• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
এবার নাগপুরের ব্যবসায়ীদের চোখ বাংলাদেশে 
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করির নেতৃত্বাধীন নাগপুরের সিন্দি মাল্টিমডেল লজিস্টিক পার্ক আগামী জুনে বাংলাদেশে রপ্তানি বাড়াতে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিভাগের ওয়ার্ধা জেলার সিন্দি তহসিলে অবস্থিত এই বন্দরটি গত ১৪ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বাণিজ্যিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে এই পরিষেবা শুরু হবে।  আর তাতে বাংলাদেশে রপ্তানি করা পণ্য কন্টেইনারে করে ট্রেনে এবং নদীপথ হয়ে বাংলাদেশে পৌছাতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। যেখানে সমুদ্রপথে আসতে সময় লাগতো ২০ থেকে ২৫ দিন।  ভারতীয় কন্টেইনার অপারেটরগুলো রপ্তানি বাড়াতে এখন বাংলাদেশের দিকে নজর দিচ্ছে। নাগপুর থেকে প্রাথমিকভাবে রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে আছে তুলা, অটোপার্টস, ট্রাক্টর এবং সুতা। এই পার্ক চালু হলে সেখান থেকে ২০ শতাংশ লজিস্টিকস সেবা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে নাগপুরের কন্টেইনার ডিপোগুলো ভারতীয় রেলওয়ে, ডিএলআই এবং আদানি গ্রুপের একটি সহায়ক সংস্থা কনকর দ্বারা পরিচালিত হয়। এর সঙ্গে সিন্দি এমএমএলপির সংযোজন মোট চারটিতে নিয়ে আসবে। অপারেটরদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমান পরিবহনের জন্য হয় যানজটপূর্ণ সড়ক পথ অথবা আঁকাবাঁকা সমুদ্র যাত্রার কারণে কলম্বো কিংবা সিঙ্গাপুর হয়ে ঘুরে যেতে হয়, যা মালবাহী খরচ এবং সরবরাহের সময়কাল উভয়ই বাড়িয়ে তোলে। নাগপুর থেকে কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি হলদিয়া যাবে এবং সেখান থেকে নদীপথে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এর ফলে সড়ক বা সমুদ্রপথে ২০-২৫ দিনের তুলনায় এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।  ভারতের জাতীয় নৌপথের (এনডব্লিউ) মধ্যে সবচেয়ে বড় পথটি হলো গঙ্গা-ভাগীরথী ও হুগলি নদী হয়ে এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত। প্রায় ১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথকে ১৯৮৬ সালে জাতীয় নৌপথ-১ হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার, যেটি উত্তর প্রদেশকে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এরপর একে একে আরো পাঁচটি জাতীয় নৌপথ ঘোষণা করা হয়। এর চারটিই বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। তিনটি দিয়ে এরই মধ্যে দুই দেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে। ২০২৩ সালে ৫৮ বছর পর চালু হয়েছে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের ময়া নৌবন্দর।  ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-প্রটোকলের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদীবন্দরের মর্যাদা পেয়েছে।  ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ছয়টি জাতীয় নৌপথ হলো—গঙ্গা নদী দিয়ে এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত (১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার), যেটিকে বলা হচ্ছে এনডব্লিউ-১। ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে সাদিয়া থেকে ধুবরি পর্যন্ত ৮৯১ কিলোমিটার পথটি এনডব্লিউ-২। কেরালা ব্যাকওয়াটারে ২০৫ কিলোমিটার এনডব্লিউ-৩ কোট্টাপুরম থেকে গিয়েছে কোল্লাম পর্যন্ত। এনডব্লিউ-৪ বা গোদাবারি নদী ও কৃষ্ণা খাল দিয়ে ওয়াজিরাবাদ পর্যন্ত যাওয়া পথটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার। পূর্ব উপকূলসহ ব্রাহ্মণী নদী ও মহানদী ব-দ্বীপ প্রণালি হয়ে ব্রাহ্মণী নদী থেকে মহানদী পর্যন্ত ৬২৩ কিলোমিটার পথটিকে বলা হয় এনডব্লিউ-৫। বরাক নদী-লখিপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এনডব্লিউ-৬ পথটি ১২১ কিলোমিটার। এনডব্লিউ-১, এনডব্লিউ-২, এনডব্লিউ-৫ ও এনডব্লিউ-৬ নৌপথে পড়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নদী ও সমুদ্র জলসীমা। এর মধ্যে এনডব্লিউ-১ কলকাতা-হলদিয়া-মোংলা হয়ে আশুগঞ্জ-শেরপুর দিয়ে করিমগঞ্জ, এনডব্লিউ-২ কলকাতা থেকে খুলনা-মোংলা হয়ে চিলমারী নদী দিয়ে ধুবরি-পান্ডু-শিলঘাট, এনডব্লিউ-৫ কলকাতা থেকে মেঘনা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে আসাম এবং এনডব্লিউ-৬ কলকাতা থেকে মেঘনা হয়ে আসাম গিয়েছে। এ চারটির তিনটি নৌপথেই ট্রানজিট ও ফ্রেন্ডশিপ চুক্তিতে দুই দেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে।  বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে নদীপথ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাওয়া চারটি নৌপথ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারলে উত্তর প্রদেশ, বিহার, কলকাতা, উড়িষ্যা, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরামে সরাসরি পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চালাতে পারবে ভারত। এতে নতুন মোড় নেবে ভারতীয় বাণিজ্যে। পাশাপাশি বাংলাদেশও লাভবান হবে।  সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের নৌপথে ভারতের নির্ভরশীলতা বাড়ার বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। এতে শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশও লাভবান হবে। দুই দেশেই বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। তবে নৌ ট্রানজিট ব্যবহারে নৌপথ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভারতকেও অংশ নিতে হবে। তাহলেই ভারতের নির্ভরশীলতা থেকে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারবে। 
