• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২০ মে) বিকালে পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে যারীফ আলী শিশু পার্কে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মুক্তার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর। সভায় আরও বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আব্দুল মান্নান জয়, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বশিরুল আলম মিয়াজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন শিকদার, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পারুল আক্তার, দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাহীন, গোয়ালমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান প্রধান, গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান সরকার, সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম মিয়াজি, ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জিএস সুমন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল সরকার, ভিপি সালাউদ্দিন রিপন,দাউদকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি খন্দকার শাহজাহান, পৌর প্যানেল মেয়র ও কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবউদ্দীন রকিব ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া।
৩ ঘণ্টা আগে

মঙ্গলবার বিশ্ব মেডিটেশন দিবস
মেডিটেশন হলো মনের ব্যায়াম। নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলনে বৃদ্ধি পায় মনোযোগ ও সচেতনতা। মনের স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণে সৃষ্টি হয় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। প্রশান্তি আর সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি গভীর আত্মনিমগ্নতা আত্মশক্তির জাগরণ ঘটায় ভেতর থেকে। আর অন্তরের এই জাগরণই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সামগ্রিক জীবনে। তাইতো বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করেন। চিকিৎসা, শিক্ষা, সৃজনশীল উদ্যোগ সবখানেই দিন দিন ধ্যানের এমন বিস্তার লাভের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই মঙ্গলবার (২১ মে) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।  আমাদের দেশে মেডিটেশন দিবস পালনের মূল উদ্যোক্তা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো ২১ মে মঙ্গলবার উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সকাল ৬টায় থাকছে বিশেষ কর্মসূচি। ঘণ্টাব্যাপী আয়োজনে একত্রিত হবেন সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, গৃহিণীসহ নানা বয়সী নানা পেশার শত শত মানুষ। দিবস উপলক্ষে শিশুতোষ ছড়া ও গল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া মেডিটেশনের গুরুত্ব ও উপকার নিয়ে কোয়ান্টাম থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ বুলেটিন। রাজধানী ছাড়াও সারা দেশে একই সঙ্গে সকাল ৬টায় এবং দেশের বাইরে ইউরোপ, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ধ্যানমগ্ন হবেন দিনটিতে।  আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন প্রমাণিত সত্য। নিয়মিত অনুশীলন মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে। নিয়মিত চর্চায় কমে যায় মনের রাগ ক্ষোভ দুঃখ হতাশা টেনশন স্ট্রেস কিংবা মানসিক চাপ। নেতিবাচকতা থেকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায় ইতিবাচকতায়। সমমর্মী হয়ে ওঠে মন। ফলে পারিবারিক পেশাগত সামাজিক সম্পর্কগুলো আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। আর এমন প্রায়োগিক কার্যকারিতায় বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন হয়ে উঠেছে নিরাময়ের বিকল্প পদ্ধতি, সাফল্যের অব্যর্থ প্রক্রিয়া ও প্রশান্তির লাগসই টেকনিক হিসেবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও লাখ লাখ মানুষ মেডিটেশন করে নিজেদের জীবনযাপনকে অর্থবহ করে তুলছেন।  হৃদরোগ, ক্যান্সার, ফুসফুসের জটিলতা, লিভার সিরোসিসসহ আরও নানা রোগের মূলে রয়েছে টেনশন বা স্ট্রেস। স্ট্রেস মুক্তির জন্যে মেডিটেশন এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। স্ট্রেস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের শত শত হাসপাতালে চিকিৎসকরা প্রতিরোধমূলক যতœ হিসেবে রোগীদের যোগ-মেডিটেশন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। বোস্টনের মাইন্ড বডি মেডিকেল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডা. হার্বার্ট বেনসন তার ‘ব্রেকআউট প্রিন্সিপাল’ নামের বইয়ে ব্যাখ্যা করেছেন, মনকে শিথিল করার মাধ্যমে কীভাবে একজন মানুষ তার মানসিক সামর্থ্যকে তুঙ্গ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে।  ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এবারের দিবস। ভালো ভাবনা, ভালো বলা, ভালো করা আর ভালো থাকার প্রত্যয়ে দেশকে স্বর্গভূমি বানাতে সর্বসাধারণের মধ্যে মেডিটেশনকে ছড়িয়ে দেয়া এখন সময়ের দাবি। মেডিটেশন দিবসের প্রত্যাশা, নিয়মিত চর্চার মধ্যদিয়ে ধ্যান একসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। আর নিয়মিত চর্চায় সমমর্মিতা নিয়ে এ দেশ রূপান্তরিত হবে সুস্থ সবল কর্মদ্যোমী সুশৃঙ্খল মানবিক এক মহাসমাজে।  
৯ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।  এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্ট কালরাতে বিপদগামী একদল সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান,‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব', ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে'। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। সে দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। এই সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’  মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারের প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্ম ভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নি শপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি। ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু। শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন।আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে। আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপন কর্ম মহিমায় হয়ে উঠেছেন-নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা, হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি। বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’ মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী মানবতার মা, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সাগর সমান অর্জনে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এই পথচলা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। সূত্র: বাসস।
১৭ মে ২০২৪, ১৬:০৫

