• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিচ্ছে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
প্রতারণার অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পর একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের দরজা। এ অবস্থায় আশ্রমে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিচ্ছে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ডিবির কাছে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই তথ্য দেন। তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে থাকা অনাথ শিশু-বৃদ্ধ-প্যারালাইসড ব্যক্তিদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আমাদের কাছে গতকাল এসেছিলেন। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছি। মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে’ সেবা ও চিকিৎসা দেওয়া হবে নাকি আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনে নিয়ে গিয়ে সেবা দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টনের আশ্রমেই সেবা ও চিকিৎসা দেওয়া হবে। ১ মে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মিল্টনের বিরুদ্ধে তার দাতব্য সংস্থা ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৮৩৫ জন ব্যক্তির মৃত্যুসনদ জাল করার অভিযোগে আনা হয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যার ফলে গতকাল ঢাকার একটি আদালত নতুন করে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে গোয়েন্দারা তাকে আদালতে হাজির করলে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার এ আদেশ দেন। মিল্টনের গ্রেপ্তারের পর থেকেই নানামুখী সংকটে পড়ে আশ্রয়কেন্দ্রটি। সেখানে থাকা আশ্রিতদের কী হবে তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে সেখানে থাকা শিশু-বৃদ্ধদের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
১৬ ঘণ্টা আগে

কারিনার নতুন অধ্যায় শুরু, কাঁধে এবার বড় দায়িত্ব
বলিউডে দু দশক কাটিয়ে ফেলেছেন কারিনা কাপুর খান। অভিনেত্রী দুই সন্তানের মা, ভোপালের নবাব পরিবারের ‘শেষ বেগম’ ঘর-সংসার এবং কাজ দুটোই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার তার কাঁধে আরও বড় দায়িত্ব। ইউনিসেফ-এর রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হলেন সুপারস্টার কাপুরকন্যা। বিগত দশ বছর ধরে ইউনিসেফ-এর সঙ্গে কাজ করছেন বেবো। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ। হয়ে গেলেন ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। ৪ মে, শনিবার নিজেই ইনস্টাগ্রামে সেই গর্বের মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কারিনা। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি আবেগাপ্লুত, সেটা তার কথাতেই ধরা পড়ল। লিখেছেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়। গত দশ বছর ধরে কাজ করছি ইউনিসেফ-এর সঙ্গে। বিগত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি রোজ অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি, ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব। বেবো বলছেন, প্রতিটি শিশুর সুস্থ শৈশব, ন্যায্য সুযোগ, একটি ভালো ভবিষ্যত প্রাপ্য।’ নবাব বেগমের মুকুটে নতুন পালক জোড়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার বলিউডের সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা। কারও আর্জি, ‘গাজার শিশুদের ভবিষ্যৎটাও দেখুন। তেইশ সালই ঘুরিয়ে দিয়েছে কারিনা কাপুরের ভাগ্যচক্র। ‘জানে জান’ সিরিজের সুবাদে দর্শক অনুরাগীদের নজর কাড়ার পাশাপাশি সিনেসমালোচকদের তরফেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল বেবোর অভিনয়। তার পরই কারিনার ঝুলিতে এসেছে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডারস’-এর মতো থ্রিলার সিনেমা। যেখানে গোয়েন্দা চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। বিগ বাজেট দক্ষিণী সিনেমা ‘টক্সিক’-এর প্রস্তাবও এসেছিল তার কাছে। তবে যশের বিপরীতে অভিনয় করার অফার নাকচ করেছেন অভিনেত্রী। বলিউডে দু দশক কাটিয়ে ফেললেও তেইশ অবধি ‘পুহ’ কিংবা ‘গীত’ চরিত্রের জন্যই কারিনা কাপুরকে মনে রেখেছিলেন দর্শকরা। তবে খেলা ঘোরালো গত বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জানে জান’। সিঙ্গল মাদারের ভূমিকায় বিজয় ভার্মা, জয়দীপ আহলাতের মতো দাপুটে অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নজর কেড়েছেন কারিনা। ২০২২ সালে আমির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘লাল সিং চাড্ডা’ এনেছিলেন ঠিকই। কিন্তু সুপারফ্লপ সেই সিনেমাতে কারিনাকে নিয়ে মোটেই হইচই হয়নি। বরং সমস্ত লাইমলাইট কেড়েছিলেন আমির খান। তবে ২০২৩ সালে ‘জানে জান’-এর দৌলতে নজর কাড়া প্রত্যাবর্তন কারিনার কাপুরের। এবার ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন কারিনা কাপুর।  
০৫ মে ২০২৪, ১৮:২৪

আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন রেড ক্রিসেন্টের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে যোগদান করেন তিনি।  এসময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের পক্ষ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্যবৃন্দ এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে সোসাইটির মহাসচিব ।  দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মানবসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী একটি আন্দোলন রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের কর্মীরা আর্তমানবতার সেবায় নিজেদেরকে সঁপে দিয়েছিলেন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) একটি আদর্শ মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগঠনটি যেকোন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায়, দুস্থ ও বিপন্ন মানুষকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক দুর্দশা লাঘবে কাজ করেছে। মানবিক এ সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত। আমার উপর অর্পিত এই গুরু দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে আমি সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো।’ দায়িত্ব গ্রহণের পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী, সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান, কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্যবৃন্দ। পরে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে শহীদ জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী। গেলো বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী ৩ বছরের জন্য অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব প্রদান করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭

বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব নিলেন ডা. আতিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমানকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাকে। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।  নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আরটিভি অনলাইনকে ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাই হবে তার লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী যে তাগিদ দিয়েছেন সেদিকে আরো নজর দেয়ার কথা জানান তিনি।  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উপ উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার টিটো, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. বেলাল সরকার, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, ডা. জাহান শামস নিটোল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এর আগে দুই মেয়াদে সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বক্ষব্যধির উপর এমডি এবং ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান্স থেকে এফসিসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন।  বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় রয়েছে অনন্য সাধারণ অবদান। রোগীদের কাছে তিনি অত্যন্ত অমায়িক ও সজ্জন চিকিৎসক হিসেবে সুপরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। দেশী বিদেশী জার্নালে বিভিন্ন সময়ে তার গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাসমূহ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন চিকিৎসকদের মানসম্মত গবেষণাধর্মী থিসিস সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তিনি গাইড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে ৪৭টি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জনপ্রিয় শিক্ষক ও উপ-উপাচার্য মরহুম অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপনের স্মরণে গঠিত জাকারিয়া স্বপন স্মৃতি সংসদের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পালমোনারি হাইপারটেনশন সোসাইটি, ডিপিএলডি ফাউন্ডেশন এবং পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর মেম্বার সেক্রেটারি, ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিন-এর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, ইথিক্যাল রিভিউ বোর্ড (ইআরবি)-এর সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনলজি বিষয়ের ফাউন্ডার কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, এসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশ, দি চেস্ট এন্ড হার্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, এজমা এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ব্রনকোলোজি এন্ড ইন্টারভেনশনাল পালমোনলজি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং পাবলিক হেলথ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর আজীবন সদস্য। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্রের চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের পিতা। তার সহধর্মিণী ডা. কাজী রাহিলা ফেরদৌসি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তার বাবা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মা হাসিনা রহমান।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০২

দায়িত্ব নিয়েই যে চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে মুশতাক আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই সাকিব-মিরাজদের দায়িত্ব নিতে ঢাকায় পা রেখে দায়িত্ব নিয়েছেন এই পাকিস্তানি কিংবদন্তি। আর দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন মুশতাক। এদিন তার হাতে বাংলাদেশের অনুশীলন কিট তুলে দেন ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। ড্রেসিংরুমে প্রথমদিনই পেয়ে যান তাইজুল ইসলামকে। নাজমুল শান্ত, মুমিনুল হকদের সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন। কাজে যোগ দিয়েই স্পিনারদের উন্নতি আর ব্যবধান তৈরি করার চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে কোচ হিসেবে আমি এখানে এসেছি ব্যবধান গড়ে দিতে। এতদিনের অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেট জ্ঞান শেয়ার করতে চাই ক্রিকেটারদের সঙ্গে।  টাইগার স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, শুধু জাতীয় দল নয়, লেগ স্পিনার তুলে আনতেও ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান লেগ স্পিনারের।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অংশ হতে পারা আমার জন্য বিরাট সম্মানের। যতটুকু মনে করতে পারি ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ের পর ৯৩ বা ৯৪ সালে খেলতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ ভ্রমণ সবসময় উপভোগ করি। লোকজন অতিথিপরায়ণ, পাকিস্তান ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের অনেক সমর্থক আছে এখানে।  মুশতাক আহমেদ বলেন, কেন নয়, এশিয়ায় লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার, চায়নাম্যান সব বৈচিত্র্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে লোকাল কোচদের ভূমিকা বেশি। আমি চেষ্টা করব রহস্য স্পিনার তুলে আনার কাজ করতে। সাদা বলে এখন রিস্ট স্পিনাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২২

