• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কচুরিপানায় তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ব্যবহারে সুফল পাওয়ায় বাজারজাত করে বিক্রিও করা হচ্ছে এ সার। এর ফলে কমছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। রিজার্ভের এ সংকটে মুহূর্তে সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তৈরি হচ্ছে জলকমল নামে পরিচিত এ সার। এটি  সবুজ শাকসবজি চাষে ব্যবহারে হচ্ছে। ব্যবসার পাশাপাশি এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয় বেকার যুবকদের। মূলত অতিরিক্ত কচুরিপানার ফলে জেলার নৌপথ সংকুচিত হয়ে আসছিলো। পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে ওই এলাকার বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ।   এই সার কীভাবে উৎপাদন হয়? প্রথমে নদী থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করা হয়। এরপর শেকড়ের অংশ কেটে দেড় টন পরিমাণ স্তূপ সাজনো হয়। ওই স্তুপে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২শ’ গ্রাম করে ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক ও চুন ছিটানো হয়। এভাবে ধাপে ধাপে তৈরি হচ্ছে কচুরিপানার জৈবসার জলকমল। নবীনগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান বলেন, এই সার তৈরিতে সময় লাগে মাত্র দুই মাস। প্রাথমিকভাবে ১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি প্ল্যান্ট থেকে প্রতিমাসে ৫ টন সার উৎপাদন করা যায়। নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, উপজেলায় এ জৈবসার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে ২৫ ভাগ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ও হচ্ছে। এ দিকে এ প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ১০টি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে প্রতিমাসে ৫০টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৭

‘মানুষের রুচি উন্নত হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়’
মানুষের সক্ষমতা ও রুচি উন্নত হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের সক্ষমতা ও রুচি উন্নত হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। যোগ্যরাই টিকে থাকে। তাই মানবসম্পদ উন্নয়ন অপরিহার্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যেও দেশের মানুষ তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে। দেশে খাদ্য ঘাটতি দূর হয়েছে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না থাকায় প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যারা কাজের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে পেরেছে, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল, মানুষের প্রতি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছে,  তারা উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যে কেউ চাইলে প্রার্থী হতে পারেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কোথাও একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৭

‘আর্থ-সামাজিক সূচকে অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ’
আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘ডেল্টাপ্ল্যান’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  তিনি বলেন, উন্নত পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি ‘সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিবস পালন এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বিশ্ব দরবারে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ৪টি পৃথক পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে বিবিএসসহ জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয় ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে একটি সুসংহত আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আওয়ামী লীগ সরকার ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়নের জন্য ‘জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ২০১৩-২০২৩’ প্রণয়ন করেছে।  শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতার অন্যতম প্রকাশ হলো ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা এবং এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ। তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। এমডিজির লক্ষ্যসমূহ সফল বাস্তবায়নের পর এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালন করছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২২

ভাষা রক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের মাতৃভাষা রক্ষায় যারা আত্মোৎসর্গ করেছে সেই শহীদদের প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়ে গেছে। আর সেই দিবসটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অর্থাৎ, মাতৃভাষা সংরক্ষণের প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ছাড়া একটা বিজাতীয় ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন, তিনি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়ে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ দিয়েই আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ভাষার রাষ্ট্র। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এই মর্যাদা অর্জন করেছি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

উন্নত আবাসন পাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী : গণপূর্তমন্ত্রী
নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই নগরের পরিবর্তন করে যথাযথ সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে পরিকল্পিতভাবেই নগরায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সব কার্যক্রম তদারকি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) লোকবল কম। বিভিন্ন অনিয়ম তদারকির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজও করেন তারা। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যাতে কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেটি দেখা হবে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

‘আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি। তাই আমি প্রত্যাশা করি, দেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দেবেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, এবারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য সময়ের তুলনায় স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল বা যন্ত্র এলাউ ছিল না। এমনকি প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যে কারণে এবার প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ ছিল না। তিনি বলেন, এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া ছিল। প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনো মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা। মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, আমরা থেকেছি। স্বাস্থমন্ত্রী জানান, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে মেডিকেল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

যত বেশী গবেষণা হবে, দেশ ও জাতি তত উন্নত হবে : উপাচার্য বিআইইউ
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ) আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মতিঝিলের বিসিআইসি অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ‘ইসলামিক কালচার এন্ড হেরিটেজ, বিজনেস, লিগ্যাল পারস্পেক্টিভ এন্ড ইম্পোরটেন্স অব ইংলিশ এজ এ লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা’ শীর্ষক শিরোনামে দিনব্যাপী দু’টি টেকনিক্যাল সেশনে নয় জন গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এতে দেশ-বিদেশের ৫ শতাধিক গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষাবিদ ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, গবেষণা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যত বেশী গবেষণা কর্ম সম্পাদন হবে, দেশ ও জাতি তত উন্নত হবে। প্রকৃত গবেষণাই আদর্শ জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে।  তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান অবশ্য করণীয়, আর তা হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের যথাযথ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি বিআইইউ পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্মেলনের আহবায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার বদরুল হায়দার চৌধুরী। প্রথম টেকনিক্যাল সেশনে স্ট্যামফোর্ড ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ইউসুফ আলী, দ্বিতীয় টেকনিক্যাল সেশনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিজিইডি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর শের মোহাম্মদের পৃথক সভাপতিত্বে প্রথম টেকনিক্যাল সেশনে ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা এবং সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও মনিরুল হক, মালয়েশিয়ার এরটিকা একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক ড. মাহমুদ আহমেদ এ আব্দেল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী মোহাম্মদ কাওসার এবং দ্বিতীয় টেকনিক্যাল সেশনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল) প্রফেসর ড. সরদার মাহমুদ হোসাইন, বিআইইউ’র ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাব্বির হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুছ সবুর মাতুব্বর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সাঈদ খান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেশন দুটি পরিচালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত সুলতানা ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম। সম্মেলনের সদস্য সচিব, বিআইইউর প্রক্টর ও সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০

সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে খন্দকার মোশাররফকে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ফের সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছেলে ড. খন্দকার মারুফ হোসেন জানান, রোববার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার একটি ফ্লাইটে বাবাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে নেওয়া হবে। বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি আরও বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পরে ভেবেছিলাম বাবা সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু তেমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে ফের সিঙ্গাপুর নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গত বছরের ১৭ জুন পদযাত্রায় অংশ নিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খন্দকার মোশাররফ। ওইদিন রাতেই তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  কিছুটা সুস্থ হলে গত ২৪ জুন তাকে বাসায় নেওয়া হয়।  এরপর ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ জুন তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে দুই মাসের বেশি চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরেন তিনি। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর তাকে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১১

বিমানবন্দরের যাত্রীসেবা উন্নত করব : ফারুক খান
দেশের বিমানবন্দরগুলোর যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডেলিং উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  ফারুক খান বলেন, আমি এর আগেও এই মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। সুতরাং এখানকার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি জানি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যে কাজগুলো চলছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ হয় সেদিকটা দেখব। বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা ও লাগেজ হ্যান্ডেলিং কিভাবে আরও উন্নতি করা যায় এবং কিভাবে আরও নতুন নতুন ডেস্টিনেশনে বিমান যেতে পারে, সেগুলো দেখব। তিনি আরও বলেন, পর্যটন খাতে আমাদের অপার সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মপরিকল্পনায় কোন মন্ত্রণালয় কি করবে সেটি বলা আছে, সেই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। এর বাইরে যে বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে সেগুলো দেখব।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়