• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ময়মনসিংহে ছাতা ও সুপেয় পানি নিয়ে মাঠে যুবলীগ 
প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ময়মনসিংহে বিতরণ করা হয়েছে ছাতা। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সুপেয় পানি, স্যালাইন এবং জুস।  ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর নির্দেশে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। রোদে সুরক্ষার জন্য ছাতার পাশাপাশি সুপেয় পানি, স্যালাইন এবং জুস পেয়ে খুশি পথচারীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। এ সময় আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশের মাঝেও বিতরণ করা হয় ছাতা। আগামী চারদিন শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষের মাঝে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল পাঠান। ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের এ নেতা বলেন, প্রথমদিনে ১০০ জনের মাঝে ছাতাসহ পথচারী ও নিম্ন আয়ের সহস্রাধিক মানুষকে সুপেয় পানি, স্যালাইন এবং জুস দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ সদর আসনের এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত এর নির্দেশে বসানো হয়েছে এমন সেবামূলক বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ও ছাতা নেওয়া যাবে। যতদিন অসহ্য তাপদাহ থাকবে, এ কার্যক্রম ততদিন চলবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৮

রাজধানীতে ৩৫ হাজার রিকশাচালক পাচ্ছেন ছাতা ও খাবার স্যালাইন 
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালকের প্রত্যেককে বিনা মূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি আধা লিটার পানির কনটেইনার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। রোববার (২৮ এপ্রিল) গুলশান-২ নম্বর নগর ভবনের সামনে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।  ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র দাবদাহে রিকশাচালক ভাইদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে তাদের মধ্যে বিনা মূল্যে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, রিকশা চালকদের কষ্ট দেখলে খুবই খারাপ লাগে। তারা যদি প্রচণ্ড রোদে পুড়ে অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে পুরো পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়বে। কারণ অনেক রিকশাচালকের দৈনিক ইনকামের ওপরে তাদের পরিবার চলে। তাই তীব্র দাবদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাতাটা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অ্যাডজাস্টেবল। কোনো রিকশাচালক লম্বা হলে ছাতার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবে, কেউ উচ্চতায় কম হলে ছাতার উচ্চতা কমিয়ে নিতে পারবে। তাদের প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির জার দিচ্ছি। এতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারবে। চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।  মেয়র আতিক বলেন, স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলমান থাকবে। পার্কগুলোতেও পানির স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি বেশ ব্যয়বহুল। কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি কেউ ছাতা দিয়ে সহযোগিতা করতে চাইলে এগিয়ে আসতে পারেন।  তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়িকে (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে, যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে এবং পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি খেতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত বছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এ বছর আরও এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাবো। কিছু কিছু জায়গায় কিছু গাছ মারা গেছে। আসলে আমাদের আগে গাছের পরিচর্যার জন্য মালি ছিল না। ৪৭ জন মালি, তিনজন সুপারভাইজারের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। মালি নিয়োগ হয়ে গেলে পরিচর্যা জোরদার করা হবে। আমি নগরবাসীকেও অনুরোধ করছি গাছগুলো দেখে রাখার জন্য। সিটি কর্পোরেশন পরিচর্যা করছে, পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে সেগুলোর যত্ন নেবেন। ছাতা বিতরণ কার্যক্রম দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ও ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত। পরে মেয়র রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে স্প্রে ক্যাননের পানি ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫

দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে ছাতা বিতরণ
গরমে অতিষ্ঠ জনসাধারণের সুরক্ষা-সচেতনতায় এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগে মাঠে নেমেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলার জনবহুল স্থানগুলোতে খোলা হয়েছে সুপেয় পানির বুথ, যেখানে পথচারীরা পান করছে বিনামূল্যে পানি ও স্যালাইন। একই সঙ্গে বুথ থেকে পথঘাটে থাকা নিম্ন আয়ের শ্রমিক-কর্মজীবীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ছাতা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন। জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে স্থানীয়দের মাঝে। পথচারী ও সুফল পাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা জানিয়েছে স্বস্তির কথা।     জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন জানান, জেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভাসহ মোট শতাধিক স্থানে জনসচেতনতার অংশ হিসাবে বসানো হচ্ছে জনসচেতনতার এমন বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান ও নিম্ন আয়ের মানুষ ছাতা নিতে পারছেন। এতে পথচারীদের পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতা তৈরি করবে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতায় জেলার সর্বত্র করা হচ্ছে মাইকিং।   কর্মসূচির উদ্বোধনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মো. আতাউর রাব্বী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিফা খানসহ জেলা প্রশাসন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়