• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো আয়োজিত এবারের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম প্রাইজ) জিতেছেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন, গণহত্যা ও নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনাপ্রবাহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরায় অসামান্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাদের। শুক্রবার (৩ মে) ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। দিবসটি উপলক্ষে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় এবারের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। গাজার সাংবাদিকদের এ পুরস্কার জয় নিয়ে খ্যাতনামা সাংবাদিক এবং ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম প্রাইজ জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মাউরিসিও ওয়েইবেল বলেন, এই অন্ধকার ও আশাহীনতার সময়ে যেসব ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নজিরবিহীন সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছেন তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, মানুষ হিসেবে এই সাংবাদিকরা যে সাহস দেখাচ্ছেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি যে অঙ্গীকার রেখে চলেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে ঋণী।   গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার মধ্যেও অসীম সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন সেখানকার সাংবাদিকরা। গাজার প্রকৃত পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গত প্রায় ৭ মাসে গাজায় ১৪১ জন সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া চলমান এই যুদ্ধে গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ২০ জন সাংবাদিক, যারা বর্তমানে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইবেল বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিশ্ববাসীর বিশাল ঋণ রয়েছে। সারা বিশ্বে আমরা অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছি। তবে আমাদের বলতে হবে, থামুন।
০৪ মে ২০২৪, ০৫:১০

মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ২৭ দশমিক ৬৪ পেয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গত বছর অবস্থান ছিল ১৬৩তম। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের ২০২৪ সংস্করণ প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স।  রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।  দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম। গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেওয়া হয়। এগুলো হলো- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।
০৩ মে ২০২৪, ১৭:৩২

‌‘অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে’
অপতথ্য রোধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ অংশীদার হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টারে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে  ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইন্টিন আয়োজিত 'বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সমস্যা নয়। সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে যেকোন সমালোচনা করলে সেটা সরকার স্বাগত জানায়। যখন পরিকল্পিতভবে অপতথ্যের প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন থামানোর জন্য সাংবাদিকতার অপব্যবহার করা হয়, অপতথ্য প্রচারের জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটিই সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা বন্ধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ একসাথে অংশীদার হয়ে কাজ করতে পারে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাথে সাথে সমাজের সর্বস্তরে অপতথ্যের অস্তিত্ব বিরাজ করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই কার্যকর, যখন এর ব্যবহার করা হয়। অপতথ্যের বিস্তৃতির মাধ্যমে যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়, তখন এটি অত্যন্ত নেতিবাচক হয়। এটি সমাজে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং জনগণের ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে আমাদেরক সতর্ক থাকতে হবে। অপতথ্য প্রতিরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ। আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করেছি, জীবন উৎসর্গ করেছি এবং একটি দেশ তৈরি করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলবো তখন সেটা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপব্যবহার না হয়। যখনই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করবো, তা যেনো গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হয়, অপব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন এবং গণমাধ্যমের দ্রুততার সাথে বিকাশ হয়েছে। সরকারের যদি গণমাধ্যম্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে থাকতো তাহলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইতো না। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকারের একটি উদাহরণ। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে মৌলিক সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যে কোনো ধরনের সমালোচনা সব সময় স্বাগত জানাবে এবং দেশের যেকোনো প্রান্তের প্রতিবেদক বা সাংবাদিককে সুরক্ষা দেবে। সত্য ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এমনকি সরকারের সমালোচনা করলেও সেটি সরকার প্রশংসা করবে ও স্বাগত জানাবে। প্যানেল আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক।প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন আর্টিকেল নাইন্টিন-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম। প্যানেল আলোচনার পূর্বে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উসরাত ফাহমিদা।
০২ মে ২০২৪, ১৮:০০

দাউদকান্দিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সর্বজনীন পেনশন নিয়ে মতবিনিময়
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে  সর্বজনীন পেনশন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরাফাতুল আলম, উপজলা সহকারী কমিশনার মো. জিয়াউর রহমান, জনতা ব্যাংক দাউদকান্দি শাখার ব্যাবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন,  সোনালী ব্যাংক দাউদকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাশেদুল ইসলাম লিপু, শরীফ প্রধান, কামরুল হক চৌধুরী, লিটন সরকার বাদল, হোসাইন মোহাম্মাদ দিদার, মো. সাহাব উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, ওমর ফারুক মিয়াজী,  হানিফ খাঁন  শেখ  ফিরোজ  প্রমূখ। আলোচনায় সার্বজনীন পেনশন স্কিমে সকলে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্ক্রীম নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্ক্রীমগুলো হলো, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ‘সমতা’, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ‘প্রবাস স্ক্রীম’, বেসরকারি চাকুরিজীবিদের জন্য ‘প্রগতি’ও স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৯