টাঙ্গাইলে ৪৮তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালিত
টাঙ্গাইলের মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ উপলক্ষে দুপুরে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শহরের সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এ সময় মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রীণ ওয়াচ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।  অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুব। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সৈয়দ ইরফানুল বারী, টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু প্রমূখ। উল্লেখ্য, ফারাক্কা বাঁধের ফলে নদীর নাব্যতা হারানোর আশঙ্কায় ও পানির নায্য হিসসার দাবিতে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে লাখো জনতার সেই লংমার্চ রওনা হয়েছিল। লংমার্চ শেষে কানসাট হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সেই থেকে প্রতি বছরের মে মাসের ১৬ তারিখে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস পালন হয়ে আসছে।
১৬ মে ২০২৪, ২৩:৩৯

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ
আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। লংমার্চ শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট হাইস্কুল মাঠে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস পালিত হয়ে আসছে। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মওলানা ভাসানীকে। তিনি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত গড়ে তুলেছিলেন।  এই লংমার্চ সংগঠিত হয়েছিল ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে ভারত কর্তৃক একতরফা গঙ্গার পানি অপসারণের মাধ্যমে পদ্মা নদীকে পানিশূন্য করে ফেলার বিরুদ্ধে। তৎকালীন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা মওলানা ভাসানী এই পদযাত্রার আহ্বান করেন।  বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার এই লংমার্চ আয়োজনে সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ এপ্রিল এই বাঁধ চালু করার কয়েক মাসের মধ্যে এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের পরিবেশে ফারাক্কার সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে মওলানা ভাসানী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য জাতির প্রতি আহ্বান জানান। এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখী এই অভিযাত্রা শুরু করা হয়। যদিও মাওলানা ভাসানী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ফারাক্কা পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিলেন তবু সরকারের পরামর্শে এই পদযাত্রা ১৭ মে অপরাহ্নে ভারতীয় সীমান্তের কাছে কানসাটে গিয়ে শেষ করা হয়।
১৬ মে ২০২৪, ১২:৩৫

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা করবে ছাত্রলীগ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১৪ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কর্মসূচি অংশ হিসেবে পর দিন শুক্রবার (১৭ মে) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, তেজগাঁও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ। সেই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্তর্গত সব সাংগঠনিক ইউনিটকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে নানাবিধ কর্মসূচি আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালে ১৭ মে দেশে ফেরেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। এরপর থেকে গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
১৪ মে ২০২৪, ২২:৫৫

