• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘নির্বাচনে কেউ প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
নির্বাচনে কেউ প্রভাব খাটালে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। শনিবার (৪ মে) সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে, কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। স্থানীয় এমপিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই, সৌন্দর্যও নেই। আপনারা দয়া করে আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনার মান, ইজ্জত, মর্যাদা আপনি রক্ষা করবেন। প্রার্থীরা এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কারও সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এ রকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে তাহলে প্রার্থিতা বাতিলও হতে পারে। রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান।  সভায় আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ মে ২০২৪, ১৩:৫৬

‘সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না’
ভর্তি পরীক্ষায় প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় পিউ কর্মকারের বাড়ি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে পিউকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার লিখেছেন, গুচ্ছ আমার শেষ ভরসা ছিল। জানিনা কবে রেজাল্ট দিবে। পরীক্ষাও মোটামুটি হয়েছিল একটা আশা ছিল কিন্তু আমার ভাগ্য সেই আশাটাও পূরণ করতে দিল না। ৫টা অপশন থাকে তার মধ্যে আমি বায়োলজি আর ইংরেজি এর বৃত্ত ভরাট করে ফেলেছিলাম ভুল করে আজকে সেটা দেখলাম। কিন্তু আমি উত্তর করেছিলাম বাংলার। আমার সব স্বপ্ন শেষ। একে একে ঢাবি, রাবি, জাবি থেকে একটু একটুর জন্য ধাক্কা খাই। জানি এটাও আমার ভাগ্যের জন্য চেষ্টা আমার কম ছিল না। সারাদিন রাত এক করে পড়তাম। বাবা মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই। দাদার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আমারও স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই যে ডাক্তার হবো। আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিল মেডিকেল এডমিশন এর প্রিপারেশন নেওয়াও শুরু করি কিন্তু মেডিকেলেও বসতে পারি না। এটা থেকেও বিশাল একটা ধাক্কা খাই। অনেক ভেঙে পড়েছিলাম তাও হাল ছাড়ি নাই। এই এডমিশন পিরিয়ডটা যে কতটা কষ্ট দিছে আমাকে।  তিনি আরও লিখেন, এই সব আর আমি নিতে পারতেছি না। আমি শুধু একটা আশ্রয় খুজতেছিলাম শেষ আশ্রয় এটাও শেষ হইল। অনেক মানুষ অনেক আত্মীয় এর অনেক কথা শোনা লাগছে। বাবার একটু ফিনানসিয়াল সমস্যা ছিল এ জন্য ঢাকা গিয়ে পড়তে হবে কেন। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম যে পারব। কিন্তু আমি আর পারলাম না। সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কতো ফ্রেন্ড কত কিছু কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই। সব থেকে প্রয়োজন ছিল যাকে, যাকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবতাম তাকেও আমি আমার পাশে পাই নাই। হইত আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা আমার হইতো না। সেকেন্ড টাইমের প্রিপারেশন নেওয়ারও আমার কোনো মানসিক বা শারিরীক শক্তি নাই। আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো। সুইসাইড নোটে লিখেছেন, মায়ের কাছে গিয়ে মাঝে মধ্যে কাঁদতাম মাও বুঝে নাই আমাকে। আমি একটা বোঝা সবার কাছে। আমার মৃত্যর জন্য আমার এই বড় বড় স্বপ্ন গুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা, মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই। আমাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাইলে নদীর জলেই খুঁজো। আমার মৃত্যুটা এভাবেও চাই নাই ভালো থাইকো সবাই। আমি আমার এই জীবনটা আর নিতে পারছি না। আমারে মাফ করে দিও সবাই। এভাবে দম বন্ধ করে বাচতে পারতেছি না আর। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।  
০১ মে ২০২৪, ১৫:৫৯

