• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আদালতে এই অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ২০১২ সালে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার ভেতরে আটক হয় তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়ি। ওই ঘটনার পর রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি ‘রেলের কালো বিড়াল’ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে ‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ ধরা পড়ে। এই বিড়াল একজন কেরানি, নাম আবজাল। চাকরিকালে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটেছেন, হয়েছেন টাকার কুমির। নিজের অস্বাভাবিক কাজের জবাবদিহি থেকে রক্ষা পেতে অর্ধাঙ্গিনী রুবিনার নামে অর্থের সম্পদ রেখেছেন। তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ আবজালের সম্পদকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত এই কেরানি দম্পতি আবজাল-রুবিনার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলার প্রায় চার বছর পর এবার তাদের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোট ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছে। এ ছাড়া দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসেবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও ৩ প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অজি ডলার এবং কানাডায় কানাডিয়ান ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ ডলার পাচার করেন। আর তার স্ত্রী রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অজি ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন। দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ৩০৭ কোটি পাওয়া গেছে। তাদের ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লেনদেন তদন্ত করে এইসব তথ্য পাওয়া যায়। আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাইডেন-জয়া দম্পতির ঘরে নতুন ৩ অতিথি
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার ঘরে তিনটি শাবক জন্ম নিয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খাঁচার ভেতরে শাবক তিনটির জন্ম হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনও তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। নতুন জন্ম নেওয়া বাঘ শাবকের লিঙ্গ নিশ্চিত হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, শাবক তিনটির মা বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এবং তাদের বাবা বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। জো বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা হতে পরিত্যক্ত হয়। এরপর তাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালনপালন করা হয়। এক বছর লালনপালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অন্য বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসেবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সে নিজের পরিবার তৈরি করল। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে সই করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে বাঘটির নাম রাখা হয়েছিল জো বাইডেন জানিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, মানুষের হাতে লালনপালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা। যার পুরো কৃতিত্ব বাঘ জো বাইডেনের। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১

৪ তারকা দম্পতির ভালোবাসার ঘর
শোবিজে ঘর ভাঙা নতুন কিছু নয়। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বনিবনা না হলেই ডিভোর্সের পথে হাঁটেন তারকারা। সংসার টিকানোর চেয়ে ভাঙনের সংখ্যাটাই বেশি। তবে এর মাঝে ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। এমন বেশ কয়েকজন তারকা আছেন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে একজন জীবনসঙ্গীকে আকড়ে ধরেই বেঁচে আছেন। একসঙ্গে পথ চলছেন আজও।   শুধু তাই নয়, যুগ যুগ ধরে একই ছাদের নিচে কাটছে তাদের দিন। এমন উদাহরণ সৃষ্টি করা চারজন খ্যাতিমান শিল্পীকে নিয়ে আজকে ভালোবাসা দিবসের আয়োজন— রামেন্দু মজুমদার-ফেরদৌসী মজুমদার দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটাই দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাটানোর মূল বিষয় বলে মনে করেন খ্যাতিমান অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, পরস্পরের ওপর বিশ্বাস রাখা, শ্রদ্ধা রাখা, নির্ভরতা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এককভাবে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলেই জীবন ও সুন্দর হবে।   