১৪ মে ২০২৪, ১৬:৫৭

হোয়াইটওয়াশে চোখ টাইগারদের
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে মিরপুর শেরে-বাংলা-জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। রোববার (১২ মে) সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ঘরের মাঠে দিনের বেলায় সচরাচর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে না বাংলাদেশ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটি দিনের বেলায় করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। এদিকে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে দিনের বেলাতেই বাংলাদেশকে খেলতে হবে। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্লাটফর্ম হিসেবেই নিয়েছে বাংলাদেশ।  প্রথম ৪ ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। এতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবার প্রতিপক্ষকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে শান্ত-সাকিবরা। অবশ্য নিয়মিতভাবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয় না টাইগারদের।  চলতি সফরে জিম্বাবুয়ের যে পারফরমেন্স তাতে তাদের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করাটাই হবে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ ফল। তবে স্বাগতিক দলকে এখনও অনেক সমস্যার সমাধান কতে হবে। গত দুই বছরে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং নিয়ে এখনও চিন্তার বিষয় রয়েই গেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ  অধিকাংশ ব্যাটারই এখন পর্যন্ত জ্বলে উঠতে পারেননি। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে যা বাংলাদেশ দলের জন্য চিন্তার বিষয়। ব্যাট হাতে কেবল ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং তাওহীদ হৃদয় কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছেন। কিন্তু কোনো ম্যাচেই পুরো ব্যাটিং লাইন-আপ ক্লিক করতে ব্যর্থ হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট পতন বাংলাদেশ দলের জন্য একটা কঠিন বার্তা। দুই ওপেনার  তানজিদ ও সৌম্য সরকার উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান তুলে প্রমাণ করেছেন মিরপুরের উইকেট খুব জটিল এবং স্লো ছিল না।  বোলারদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সুবাদে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৫ রানে জয় পেলেও বাজে শট খেলে ব্যাটাররা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। চতুর্থ ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৩ বারের মোকাবিলায় জয়ের সংখ্যাটা ১৬-তে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে মাত্র ৭টি ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। দুই দলের মোকাবিলায় নিজ মাঠে সর্বশেষ সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে এবার যেন বাংলাদেশ সফরে পুরো সিরিজেই ধুকছে। তবে  তাদের তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন এবং অফ-ফর্মে থাকা টপ-অর্ডার এবং সিনিয়রদের কাছ থেকে  কিছুটা সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।
১২ মে ২০২৪, ০৮:৩০

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার ৬ কৌশল
স্মার্টফোন হলো হাতের মোবাইল কম্পিউটিং যন্ত্র।এটি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। এর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার সক্ষমতা এবং বিস্তৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যেগুলো মূল সুবিধা; যেমন ফোন কল, বা টেক্সট বার্তার সাথে সাথে আরও বেশি সফটওয়্যার, ইন্টারনেট (ওয়েব ব্রাউজিং সহযোগে) এবং মাল্টিমিডিয়া সুবিধা (ক্যামেরা, মোবাইল গেমিং) ইত্যাদি প্রদান করে।  বর্তমানে বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের পাশাপাশি বিনোদন মাধ্যমেও পরিণত হয়েছে এটি। তবে দীর্ঘ সময় স্মার্টফোনের নীল আলোতে থাকা চোখের জন্য ক্ষতিকর। যে কারণে দৈনন্দিন জীবনে স্মার্ট এ ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। কিছু কৌশল মেনে চললে চোখ নিরাপদে রাখা যায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর প্রতিবেনে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার কৌশল জানিয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কৌশলগুলো। ২০/২০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখতে ২০/২০/২০ নামে একটি নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ২০ মিনিট পরপর ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এ পদ্ধতি চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা যেকোনো স্মার্টফোন কেনার আগে চোখের সুরক্ষায় এতে কী কী ফিচার রয়েছে সে বিষয়ে জানতে হবে। বেশি ব্রাইটনেস সুবিধা দেয়—এমন ডিভাইস কেনা ভালো। তবে স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস লেভেল এমন রাখতে হবে, যাতে ফোনে সব সময় ভালোভাবে ছবি বা ভিডিও আরামে দেখা যায়। নীল আলোর নিঃসরণ কমানো স্মার্টফোনের পর্দা থেকে বেরোনো নীল আলো চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ জন্য ফোনের ডিসপ্লে সেটিংস থেকে ব্লু লাইট ফিল্টার চালু করে রং ও উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের পর্দা থেকে কম নীল আলো বের হবে, ফলে চোখের ক্ষতি হবে না। নাইট মোড চালু নাইট মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং লেখাগুলো সাদা দেখায়। ফলে অন্ধকারে অতিরিক্ত আলো ছাড়াই পর্দার লেখা বা ছবি ভালোভাবে দেখা যাওয়ায় চোখের ওপর চাপ পড়ে না। বর্তমানে বেশির ভাগ স্মার্টফোনে নাইট মোড সুবিধা রয়েছে। নিয়মিত চোখের পলক ফেলা নিয়মিত পলক ফেলার ফলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার ১ সেকেন্ড সময় ধরে চোখের পলক ফেলতে হবে। বিরতি নেওয়া দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখের ওপর বেশ চাপ তৈরি হয়। পর্দায় কাটানো সময় বা স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