‘বোলারদের কেউ বাঁচান প্লিজ’
চলমান আইপিএলে রান উৎসব শুরু করেছে দলগুলো। ব্যাটিংয়ে নামলেই শুরু হচ্ছে ব্যাটাদের চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। এখনও পর্যন্ত মোট ৪৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ২০০ প্লাস স্কোর হয়েছে। যা অন্য যে কোনো আইপিএলের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়াও একের পর এক রেকর্ড ভেঙে বিশাল বিশাল স্কোর গড়ছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। ২৮৭ রান পর্যন্ত উঠে গেছে।  এবারের আইপিএলে ২৫০ প্লাস রান করেও  নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না কোনো দল। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখা গেলো শুক্রবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ২৬১ রান করেও তারা নিরাপদ থাকতে পারেনি। ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব কিংস। পুরো ম্যাচে ৪২টি ছক্কার মার মেরেছেন ব্যাটাররা। ২৪টি ছক্কার মার মেরেছে পাঞ্জাব কিংস। মোট ৩৬টি বাউন্ডারির মার মেরেছেন দুই দলের ব্যাটাররা। ৫২৩ রানের এই ম্যাচটি কলকাতার গরম চাপিয়ে আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলো। চলতি মৌসুমে বোলাররা ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৯ রান করে দিয়েছেন। এতে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি মনে করেন, ফ্ল্যাট উইকেট এবং ইমপ্যাক্ট–সাবের নিয়মের কারণেই বোলারদের এমন দিন দেখতে হচ্ছে। সৌরভ বলেছেন, বোলারদের জন্য মোটেও সহজ নয়। তারা সবকিছুতেই ভুগছে এবং ব্যাট ও বলের (লড়াইয়ে) ভারসাম্য আনতে ভবিষ্যতে এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এদিকে এমন পরিস্থিতি আগে থেকেই মানতে পারছিলেন না ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিছুদিন আগেই এক মন্তব্যে তিনি বলেছিলেন, আইপিএল আসলে কোনো ক্রিকেটই নয়। এবার পাঞ্জাব ও কলকাতার ম্যাচ দেখতে দেখতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কাছ থেকে আফসোস ঝরে পড়লো। তিনি হতাশাভরেই এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে লিখলেন, কেউ একজন বোলারদের রক্ষা করুন, প্লিজ। কয়েকদিন আগেই চেন্নাই সুপার কিংস ২১০ রান করেও জিততে পারেনি। লখনৌ সুপার জায়ান্টস ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। ওই ম্যাচের পরও বোলারদের দোষারোপ না করে চেন্নাই কোচ পরাজয়ের কারণ হিসেবে উইকেটের কথাই তুলে ধরেছেন। অথ্যাৎ, আইপিএলের উইকেটগুলোতে বোলারদের জন্য কিছুই নেই। প্রতিটি উইকেটই যেন বোলারদের বধ্যভূমি। বোলাররা আসছেন, নিয়মতান্ত্রিনভাবে বল করছেন আর বেদম পিটুনি খাচ্ছেন এটাই এখন প্রতিটি বোলারের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা প্যাট কামিন্স হোক, মোস্তাফিজুর রহমান হোক কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ অথবা অন্য যে কোনো বোলার হোক না কেন, মার খেতেই হবে। জস বাটলার ম্যাচটি দেখতে দেখতে লিখলেন, ‘দিস ইস আউটরেজাস (খুবই আপত্তিকর)।’
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৮

‘চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন’
চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র আতিক বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে। মেয়র বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের সাজেশন (পরামর্শ) দেবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কোনও কাজ করবে না। সিটি করপোরেশনে তার কোনও চেয়ারও নেই। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। তারই অংশ হিসেবে ডিএনসিসির দুইটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১০

শিরোনামহীনের নতুন গান প্রকাশ
প্রকাশ পেলো দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের নতুন গান ‘জানে না কেউ’। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে প্রিমিয়ারের মাধ্যমে এটি উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, শ্রোতারা ইউটিউব, স্পটিফাই, আইটিউনস, আমাজনসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গানটি শুনতে পাবেন। শিরোনামহীন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের অষ্টম অ্যালবাম ‘বাতিঘর’-এ থাকছে সর্বমোট ১০টি গান। ব্যান্ডলিডার জিয়াউর রহমানের কথা ও সুরে ‘জানেনা কেউ’র মিউজিক ভিডিওর পাশাপাশি শ্রোতাদের কাভার বা গাওয়ার সুবিধার্থে প্রকাশ করা হবে লিরিক ভিডিও। এ ছাড়া এই গানের পারফরম্যান্স ভিডিও এবং আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের জন্য প্রকাশ পাবে ইংরেজি ভার্সনও। শিরোনামহীনের ব্যান্ড লিডার এবং গীতিকার সুরকার জিয়াউর রহমান বলেন, শ্রোতাদের ভালোবাসায় শিরোনামহীন অনেক ঝড়, বাধা অতিক্রম করেছে। তবুও থমকে যায়নি, ২৮ বছর পাড়ি দিয়েছে। আরও বহুদূর পথ চলতে চায়।  ‘জানে না কেউ’ গানের মিউজিক ভিডিও চিত্রায়িত হয়েছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানালি, সিস্যু, বিয়াস নদী ও দিল্লিতে। এতে শিরোনামহীন ব্যান্ডের সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন সিফাত আমিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস বিসমি। এটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছে বহুজাতিক কোম্পানি সিনার্জি সল্যুশন্স। উল্লেখ্য, আগামী জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া ও আগস্টে কানাডায় একাধিক কনসার্ট ট্যুরে যাচ্ছে ব্যান্ড শিরোনামহীন। এ ছাড়া এ বছর আরও গান রিলিজ পাবে তাদের। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এ অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়ায় তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’ সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

