• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
পাঞ্জাবকে হারিয়ে কলকাতা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে হায়দ্রাবাদ
লিগ পর্বে ১৩ ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত করেছিল হায়দ্রাবাদ। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থান দখলের সুযোগ ছিল কামিন্সদের সামনে। পাঞ্জাবকে চার উইকেটে হারিয়ে সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে হায়দ্রাবাদ। তবে দ্বিতীয় স্থান পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিতে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে কলকাতা এবং রাজস্থান ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে রাজস্থান হারলে সরাসরি কলকাতার বিপক্ষে কোয়ালিফাইয়ার খেলার সুযোগ পাবে হায়দ্রাবাদ। সেই ম্যাচে হারলেও ফাইনালে ওঠার আরও একটি সুযোগ পাবে তারা। রোববার (১৯ মে) আগে ব্যাট করে হায়দ্রাবাদকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাঞ্জাব। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হায়দ্রাবাদ। এতে হার দিয়ে আইপিএল শেষ হলো পাঞ্জাবের। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দ্রাবাদ। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ইমপ্যাক্ট সাবে খেলতে নামা ট্রাভিস হেড। তবে রাহুল থ্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। ১৮ বলে ৩৩ রান করে থ্রিপাঠী আউট হলেও ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন অভিষেক। ২৮ বলে ৬৬ রান করে আউট হন এই তরুণ ভারতীয় ব্যাটার। ২৫ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। এরপর শাহবাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হেইনরিচ ক্লাসেন। কিন্তু ৬ বলে ৩ রান করে শাহবাজ আউট হলেও ক্লাসেনকে সঙ্গ দেন আব্দুল সামাদ।  শেষ দিকে ২৬ বলে ৪২ রান করে ক্লাসেন আউট হলেও, সামাদের ৮ বলে ১১ রান এবং সানভীর সিংয়ের ৪ বলে ৬ রানে ভর করে চার উইকেট এবং ৫ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হায়দ্রাবাদ। পাঞ্জাবের হয়ে আর্শদ্বীপ শর্মা এবং হার্শাল প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন শাশাঙ্ক সিং। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে আথার্ভা টাইডে এবং প্রাভসিমরান সিং। দুজনের ব্যাট থেকে ৯৭ রান। ২৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন টাইডে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন প্রাভসিমরান। তিন ব্যাট করতে এসে তাণ্ডব শুরু করে রাইলি রুসো। দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে পাঞ্জাব। ১৪ ওভারেই তুলে নেয় ১৫১ রান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন প্রাভসিমরান। ৪৫ বলে ৭১ রান করেন এই ভারতীয় ব্যাটার। ৪ বলে ২ রান করে রান আউট হন শাশাঙ্ক সিং। তবে ১ রানের জন্য ফিফটি তুলতে পারেননি রুসোও। ২৪ বলে ৪৯ রান করে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জিতেশ শর্মার ১৫ বলের হার না মানা ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানের বড় পুঁজি পায় পাঞ্জাব।
১৯ মে ২০২৪, ১৯:৫২

‘ঘুম থেকে উঠে দেখতাম অস্ত্র আমার দিকে তাক করা’
রাতে যখন কোনো নেভি শিপ যেত তখন জলদস্যুরা আরও সতর্ক হয়ে যেত। তখন তারা স্পেশালই আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখত। যার কারণে নেভি শিপ গেলে আমাদের আরও সমস্যা হতো। ট্রিগার টেনে অস্ত্র আমাদের দিকে তাক করত। সব চেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ঘুম থেকে উঠলে চোখ খুললেই দেখতাম অস্ত্র আমার দিকে তাক করা।  বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমবি আবদুল্লাহর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু এসব কথা জানান।  রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।   জিম্মি থাকা ৩৩ দিনের স্মৃতি চারণ করে রাজু বলেন, শেষ যখন ওরা জানছে আমরা মুসলিম ছিলাম, তখন আমরা কিছুটা ছাড় পেয়েছি। মুসলিম হিসেবে ঈদের দিন ওরা আমাদেরকে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার সুযোগ দিয়েছে। ঈদের দিন জলদস্যুরা আমাদের ইঙ্গিত দেয় দুই এক দিনের মধ্যে আমাদের মুক্তিপণ আসবে। এরপর দ্রুত আমাদের মুক্তি মিলবে।   অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজু বলেন, মুক্তিপণ কত দিয়েছিল এটা শুধু কোম্পানি আর বাংলাদেশ সরকার জানে। এ ছাড়া আর কেউ জানে না। তবে আমরা বড় বড় তিনটি ব্যাগ জাহাজে ওপর থেকে পড়তে দেখেছি।    ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের নাবিক রাজু প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার ১৪ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেন। ওই সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় পর রাজুকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা-বাবা। কেউ কেউ খুশিতে কাঁদতে থাকেন। এখন পরিবারে বইছে উৎসবের আমেজ। নাবিকদের দ্রুত সময়ে মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাবিকের স্বজনরা। ছেলের ফিরে আসার দিনক্ষণ আগেই জানা ছিল মা-বাবার। রাজুর বন্ধুরা চট্টগ্রাম থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন মা-বাবাসহ স্বজনরা। এতে অবসান ঘটে এক দীর্ঘ উৎকণ্ঠার। একই সঙ্গে পরিবারে লাগে উৎসবের আমেজ। সুস্থ ভাবে বাড়িতে ফিরতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছে রাজু। ছেলের ফিরে আসায় মা রেঁধেছেন তার পছন্দের গরুর মাংস ও সামুদ্রিক মাছ।  প্রসঙ্গত, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছানোর পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লেগেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৫ মে ২০২৪, ২০:৪০