কন্যাসন্তান নিয়ে মুখ খুললেন পরীমণি
স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে পরীমণির ডিভোর্সের পর একমাত্র ছেলে রাজ্যই যেন তার পৃথিবী। এবার সেই দুনিয়ায় জায়গা করে নিল এক ছোট্ট পরী। ছেলের পর তার ঘর আলোকিত করেছে ফুটফুটে একটি কন্যাসন্তান। যাকে দত্তক নিয়েছেন তিনি।  মেয়ের নাম রেখেছেন সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। বর্তমানে দুজনকে নিয়েই ভীষণ ব্যস্ততায় দিন কাটছে পরীমণির। কন্যাসন্তান দত্তক নেওয়ার খবরটি জানালেও বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেননি এই নায়িকা। অবশেষে মেয়ের মা হওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পরীমণি!    জানা গেছে, গত ৩ মে রাতে জন্ম হয়েছে প্রিয়মের। আর জন্মের কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসক সরাসরি পরীমণির হাতে তুলে দেন ছোট্ট নবজাতককে।   প্রিয়ম জন্ম নেওয়ার একদিন পরেই মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসেন পরীমণি। ‘বিশ্ব মা দিবস’-এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কন্যাসন্তানকে সামনে এনেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মেয়ের ভীষণ মিষ্টি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন পরীমণি। কন্যাকে পেয়ে যে বেশ উচ্ছ্বসিত এই নায়িকা, সেটা তার কথাতেই প্রকাশ পেয়েছে।   কন্যাসন্তান দওক নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, ও আমার সন্তান। কীভাবে নিলাম, কেন নিলাম, কোথা থেকে নিলাম—এসব এখানে তুচ্ছ। কোনো প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই এখানে। আমি এখন ওর মা। এটাই তার বড় পরিচয়। তিনি আরও বলেন, আমাকে সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। ওপরওয়ালা তো মানুষের ভাগ্যে কত কিছুই লিখে রাখেন। তিনি আমার জন্য লিখে রেখেছিলেন আরেকটি সন্তানের মা হব, আমি হয়েছি। আমার এই সন্তান ওপরওয়ালার পবিত্র দান। ওপরওয়ালা আমার কাছে পাঠিয়েছেন  তাকে। চিত্রনায়িকা বলেন, দত্তক নিতে একটা আনুষ্ঠানিকতা আছে, নিয়ম আছে। সব নিয়মকানুন মেনেই আমি সন্তানকে গ্রহণ করেছি। চলতি মাসের ২০ তারিখের পর প্রিয়মের আকিকা করব। এর আগে দেওয়ার চিন্তা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে সেটা হয়নি। পরীমণি বলেন, আমি খুবই আনন্দচিত্তে, খুশি মনে প্রিয়মকে গ্রহণ করেছি। আমি কখনোই ভাবতে চাই না, ওকে আমি পেটে ধারণ করিনি। আমার পুণ্য ছেলেসন্তান, প্রিয়ম মেয়েসন্তান। রাজ্য হওয়ার পর আমার ভেতরে যেমন অনুভূতি কাজ করেছে, প্রিয়মের জন্য একই অনুভূতি কাজ করেছে, করছে। ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে অভিনয় করতে গিয়ে রাজের প্রেমে পড়েন পরী। ভালোবেসে তাকে বিয়েও করেন। তাদের কোল আলো করে আসে রাজ্য। তবে ভেঙে যায় নায়িকার সেই সংসার। এখন সন্তানদের নিয়েই জীবন কাটছে তার। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরীমণি কলকাতার একটি সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা দিয়েছেন; যার নাম ‘ফেলু বক্সী’, নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা। সিনেমাটিতে পরী ছাড়াও দেখা মিলবে সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকারের মতো তারকাদের।
১৪ মে ২০২৪, ১১:১০

মাকে নিয়ে তাহসানের আবেগঘন বার্তা
বিশ্ব মা দিবসে ‘গরবিনী মা-২০২৪’ সম্মাননা পেয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান রহমান খানের মা ড. জেড এন তাহমিদা বেগম। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই জনপ্রিয় শিল্পী। তাহসান বলেন, সবার সফলতার পেছনে মায়েদের ভূমিকা সবার আগে। আমাদের সবার সাথেই মায়ের দোয়া থাকে। যখন তারা থাকেন না, বাবা-মায়ের মূল্যবান ভালোবাসা না পাওয়া যায়, কেবল তখনই বোঝা যায় জীবনের সব অর্জন আসলে ঠুনকো, মূল্যহীন। তিনি আরও বলেন, আমি জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু এই যে সুযোগ স্টেজে দাঁড়িয়ে বলা মাকে কতটা ভালোবাসি, এটা আসলে অমূল্য। এজন্য আমি আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রসঙ্গত, গেল ঈদে প্রচারিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির একটি গানে তাহসানকে দেখা গেছে। যাতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। গানটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
১৩ মে ২০২৪, ১৬:০৩

