• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠি
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বর্তমানে ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ কোটাধারীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। এমন অবস্থায় চাকরিপ্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ বহুদিন ধরে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করছে। কোটপদ্ধতি তুলে দেওয়ার দাবিও ছিল তাদের। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী।  বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করতে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি-আধা সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তি সংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর বিধায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। করোনার কারণে প্রায় আড়াই বছর যাবৎ তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু, লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততোধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যার ফলস্বরূপ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরি প্রত্যাশী। করোনার শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততোধিক। ফলে চাকরি প্রার্থীগণ বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। উক্ত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ৩৯ মাসের ব্যাকডেট ধরে একটি বয়স ছাড় প্রদান করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাকডেট কার্যকর ছিল ১৩ মাস, বাকি ২৬ মাস তা অকার্যকর অবস্থায় ছিল। তাই স্থায়ীভাবে বয়স বৃদ্ধি অতীবও জরুরি। বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। বেকারত্ব দূরীকরণ করতে ও মেধাভিত্তিক একটি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করা। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুবসমাজকে মানবসম্পদ হিসেবে কাজে লাগাতে পারলে সেটি হবে যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কয়েক ধাপ অগ্রসর হওয়া যাবে। ভারতসহ বিশ্বের সব উন্নত রাষ্ট্র এই নীতি অনুসরণ করেই বেকারত্ব কমিয়েছে এবং মেধা রপ্তানি করে রেমিটেন্স বাড়িয়েছে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ করে রাখার কারণে দেশে দক্ষ জনবল, গবেষক গড়ে উঠছে না এবং বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। আমাদের উচিত সফল ও উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করা। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নাম্বার অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত। এমতাবস্থায়, সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ/স্বশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন পর্যায়ের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুয়ায়ী সর্বনিম্ন ৩৫ বছর (বিজেএস, ডাক্তার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর), পুলিশের এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান; সরকারি নীতি অনুযায়ী গবেষণা ও বিবিধ বিশেষ দক্ষতামূলক ক্ষেত্রে উক্ত বয়সসীমা উন্মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ : প্রধান বিচারপতিকে ইমরানের চিঠি
পাকিস্তানে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিচার দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ছয় বিচারপতির দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার কাছে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) নেতা। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে চিঠি দেন হাই কোর্টের ছয় বিচারপতি। তারা ওই চিঠিতে বলেন, বিচারপতিদের পরিবারের সদস্যদের গুম, অপহরণ ও তাদের বাড়িঘরে নজরদারি চালানোর মাধ্যমে বিচারবিভাগের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানি, তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরি, বাবর সাত্তার, সরদার এজাজ ইসহাক খান, আরবাব মুহাম্মদ তাহির এবং সামান রাফাত ইমতিয়াজ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। এই ঘটনাকে ‘বিদ্রূপাত্মক’ বলে অভিহিত করেন ইমরান খান। কারণ যাদের বিচার করার কথা, তারাই এখন বিচার চাইছেন। পাকিস্তানে বিচারবিভাগে কী পরিমাণ হস্তক্ষেপ রয়েছে, তা হাই কোর্টের বিচারকদের বিচারিক তদন্তের দাবিই স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রে সজ্জিত ব্যক্তিরা কলমের ধারক বাহকদের পরাস্ত করে চলেছে। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট এখন পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা জোরালো ও যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা? ‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।  তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার  মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৪

গরমে বিচারকাজ অনলাইনে করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও বাড়িয়েছে। এ কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ অনলাইনে সম্পন্ন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক এ চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজমান, যাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের অনেকের পক্ষে শারীরিক অসুস্থতা এবং বয়োজ্যেষ্ঠতার কারণে তীব্র গরমে শারীরিকভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে আইনজীবীরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। একইভাবে বিচার প্রার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে হলেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনা করলে আইনজীবীরা এবং বিচার প্রার্থীরা উপকৃত হবেন। চিঠিতে বলা হয়, বিশেষ বিবেচনায় বয়োজ্যেষ্ঠ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ আইনজীবীদের সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলার বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ প্রদান করলে আইনজীবীরা কৃতজ্ঞ থাকবেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২