হঠাৎ কনসার্টে সুনিধির দিকে ছোড়া হলো পানির বোতল
কনসার্টে সংগীতশিল্পীদের উদ্দেশ্য করে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনা নতুন না। বিশ্বের বড় বড় গায়কদের বোতল হজম করতে হয়েছে। এবার ঘটনাটি ঘটল জনপ্রিয় বলিউড গায়িকা সুনিধি চৌহানের সঙ্গে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরাদুনে শো করছিলেন সুনিধি। তার গানের ছন্দে দুলছিল গোটা কনসার্ট। ভক্তরা ছিলেন মাতোয়ারা। ঠিক এ সময় এক বেরসিক দর্শক গায়িকাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন পানির বোতল। আচমকা এ ব্যবহারে কিছুটা চমকে যান সুনিধি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে দেন জবাব। সুরে সুরে বলেন, এভাবে বোতল ছুড়ে কী হবে তা বলো! তাতে কী হবে বলো তো, শো বন্ধ হয়ে যাবে। তোমরা কী সেটাই চাও? চিৎকার করে না বলেন দর্শকরা। এরইমধ্যে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনরা মেতেছেন নিন্দায়। একজন প্রতিবাদ করে লিখেছেন, একজন শিল্পীর দিকে এভাবে পানির বোতল ছোড়ার ঘটনা, এমন ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে শিল্পীর কঠিন পরিশ্রম ও প্রতিভাকে অসম্মান করা হয়। যদি তাদের কাজের প্রশংসা করতেই হয় তাহলে সম্মান দিতে শিখুন। প্রসঙ্গত, সুনিধির বয়স যখন চার তখন থেকে কনসার্ট মাতাচ্ছেন। পরে অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে বুঁদ করেছেন বলিউড। কখনও এ ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। 
০৫ মে ২০২৪, ১৭:৩৯

শিরোপার দিকে ছুটছে ম্যানসিটি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়াটার ফাইনালে কোয়াটার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ের পথে ছুটছে সিটিজেনরা। সেই সঙ্গে ছন্দে ফিরেছেন দলের প্রাণভোমরা আরলিং হালান্ড। সবশেষ ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৫-১ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে তারা। যেখানে একাই চারটি গোল করলেন ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান গোল মেশিন আরলিং হালান্ড। এই ম্যাচ জিতলেও আর্সেনালের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ম্যানসিটি। ৩৫ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৮২। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল।  শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তৃতীয় হ্যাটট্রিক করলেন হালান্ড আর ম্যানসিটির জার্সিতে এ নিয়ে করলেন নবম হ্যাটট্রিক। হালান্ডের করা প্রথম তিন গোলের দুটিই পেনাল্টি থেকে।  ১২ মিনিটে ইয়োস্কো গাভারদিওল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড। ৩৫তম মিনিটে করা দ্বিতীয় গোলটি আসে হেড থেকে। রদ্রির ক্রস থেকে আসা বল দীর্ঘ উচ্চতা কাজে লাগিয়ে লাফিয়ে চমৎকার হেড নেন হলান্ড। ৪৫ মিনিটে উলভস সেন্টার ব্যাক নেলসন সেমেদো হালান্ডকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলে ভিএআর চেকের মাধ্যমে আরেকটি পেনাল্টি পায় সিটি।  যা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি নরওয়েজিয়ান তারকার। এবারের আগে গত মৌসুমে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষেও প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। হলান্ড তার চতুর্থ গোলটি করেন বিরতির পর, ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে। এই গোলেই স্ট্রাইকার হলান্ডের সামর্থ্যের ছাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। ফোডেন নিজেদের অর্ধ থেকে চমৎকার এক শটে উঁচু করে বল হলান্ডের দিকে বাড়ান। সেটি দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান হলান্ড। ৮২তম মিনিটে হলান্ডকে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন সিটি কোচ। ৮৫ মিনিটে সিটির স্কোরলাইন ৫-১ করে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যাচে উলভসের একমাত্র সান্ত্বনা হয়ে থাকে ৫৩ মিনিটে হি-চাং হোয়াংয়ের গোলটিই।
০৫ মে ২০২৪, ১৬:০৪