তিনি আরও বলেন, ভালোবাসা না থাকলে এতটা পথ একসঙ্গে পাড়ি দেওয়া সম্ভব নয়। ভালোবাসার আলাদা শক্তি আছে। বড় একটা শক্তি আছে। ভালোবাসা আছে বলেই তো সবকিছু এত সুন্দর। তবে তার মানে এই নয় যে, সবসময় বলতেই হবে আমি তোমাকে ভালোবাসি। কাজের মধ্যে দিয়েই তার প্রমাণ হয়ে যায়। আচরণের মধ্যে দিয়ে সেটা বোঝা যায়।  রামেন্দু মজুমদার বলেন, বহু বছর ধরে আমি আর ফেরদৌসী একসঙ্গে অনেক ভালো আছি। কোনো খেদ নেই, অতৃপ্তি নেই। জীবন নিয়ে, সংসার নিয়ে আমরা দুজনেই তৃপ্ত। অনেক সংগ্রাম করেছি। আনন্দের মধ্যে দিয়েই সংগ্রামটা করেছি দুজনে। ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই সংগ্রাম করেছি। আমাদের জীবনে অনেক বাধা এসেছিল। সবকিছুকে পেরিয়ে এভাবেই ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আমরা আজও একসঙ্গে আছি।  আবুল হায়াত-শিরিন হায়াত জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াতের কাছে বিশ্বাস, সম্মান, ভালোবাসা, বোঝাপড়া—এই চারটি বিষয় সম্পর্ককে অনেক সুন্দর করে তোলে। তিনি বলেন, প্রথমত দুজন দুজনকে বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাসের গভীরতা যত বেশি হবে, সংসার জীবন ততটাই শক্ত হবে। পাশাপাশি পরস্পরকে সম্মানও করতে হবে। সম্মান করলেই সংসারে বেশি সুখ আসে।  অভিনেতা আরও বলেন, ভালোবাসা ছাড়া একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাটানো সম্ভব না। দুজন দুজনকে ভালোবেসেই বহুদূর পাড়ি দেওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হবে। সেই বিশ্বাস আর ভালোবাসার মাধ্যমেই দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছি।  রফিকুল আলম-আবিদা সুলতানা প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম। বলেন, ভালোবাসার সত্যিকারের কোনো সংজ্ঞা হয় না। পৃথিবীতে শুধু আমরা নয়, কোটি কোটি মানুষ সংসার করছে। আমরা শোবিজে কাজ করি বলে মানুষ খোঁজখবর রাখছে।  তিনি বলেন, আমি মনে করি— সংসার ও ভালোবাসা আলাদা জিনিস। দুটো ভিন্ন। সংসারে আমরা আছি সংসারের প্রয়োজনে। সংসার চেয়েছি বলেই সংসার হচ্ছে। কারোটা টেকে, কারোটা টেকে না। সংসারটা আবার ভালোবাসার মতোই। ভালোবাসা শুধু দেওয়ার পাশাপাশি ভালোবাসা নিতেও হয়। ভালোবাসা হলো দেওয়া-নেওয়া। এক তরফা হলে হবে না। ভালোবাসা যখন দুজনের দিক থেকে হবে, তখনই সংসারজীবন সুন্দর হবে। পথ চলাটা সহজ হবে।    আজিজুল হাকিম-জিনাত হাকিম অভিনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, পৃথিবীতে ভালোবাসার চেয়ে বড় শক্তি আর নেই। ভালোবাসা দিয়েই সবকিছু জয় করা সম্ভব। ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু পাওয়া সম্ভব। আমিও আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি, সন্তানদের ভালোবাসি, আপনজনদের ভালোবাসি। জীবনের প্রয়োজনেই ভালোবাসা দরকার। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যও ভালোবাসা আর বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।   তিনি আরও বলেন, ভালোবেসে জীবন শুরু করেছিলাম। আজও ভালোবাসা আছে। বিশ্বাস আছে। শ্রদ্ধাবোধও আছে। সংসারজীবনে এগুলো দরকার। ভালোবাসার মতোই বিশ্বাস জিনিসটাও খুব জরুরি। বিশ্বাসহীনতার কারণেই যত সমস্যা। কাজেই এটার গুরুত্ব অনেক। আজিজুল হাকিম বলেন, মানুষ দীর্ঘকাল একই ছাদের নিচে কাটিয়ে দিতে পারবে, যদি বিশ্বাসটা বেশি থাকে। তার সঙ্গে যোগ হবে ভালোবাসা। তারপর আসবে অন্যকিছু। আমরা দুজন দুজনকে যথেষ্ট সম্মান করি। ভালোবাসি। বিশ্বাসও করি। এটা করতেই হবে একসঙ্গে চলতে গেলে। সত্য যেমন সুন্দর, ভালোবাসাও সুন্দর। ভালোবেসেই পাড়ি দেওয়া যায় একটা জনম। ভালোবেসেই কাটিয়ে দেওয়া যায় একই ছাদের নিচে।   
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২