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন
পুনর্নিবাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেওয়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ (১ নম্বর হল রুমে) হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার সমর্থকরা এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। পরে ব্যারিস্টার খোকন নিজে সংবাদ সম্মেলন করে বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়ালি উর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নতুন বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপিটি দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবারের বার নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) সভাপতি পদে বিজয়ী হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হন সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ এই চারজনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো ২৭ মার্চের চিঠিতে বলা হয়, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। চিঠিতে এরপর বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ৯ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের (খোকনসহ চারজন) এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

নির্বাচন হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ নয় : সিইসি
‘নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়। আগামীতে যারা আসবে তাদের জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি করে যেতে হবে। আজকের গণতন্ত্র আদর্শিক গণতন্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিরাষ্ট্র গড়ে ওঠার পর গণতন্ত্রের বিকাশ হয়েছে । তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।  এনআইডি কার্ড প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। সম্পত্তি বেহাত করার জন্য যে এনআইডি কার্ড করা হয়, আমি হয়তো ভুল করে দিতে পারি, কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধের সঙ্গে অংশ হিসেবে যদি এটা আমরা করে থাকি, তাহলে আমাদের টলারেন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না। তিনি বলেন, এখন এনআইডির বাই প্রোডাক্ট হয়ে গেছে ভোটার কার্ড। এনআইডির বিষয় আজ নয়, আজ ভোটার দিবস। কীভাবে এটি বর্তমান পর্যায়ে এলো এটি ইতিহাসের একটা বিষয়। ভোটারের বিষয় যখন হয় তখন প্রতিনিধিত্বের বিষয় আসে। আমরা ইতিহাস বেশি জানি না। আগে কলোনি ছিল, তার আগে রাজত্ব ছিল, ভোটাধিকার ছিল না। ব্রিটিশরা এসে ভোটাধিকার দিলো। সবচেয়ে বড় নির্বাচন হয় প্রথম ১৯৩৫ সালে। তিনি আরও বলেন, ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ। ভোটকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আমরা স্বাধীনতা পেলাম। এরপর সংবিধান পেলাম, যেখানে নির্বাচনের বিষয়টা আছে। নির্বাচন করতে গেলে ভোটারের প্রয়োজন হয়। এতে ভোটারের রায়েই যেন প্রতিনিধিত্ব আসে সেটাই লক্ষ্য ছিল। সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংস্থাটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯

ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাষ্ট্রাচার প্রধান নাঈম উদ্দিন আহমেদ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তারা এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশনের পুনর্গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে বিএফএসএ সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে রক্ষিত ভিজিটরস বইয়ে স্বাক্ষর করেন। বিকেলে কমিটির সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি ও পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।  এসময় তারা পররাষ্ট্র ক্যাডারের সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিএফএসএ-এর সকল সদস্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য অর্জনের পথে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৫

