ্গে বৈধ নুলাওস্তাসহ (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টকারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন করতে পারবে। দয়া করে ধৈর্য ধরুন এবং ম‌নে রাখ‌বেন ভিসার জন্য বুকিং স্লট নিতে কোনো চার্জ লাগবে না। অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভিএফএস গ্লোবাল তা‌দের ও‌য়েবসাই‌টে জানায়, ইতা‌লি দূতাবাসের নির্দেশ অনুসারে, ভিএফএস গ্লোবাল ভিসার অনুরোধ ফাইল করার জন্য একটি নতুন অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধ‌তি নি‌য়ে কাজ কর‌ছে। এ পদ্ধ‌তি‌তে জরুরি প্রয়োজনে সব আবেদনকারীদের সেই অনুযায়ী একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার অনুমতি দেবে। নতুন এ নিয়ম কয়েক দিনের মধ্যে কার্যকর এবং সর্বজনীন হবে এবং এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষ‌য়টি বিজ্ঞাপ‌নের মাধ্যমে জানা‌নো হ‌বে। প্রসঙ্গত, অনুমোদন আসার পর বাংলাদেশিদের ইতালিতে যেতে প্রথমে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নি‌তে হয়। সম্প্রতি ভিএফএসের অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজেই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলা‌দে‌শি কর্মীরা।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৪

দ্রুত চার উইকেট তুলে খেলায় ফেরার চেষ্টা বাংলাদেশের
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১৮৮ রানে টাইগাররা অলআউট হলে ৯২  রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। শনিবার (২৩ মার্চ) দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। ২০ বলে ১০ রান করে অভিষিক্ত নাহিদ রানার বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা। ১০ বলে ৩ রান করে রানার দ্বিতীয় শিকার হন কুশল মেন্ডিস। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকে আরেক ওপেনার দিমুথ কারুনাত্নে। তাকে সঙ্গে দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ম্যাথিউস। ২২ বলে ২৪ রান করে তাইজুলের প্রথম শিকার হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শূন্য রানে দিনেশ চান্দিমালকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এতে দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৭১ রান সংগ্রহ লঙ্কানদের। দিমুথ কারুনাত্নে ২৯ রানে এবং ডি সিলভা ৪ রানে ব্যাট করছেন।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৬

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ টাইগারদের
ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। সিলেট প্রথম দিন শেষে শ্রীলঙ্কার থেকে ২১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এদিন বোলিংয়ে ভালো শুরু করলেও ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে প্রথম দিনে তিন উইকেট হারিয়ে ৩২ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। মাহমুদুল হাসান জয় ৩৪ বলে ৯ রানে এবং তাইজুল শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন। দিনের শেষ সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের বোলিং তোপে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৯ রান করে লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন ওপেনার জাকির হাসান। ১০ বলে ৫ রান করে ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। জাকিরের মতো লেগ বিফোরে শিকার হন এই টাইগার অধিনায়ক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। খালেদের অফ-স্ট্যাম্পের বাইরে এক আউট সুইংয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা। শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুনারত্নে জুটি।  তবে এই জুটিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি খালেদ। এই পেসারের লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে গালি পয়েন্টে জাকির হাসানের হাতে তুলে দেন মেন্ডিস। একই ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন করুণারত্নেও। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪১ রানের মাথায় ৩ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে সফরকারীরা। পরের ওভারেই বিপদ বাড়ে লঙ্কানদের। রান-আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অফসাইডে বল ঢেলে দিয়ে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন চান্দিমাল। কিন্তু টাইগার দলপতির সরাসরি এক থ্রোতে ফিরতে হয় ম্যাথিউসকে। শরিফুলের হাত ধরে আসে এর পরের ব্রেকথ্রু। এই পেসারের লেগ স্ট্যাম্পের বল সামাল দিতে পারেননি চান্দিমাল। ফলে ৬৭ রানেই অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। তবে অধিনায়ক ধনঞ্জায়া ডি সিলভা এবং কামিন্দু মেন্ডিসের নৈপুণ্যে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় সেশনেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা। এই জুটির কল্যাণে দ্বিতীয় সেশন শেষে ৫ উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে সফরকারীরা। এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। উড়তে থাকা দুই লঙ্কান ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান অভিষিক্ত নাহিদ রানা। ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস দুজনেই সমান ১০২ রান করেন। শেষ দিকে প্রাবাথ জয়সুরিয়া (১), ফার্নান্দো (৯) এবং লাহিরু কুমারা শূন্য রানে রান আউট হলে ২৮০ রানে থামে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা তিনটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।  
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

