• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
৬ দিনে সোনামসজিদ দিয়ে ১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ছয় দিনে প্রায় এক হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্যন্ত এ পরিমাণ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। বুধবার (১৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সমির চন্দ্র ঘোষ। স্থলবন্দর ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যায়, ভারতীয় সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ৫ মাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ৪ মে। তারপরে গত ৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করেন আমদানিকারকরা। ফলে গত ৯ তারিখ থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এ বিষয়ে সমির চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গত ৯ মে থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত ৬ দিনে ২১টি আইপির মাধ্যমে ৯৯৭ দশমিক ৪০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।’
২১ ঘণ্টা আগে

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। মেসার্স আর এস বি ট্রের্ডাস এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। প্রথমদিন একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।  পেঁয়াজ আমদানিকারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা গত ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় নানা জল্পনা কল্পনা শেষে ১১ দিন পর আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম কোরবানির ঈদে বাড়বে না বলেও জানান তিনি।
১৪ মে ২০২৪, ২২:৪৬

ভারতের শুল্ক জটিলতায় আমদানি হচ্ছে না পেঁয়াজ
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও সেদেশের নতুন শুল্ক জটিলতায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ীদের দাবি ভারতের সকল শর্ত মেনে পেঁয়াজ আমদানি করলে বাজারে বর্তমান দামের চেয়ে অনেক বেশি পড়বে। যার জন্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।   হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশিকুল আলম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে সেজন্য পেঁয়াজ কম করে কিনলাম। তবে গত সপ্তাহের থেকে কিছুটা দাম কমেছে। তবে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকার নিচে যদি বিক্রি হতো তাহলে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের অনেক সুবিধা হতো। বর্তমানে দুই কেজি ভাল মানের পেঁয়াজ কিনলাম ৬৫ টাকা দরে।  হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, দীর্ঘদিন পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ব্যাংকে এলসি খুলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শুনি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করলে ৭০ থেকে ৭২ টাকা প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে। এ কারণেই আমাদের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন, খুব দ্রুত ভারত সরকার শুল্ক কমিয়ে দেবে এবং হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হবে। 
১৪ মে ২০২৪, ১২:০৬

চুক্তিমূল্যের চেয়ে ১৬১৯ গুণ দামে পণ্য আমদানি
বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন এবং টাওয়ার নির্মাণের জন্য ভারত থেকে ৬৮ কেজি নাট, বোল্ট ও ওয়াশার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৫ ডলার দিয়ে আমদানি করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবিএল)। অথচ প্রতি কেজি ২ দশমিক ১৮ ডলার দরে পণ্যগুলো আনার কথা ছিল মাত্র ১৪৮.২৪ ডলারে। অর্থাৎ চুক্তিমূল্যের চেয়ে প্রায় এক হাজার ৬১৯ গুণ বেশি দামে কেনা হয়েছে পণ্যগুলো। গত বছরের এপ্রিলে চালানটি মোংলা বন্দরে পৌঁছালেও অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যের কারণে এখন পর্যন্ত এগুলো খালাস করতে দেননি শুল্ক কর্মকর্তারা। কাস্টমসের শুল্ক নথি এবং ক্রয় চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, এর আগে একই পণ্য ১৭৮ দশমিক ৮ টন পরিমাণ আমদানি করতে মাত্র তিন লাখ ৮৯ হাজার ২৫২ ডলার খরচ করেছিল পিজিসিবিএল। অর্থাৎ, প্রতি কেজি কেনা হয়েছিল ২ দশমিক ১৮ ডলারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিজিসিবিএলের অধীনে ইস্টার্ন গ্রিড নেটওয়ার্ক প্রকল্পের সম্প্রসারণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিবিইএ কো. লিমিটেড ভারতের স্কিপার লিমিটেড থেকে এ মালামাল আমদানি করেছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন এবং টাওয়ার নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হবে এগুলো। এদিকে কাস্টমসের বাধার মুখে পণ্যগুলো খালাস করতে বছরখানেক ধরে বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়েছে