ইরানে বিস্ফোরণ: মার্কিন গণমাধ্যম বলছে ইসরায়েল হামলা করেছে
ইরানের ইসফাহান প্রদেশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে৷ এদিকে কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে৷ ইরানের কয়েকটি শহরের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা৷ সিরিয়ায় ইরানের কনসুলার ভবনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইরান৷ এর জবাবে ইরানে হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিল ইসরায়েল৷ এদিকে, ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিগগিরই প্রতিশোধ নেওয়ার ইরানের কোনো পরিকল্পনা নেই৷ পেন্টাগন ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি৷ বিস্ফোরণের কারণে কী ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়৷ এদিকে, ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থাকে ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো ও দাবি করা হলেও ইরানের ইসফাহান বা অন্য কোনো অংশে বিদেশ থেকে হামলার খবর পাওয়া যায়নি৷ ইরানের তিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ছোট ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে, যেগুলো সম্ভবত ইরানের ভেতর থেকে ওড়ানো হয়েছে৷ এছাড়া ইরানের আকাশসীমায় অপরিচিত কোনো বিমানের খোঁজও রাডারে ধরা পড়েনি বলে জানান তারা৷ ইসলামি বিপ্লবী গার্ড পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ফারস জানিয়েছে, ইসফাহান বিমানবন্দর ও শেকারি আর্মি এয়ারবেসের কাছে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে৷ এদিকে, ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে সফলভাবে ভূপতিত করা হয়েছে৷ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, মিসাইল হামলার কোনো খবর নেই৷ ইসফাহানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিয়াভাশ মিহানদুশত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, আকাশে টার্গেট লক্ষ্য করে ডিফেন্স সিস্টেমের ছোঁড়া গুলির শব্দ মানুষ শুনেছে৷ সমতলে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি৷ ইসফাহানের পরমাণু অবকাঠামোতে কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএ৷ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে আগাম জানানো হয়েছিল৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি অনুমোদন করেনি এবং এটি কার্যকরে কোনো ভূমিকাও রাখেনি বলে জানান ঐ কর্মকর্তারা৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না৷ ইটালির কাপ্রিতে জি-সেভেনের বৈঠকে উপস্থিত আছেন তিনি৷ ব্লিংকেন বলেন, তার দেশসহ জি-সেভেন উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও জানিয়েছেন, উত্তেজনা কমাতে তারা বন্ধু ও মিত্র দেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে৷ এদিকে, উত্তেজনা কমাতে সব পক্ষকে সংযম অনুশীলনের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি শুক্রবার এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রশংসা করেন৷ তবে ইসফাহানে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তার উল্লেখ করেননি৷
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭

‘বাংলাদেশে বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতা করবে কাতার’
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে ও বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কাতার। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের সাইডলাইনে কাতার মিডিয়া করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা শেখ আবদুল আজিজ বিন থানি আল-থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  সাক্ষাতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন শেখ আবদুল আজিজ বিন থানি আল-থানি। আল জাজিরার মতো বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরির অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে দুই জনের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় গণমাধ্যম সেক্টরে দু’দেশের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ব্যাপারেও তারা একমত পোষণ করেন।  এর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূত্র : বাসস
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩০

বইমেলায় হাসান শান্তনুর গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ক চারটি বই
সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গবেষক হাসান শান্তনুর লেখা চারটি বই অমর একুশের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। বইগুলো হচ্ছে- 'সৎ সাংবাদিকতার একাল সেকাল' (আবিষ্কার প্রকাশনী), 'গণমাধ্যম নিপীড়ন ১৯৭২-২০১২' (বিভাস প্রকাশনী), '৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন’ (প্লাটফর্ম প্রকাশন) এবং ‘সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু’ (প্রকৃতি প্রকাশনী)।  হাসান শান্তনু একজন ব্যতিক্রমী লেখক। তিনি গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের অনালোচিত বিষয় পাঠকের সামনে হাজির করেন। তাঁর চিন্তা-ভাবনা অনেক গভীর। উপস্থাপনায় তিনি দক্ষ কথাকারের মতো। বইগুলোতে লেখক তুলে ধরেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা। বঙ্গবন্ধু একসময় সাংবাদিকতা করতেন, ছিলেন ‘প্রতিনিধি’, প্রকাশক। ‘মিল্লাত’ পত্রিকার ‘ব্যতিক্রমি বিক্রেতা’ মুজিব পরে হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রের স্থপতি। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক সাংবাদিকতার জীবন নিয়ে একমাত্র বইটি এখনো পর্যন্ত হাসান শান্তনুই লিখেছেন। বিদেশি আধিপত্যবাদ বিস্তারে ও গুজব প্রচারে বিশেষ গোষ্ঠী কীভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে, প্রকৃত সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করা কোন কোন পরিস্থিতিতে দু:সহ হয়ে উঠে, এর পেছনের মূল কারণগুলো কী কী, একসময় এই দেশের সৎ সাাংবাদিকতার স্বরূপ কী ছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে এর চর্চা কোন পর্যায়ে আছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যেভাবে নষ্ট সাংবাদিকতা শুরু হয়, সাংবাদিকরা যে কারণে দাবার ঘুঁটি, পাঁচ দশকে দুই ধারার সাংবাদিকতা এবং আত্মশুদ্ধিহীন সাংবাদিকতা ইত্যাদি উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। দলীয় সাংবাদিকতা কোন কোন পর্যায়ে দেশপ্রেমের সাংবাদিকতা হয়ে উঠে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ধারাটির আলো কেন নিভু নিভু, পুলিশ সাংবাদিকতা করতে পারে কী না- এসব বিষয় লেখক বইয়ে তুলে ধরেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দরকারি হিসেবে হাসান শান্তনুর লেখা বই পড়েন। সাংবাদিকতা পেশায় আসতে আগ্রহী, তাদের জন্য অবশ্যই দরকারি বইগুলো।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৬

গুজবমুক্ত গণমাধ্যম চাই : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় ভারসাম্য থাকতে হবে। অপতথ্য ছড়ালে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। দিন শেষে আমরা চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশনের (এটকো) নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’ তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে। তিনি আরও বলেন, সরকার বা সরকারের কোনো দপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে, কবে অবশ্যই তা নিয়ে সমালোচনা হবে। সেটা নিয়ে আপনারা প্রিন্ট বা ইলেক্টনিক মিডিয়াতে নিউজ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিবর্গ অভিযোগের যে জবাব দেবেন, সেটিও গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করতে হবে। এতে জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এক ধরনের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে দেশে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যেমন মিসইনফরমেশনকে নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। তবে সেটি করতে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ওভারস্টেপ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়