০৬ মে ২০২৪, ০৩:৩০

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয়ে চোখ টাইগারদের
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে শান্ত বাহিনী। রোববার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে দুই দল। বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এতে বেশ খোস মেজাজে রয়েছে টাইগাররা। তবে দল ছন্দে থাকলেও লিটনের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে বেশ চিন্তিত টাইগার ম্যানেজমেন্ট।  ফলে এই সিরিজে ম্যাচ খেলিয়ে বিশ্বকাপের আগে লিটনকে ফর্মে ফেরাতে চায় কোচ হাথুরুসিংহে। কারণ, আসন্ন টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে ওপেনিং গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে এই ডান হাতি ব্যাটারকে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্ডার রাজা। এ জন্য দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ঘুরে দাঁড়ানো জন্য আহবান জানিয়েছেন তিনি।  টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ ম্যাচ খেলে ১৪টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি সাত ম্যাচে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ।   বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। জিম্বাবুয়ে দল : সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গি, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, এন্সলি এন্দলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।
০৪ মে ২০২৪, ২৩:৪০

১৪ মাস পর চোখ মেলছেন নিবিড়, বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের পরিবারে হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা যেন মুহূর্তেই সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয়। কানাডায় ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনায় ছেলে কুমার নিবিড় এতটাই মারাত্মকভাবে আহত হন যে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা শুধুই ভাগ্য ও স্বপ্নের মতো ছিলো। ১৪ মাস পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা নিবিড় চোখ মেলে তাকিয়েছে, দেখেছে বাবা–মায়ের মুখ। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে জানান কুমার বিশ্বজিৎ। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা-মা দুজনেরই ঠিকানা কানাডার সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীতমঞ্চের বাইরে। এর মধ্যে দু’বার তিনি দেশে এসেছেন। ছেলের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমি কানাডায় যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে রিহ্যাবে নেওয়া হবে। কুমার বিশ্বজিৎ জানান, নিবিড়ের মা অনেক কষ্ট করছে। সকালে হাসপাতালে আসা, এরপর রাতে আবার বাসায় যাওয়া, সব মিলিয়ে কঠিন সময় কাটছে। যদিও আমাদের আত্মীয়স্বজনও আছেন। তারাও হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আসেন, নিবিড়ের দেখাশোনায় সময় দেন। ছেলের মুখ থেকে বাবা-মা ডাক শোনার জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাঈমা সুলতানা। কবে নিবিড়ের কণ্ঠ থেকে শব্দ বেরুবে, তা এখই বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তারা চিকিৎসাবিদ্যার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যার ফলে এখন কিছুটা উন্নতির দিকে শারীরিক অবস্থা। কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, নিবিড়ের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হয়, বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো, ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, বাবা আসছে, মা আসছে’, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, আমাদের চিনতে পারো? তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৯

গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা প্রথম বিদেশ সফর করেন জার্মানিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন। তবে সেটি দ্বিপাক্ষিক সফর ছিল না, বহুপাক্ষিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের বিষয় ছিল।  থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে বুধবার ব্যাংকক গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনেও যোগ দিয়েছেন তিনি।  থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ব্যাংককে এটাই হবে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এ উপলক্ষে গত সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রচার করে ঢাকা ও ব্যাংকক। তাতে বলা হয়, আসন্ন সফরের মধ্যদিয়ে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হবে। এটি হবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর আগে এই দফা ক্ষমতা গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান সফর করেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলথানি ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেনজা শুলজেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচনের আগে বহুবিধ চাপের মুখে ফেলার চেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও এখন নানা কারণেই আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইজিং নেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন। ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, রমজানে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করেন না। বেইজিংয়ের চাওয়া, চলতি বছরের মধ্যে অবশ্যই যেন চীন সফরে যান শেখ হাসিনা। ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর কোথায় যাবেন সেটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হয় ঢাকাকে। প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর দুই শীর্ষ নেতা ওই বৈঠকে বসেন। এখন প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে গেলে আবার তাদের মধ্যে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের পাশাপাশি তালিকায় আছে ভারত সফরও। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দিল্লি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লোকসভা নির্বাচন শেষ হবে পহেলা জুন। তবে দিন-তারিখ এখনো নির্ধারিত নয়।   সম্প্রতি সফর শেষ করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফায় ৭০ মিনিটের বেশি সময় আলোচনায় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বাংলাদেশ ও কাতারের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংযুক্তি, পর্যটনসহ নানা খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজতে কাতারের আমির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে তিনি দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা
লক্ষ্মীপুরে কামাল হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসকরা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কামাল হোসেন বশিকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পোদ্দার বাজারের ফল ব্যবসায়ী। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কামাল হোসেন ইফতারের পর বাড়ি থেকে পোদ্দার বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। নন্দীগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাকে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে রড দিয়ে খুঁচিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, কামাল হোসেনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তার ডান চোখসহ মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার মাথা, নাখ-মুখ ও চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

হাথুরুর চোখ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
বাংলাদেশের সামনে প্রথমবার শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর সুযোগ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩ রানে হতাশার পরাজয়ের পর দ্বিতীয়টিতে ৮ উইকেটের জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজেরা। শনিবার (৯ মার্চ) লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় এলেই ইতিহাস গড়বে টাইগাররা। তেমন কিছুরই অপেক্ষায় আছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।  একই সঙ্গে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চোখ রাখছেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টার। বিশেষ করে সেখানকার উইকেট নিয়েই ভাবছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের অস্ট্রেলীয় যোগাযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন হাথুরু। শুক্রবার (৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হাথুরুসিংহে। সেখানে তার দাবি, আমরা ইতিহাসটা বদলানোর দ্বারপ্রান্তে আছি। হাথুরুসিংহের ভাষ্যমতে, আমরা সিরিজটা জেতার মতো অবস্থানে আছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচটা জেতা। ম্যাচটা যেহেতু দিনে, আমাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে ম্যাচটা জেতার। তবে এটাও বলব, শ্রীলঙ্কা খুবই ভালো টি-টোয়েন্টি দল। যা-ই হোক, আমরা নিজেদের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। লঙ্কান এই কোচ যোগ করেন, শেষ ম্যাচের কথা যদি বলি, আমরা প্রায় নিখুঁত খেলেছি। এটা দেখে ভালো লেগেছে যে ছেলেরা খুব দ্রুত এর আগের ম্যাচ থেকে শিখেছে। বোলাররা প্রথম ম্যাচে যেমন বল করেছে, তার চেয়ে ভালো করেছে পরের ম্যাচে। ব্যাটসম্যানরাও প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লের ভুল শুধরে নিয়েছে পরের ম্যাচে। এদিকে চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় শুধু লঙ্কান সিরিজ নিয়ে ভাবছেন না হাথুরু। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ নিয়েও তাকে ভাবতে হচ্ছে। তবে ঘরের মাঠে এই সিরিজ দিয়ে সঠিক সমন্বয় পরখ করে দেখতে আগ্রহী তিনি।  হাথুরুর মতে, আমরা বিশ্বকাপের জন্য সমন্বয় খুঁজছি। সেই সমন্বয়ে কে, কোনভাবে জায়গা করে নেয় এবং সেখানে কে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেটাও দেখছি। টাইগারদের কড়া এই হেডমাস্টার যোগ করেন, আমরা ভালো উইকেটে খেলতে চাই। আমি জানি না আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কেমন উইকেট পাব। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ আছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। কারও কোনো ধারণা নেই, সেখানে উইকেট কেমন হবে। সেখানকার কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমি জেনেছি, সেখানে ড্রপ-ইন উইকেট থাকবে। অ্যাডিলেডে প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। আশা করছি, অস্ট্রেলীয় উইকেট যেমন হয়, তেমনই হবে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়