পিজিসিবিএল। গত বছরের ৫ জুন মোংলা কাস্টমস হাউস কমিশনারের কাছে অস্বাভাবিক মূল্যের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি চিঠি পাঠায় পিজিসিবিএল। তাতে উল্লেখ করা হয়, এবার আমদানির পরিমাণ কম হলেও দাম বেশি। কারণ আগের চালানে ভুলবশত বেশি পণ্য পাঠানো হয়েছিল। গড় আমদানি মূল্য ক্রয় চুক্তির সীমার মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু, প্রকৃত চুক্তিমূল্যের সঙ্গে আমদানিমূল্যের আকাশ-পাতাল ব্যবধান নিয়ে পিজিসিবিএলের এ ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষকে। কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে পিজিসিবিএল সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আগের দুটি চালানের এলসি ও ইনভয়েসের মতো প্রাসঙ্গিক নথি জমা দিতে না পারায় চালানটি আটকে রাখা হয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর কাস্টমস থেকে পণ্যগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টও নিয়োগ করা হয়েছিল প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে। কিন্তু সে চেষ্টাও ব্যর্থ হওয়ার পর এবার নথিতে ‘মানবিক ত্রুটি’র অজুহাত দেখাচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি। পণ্যগুলো পুনরায় রপ্তানি করতে চাইছে তারা। গত ১০ মার্চ এ বিষয়ে মোংলা কাস্টমস হাউসে আবেদনও করেছে পিজিসিবিএল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কাস্টমস কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেন, ‘সব প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন তারা দাবি করেছে যে, পণ্যগুলো ভুলবশত আমদানি করা হয়েছিল। তাদের এই দাবি হাস্যকর।’ আর মোংলা কাস্টমস হাউস কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে এনবিআরের মতামত চেয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটির উত্তরের অপেক্ষায় আছেন। গত ১৬ এপ্রিল এনবিআরকে পাঠানো চিঠিতে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, আমদানিকারকরা এ ঘটনাকে মানবিক ভুল বলে দাবি করলেও তাদের কার্যক্রম তা বলছে না। চালানটি অসতর্কভাবে ভুল গন্তব্যে পাঠানো হয়েছিল বলে তাদের যে দাবি, তা অসত্য। এছাড়া, তারা শুধু বিক্রয় চুক্তি ও প্রফর্মা চালান জমা দিয়েছে। বিক্রয় চুক্তিতে বলা হয়েছে যে, আমদানি ব্যয়ের ৮০ শতাংশ এলসির মাধ্যমে রপ্তানিকারককে দিতে হবে। আমদানিকারকরা এলসির কোনো অনুলিপি জমা দেয়নি। কমিশনার আরও বলেন, ‘আমদানিকারক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পণ্য আমদানির অনুমতি পেয়েছেন কি না, সেটাও আমাদের যাচাই করতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এসব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারি ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো পুনরায় রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেটা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।’  
০৭ মে ২০২৪, ১২:০০

আমদানি বন্ধের অজুহাতে হিলিতে বেড়েই চলেছে দেশি পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আমদানি বন্ধের কারণে মোকামগুলোতে কৃষকরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। শনিবার (৪ মে) সকালে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, আমার একটি হোটেল আছে। সেই খাবার হোটেলে বিভিন্ন রান্না করতে প্রতিদিন তার ৫ কেজি পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাকে। কারণ, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করতে পারছেন না তারা। যদি পেঁয়াজের দাম কমতো তাহলে হোটেল মালিকদের অনেক সুবিধা হতো। সেই সঙ্গে তিনি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুরোধ জানান।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, প্রতিদিনই মোকামে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, কৃষকরা এখন পেঁয়াজ সিন্ডিকেট করে বিক্রি করছেন। প্রায় সব পেঁয়াজ শুকনো যার ফলে তারা বেশি দিনে স্টক করে রাখছেন। এতে করে মোকামে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশি পেঁয়াজের। যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় তাহলে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে যাবে। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই কমে গেছে। যার ফলে বিক্রিও অনেক কম হচ্ছে। 
০৪ মে ২০২৪, ১২:৫৭

চাল আমদানি না করায় সাশ্রয়ী হয়েছে ডলার 
