• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের দিয়ে চলে যে ক্যাফে
পোল্যান্ডে প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ সীমিত৷ সে কারণে তাদের জন্য স্বাবলম্বী হওয়া কঠিন৷ তবে বছরখানেক আগে ক্রাকাউ শহরে একটি ক্যাফে চালু হয়েছে যেখানে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়৷ তাদের একজন শিমন জেখ৷ ক্যাফের নাম স্পোয়েচনা ক্যাফে৷ স্পোয়েচনা ক্যাফে মানে হচ্ছে সোশ্যাল ক্যাফে৷ বর্তমানে এই ক্যাফে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে৷ ইতিমধ্যে পোল্যান্ডে ছোট্ট সেনসেশন হয়ে উঠেছে এটি৷ সামাজিক মাধ্যমে এই ক্যাফের অনুসারী সংখ্যা প্রায় নয় হাজার৷ সেখানে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ককে চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ স্পোয়েচনা ক্যাফের ম্যানেজার গ্রায়না বানাচ-কোচোলেক জানান, আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি যে, আমাদের সন্তানেরা, কর্মীরা চাকরিতে থাকার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে পারে৷ অনেক অভিভাবক মনে করেন না যে, তাদের সন্তানেরা এসব করতে পারে, এমন কাজ করতে পারে৷ পোলিশ সমাজে সাধারণত প্রতিবন্ধীদের কোনো কাজে দেখা যায় না৷ স্কুল শেষ করার পর তারা মা-বাবার সঙ্গে থাকে৷ ঘরের বাইরে খুব কম কাজ করে৷ তাই শিমনের গল্পটা বিরল৷  শিমন বলেন, কাজ করতে আমার ভালো লাগে৷ ১০টায় খোলার পর ক্যাফেতে মানুষ আসতে দেখে মনে আনন্দ হয়৷ বছরখানেক আগে ক্যাফে চালু হওয়ার সময় থেকেই শিমন সেখানে কাজ করছেন৷ করোনার আগে একটি হোটেলে কাজ করতেন৷ টিভি শোতেও অংশ নিয়েছেন৷ এখন এই ক্যাফেই তার পৃথিবী৷  শিমনের মা বেয়াটা বলেন, আগে মনে করতাম ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তরা মা-বাবা ছাড়া চলতেই পারবে না৷ কিন্তু আমার ছেলে স্বাধীন৷ সে একাই পুরো শহরে ঘুরে বেড়ায়৷ অন্য শহরেও যায়৷ ট্রেনে করে পুরো পোল্যান্ড ঘুরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে৷ তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বোধ অনেক বেশি৷ সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ স্পোয়েচনা এই ক্যাফে চালু করেছে৷ গরমের সময় তারা ফুড ট্রাকে করে বেলজিয়ান ফ্রাইসও বিক্রি করে৷ তাদের সব কাজই প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করে৷ ক্যাফের পুরো আয় কর্মীদের সামাজিক পুনর্বাসনে ব্যয় করা হয়৷ কর্মীরা সব ধরনের কাজ করেন৷ কেক বানান, কফি তৈরি করেন, ক্রেতাদের সার্ভ করেন৷ এখানে কাজ করে কর্মীরা বড় স্বপ্নও দেখছেন৷ যেমন শিমনের স্বপ্ন আমেরিকায় গিয়ে গিটার বাদক হওয়া৷
০৪ মে ২০২৪, ১১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়