• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান  / বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ফলে বিদেশি তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো (আইওসি) কাজ করতে আরও আগ্রহী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের একাধিক কোম্পানি পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। গভীর এবং অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য গত রোববার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। দরপত্রে অংশ নিতে ৫৫টি আইওসির কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দরপত্র প্রকাশ উপলক্ষে সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জ্বালানি বিভাগ। এতে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, এবারের বিডিংয়ে বেশ কিছু নতুনত্ব আছে। এ কারণে আশা করা হচ্ছে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। এর একটি হলো ব্রেন্ট ক্রুডের (অপরিশোধিত জ্বালানি তেল) সঙ্গে দাম সমন্বয় করা। আগে এটা ছিল ফার্নেস অয়েলের সঙ্গে। এতে আস্থার সংকট ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্টের দাম বাড়লে প্রাপ্ত গ্যাসের দাম বাড়বে। আবার কমলে কমবে। বাড়তি সুবিধার মধ্যে আরও আছে কর মওকুফ ও হিস্যা বাড়ানোর বিষয়। অর্থাৎ, বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠানকে কোনও ধরনের কর দিতে হবে না। সংশোধিত মডেল পিএসসিতে (উৎপাদন বণ্টন চুক্তি) এমন সুবিধার পাশাপাশি সাগরে প্রাপ্ত গ্যাসের হিস্যার পরিমাণও আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া গ্যাস রপ্তানির সুযোগসহ বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হচ্ছে আরও সুবিধা। তবে এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থও অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, সমালোচনা যারা করেন, তাদের মুখে ছাই দিয়ে আমরা আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ইতিবাচক জায়গা দেখাতে পেরেছি।  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের প্রাথমিক কাজ শুরু হলো। ২৪টি ব্লকে আমরা দরপত্র ডেকেছি। সরকার চায় যাদের গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কাজে সফলতা আছে, বিশ্বের এমন বিখ্যাত কোম্পানি এই উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিক। পেট্রোবাংলা বলছে, সাগরে তেল-গ্যাস পেলে তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের অংশের তেল বা গ্যাস প্রথমে পেট্রোবাংলা এবং পরে দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে হবে। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান কিনতে রাজি না হলে, তখন তারা তা বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে। অনুষ্ঠানে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সম্পদ আহরণে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু সমুদ্র নয়, স্থলভাগেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করতে হবে।  আর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, পেট্রোবাংলার উদ্যোগে দুটি ডেটা সেন্টার করা হবে। এখানে ৮টি প্যাকেজে ডেটা প্রস্তুত থাকবে। আগ্রহীরা এই ডেটা কিনতে পারবে। তেলের জন্য ২০ বছর এবং গ্যাসের জন্য ২৫ বছর ধরা হয়েছে চুক্তির মেয়াদ।   
১২ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৪

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানির
বঙ্গোপসাগরে অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্রে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন বড় বড় কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি।  সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে নসরুল হামিদ বলেন, এবারের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।  তিনি বলেন, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমার সময় দেয়া হয়েছে। এরপর বাছ-বিচার করে দেখা হবে, কোন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এজন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনে দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:১৬

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। আর এ জন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি। জানা গেছে,  ২০১২ ও ২০১৪ সালে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয় বাংলাদেশের। সমুদ্রে মোট ২৬টি ব্লক আছে, যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি। এসব ব্লকে ২০১০ সালে গভীর সাগরে ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ ব্লকে কাজের আগ্রহ দেখায় কনোকো ফিলিপস। কোম্পানিটি ২ডি জরিপ শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি করে, সেই দাবি না মানায় কাজ ছেড়ে চলে যায় কোম্পানিটি। অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ুও চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে সমুদ্রের ২টি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। তাই এ দুটি বাদ দিয়ে ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সন মবিল ও শেভরনও এই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছিল পেট্রোবাংলা। এরপর ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে নতুন পিএসসি চূড়ান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। যেখানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণে আগের চেয়ে সুবিধা বাড়ানো হয়। অবশেষে সেই দরপত্র আহ্বান করলো পেট্রোবাংলা।  এবারের অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি) বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করতে নীতিমালায় বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম ঠিক করা হবে। গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ারের অনুপাত বাড়তে থাকবে। গভীর সমুদ্রে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ এবং অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের শেয়ার ৪০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করবে। কোম্পানি যদি গ্যাস বিক্রি করতে চায়, তাহলে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে, পেট্রোবাংলা নিতে না চাইলে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেছেন, ডাটার জন্য আলাদা ৮টি প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো কিনে আমাদের ব্লকগুলো সম্পর্কে তথ্য পাবে আগ্রহী কোম্পানিগুলো।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজ আরও জোরদার করা হবে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
অভ্যন্তরীণ সকল উৎস হতে দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬টি কূপ খনন, পুনঃখননের কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব কূপ থেকে ৬১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০২৩ সালে এই কার্যক্রমের আওতায় ১১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে, এ কার্যক্রম চলমান। তিনি বলেন, ভোলা দ্বীপ একটি গ্যাস সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে আরও ৯টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোলার নদী এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পণ জরিপ করা হবে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইন দিয়ে ৩ বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস মূল ভূ-খণ্ডে নেওয়া হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলায় শিল্প গ্যাস সংযোগ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বর্তমানে ভোলা থেকে সিএনজি করে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেশের মূল ভূ-খণ্ডের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হবে। সফরকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়