• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
যশোরের কেশবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় রাকিব হোসেন (১৮) নামে এক চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে যশোর-চুকনগর সড়কের উপজেলার মঙ্গলকোটের বাদুড়িয়া মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত রাকিব হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল নতুনপাড়া এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির চালক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকার হজরত আলীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে।  পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, চুকনগর দিক থেকে আসা একটি কাঠবোঝাই ট্রাক আজ ভোরে উপজেলার মঙ্গলকোটের বাদুড়িয়া মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তরমুজ বোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে কাঠ বোঝাই ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালকের সহকারী রাকিব হোসেন মারা যান। ওই কাঠ বোঝাই ট্রাকের চালক ছিলেন হযরত আলী।  এ ছাড়া তরমুজ বোঝাই ট্রাকটি ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে পড়ে যায়। খবর পেয়ে কেশবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির ভেতর থেকে রাকিব হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। চুকনগর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ট্রাক চালক হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৪

বাসের ধাক্কায় ফেরিতে থাকা ৪ মোটরসাইকেল নদীতে
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার চরখালী ঘাটে ফেরিতে বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় ৪টি মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে গেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ফেরিতে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে থাকা একটি বাস।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী বাস চরখালী প্রান্তের ফেরিতে ওঠার পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাসচালক বাসুদেব দাসকে আটক করেছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেরিটি চরখালী ঘাটে ভেড়ানো ছিল। এ সময় বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী মেট্রোপলিটন পরিবহনের একটি বাস (খুলনা মেট্রো-ব ১১-০১৪৪) ফেরিতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা মঠবাড়িয়া-পিরোজপুরগামী সহারা পরিবহনের একটি বাসকে (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫৬৩১) ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটির এক তৃতীয়াংশ নদীর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ সময় ফেরির সামনে থাকা চারটি মোটরসাইকেল এবং অন্তত ৫০ যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। পরে ফেরিঘাটে থাকা ট্রলার নিয়ে স্থানীয়রা তাদের নদী থেকে উদ্ধার করে। ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহম্মদ হোসেন জানান, দুর্ঘটনা পর পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯

মৃত্যুর কারণ জানা গেল মহাসড়কে পড়ে থাকা সেই হাতির
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতিটি লিভার ডিসফাংশনে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন ভেটিরিনারি সার্জন। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটির মরদেহ গজারি বনে পুতে রাখা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার পর হাতিটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মৃত হাতিটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে। এটি ছিল পুরুষ হাতি। দুপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় মৃত হাতিটির মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো কে বা কারা উঠিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হওয়ার পর এখানে এনে ফেলে রেখেছে। হাতির দাঁতের মূল্য রয়েছে। হাতির দাঁতের জিনিস কেনাকে ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ, এটি বিরল ও টেকসই। তাই মারা যাওয়ার পর হাতিটির দাঁত খুলে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিভার ডিসফাংশনের কারণে হাতিটি মারা গেছে। পোস্টমর্টেমের সময় লিভার, ফুসফুস ও পেরিটোনিয়াম নষ্ট পাওয়া গেছে। উদ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরে এলাকায় মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হায়দার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভাওয়াল গজারি বনের ভেতর হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৬

ফর্মে থাকা নারিনকে বিশ্বকাপে চান পাওয়েল
অবসর ভেঙে ঘরের মাঠে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য সুনীল নারিনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে প্রচেষ্টা করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন নারিন। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে বল হাতে দুই উইকেটও নেন তিনি। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৪ বছর আগে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ৩৫ বছর বয়সী নারিন। তবে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে নারিনকে পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন পাওয়েল।  রাজস্থানের হয়ে খেলা পাওয়েলের ভাষ্য, ‘গত ১২ মাস ধরে তার কানে ফিসফিস করছি আমি। কিন্তু সে কারও কথাই শুনছে না।’ এদিকে পাওয়েলের আশা, আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিনিয়র ক্রিকেটার কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো এবং নিকোলাস পুরাণরা তাকে রাজি করাতে পারবেন। পোলার্ড ও ব্রাভো কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে লখনৌর হয়ে খেলছেন পুরাণ। ক্যারিবীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পুরাণ। বাঁ-হাতি ব্যাটার নারিন সাধারণত মিডল কিংবা লোয়ার-অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন। কিন্তু আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার ইনিংস উদ্বোধন করছেন তিনি। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত এবারের আসরে ২৭৬ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি হাই-স্কোরিং উইকেটে বল হাতে ৬ দশমিক ৮৭ ইকোনমি রেটে ৭ উইকেট শিকার করেছেন। এবারের মৌসুমের শুরুতে নারিন বলেছিলেন, ‘বাড়িতে বসে আগামী বিশ্বকাপ দেখবেন।’ কিন্তু সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরে আসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রহস্যময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নারিন। ২০১২ সালে অভিষেকের পর ৫১ টি-টোয়েন্টি খেলা নারিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। তবে দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি হয়।’
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৩

