• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গর্ভপাত বৈধ করার সুপারিশ জার্মান কমিশনের
গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ করার সুপারিশ করেছে জার্মান সরকারের নিয়োগ করা এক কমিশন৷ সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলে তা জার্মানির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছে কমিশন৷ জার্মানিতে প্রচলিত আইনের ২১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গর্ভপাত একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত৷ যদিও গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত করা হলে আর গর্ভবতী নারীকে কাউন্সেলিং দেওয়া হলে তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷ এছাড়াও ধর্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর জীবন, শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকলে গর্ভপাতের স্পষ্ট অনুমতি রয়েছে৷ কিন্তু বিদ্যমান আইনি কাঠামোটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এটি সমালোচিত হয়ে আসছে৷ জার্মানির বর্তমান জোট সরকারের তিন শরিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি), গ্রিনস এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) গর্ভপাতের আইনটিকে আরও শিথিল করতে চাচ্ছে৷ সোমবার (১৫ এপ্রিল) কমিশন তাদের সুপারিশ পেশ করে গর্ভপাতের উপর পুরোনো সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ এস. পি. ডি-র রাজনীতিবিদ কাটইয়া মাজট মনে করেন, এই সুপারিশ নেওয়া হলে অনির্দিষ্ট সময়ের আগে গর্ভপাত আর ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না৷ তিনি বলেন, আমি মনে করি গর্ভপাত সম্পর্কিত বিধিমালা ফৌজদারি আইনের অন্তর্গত নয়। কারণ আমার দৃষ্টিতে এটি নারীদের কলঙ্কিত করে৷ ক্যাথলিক চার্চের উদ্বেগ ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ বার্লিনের ক্যাথলিক আর্চবিশপ হেইনার কখ ক্যাথলিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, তারা বিদ্যমান আইনটি বহাল রাখাতেই আগ্রহী৷ আর্চবিশপের মতে প্রচলিত আইনি কাঠামোটি মায়ের চাহিদা, উদ্বেগ এবং অনাগত সন্তানের সুরক্ষা সবগুলো বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়৷ জার্মান ক্যাথলিকদের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ তারা মনে করেন এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণের সুরক্ষা নষ্ট করবে৷ অপরদিকে প্রো ফ্যামিলিয়া নামের একটি সংস্থা নতুন সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে৷ রক্ষণশীল দলগুলো যথারীতি এর বিরোধিতা করেছে৷ জার্মানির বৃহত্তম বিরোধী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) নেতা ফ্রেডরিখ মেরজ সমালোচনা করে বলেছেন এই ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে সরকার দেশে একটি বড় সামাজিক দ্বন্দ্ব চালু করতে যাচ্ছে৷ ডানপন্থী জনপ্রিয় দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-ও এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে৷ অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক বাম দল সরকারকে সুপারিশগুলোকে একটি খসড়া আইনে পরিণত করে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে৷ গর্ভপাতের ওপর বিজ্ঞাপনের নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার সরকার ইতিমধ্যে গর্ভপাত সম্পর্কিত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে৷ প্রচলিত আইনের ২১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, গর্ভপাতের বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞাও ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে৷ সাইডওয়াক হ্যারাসমেন্ট নামে পরিচিত একটি নিষেধাজ্ঞা আইন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথে রয়েছে৷
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হচ্ছে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় কার্যকর হতে যাচ্ছে ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷ অ্যারিজোনার ১৮৬৪ সালের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত করা নিষেধ৷ শুধুমাত্র মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ গর্ভাবস্থার প্রথম ১৫ সপ্তাহে গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা যাবে না বলে ২০২২ সালের একটি আবেদন পর্যালোচনা করেছে রাজ্যটির সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০২২ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৭৩ সালে দেয়া রো ভি ওয়েডের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তার সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য পুরানো গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর করতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে ১৪টি রাজ্য কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া, গর্ভাবস্থার সকল পর্যায়ে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে৷ নিষেধাজ্ঞার প্রতি বাইডেন ও ডেমোক্রেটদের নিন্দা প্রকাশ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, লাখ লাখ অ্যারিজোনাবাসী শীঘ্রই আরও কট্টর ও বিপজ্জনক গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে৷ যে আইন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা ধর্ষণ এর মতো মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে৷ তিনি আরও বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও আমি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের পাশে আছি৷ যারা একজন নারীর পছন্দের অধিকারকে সমর্থন করে৷ আমরা প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো ও রো ভি ওয়েডের সিদ্ধান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবো৷ নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গর্ভপাত ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন৷  অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, অ্যারিজোনা যখন একটি রাজ্য ছিল না, যখন এখানে গৃহযুদ্ধ চলছিল ও নারীরা ভোটও দিতে পারতো না, সে সময়কার একটি আইনকে নতুন করে আরোপ করার আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গর্ভপাত করান ‘বাহুবলী’র অভিনেত্রী
‘বাহুবলী’ খ্যাত ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রামায়া কৃষ্ণান। এই অভিনেত্রীর গোপন প্রেম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। শোনা যাচ্ছে বিয়ের আগেই এক পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একটা সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাতও করান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ১৯৯৯ সালে দক্ষিণী পরিচালক কে এস রবিকুমারের সঙ্গে প্রথম সিনেমায় কাজ করেন রামায়া। এরপর একটা সময় ঘণিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্কের খবর গোপন ছিল না অন্দরমহলে। সকলেই জানতেন তাদের প্রেমের কথা। কে এসের অনেক সিনেমাতেই কাজ করেন তিনি। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্ক গড়ায় পরিণয়ে। এরপর একসময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বিষয়টি জানতে পারেন রবিকুমারের স্ত্রী। হুমকি দেন রামায়াকে। যে কারণে সন্তানের জন্ম ও পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন পরিচালক। ফলে একপর্যায়ে এসে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন রামায়া। আর সেজন্য নাকি কে এস রবিকুমারের থেকে ৭৫ লাখ টাকাও চেয়ে নেন অভিনেত্রী। যদিও গণমাধ্যমের কাছে বিভিন্নসময় প্রেম-গর্ভপাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দুজনেই। তবে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের এই ‘গোপন সম্পর্কের’ খবর এখনও চর্চিত হয় বিভিন্ন সময়ে। পরে ২০০৩ সালে পরিচালক কৃষ্ণা বামসির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। যার নাম হৃত্বিক কৃষ্ণান। বর্তমানে কৃষ্ণা বামসির সঙ্গেই সুখের সংসার এই অভিনেত্রীর। রামায়া কৃষ্ণান দক্ষিণের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। নিজের ক্যারিয়ারে প্রায় ২৬০টি সিনেমা করে ফেলেছেন তিনি। রামায়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে রজনীকান্তের সঙ্গে ‘জেলার’ চলচ্চিত্রে। এর আগে বক্স অফিসে ঝড় তোলা ‘বাহুবলী’তে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়