• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট, যুবককে পিটুনি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে আল আমিন মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আউলিয়া বাজারে স্থানীয় জনগণ অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে তিনি মতবাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।  এ সময় সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেন। পরে বিজয়নগর থানা ও আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই যুবককে বিজয়নগর থানা হেফাজতে নিয়ে যান। অভিযুক্ত যুবক আল আমিন মিয়া উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত প্রচারণা কিংবা উসকানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট করতেন এ যুবক। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে তিনি মতবাদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেন। এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৪

‘মজুতকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পণ্য মজুত করে দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হয়। যারা সরকার উৎখাতের জন্য আন্দোলনকারী তাদের হাত রয়েছে এগুলোর পেছনে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা দেয়। পরে দেখা গেল বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ধরে গণধোলাই দেওয়া উচিত।  তিনি বলেন, সরকার কিছু বললে মানুষ বলবে, সরকার এসব করেছে। তাই জনগণ যদি এগুলোর প্রতিকার করে তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে একটি শ্রেণি চক্রান্ত করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে এজন্য এমন ষড়যন্ত্র আগেও ছিল, এখনও আছে।  তিনি আরও জানান, এবারের মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে বড় শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আঞ্চলিক সংঘাত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তা, তথ্য নিরাপত্তা, পানি নিরাপত্তা, অভিবাসন, সাপ্লাই চেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মহামারি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান তিনি। জার্মানিতে অবস্থানকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। এ ছাড়াও সফরে জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়