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিন, মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শ্রমিকদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন করতে মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মালিকদের বলবো বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দিক, সেটাই আমি চাই। তিনি বলেন, কেউ শ্রমিকদের বঞ্চিত করলে, সে যেই হোক না কেন, তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়ব না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে, তাদের দেখতে হবে। বুধবার (১ মে)  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।    সভায় শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারখানা আপনাদের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করছে তাদের দিকেও দেখতে হবে কারও প্ররোচনা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজির ক্ষেত্র যেন ধ্বংস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে শ্রমিকদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কথা স্বরণ করছি যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে মে দিবস পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। মে দিবস শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামের একটি দিন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দিনটিকে ‘শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শ্রমিকদের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ মানুষের কল্যাণ করা, আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা যতবার ক্ষমতায় এসেছি ততবার মজুরি বাড়িয়েছি। তিনি বলেন, আমরা শিল্প কারখানা যেন বন্ধ না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের নারীরা সমমজুরি পায়। আমাদের সময় নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ৪৩ দশমিক ১ ভাগে বৃদ্ধি পেয়েছে। মেয়েরা সব জায়গায় কাজ করতে পারে। আমরা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।  
০১ মে ২০২৪, ১৮:৪০

‘দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায় সরকার’
সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তথাকথিত উন্নয়নের নামে সরকার গোটা দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে। সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। তীব্র গরমে ইতোমধ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন মারা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এদেশে নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ কী করেছে?’ তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সহায়তায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ যা করছে পুলিশও তাই করছে। সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনা সরকার। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বেনজীর আহমেদ, আসাদুজ্জামানদের ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৯

‘পাকিস্তানকে এখনই জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে’ 
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও পরের তিন ম্যাচের দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। এতে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাবররা। সিরিজ রক্ষা করতে হলে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের সামনে।  বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমদের এমন নাজুক অবস্থার জন্য তথাকথিত পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার ও পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। বাবর-রিজওয়ানদের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যালেনে রমিজ রাজা বলেন, এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তথাকথিত পরীক্ষা। একই খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাদের পজিশন পরিবর্তন করা হয়েছে। কাউকে বেঞ্চে রাখা হয়েছে, আবার অন্যদের খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ জয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে বাবরেদের পরামর্শ দিয়েছেন রমিজ। তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, পাকিস্তান দলকে এখনই জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। তারা বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করছে, এমন অজুহাত দেওয়া যাবে না।  ‘তারা কিছু খেলোয়াড়ের দক্ষতা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে। যে কারণে তারা তাদের নিম্নমানের পারফরম্যান্সকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। যদি আমরা ম্যাচ হেরে যাই, দয়া করে আমাদের সহ্য করুন।’ গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতের ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। সেখান থেকে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি অবসর ভেঙে দলে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম। নিউজিল্যান্ডের ১৭৮ রানের জবাবে পাকিস্তান থেমেছে ১৭৪ রানে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৭