ডলার সংকট মোকাবিলায় চাল আমদানির বিপরীতে জোর দেওয়া হচ্ছে কৃষকের কাছ থেকে বেশি হারে ধান সংগ্রহকে। এরই মধ্যে চাল আমদানি খাত থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিগত মৌসুমগুলোয় উৎপাদন ভালো হওয়ায় এই আমন মৌসুমের সংগ্রহ পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণেও চাল আমদানি না করে খাদ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হলেও এরপর গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) হিসাবে চলতি অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ১২ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে। এর মধ্যে বোরো ২ কোটি ৯ লাখ টন, আউশ ৩০ লাখ টন ও আমন ১ কোটি ৭০ লাখ টন। আর দেশে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ টনের কাছাকাছি। সেই হিসেবে দেশে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত আছে।  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেবে বিশ্ববাজারে চালের বাড়তি দামের কারণে গত এক বছরে বাংলাদেশে কোনো সেদ্ধ চাল আমদানি হয়নি। যেখানে ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশে ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। আর তাতে সাশ্রয়ী হয়েছে বিপুল পরিমাণ ডলার।  গত বছর বাংলাদেশে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ বলছে, এভাবে ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে। চলতি বছরেও উৎপাদনের এই ধারাহিকতা রক্ষা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বিগত বছরেও চাল আমদানির প্রয়োজন হয়নি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানির তথ্য বলছে গত বছরের জুলাই থেকে এই বছরের ৭ মার্চ পর্যন্ত কোন চাল আমদানি করা হয়নি।  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুসারে মাথাপিছু ১৫২ কেজি চালের প্রয়োজনীয়তা ধরে নিয়ে আমাদের বার্ষিক চালের চাহিদা নিরূপণ করা যায়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আছে। তাতে বার্ষিক খাদ্যচাহিদা দাঁড়ায় ২ কোটি ৫৮ লাখ মেট্রিক টন চাল। এর সঙ্গে বীজ ও অপচয় এবং পশুখাদ্য বাবদ ১৫ শতাংশ যোগ করে মোট চালের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২ কোটি ৯৬ লাখ টন বা প্রায় ৩ কোটি টন। দৈনিক চালের চাহিদা আরও বেশি বিবেচনায় নিয়ে মাথাপিছু দৈনিক আধা কেজি বা বার্ষিক জনপ্রতি ১৮২ দশমিক ৫ কেজি হিসেবে চালের চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। বীজ, অপচয় ও পশুখাদ্য হিসেবে আরো ১৫ শতাংশ যোগ করা হলে মোট চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে মজুত আছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন।   বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিস্টিটিউটের (বিআরআরআই) পলিসি গবেষণার প্রজেকশন অনুযায়ী, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টন, ২০৪১ সালে ৫ কোটি ৪১ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬ কোটি ৯ লাখ টন চালের প্রযোজন হবে। বিআরআরআই -এর মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর জানিয়েছেন, ২০৩০ সালে ৪২ লাখ টন, ২০৪০ সালে ৫৩ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬৫ লাখ টন চালে উদ্বৃত্ত থাকবে। এই বাড়তি উৎপাদন আমাদের যে কোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় বাফার স্টক হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে। শহরাঞ্চলে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ২৮৪ দশমিক ৭ গ্রাম, যা জাতীয় গড় থেকে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ১৭ কোটির মানুষের প্রতিদিনের হিসাব ধরে বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় ১ কোটি টন। সবমিলে প্রয়োজন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। কিন্তু গত বছরে উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টন।   বিআরআরআই -এর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিআরআরআই ইতিমধ্যে রাইস ভিশন ২০৫০ প্রণয়ন করেছে, যাতে ২০৩০, ২০৪১ এবং ২০৫০ সালে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চালের উৎপাদন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা অর্জনে ব্রি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হারে আমাদের ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যা নিশ্চিত করে যে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত।          তাহলে এত চাল কোথায় যায়, আমদানি কেন করতে হয় তাহলে প্রশ্ন উঠেছে এরপরও কেন সরকারকে চাল আমদানি করতে হয়। এ বিষয়ে ধান বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের তথ্য আদমশুমারিতে যুক্ত হয়নি। এরা যে ভাত খায়, সে চাল আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয়। আবার চালের একটি অংশ বীজের জন্য রাখতে হয়। নানা কারণে চালের অপচয় হয়। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কৃষক নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে চাল মজুত করেন, যেটি হিসাবেও নেই। ব্যবসায়ীদের কাছেও মজুত থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের হিউম্যান কনজাম্পশন (সরাসরি ভাত) ছাড়াও নন-হিউম্যান কনজাম্পশন (অন্যান্য কাজে) আছে। হিউম্যান কনজাম্পশন হিসাবে উদ্বৃত্ত ঠিকই আছে। তবে নন-হিউম্যান কনজাম্পশনও বাড়ছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাল নন-হিউম্যান কনজাম্পশনে ব্যয় হয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের ভাত গ্রহণ ছাড়াও অন্যান্য কাজে চালের ব্যবহার আছে।কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ফলন ও উৎপাদন বাড়ছে। অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। মো. শাহজাহান কবীর বলেন, মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের হিসাব বিবেচনায় নিলে ১৭ কোটির মানুষের প্রয়োজন হয় প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় এক কোটি টন। কিন্তু গত বছর উৎপাদন হয়েছে চার কোটি ১৩ লাখ টন। ফলে চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে চাল আমদানি করতে হয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। বিশেষ করে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার চাল আমদানি করে থাকে।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েই চলেছে আলুর দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে আলু আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলেও প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারতের অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলুখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভারতের অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে আলুর সংকট, সেই সঙ্গে বেড়েছে দাম। বন্দরের ব্যবসায়ীদের কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে, সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। অন্যদিকে হিলির খুচরা বাজারে ভারতীয় আলুর পাশাপাশি বৃদ্ধি হয়েছে দেশি আলুর দামও। দেশি আলু কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে ২৩০ মার্কিন ডলারে আলু আমদানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারকে প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৮ টাকা ৬২ পয়সা। যার ফলে আলু আমদানি করে তেমন লাভ হচ্ছে না। যদি সরকার আলু আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে দিতো তাহলে আলুর দাম অনেকটাই কমতো। এদিকে হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দরের ব্যবসায়ীরা যেন সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারে সেই জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল দ্রুত ছাড়করণে কাজ করছে হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৬ হাজার ১৬৩ টন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭০০ টন আলু আমদানি
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানির প্রথম দিনেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৭ ট্রাকে ৬৯৪ টন আলু আমদানি হয়েছে। তবুও বেড়েছে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম। হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে ছোট আলু ৪০ টাকা এবং বড় আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে হিলির বাজারে দেশি বড় জাতের আলু ৪৫ টাকা এবং ছোট জাতের আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে আলুর সংকটের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।  হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত আলুগুলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য থেকে আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ২০০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন।  হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা আশরাফ তালুকদার বলেন, আলু প্রতিদিন খাবারের তালিকাতে রাখতে হয়। যার জন্য আলুর চাহিদা অনেক বেশি। তবে প্রতিদিন যেভাবে আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে তো আলু খাওয়া বাদ দিতে হবে। গত সপ্তাহে আলু কিনেছিলাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যেই। এখন সেই আলু কিনতে হলো ৫০ টাকা দরে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে এমন করে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।  তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর জোর দাবি জানান এ ক্রেতা।  হিলি বাজারের আলু ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, দেশের আলুর অধিকাংশই কৃষকরা স্টরে রেখে দিয়েছে। যার ফলে মোকামে আলুর সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে দেশি আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় প্রশাসন আমাদের খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে কিন্তু মোকামে তো অভিযান পরিচালনা করে না। যদি প্রশাসন মোকামে অভিযান পরিচালনা করতো তাহলে আলুর দাম অনেকটাই কমে যেতো। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

