• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অভিশপ্ত দ্বীপ, যেখানে মুসলিমদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো
ইসলামের শুরু থেকেই মুসলিমদের ওপরে চলত নানা পর্যায়ের নির্মমতা। মক্কায় মুশরিকরা আর মদিনায় ইহুদিরা মুসলিমদের নির্যাতন করত। মুসলিমদের রক্তে শীতল হয়েছিল তপ্ত মরুভূমি। এমনকি সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। এমনই কিছু নির্মমতার সাক্ষী পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর আটলান্টিকের অন্তর্ভুক্ত দ্বীপ গোরি। মুসলমানদের ওপর নির্দয় বর্বরতার সাক্ষী এ দ্বীপ ঠিক আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত। ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩৫০ মিটার প্রস্থের ছোট এই  দ্বীপ নানা ইতিহাস আর রহস্যে ঘেরা। সে ইতিহাস আনন্দ কিংবা উজ্জ্বলতার নয়, সে কাহিনি শুধুই অত্যাচার আর কান্নার। এই ছোট দ্বীপেই মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের দ্বীপ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। যেখানে অন্তত ৩০০ বছর ধরে মুসলিমদের ধরে এনে অমানবিক নির্যাতন করে মেরে পুতে রাখা হতো। মুসলিম দাস-দাসিদের ওপর নির্বিচারে গুলি করার জন্য ব্যবহার করা হতো ৬ হাজার ৬৪৬ টনের কামান। ইতিহাসবিদ আনা লুসিয়া আরাউজোর আলোচনা অনুসারে ফ্রান্স যখন সেনেগাল শাসন করত তখন সেনেগালের দাস-দাসিদেরকে জোর করে জাহাজের শিকলের সঙ্গে বেঁধে এই দ্বীপে রেখে আসতো। যারা জাহাজ থেকে নামতে না চাইত, তাদের জাহাজ থেকে এই মহাসাগরে ফেলে দেওয়া হতো এবং এ মানুষগুলো হাঙর মাছের আহার হয়ে যেতো। আফ্রিকা থেকে লাখ লাখ কৃষ্ণবর্ণের মানুষদের জোর করে বন্দি করে ইউরোপ ও আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করানো হতো। মানবিকতার জন্য চরম লজ্জাজনক সেই প্রথা বাস্তবায়নে গোরি আইল্যান্ডকে ব্যবহার করা হতো। মাত্র ৮ বর্গফুটের একটা ছোট ঘরে একটি মাত্র জানালা। সেখানেই গাদাগাদি করে রাখা হত ৩০ জন দাসকে। এই ছোট ঝুপড়ি ঘরগুলো ছিল অসুখ-বিসুখের কারখানা। মোটা শেকল দিয়ে বেঁধে বসিয়ে রাখা হতো দাসদের। খাবার জুটত দিনে মাত্র একবার। তাদের পরনে থাকতো একটুকরো কাপড়, শরীরের অধিকাংশ অংশই থাকতো নগ্ন। একটা সরু ঘরে তাদের ঘুমাতে দেওয়া হতো। সেখানেই মেঝের ওপর শুয়ে থাকত তারা। সবচেয়ে দুর্বিষহ ছিল মায়ের থেকে শিশুদের আলাদা করে এতটাই দূরে রাখা হত যে, শিশুদের কান্না মায়েদের কান পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই হাওয়ায় মিলিয়ে যেত। আরেকটি হৃদয়বিদারক দৃশ্য ছিল ‘ডোর অব নো রিটার্ন’ নামের একটি দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে একবার যে ওপারে গেছে, আর কখনও ফেরেনি। এই চরম নির্যাতন মেনে নিতে না পেরে প্রতিবাদ করতো কিছু দাস। প্রতিবাদের শাস্তি হিসেবে তাদেরকে রাখা হতো ছোট অন্ধকার ঘরে। ওই ঘরে সমুদ্রের জল ঢুকতো আর একসময় বন্দিরা মারা যেতো।  ৩০০ বছরেরও বেশি দুঃসহ নির্যাতনের অবসান ঘটে ১৮৪৮ সালে। তখনও সেখানে ৫ হাজার বন্দিসহ মোট ৬ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। যদিও পরে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দেয় এই গোরি আইল্যান্ডকে। আর মুসলিম দাসদের বন্দিশালা হিসেবে ‘স্লেভ হাউস’কে করা হয় জাদুঘর। এ ভাবেই নির্যাতনের নিষ্ঠুরতম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে গোরি আইল্যান্ড।
০৬ মে ২০২৪, ১৩:১৮

‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারকে কোনো ঋণ দেওয়া হচ্ছে না’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এখন সরকারকে কোনো ঋণ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।  গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এখন সরকারকে কোনো ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। আর বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা ছাপানোর ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এটা ভুল ধারণা। সরকারি ঋণের পুরোটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য সরকারি ভর্তুকির বিপরীতে সরকার বন্ড ইস্যু করেছে। এই বন্ড ইস্যু না করলে দুই ধরনের সংকট তৈরি হতো। প্রথমত যারা সরকারের কাছে টাকা পায় তাদের কোনো সমস্যা না থাকলেও খেলাপি হয়ে যাচ্ছিল। আরেকটি হলো ব্যাংক খাত এমনিতেই তারল্য সংকটে পড়েছে। বন্ড না দিলে তারল্য সংকট আরও বাড়ত। তিনি আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হলো, এতে ‘মানি ক্রিয়েশন’ হয়েছে কি না। বন্ড ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানি ক্রিয়েশন হয়ে গেছে, এটা ঠিক না। সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থসচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। আলোচনায় শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সুদহার, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, তারল্য সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
০৫ মে ২০২৪, ২৩:১৯

প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
৮ মে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি।  এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে। আর কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে। সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন। সেগুলো হচ্ছে- স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে, স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে, ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে, ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে এবং আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে। আর এসবের যেকোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন। তিনি (সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিস্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন। প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
০৫ মে ২০২৪, ১৩:৩১

‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।  এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন। সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়। প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।
০৩ মে ২০২৪, ১৯:৫৮

আচরণবিধি না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে, প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়ামে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলার ৩টি উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।   রাশেদা সুলতানা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ মে ২০২৪, ১৭:২৮

ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
৮ মাস বয়সী আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে এক শিশুকে অপহরণ করে পঙ্গু বানিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাতের পাঁচ আঙুল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ময়মনসিংহের চায়না মোড় থেকে ২৯ দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আইরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান। পুলিশের এ উপ-কমিশনার জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করে শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ বেশ পুরোনো। সারাদেশে বিকলাঙ্গ শিশুদের ভিক্ষার নামে ব্যবসা করাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু নোমানকে অপহরণ করা হয়। তিনি জানান, শিশু নোমানের বাবা পেশায় পোশাক শ্রমিক। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। কর্মের সুবাদে পরিবার নিয়ে শিশু নোমানের পিতা মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নাওজোড় এলাকার ফরিদ মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। গত ৩ এপ্রিল বাসা থেকে একই বাসার ভাড়াটিয়া আইরিন নামের এক মহিলা ওই শিশুকে চুরি করে পালিয়ে যান। তখন শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। তবে আইরিনের স্বামী মো. আবু সাঈদকে (সুমন) কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুরি হওয়ার একমাস পর আসামি আইরিনকে ১ মে ময়মনসিংহের চায়না মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অপহৃত শিশু নোমানকেও উদ্ধার করা হয় তার কাছ থেকে। অপহরণকারী আইরিন শিশুটিকে নিয়ে ছদ্মবেশে ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছিলেন। আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আইরিন শিশু নোমানকে দিয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করানোর কথা স্বীকার করেছেন। 
০২ মে ২০২৪, ২৩:২৭

রেকর্ড উৎপাদনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না লোডশেডিং
বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সময় উপযোগী উদ্যোগে ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতাও বেড়েছে আগের তুলনায়। এরই মধ্যে দুদিন আগে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপরও বেতাল ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে আছে লোডশেডিং। হিসাব বলছে, উৎপাদনে রেকর্ডের কয়েক দিন না যেতেই রেকর্ড হয়েছে লোডশেডিংয়েও। রোববার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছাড়িয়েছে এক হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট, গত এক দশকের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।  পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশজুড়ে লোডশেডিং অব্যাহত। ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এই লোডশেডিং  পৌঁছায় এক হাজার ৮৬৪ মেগাওয়াটে। পিজিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে আবার বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোডশেডিংয়ের মাত্রা এনএলডিসির দেখানো সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থানীয়ভাবে হওয়া বিঘ্নগুলো সবসময় তালিকাভুক্ত হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় বিভ্রাট বিবেচনায় নিলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াটের চেয়েও বেশি হতে পারে। তার তথ্যমতে, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘনঘন হয় যে, কোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দিনে ও রাতে উভয় ক্ষেত্রেই কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বিদ্যুৎ ফিরে পেতে।  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে দিনের চাহিদার পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং সান্ধ্যকালীন চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। আর বিআরইবি বলছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোর বাসিন্দাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এদিকে রেকর্ড উৎপাদনের মধ্যেও লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে গ্যাস সংকটের ব্যাপারটিও। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে তিন হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট। উৎপাদিত এ গ্যাসের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।  বিশেষ করে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে তাদের বেশিরভাগেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। রোববারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ওইদিন এক হাজার ৪২৩ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এ ছাড়া যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, চলমান ডলার সংকটের কারণে তাদের উৎপাদনও অদূর ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে, চলতি বছর দেশের সার্বিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সরকারের আরও কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