কোস্টগার্ডকে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দিবস উপলক্ষে এ বাহিনীর সর্বস্তরের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পুরান আইনকে হালনাগাদ করে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করেছি। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এ বাহিনীর রূপকল্প ২০৩০ ও ২০৪১ অনুযায়ী যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন, নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বাহিনী পুনর্গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’  কোস্টগার্ডের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আমাদের সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’, ‘সুনীল অর্থনীতি’ ও ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখবে।  শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সুসংগঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই নৌকা ক্রয় করে শত্রুর মোকাবিলা করেছেন এবং সফলতার সঙ্গে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ পরিচালনা করেছেন। জাতির পিতার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ ড্রাইডক এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ১৯৭২ সালে প্রথম যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করে।  তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করা হয়। এতে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেশের নদ-নদী ও সমুদ্রের জলরাশিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার হয়। এই আইনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে আমাদের সরকারের উদ্যোগে সমুদ্র বিজয় সম্ভব হয়। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থেকেও সুনীল অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম জলসীমায় নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে একটি বিশেষায়িত বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিল’ উত্থাপন করে। এ প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী একটি বিকল্প বাহিনী হিসেবে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ প্রতিষ্ঠিত হলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর এ সংস্থাটি পূর্ণদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা কোস্টগার্ডকে ২টি টহল জাহাজ এবং ২টি রিলিফ বোট হস্তান্তর করি এবং ২০০১ সালে বিসিজিএস রূপসী বাংলা নামে একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেলকে কোস্টগার্ডে কমিশন করি। তাছাড়া, সংস্থাটির অবকাঠামো স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের পর এ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালীকরণ’, প্রশিক্ষণ ঘাঁটি নির্মাণ, সমুদ্রগামী জলযান সংগ্রহ অথবা নির্মাণ, অবকাঠামো নির্মাণ, বর্ধিত করাসহ বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে জনবল বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করি। স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে এই বাহিনী বিগত তিন দশকে ৫১০২ জনের প্রশিক্ষিত বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, যার বহরে যুক্ত হয়েছে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের জাহাজসহ সর্বমোট ১৭৯টি জলযান।   তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আমরা দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্টগার্ডের স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ কর্মরত সদস্যদের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করেছি। পটুয়াখালীতে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোস্টগার্ডের জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি, যা ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করা হয়েছে। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করছি। অফসোর প্যাট্রোল ভেসেল, ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, টাগ বোট, ফ্লোটিং ক্রেন, হাই স্পিড বোটসহ বিভিন্ন আকারের ৭৭টি জলযান নির্মাণ করে সংযোজন করেছি। আমরা গত বছর কোস্টগার্ডে ২টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, ২টি টাগ বোট, ১টি ফ্লোটিং ক্রেন ও ১০টি হাই স্পিড বোট কমিশন করেছি। এ ছাড়া কোস্টগার্ডের অপারেশনাল কার্যক্রমকে শক্তিশালী ও বেগবান করার লক্ষ্যে দেশীয় শিপইয়ার্ডে ৪টি নতুন কোস্টাল প্যাট্রোল ভেসেল (সিপিভি) ও ৫টি রিভারাইন প্যাট্রোল ভেসেল (আরপিভি) নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছি। পাশাপাশি একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও স্মার্ট বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য উন্নত প্রযুক্তির সমুদ্রগামী জাহাজ, হোভারক্র্যাফট, হেলিকপ্টার ও দ্রুত গতিসম্পন্ন বোট সংগ্রহের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দিবস ২০২৪ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩

নান্নু-বাশারের বিদায়ে নতুন দায়িত্ব পেলেন যারা
প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তবে প্রায় সব সময়ই তাকে দল নির্বাচনের জন্য সমালোচনার শিকার হতে হয় তাকে। গত বছর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর তাকে বাদ দেওয়ার দাবি জানায় ক্রিকেট ভক্তরা। অবশেষে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে নান্নুকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। সোমবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে বোর্ড সভায় বসেছিল বিসিবি। এই সভায় আলোচনা করে মিহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। আর প্রধান নির্বাচক হিসেবে  গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নির্বাচকের পদ থেকে নান্নু ও সুমনকে ছাটায় হলেও প্যানেলে রাখা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাককে। আর নতুন করে যোগ হয়েছে হান্নান সরকার ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এই নির্বাচক প্যানেলকে নেতৃত্ব দিবেন লিপু। এর আগে বিসিবির সাবেক পরিচালক, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।    বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হয় মিনহাজুল আবেদীন নান্নুদের প্যানেলের। এরপরে বিশেষ অনুমোদনে বাড়ানো হয় সেটির মেয়াদ। ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।  এর আগে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এ দিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করা হান্নান সরকারের জন্য জাতীয় দলের দুয়ার খুলছে।   
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়