গরুর মাংস আমদানি নিয়ে বিরোধ, যা বলছে খামারিরা
বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানি করতে চায় ব্রাজিল। কোরবানির ঈদের আগে ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার ঢাকা সফরে এ বিষয় আলোচনায় আসে। ব্রাজিল দিতে চায় গরুর মাংস আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চায় জীবন্ত গরু আমদানি করতে। কিন্তু এর কোনোটাই চাচ্ছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দেশে প্রাণিজ আমিষ জোগানের দায়িত্বে রয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দেশে গরুর মাংসের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি। তাই আমদানির প্রয়োজন নেই। খামারিরা বলছেন, গরুর মাংসের দাম বেশি কারণ গো-খাদ্যের দাম বেশি। সরকারের উচিত গো-খাদ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা। তাহলে দেশেও সস্তায় মাংস উৎপাদন সম্ভব হবে। এদিকে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস কিংবা জীবন্ত গরু আমদানি হতে পারে। এমন খবরে কপালে চিন্তার রেখা প্রান্তিক খামারিদের। তারা বলছেন, অনেক যুবক পড়াশোনা শেষে উদ্যোক্তা হয়েছেন। ডেইরি শিল্পে এসেছেন। গরু পালন করছেন। মাংস উৎপাদন করছেন। যদি বাইরে থেকে মাংস আমদানি করা হয়, তাহলে প্রান্তিক খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবে। গরু ও গরুর মাংস আমদানির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে কিছুই জানায়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমন দাবি প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক রেয়াজুল হকের। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ গরুর মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতি কুরবানির ঈদে অবিক্রিত থাকে কয়েক লাখ গরু। তিনি আরও বলেন, গত কুরবানিতে ২০ লাখ বড় পশু অবিক্রিত থাকে। এক্ষেত্রে লুকানোর কিছু নেই। আমদানির সুযোগ নেই। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে কুরবানির প্রাণির চাহিদা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ, বিপরীতে জোগান ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ। একই কথা বলছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনও। সংগঠনটির সভাপতির আহ্বান, গো-মাংস আমদানির মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, সরকারের সস্তায় গো-খাদ্য সরবরাহের দিকে নজর দেয়া উচিত। ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল গড়ে ৩০০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় এখন গরুর মাংসের দাম এখন ১৫০ শতাংশের বেশি। তবে ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। প্রসঙ্গত, ৭ মার্চ ঢাকায় সফরত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তখন গরুর মাংস রপ্তানির জন্য আগ্রহ দেখায় ব্রাজিল। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জীবন্ত গরু আমদানি করতে চাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি, তবু কমছে না দাম 
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতীয় ৪৭ ট্রাকে ১ হাজার ২০০ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। তবুও কমছে না দেশি এবং ভারতীয় আলুর দাম। খুচরা বাজারে বেড়েই চলেছে সব ধরনের আলুর দাম। দেশি বড় জাতের আলু কেজি প্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় এবং ছোট জাতের দেশি আলু ৫ টাকা কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সেই সঙ্গে ভারতীয় আলু ৩১ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  দেশের বাজারে চাহিদা থাকার কারণে বেড়েছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।  হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, আমার একটি হোটেল আছে। সেই হোটেলে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কেজি আলুর প্রয়োজন হয়। আমি আলু নিতে এসে দেখি প্রতিদিন আলুর দাম বৃদ্ধি পেতেই আছে। যদি এভাবে আলুর দাম প্রতিদিন বৃদ্ধি পায় তাহলে তো হোটেল চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে। লাভের আসা তো দূরের কথা লোকাসানে পড়তে হবে।  হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, ঈদের ছুটির কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দেশের বাজারে আলুর সংকট যেন না দেখা দেই সেই জন্য ছুটির আগেই বেশি পরিমাণ আলু আমদানি করেছে বন্দরের আমদানিকারকরা। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়