নোবিপ্রবিতে যেন ময়লার ভাগাড়, দ্রুত অপসরণের দাবি শিক্ষার্থীদের
যত্রতত্র ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, চারপাশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নেই বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাপনা। এমনই চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১০১-একরের ক্যাম্পাসে জুড়ে। প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পদচারণা উপকূলের এই বিদ্যাপীঠে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ বৃদ্ধির কারণে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করা যেন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সাকিব আল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ময়লা ফেলার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিন দেখিনি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা দোকান থেকে কিছু খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট বা প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। পরে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলে তারা বলে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং লোকবলের অভাবে ময়লাগুলো পরিষ্কার করা যায় না।  ইসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ফেয়ারওয়েল, চড়ুইভাতি এবং যেকোনো প্রোগ্রাম শেষে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের আশেপাশেই ফেলা হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কারের কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। ফলে দিন দিন আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ক্যাম্পাসটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এটিই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, প্রশান্তি পার্কের পাশে, পকেট গেটের সামনে, একাডেমিক ভবন-১ এর পেছনে, একাডেমিক ভবন-২-এর সামনে, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, গ্যারেজের চারপাশে,শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমিটরির সামনে এবং শান্তিনিকেতনের পাশেসহ ১০১ একরের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে  স্তূপ করে প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। ধীরে ধীরে স্থানগুলো ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গায় রূপ নেয়। অনেক সময় পরিমাণ বেশি  হয়ে গেলে পুড়িয়ে ফেলা হয় বর্জ্যগুলো। পচা, দুর্গন্ধ ও আবর্জনা পোড়ার ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।  এ বিষয়ে নোবিপ্রবির ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভিন তানিয়া বলেন, নোংরা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আমরা যেসব রোগে আক্রান্ত হই তা হলো, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, অ্যাজমা এবং ক্ষুধামন্দা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, বিরক্তিকর পরিস্থিতি এবং টাইফয়েড জ্বরের দেখা দিতে পারে। এতে করে তাদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ ধীরে ধীরে চলে যাবে। মোট কথা নোংরা বা দূষণ পরিবেশে সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। এদিকে ক্যাম্পাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দুইটি  কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে এবং কমিটিগুলো বর্জ্যের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাট ও হাউজিং শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার মো. গোলাপ হোসাইন। তিনি জানান, কমিটির দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসে কী পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন জমা হয়। আমরা তিনটি মিটিং করে বর্জ্যের একটি পরিমাণ নির্ধারণ করেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশও পাঠিয়েছি। সেই সুপারিশের আলোকে আরেকটি কমিটি করা হয়। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক যে বর্জ্যগুলো হয় তা নোয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে যেখানে ময়লা সংরক্ষণ করা হয় সেখানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:২২

স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন
সংসদে বিরোধী দলের এমপিদের সমালোচনার মুখেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করতে বিল পাস হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার-সংশোধন) বিল-২০২৪’ উত্থাপন করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন।  বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।  বিলটি পাসেরর বিরোধিতা করে সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি যখন আইনটি করে, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং সব দলের পক্ষ থেকে এই আইনের সমালোচনা করা হয়েছিল। দ্রুত বিচার আইন নাম হলেও কোর্টে কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুব কম মামলা শেষ হয়। সিআরপিসি মামলা যেভাবে চলে, সেভাবেই চলে। শুধু গ্রেপ্তারের বেলায় আইনটা মনে করা হয়। এই আইন দিয়ে সরকারের যদি ইনটেনশন থাকে, সাধারণ মানুষ বা প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করার সুযোগ আছে। আপনি আজকে ক্ষমতায় আছেন, কালকে ক্ষমতায় যদি অন্য কেউ আসে; এই আইনের মাধ্যমে আপনারাই হয়রানির শিকার হবেন। সেদিন আফসোস করবেন। তিনি বলেন, আইনটি স্থায়ী করবেন না। প্রত্যাহার করেন প্রয়োজনে। এক-দুই বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ান। আপনারা ভুগবেন, মানুষ ভুগবে। জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি এনেছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের সরকার আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো—যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সে সময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি, আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে। সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।  পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে, তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্য কোনো সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়নি। অর্থাৎ আইনটির বিদ্যমান ধারা এখনকার মতো থাকবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৪

অগ্নিকাণ্ডের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
অগ্নিকাণ্ডের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত শেষে আদালতে মামলা শুরু হলে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন, সেটা দেওয়া হবে। এ সময় মামলা জট নিরসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, বক্তব্যের শুরুতেই ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে। বাজার ব্যবস্থার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, পণ্য মজুত করে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য ১৯৭৪ সালে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট করা হয়েছিল। কেউ বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিসি সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্ত্যব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যারা গুজব ছড়ায় তাদেরকে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। এরমধ্যে কার্য-অধিবেশন ২৫টি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

দ্রুত শেষ হবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পিলখানার হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। তদন্ত সম্পন্ন করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড ছিল। এগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। চূড়ান্ত বিচার হয়তো অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচার কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, এখানে কারও গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরণের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরণের বিচার কার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (যা এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা করা হয়। মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়