টাকা জমা না দেওয়ায় ২২ হজ এজেন্সিকে চিঠি
সৌদি পর্বের খরচের পুরো টাকা জমা না দেওয়ায় ২২ হজ এজেন্সির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। রোববার (২১ জানুয়ারি) এজেন্সিগুলোর মালিকের কাছে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, হজের ভিসা প্রদান কার্যক্রম আগামী ২৯ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু একাধিকবার পত্র ও জুম সভায় নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আপনার হজ এজেন্সিসহ মোট ২২টি হজ এজেন্সি সৌদি পর্বের খরচ নির্বাহের জন্য হাজী প্রতি এক লাখ ১০ হাজার বা এর চেয়েও কম টাকা (প্রাক-নিবন্ধনের অর্থসহ) জমা দেওয়ার পরে আর কোনো টাকা জমা করেননি। আপনার এমন কার্যক্রমের ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন অনিশ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় সোমবারের (২২ এপ্রিল) মধ্যে সৌদি পর্বের খরচের পুরো অর্থ জমা দেওয়াসহ কেন আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ জমা করেননি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলো হলো ডিবিএইচ ইন্টারন্যাশনাল, গাউছিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস, স্মার্ট টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, ওয়ার্ল্ড লিংক টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আনসারী ওভারসিজ, এয়ার ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেড, ফারিহা ওভারসিজ, গ্লোবাল ভিশন ট্রাভেলস, গালফ ট্রাভেলস, জিয়ারত বাইতুল্লা ট্রাভেলস, মেসার্স ঢাকার তরী, মাশ-আরে-হারাম হজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, মুবাশ্বিরা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, নর্থ বেঙ্গল হজ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস, সিনসিয়ার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড, স্কাই ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, মেহমান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, হলি দারুন্নাজাত হজ ওভারসিজ ও ফিকাস ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল। উল্লেখ্য, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালন করবেন। আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দান বাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে মসজিদের দান বাক্সে লিখেছেন চিঠি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালো বাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবন সঙ্গী হিসাবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. সারভীন আক্তার, আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন। এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিনতা দুর রে হয়ে যায়, আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখে রেখ। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এই মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স প্রতি ৩ মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিললো রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বার্ণালংকা অলংকার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ। মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে। মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৯

ঈদে স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় চিঠি লিখে আত্মহত্যা
জামালপুরে ঈদের দিন স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পেরে স্বামী হাসান আলী (২৬) নামের এক যুবক চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলার বকশিগঞ্জে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজমিস্ত্রী রহাসান আলী ওই এলাকার রহমত আলীর ছেলে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান হাসান আলী। শুক্রবার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আনার কথা ছিল। সকাল  ১১টা পর্যন্ত তিনি শ্বশুর বাড়িতে না যাওয়ায় আফরোজা বেগম নিজেই বাড়ি চলে এস দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এ সময় ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে আফরোজা দেখেন তার স্বামী আড়ার সঙ্গে ঝুলছেন। তার চিৎকারকে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। চিঠিতে হাসান আলী লিখেছে, ‘মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সাথে রাগ করছে। ঈদে সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি বউকে গুছ খাওয়াইতে পারি নাই। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার (মন খারাপ) দেখছি। যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। আফরোজাকে আমি অনেক ভালবাসি, তাকে ও আমার সন্তানকে দেখে রেখো। স্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই। বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬

গোয়েন্দাদের হস্তক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানি ৬ বিচারকের চিঠি
বিচার বিভাগের কাজে পাকিস্তানের একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ছয়জন বিচারক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের (এসজেসি) দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বাধীন এসজেসিকে বিচার বিভাগীয় সভা ডাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ বিচারিক কাজে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের নজিরবিহীন অভিযোগ তুলে সাড়া ফেলে দেন ছয় বিচারক। তারা হলেন বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানি, তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরি, বাবর সাত্তার, রদার এজাজ ইসহাক খান, আরবাব মুহাম্মদ তাহির ওসামান রাফাত ইমতিয়াজ। চিঠিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিভাগীয় বৈঠকের মাধ্যমে একটি অবস্থান গ্রহণের কথা বলা হয়। এসজেসি হল উচ্চ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমোদিত সর্বোচ্চ সংস্থা। চিঠিতে বলা হয়, আমরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে নির্দেশনা চাওয়ার জন্য লিখছি, গোয়েন্দা সংস্থার অপারেটিভসহ কার্যনির্বাহী সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে একজন বিচারকের দায়িত্ব কী হবে, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। একটি মামলার বিষয়ে বিচারকের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাই কোর্টের একজন বিচারপতির শ্যালককে অপহরণ ও নির্যাতনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। বিচারকরা বলেন, এসজেসি নির্দেশিত আচরণ বিধিতে এমন পরিস্থিতিতে বিচারকদের আচরণ কেমন হবে, সেই বিষয়ে কোনো গাইডলাইন নেই। বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করে এমন ঘটনাগুলোতে জানানোর ব্যাপারেও বিচারকদের জন্য স্পষ্ট পরামর্শ নেই।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

চিঠি লিখে আ.লীগ নেতার আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে জাহিদুল আলম মিন্টু (৩৯) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর হালিশহরের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম নগরীর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গত জাতীয় নির্বাচনের সময় এমপি লতিফের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা চিঠিতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ঋণগ্রস্ত থাকার কথা উল্লেখ করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৪

কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই পেছাল নির্বাচনের তারিখ, বিস্মিত হয়ে মিশার চিঠি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪-২৬ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। তবে নতুন এই তারিখ ঘিরে অভিযোগ রয়েছে, কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ২৭ তারিখ নির্ধারণ করে তফশিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু। নতুন এই তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা। চিঠিতে মিশা সওদাগর উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯ এপ্রিল ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আমরা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্যানেলের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ব্যতীত আকস্মিকভাবে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে বিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গত ০৪ মার্চ, ২০২৪ তারিখে স্বাক্ষরিত ও ঘোষিত তফসিল দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। তফসিলে গঠনতান্ত্রিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে উল্লেখ করে এই অভিনেতা চিঠিতে আরও লেখেন, তফসিলে তারিখ পরিবর্তনে কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো সভার সিদ্ধান্তের উল্লেখ না থাকা, এমনকি তফসিলে সম্মানিত সভাপতিরও কোনো স্বাক্ষর না থাকায় সাংগঠনিক ও গঠনতান্ত্রিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে সাধারণ সদস্যগণসহ আমরা মনে করছি। তদুপরি আমরা পেশায় অভিনয় শিল্পী হিসেবে কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ইতোমধ্যেই বিভিন্ন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালককে শুটিং ডাবিংয়ের শিডিউলও প্রদান করেছি এবং সে অনুযায়ী নির্বাচনের শিডিউলও স্থির করেছি। উপরোক্ত কারণে তফশিল পেছালে আমাদের আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান বরাবর অনুরোধ জানিয়ে মিশা চিঠিতে উল্লেখ করেন, বিষয়টির সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কার্যনির্বাহী পরিষদের ঘোষণার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও নির্বাচনে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচনের তারিখ অপরিবর্তিত রেখে সংশোধিত তফসিল ঘোষণার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বান কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিশাসহ আরও কয়েকজনের আবেদন পেয়েছি। অনেকেই বিদেশ যাবেন এবং ঈদের পর নির্বাচনে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে মিটিং করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে নেব। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে, ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সে কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিজের প্যানেলের সভাপতির খোঁজে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনন্ত জলিলের একটি বক্তব্য ঘিরে সমালোচনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম। অনন্ত জানান, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাকিব খান ও ফেরদৌস আহমেদ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাগ্রহ জানানোর পর তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তাব দেন নিপুণ, সঙ্গে প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল, খোরশেদ আলম খসরু, সামসুল আলম প্রমুখ। ফলে একটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তা হলো, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার কেন এক প্রার্থীর হয়ে সভাপতি খোঁজার মিশনে নামবেন? জবাব দিলেন খসরু। তার ভাষ্য, আসলে এই ঘটনা অনেক আগের। তখনও আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাইনি। ফলে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। এখন আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত। সুতরাং নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়