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রধান মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশ অন্ধকারে চলে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধু ব্যক্তি বা পারিবারিক নয়, এটা স্বাধীন দেশকে হত্যা করার পরিকল্পনা।  তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী এদেশে মুক্তিযুদ্ধের কোনো চেতনা ছিল না, মা-বোনের আত্মত্যাগের সম্মান ছিল না। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সবকিছুই অন্ধকারের গহ্বরে চলে গিয়েছিল। তখনকার সরকারগুলোর দায়িত্ব ছিল- মানুষ যাতে স্বাধীনতার সুখ অনুভুত করতে না পারে। এজন্য বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন স্বাধীনতার সুখ পাচ্ছি।  খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাব নাই। বাসস্থান ও আশ্রয়হীন মানুষও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর উন্নয়নের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই নেতৃত্ব শেখ হাসিনা পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর থেকে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পথে হাটছেন বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়কর জায়গায় পৌঁছে গেছে। আমাদের গর্ব হয় যখন বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণাবলীর কথা জানতে চায়।  তিনি আরও বলেন, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিজয় অর্জন করেছি। তিনি হিমালয় উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, বঙ্গবন্ধু আমার কাছে হিমালয়ের মতো।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা বাংলাদেশকে হিমালয়ের চূড়া থেকে অন্ধকারের চোরাগলিতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ তৈরি করেছি। আমরা উন্নয়ন করেছি, সোনার বাংলা করেছি। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করব। এজন্য প্রয়োজন মানব কাঠামোর উন্নয়ন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০১

‘নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে আঙুল তোলে আ.লীগ’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে আ.লীগ। তার দাবি ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ ডামি প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পর নেত্রীর অনুসরণে ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদ একই সুরে গান গাইছে। সরকারের কাজ অভিযোগ তোলা নয়। বাজার সিন্ডিকেট করে যারা জনজীবন দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায়, কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতায় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। রিজভী বলেন, গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার বাসভবনে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন—২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তারাই ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল। কিন্তু সেদিন পিলখানায় কি ঘটেছিল, কারা ঘটিয়েছিল, কেন ঘটেছিল, ঘটনার নেপথ্যের নায়ক কারা, কারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে—সবকিছুই হাছান মাহমুদ স্বীকার না করলেও দেশ—বিদেশের গণমাধ্যমে সত্য ঘটনা গতকালও প্রকাশিত হয়েছে। রিজভী বলেন, গতকালও পিলখানার সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নিয়ে বিডিআররের সাবেক ডিজি লে. জে. (অব.) মইনুল ইসলাম গণমাধ্যমে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তা দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজি পরিস্কারভাবে বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে জড়িত ছিল ও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সময় বাইরে তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখা আওয়ামী ষড়যন্ত্র নতুন নয়। সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখতে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্যারালাল রক্ষীবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা সেনা কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যদের মুখোমুখি করে দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অকেজো স্যাটেলাইট
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কয়েক হাজার কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল এক অকেজো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। নিয়ন্ত্রণহীন অকেজো স্যাটেলাইটটি নিয়ে দু’চিন্তায় রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইটটি এই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। তবে কবে কোথায় স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। কেননা স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নিরাপদে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২ হাজার ২৬৭ কিলোগ্রাম ওজনের স্যাটেলাইটটি এ মাসের মাঝামাঝি যেকোনো সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। স্যাটেলাইটটির অংশবিশেষ কোনো না কোনো সাগরে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ থেকে আসা ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি ১০ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তারা। খবর ডেইলি মেইল। পৃথিবীর ভূমি, মহাসাগর ও মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৯৯৫ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইআরএস-২ নামের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের গ্রহের ওপরে ঘুরে বেড়িয়েছে স্যাটেলাইটটি। ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের পুরো নাম ইউরোপিয়ান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইট ২। এটি ১৯৯৫ সালের ২১ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৭ মাইল দূরে অবস্থান করে। সে সময় এটি ছিল ইউরোপের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক পর্যবেক্ষণ মহাকাশযান। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করাসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে স্যাটেলাইটটির তথ্য ব্যবহার করা হতো। ২০১১ সালের পর ইআরএস ২ স্যাটেলাইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য স্যাটেলাইটটিকে নির্ধারিত কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক বার্তায় ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে কখন আর কোথায় আছড়ে পড়বে, তা সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই খুব নিবিড়ভাবে স্যাটেলাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ মাইল ওপরেই স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু টুকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে। বার্তায় আরো বলা হয়, কোনো বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকবে না এসব টুকরায়। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অনেক দিন আগেই অকেজো হয়ে গেছে। তাই ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়