চিকিৎসক দম্পতির ঘরে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসক দম্পতির ঘরে তামান্না আক্তার (১৪) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের মৌলভীপাড়ার একটি বহুতল ভবনের  ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তামান্না কুমিল্লা মুরাদনগরের হিরাকান্দা গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। তারা স্বপরিবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। নিহতের বাবা সুমন মিয়া বলেন, প্রায় চার বছর আগে তার মেয়ে তামান্নাকে চিকিৎসক দম্পতি ডা. আনিসুল হক ও তার স্ত্রী চিকিৎসক ইসরাত জাহানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজের জন্য দেয়। তবে সম্প্রতি তামান্না তার মাকে জানায় তাকে প্রায় সময় মারধর করে। এবং এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় সময়ই বলত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর আসে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মির্জা মোহাম্মদ সাইফ জানান, তামান্নাকে হাসপাতালের আনার পর ইসিজি করে দেখা যায় তার মৃত্যু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত সুমন চন্দ্র বণিক জানান, গৃহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক রহস্য জানা যাবে। এ দিকে ঘটনার পর পর বাসায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় ওই নারী চিকিৎসক। ঘটনাটি শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

সাংবাদিক দম্পতির বাসায় দিনদুপুরে চুরি
রাজধানীর ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকায় সাংবাদিক দম্পতির বাসায় প্রকাশ্য দিবালোকে চুরির ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ ও নগদ অর্থসহ প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই দুই সাংবাদিক নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাব-এডিটর মরিয়ম রিমু এবং একটি জাতীয় দৈনিকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার (ডিজিটাল মিডিয়া) টিপু সুলতান। ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক টিপু সুলতান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।   মামলার এজাহারে বলা হয়, ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকার সিদ্দিকের বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই বছর ধরে ভাড়া থাকেন বাদী। গত ১১ জানুয়ারি তিনি ও তার স্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে বাসা তালাবদ্ধ করে বাইরে বের হন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখতে পান মেইন দরজার তালা নেই এবং দরজা খোলা। স্ত্রীসহ বাসার ভেতরে প্রবেশ করে বাসার রুমের তালাভাঙা এবং সবকিছু ছড়ানো ছিটানো দেখতে পান তিনি। এ সময় তার স্ত্রীর এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, নাকফুল, স্বর্ণের আংটি খোয়া যায়; যার মূল্য এক লাখ টাকার বেশি।   এজাহারে বাদি বলেন, এ ছাড়া ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, স্যামসাং নোটবুক, নগদ টাকা সেভেন জেনারেশনের কোরাই-৫ সিপিইউ খোয়া যায়।  সব মিলিয়ে আমার তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল খোয় যায়। তিনি ধারণা করেন, দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।   সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী আরও জানান, যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ৩ দিনেও চুরির মালামাল উদ্ধার কিংবা জড়িতরা কেউ ধরা পড়েনি।   মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই পুলক কুমার দাস মজুমদার বলেন, তদন্ত চলছে। দ্রুতই আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৫

ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এই আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু   এর আগে, এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। এদিন আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন। আরও পড়ুন : ৬ মাসে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ, স্থগিত থাকবে রানার জামিন   ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পরপরই কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি। তবে অর্থ দিয়েও পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। অভিযোগ বাড়তে থাকার মধ্যে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রাহককে পণ্য বা অর্থ কোনটাই না দেওয়া এবং প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও আটকে যায় রাসেলের মুক্তি। পরে রাসেলও কারামুক্ত হন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়