কেউ খোঁজ রাখে না একাত্তরের শপথের পেছনের কারিগরদের
একাত্তরের ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠান। হাতে তেমন সময় নেই। কেউ নিয়ে আসলেন চেয়ারম্যান টেবিল আবার কেউ আনলেন বাঁশ খুঁটি। বাড়ির নতুন কাপড় ব্যবহার করা হলো প্যান্ডেল ঘেরার কাজে। আগের দিনের অর্ধেক সময় আর রাত জেগে পাহারা দেওয়া হলো পুরো আম্রকানন। শপথের অনুষ্ঠান থেকে শুরুটা হলেও মুক্তিকামী মানুষের সহযোগিতা করতে গিয়ে কেটে গেল যুদ্ধের পুরোটা সময়। সময় গড়িয়েছে, মত-পথ পাল্টেছে। তবে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক সেই শপথের অনুষ্ঠানের পেছনের কারিগরদের খোঁজ নেয়নি কেউ। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তো দূরে থাক স্থানীয়ভাবেও তারা পাননি যথোপযুক্ত সম্মান। এ আক্ষেপ নিয়ে কেউ পাড়ি দিয়েছেন পরপারে আবার কেউ মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। বলছিলাম বঙ্গবন্ধুর ডাকে গঠিত বৈদ্যানাথতলা সংগ্রাম কমিটির কথা। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে- ‘প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ো তোল’ নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন কয়েক যুবক। সেসময়কার এমএনএ ছহি উদ্দীন বিশ্বাস এবং এসডিও তৌহিক- এলাহি চৌধুরীর পরামর্শে তারা ঐতিহাসিক শপথের সব আয়োজন করেছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, বাইবেল পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনসহ বিভিন্ন কাজে যারা যুক্ত হয়েছিলেন তাদেরকে আম্রকাননে নিয়ে এসেছিলেন সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা। প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের পর গোটা এলাকা পাক হয়েনাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তার পরেও জীবনের পরোয়া না করে সংগ্রাম কমিটির অকুতোভয় সদস্যরা ত্রাণ সংগ্রহের কাজ করেছিলেন। তাদের অনেকে আজ রাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্মান না পাওয়ার কষ্ট নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। এখনও দু-একজন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন স্বীকৃতি পাওয়ার আকুতি নিয়ে। সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য বল্লভপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ থিওফিল মন্ডল জানান, প্রাণের টানে প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে ছুটে আসি। পচাত্তর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ৭৬ সালে কেউ মুজিবনগর দিবস পালন করতে আসেনি। আমরা মাত্র ১৯ জন লোক বাগানে গিয়ে মুজিবনগর দিবস পালন করেছিলাম। সম্মান না পাওয়ার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনের পর শুনেছিলাম হাতেগোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। পরবর্তীতে দেখি শতাধিক মানুষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পাচ্ছে। তারপরেও সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা অবহেলিত ও অপমানিত।  একই কথা জানিয়ে মানিকনগর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ দোয়াজ উদ্দীন মাস্টার বলেন, সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা সব আয়োজন করেছিল। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য আমার ছাত্র দায়িরয়াপুর গ্রামের বাকের আলীকে ডেকে নিয়ে আসি। সে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়াও সংগ্রাম কমিটির আরেক সদস্য আব্দুল মোমিন চৌধুরী স্বীকৃতি পেয়েছেন। সংগ্রাম কমিটিসহ যারা সেদিন প্রাণ মায়ের ত্যাগ করে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের সবার স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি।  বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রণীত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মেহেরপুর জেলা গ্রন্থের মাধ্যমে মূলত সংগ্রাম কমিটির বিষয়টি সবার নজরে আসে। এ গ্রন্থের লেখক মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশ বরেণ্য কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশিদ বলেন, অনিবার্য মুক্তিযুদ্ধের সহযোগিতার হাত বাড়ানো এসব মানুষগুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি খুবই প্রয়োজন। তারা শুধু শপথের অনুষ্ঠানের আয়োজনই করেননি কুষ্টিয়া অঞ্চলের সম্মুখ যুদ্ধের সব রসদ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন জীবন বাজি রেখে। তাদের স্বীকৃতি দাবি করেন বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনও।  আশার কথা শুনিয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তে ঐতিহাসিক ভূমিকার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সকলের স্বীকৃতি দেওয়ায় জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৮