‘এসটিপি প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না’
সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছাড়া নতুন কোন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।  অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, দেশে একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্টার অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ মোট ৪২৬টি অনলাইন আছে। যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব। শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক) মিজান রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কিভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে। সে কারণে সেগুলো বন্ধ করা হবে না। মূলধারার গণমাধ্যমে একটা নীতিমালা আছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নীতিমালা না থাকার কারণে এর ডালপালা বিস্তৃত হচ্ছে। সেইখানে আমরা একটা নীতিমালার আওতায় আনতে চাচ্ছি। মিথ্যা খবর কোন ভাবে সমাজের কল্যাণ আনতে পারে না। এখানে সবাই একমত। আমরা কিন্তু বলছি না সরকারের পক্ষে বা আওয়ামী লীগের পক্ষে হোক, খবর সত্য হোক সেটা সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষে-বিপক্ষে যাক। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারমুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার চমৎকার পরিবেশ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যা যা উপকরণ লাগে সেই বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করতে চাই। আর মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারাই অপতথ্যের ওপর ভর করে অপরাজনীতি করে। তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রবাহকে অবারিত করতে চাই। তথ্য অধিকার আইন শেখ হাসিনার আমলেই সংসদে পাশ হয়েছে। তথ্য পাওয়ার অধিকার আইনগতভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে সেটাকে বাস্তবে আমরা আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা আছেন তাদের অনেকের তথ্য সরবরাহে কিছুটা অনীহা আছে। তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একটা বার্তা দিয়েছি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। আমরা চাচ্ছি তথ্য অধিকার আইনকে আরও সুদৃড় করার জন্য। তথ্য যদি চাওয়া হয় তবে তথ্য দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। এই তথ্য দেওয়ার বিষয়টি আমাদের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক। এটাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি প্রশাসনের প্রত্যেকটি স্তরে। যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। কাজেই কিছু প্রশাসনিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি এবং আপনারা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন। আরাফাত বলেন, সমাজে অপশক্তি আছে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মুল্যবোধের সমাজের বিপরীতে তারা একটি অন্ধকারের সমাজ তৈরি করতে চায়। জঙ্গিবাদ মৌলবাদের সমাজ তৈরি করতে চায়। এই অপশক্তির সঙ্গে আমাদের নিরন্তর লড়াই। এই লড়াই করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, অর্থাৎ মুক্ত গণতন্ত্র, মুক্ত গণমাধ্যম, অবাধ মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে কখনও কখনও হোচট খেয়েছি। ক্লাইমেট ঝুঁকির চেয়ে বেশি ঝুঁকি হচ্ছে অপতথ্যের ঝুঁকি। স্যোসাল মিডিয়া বিশেষ করে এখানে কোন ধরনের নীতিমালা না থাকার কারণে এই অপতথ্যের বিস্তার ঘটছে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১১

শ্রীপুরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়লো কৃষকের ৯ ঘর
গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক ফজলুল হকের বসতঘরসহ তার ৯ টি টিনশেড ঘরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা কৃষকের ঘরসহ তার ভাড়া দেওয়া ৯টি ঘরে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তর পাড়া এলাকায় ওই কৃষকের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষ‌য়ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। কৃষকের ছেলে সোহাগ (৩৫) জানান, সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাড়াটিয়ারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে আগুনের তাপ অনুভব করে তার বাবা ঘুম থেকে উঠেন। পরে ঘরের চালে আগুন জ্বলতে দেখেন। এ সময় তাদের সকলকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দরজা খুলতে গেলে দরজা খুলে না। বাহির থেকে দরজা সিটকানি লাগা অবস্থায় থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন কৃষকের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সকল দরজার সিটকানি বাহির থেকে খুলে দিলে তারা ঘর থেকে বের হয়। এ সময় আগুনে সেমি পাকা ৯টি ঘর, ঘরে থাকা নগদ টাকা ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ওই কৃষকের প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।   তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শ্রীপুরের (মাওনা) ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হকের বসত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারা কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, কৃষকের ঘরে বাহির থেকে সিটকানি লাগিয়ে আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনা আমি জানি না। এরকম হলে তো জানতাম।  তিনি আরও বলেন, থানায় দেওয়ার আগে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে অভিযোগ দেয়। তারা মনে করে আপনারই থানা।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়