মায়ের আত্মত্যাগ নিয়ে যা আছে কোরআন-হাদিসে
মা শব্দটি অতি ছোট। তবে এর চেয়ে মধুর শব্দ এই পৃথিবীতে আর নেই। মা শব্দটির ভেতরে রয়েছে বিশাল এক মমত্ববোধ। আপনাকে পৃথিবীতে আনতে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন মা। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান জন্মদান, জন্মের পর দুধপান, রাত জেগে সন্তানের তত্ত্বাবধানসহ বড় হওয়া পর্যন্ত নানাবিধ কষ্ট সহ্য করেন মা। সন্তানকে সবচেয়ে বেশি যত্নবান ও বেশি আদর-সোহাগ করেন মা। এই মা-ই সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেন। কোরআনে বর্ণিত আছে-আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি মানুষকে মা-বাবার সঙ্গে সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে অতি কষ্টে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছেন। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ৩০ মাস। অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌঁছে এবং ৪০ বছরে উপনীত হয়। তখন সে বলে, হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার ওপর ও আমার মা-বাবার ওপর যে নিয়ামত দান করেছ, তোমার সে নিয়ামতের যেন আমি কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারি এবং আমি যেন ভালো কাজ করতে পারি, যা তুমি পছন্দ করো। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা আহকাফ, আয়াত : ১৫)। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘মা-বাবাই হলো তোমার জান্নাত এবং জাহান্নাম।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত, ৪২১) অপর এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, যখন কোনো অনুগত সন্তান নিজের মা-বাবার দিকে অনুগ্রহের নজরে দেখে, মহান আল্লাহ তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে হজের সাওয়াব দান করেন। (বায়হাকি, মিশকাত, ৪২১)। ইসলামে মা-বাবা দুজনের সঙ্গে সদাচারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে বাবার তুলনায় মায়ের অধিকার ও হক বেশি। মায়ের অধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন রাসূল সা.। একবার এক সাহাবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সুন্দর ব্যবহার পাওয়ার সবচেয়ে বেশি হকদার কে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্টভাবে ঘোষণা করলেন, তোমার মা। সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আমার মায়ের পরে আমি কার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করব? আল্লাহর নবী তাগিদ দেয়ার জন্য বললেন, তোমার মায়ের পরেও তোমার মায়ের অধিকার পালন করতে হবে। তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ তোমাকে করতে হবে। এভাবে তিনবার আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের সঙ্গে সদাচরণ করার কথা বলেছেন। চতুর্থবার বলেছেন, অতঃপর তুমি তোমার বাবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করবে। (বুখারি ও মুসলিম) রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এক. সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া দুই. মুসাফিরের দোয়া এবং তিন. অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া অত্যাচারীর বিরুদ্ধে’ (আবু দাউদ-১৫৩৮)। ইসলামে মা বাবার হক পালনে কঠোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১২ মে ২০২৪, ২১:০৭

মা দিবসে মেয়েকে নিয়ে প্রকাশ্যে পরীমণি 
ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। তার জীবনের নতুন খবর হলো, ফুটফুটে এক মেয়ে সন্তান দত্তক নিয়েছেন তিনি। নাম রেখেছেন সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম।  রোববার (১২ মে) মা দিবসে তাকেই প্রকাশ্যে আনলেন এই অভিনেত্রী। নিজের ফেসবুকে ১০ সেকেন্ডের একটি  ভিডিও পোস্ট করে পরী তার ক্যাপশনে লিখেছেন, হ্যাপি মাদার্সডে টু মি! সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার একটি ইমোজি। তিনি আরও লিখেছেন, আমার জীবনের একান্ত নিজের দুজন মানুষ। আমার বাচ্চারা তোমরা আমার চোখ জুড়ে থাকো। আমার বুক জুড়ে থাকো। আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি।  প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরীমণি কলকাতার একটি সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। যার নাম ‘ফেলু বক্সী’, নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা। সিনেমাটিতে পরী ছাড়াও দেখা মিলবে সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকারের মতো তারকাদের।
১২ মে ২০২৪, ২০:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়