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম, বেঁচে নেই কেউ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই মায়ের গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম হয়েছে।  বুধবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এমন বিরল ঘটনাটি ঘটে।  সখীপুরে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।  প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া জানান, আমার ভাগ্নের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৬) প্রায় ৫ মাস যাবৎ অন্তঃসত্ত্বা। ঈদের দিন হঠাৎ আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সুমনার অবস্থা অবনতি হলে, তাকে দ্রুত মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  তিনি আরও জানান, কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সুমনার পেটে ৬ বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে ৪টি মেয়ে ও ২টি ছেলে প্রসব করানো হয়। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর গর্ভে ৬ সন্তান কেউই বেঁচে নেই। প্রবাসীর স্ত্রীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এ বিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি ছিল না। এমন ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

কেউ কারও মুখই দেখছেন না, হঠাৎ কী হলো সালমান-করণের
বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা সালমান খান ও করণ জোহর। একজন প্রযোজক, আরেকজন অভিনেতা। দুজনেরই বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে বলিপাড়ায়। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে— করণের সঙ্গে নাকি বনিবনা হচ্ছে না সালমানের। এমনকি কেউ কারও মুখও দেখছেন না। একসময় সালমানের সঙ্গে ভালো সম্পর্কই ছিল করণের। একটি রিয়্যালিটি টক শোতে করণ বলেছিলেন, তার ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় দুজন হিরো কাজ করেছিলেন। মূল ভুমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ এবং সেকেন্ড নায়ক ছিলেন সালমান।   তবে করণ যখন সিনেমাটির শুটিং করছিলেন, তখন সেখানে সেকেন্ড হিরোর রোল করতে নাকি কেউ রাজি হচ্ছিলেন না। একমাত্র সালমানই তখন এগিয়ে এসেছিলেন। এরপরই দুজনের মধ্যে মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু এখন হঠাৎ কি হলো সালমান-করণের? দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে, এমন খবর সামনে আসার পর থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের ভক্তদের কপালে।     জানা গেছে, ‘দ্য বুল’ সিনেমায় সালমানকেই কাস্ট করেছিলেন করণ। শোনা যাচ্ছে— এই সিনেমা নিয়েই নাকি যত ঝামেলা। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির ২৫ বছর পর একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহও প্রকাশ করেন সালমান। শুধু তাই নয়, সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উত্তেজিতও ছিলেন তিনি।    এমনকি ‘দ্য বুল’ সিনেমাটির জন্য কঠোর পরিশ্রমও করে নতুন লুক তৈরি করছিলেন সালমান। এর মাঝেই হঠাৎ ছন্দপতন। গুঞ্জন রয়েছে, সিনেমাটিতে কাজ করতে সালমান এত টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন যে, চোখ কপালে উঠেছিল করণের।  অধিক পারিশ্রমিক দিয়ে সালমানকে রাখতে গিয়ে সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজ নাকি পিছিয়ে দিচ্ছিলেন করণ। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সিনেমাটির কিছু বিষয় নিয়ে মেজাজও দেখাচ্ছিলেন সালমান। যেটা মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না করণের।     মূলত এ কারণে ঝামেলা বেড়েই যাচ্ছিল সালমান-করণের। শেষ পর্যন্ত ‘দ্য বুল’ সিনেমা বেরিয়ে গেছেন সালমান। যদিও করণ বা সালমান— দুজনের কেউই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।      সূত্র : দ্য ওয়াল     
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০৫

আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত সরকার এই যুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষের জায়গায় করে দিয়েছিল। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ অনেকেই।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়