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পিকআপের ধাক্কা, আহত ১০ 
ঈদের ছুটি শেষে পিকআপভ্যানে কর্মস্থলে ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ১০ জন পোশাককর্মী। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া ঈদগাঁহ মাঠ-সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মো. শহীদ (৩৪), তার স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসী (২৮), শহীদুল ইসলামের ছেলে পলাশ (২৫) এবং একই জেলার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন (২৪)। অপর আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারাও একই জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের আগে সিংগুরিয়া মসজিদের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। ভোর ৫টার দিকে ঢাকাগামী ১০ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের ৫ জনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ-সংলগ্ন মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা সবাই আহত হন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল দ্রুত আমরা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আহত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি। আমরা পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা অপর আহত ৫ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য হানিফ পরিবহনের বাসটি মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি পিকআপ পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে কেউ ভূঞাপুর, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
বরিশালের বাকেরগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের রুহিতারপাড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি উপজেলার বদরুল সিকদার (৬০) ও বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকার মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৬১)। তারা পেশায় ঠিকাদার বলে জানা গেছে।  বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন পটুয়াখালী থেকে বরিশাল নগরীর উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। দ্রুতগতির মোটরসাইকেল রুহিতার পাড় এলাকায় পৌঁছে সড়কের পাশে থামানো ট্রাকের পিছনে ঢুকে যায়। এতে উভয়ে মাথায় আঘাত পান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬

কেমন কাটছে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ঈদ
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসের মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঈদ কাটছে পেশাগত কারণে মানুষের নিরাপত্তা দিতে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, অন্যের ঈদ নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের একজন ঈদগাহ ময়দানে দায়িত্বরত কনস্টেবল মো. আসলাম অহসান। তিনি বলেন, দুই ঈদের একটাতে ডিউটি করতেই হয়। ফলে এবার ডিউটি করছি। কোরবানিতে ছুটি নেবো, তাই এবার কষ্ট করতেছি। কি আর করার আমাদের চাকরিটাই এমন। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। আরেক পুলিশ সদস্য তানভীর কবির বলেন, আমি ডিউটির জন্য ঢাকায় আছি, পরিবারের সবাই গ্রামে। ঈদের পর ছুটি নিয়ে বাড়ি যাবো। পরিবার ছাড়া ঈদ করতে তো কারোই ভালো লাগে না। তবুও কাজের জন্য সবই করতে হয়। বাংলামটর ট্রাফিক সিগন্যালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মো. ইয়াসিন রহমান বলেন, ঈদের দিনও আমাদের এ কাজই করা লাগে। রাস্তায় গাড়ি সামলানোই আমাদের কাজ।  এক ফাঁকে ঈদের নামাজ পড়েছি। এখন আবার রাস্তায় ডিউটি করতেছি। আমাদের ঈদ এভাবেই কাটে। র‌্যাব সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। এর মধ্যেই আমরা আনন্দ পাই। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারলেও এত মানুষের সঙ্গে ঈদ করি সেটাই কম কিসের।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮

বেইলি রোড ট্র্যাজেডি / শর্টসার্কিটের আগুন ছড়ায় জমে থাকা গ্যাসে
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।   ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা ‘চা চুমুক’ কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে। তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।   গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।  ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম। ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯

সাগরে ভাসতে থাকা ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে ফেরত দিল ভারতীয় কোস্টগার্ড
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় সীমানায় ভাসতে থাকা ২৭ জেলেকে উদ্ধার করছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার দুপুরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে ‘এফভি সাগর-২ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।  পরবর্তীতে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে। তিনি আরও বলেন, ৫ এপ্রিল ভোর ৫ টায় মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার নিকটবর্তী স্থানে উক্ত জেলেদের বোটসহ মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

দাঁড়িয়ে থাকা বগিতে ইঞ্জিনের ধাক্কা, আহত অর্ধশত যাত্রী
লালমনিরহাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের সজোরে ধাক্কায় অন্তত ৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিরা রেলওয়ের হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুরুতর আহতরা হলেন শেফালী আক্তার (৪০), সামিনা খাতুন (৬২), নবিজুল ইসলাম (৬০) ও জাহেদুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুড়িমারী থেকে পার্বতীপুর গামী ৪৫৬/৪৬১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশনে এলে অন্য একটি ইঞ্জিন বদলের জন্য বগিগুলোর সঙ্গে সংযোগের উদ্দেশ্যে লোকোশেড থেকে এগিয়ে আসতে থাকে। এ সময় রেলওয়ের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ ইঞ্জিনটি চালাচ্ছিলেন। বগির কাছাকাছি আসার সময় ইঞ্জিনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয়। এতে বগির অভ্যন্তরে থাকা অর্ধশত যাত্রী ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে পাশেই থাকা রেলওেয়ের বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন। দুর্ঘটনায় আহত শেফালি আক্তার বলেন, আমি ভেবেছিলাম ইঞ্জিন বদলের সময় তেমন জোরে ধাক্কা দেয় না। কিন্তু কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ইঞ্জিন প্রবল বেগে ধাক্কা দিলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার মাথায় দুইটি শেলাই পড়েছে। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজ বলেন, আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে গুরুতর চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ইঞ্জিনের ব্রেক লাগাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার ছিল বলে তিনি দাবি করেন। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নূরনবী বলেন, একটা ইঞ্জিন বদল হয়ে আরেকটা ইঞ্জিন সংযোগ নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনাটা ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ সেই ট্রেন নিয়ে ইতিমধ্যে রওনা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন, তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। জানতে চাইলে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেবো না। ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়