• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৮৩৭ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠাল পাকিস্তান
পাকিস্তান থেকে দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৭ আফগান শরণার্থীকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তোরখাম ও স্পিন বোল্ডাক ক্রসিং দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে খামা প্রেস জানিয়েছে। আফগান সরকারি কর্মকর্তারা শনিবার জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব শরণার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যে ৯০ পরিবারের মোট ৪৬৮ জনকে তোরখাম ক্রসিং দিয়ে পাঠানো হয়। একইভাবে স্পিন বোল্ডাক দিয়ে ৬৭ পরিবারের ৩৬৯ জনকে পাঠানো হয়। পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের অবস্থা এখনো ভয়াবহ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এসব শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন করছে পাকিস্তান। অনেকেরই মাথার ওপর ছাদ নেই। শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো প্রয়োজনীয় চাহিদার সুযোগ নেই। সব জায়গায় তাদের যাওয়ার সুযোগও নেই।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১১

আফগান নারীদের জন্য অনলাইন ম্যাগাজিন জান টাইমস
ক্যানাডায় বসবাসরত আফগান নারী জাহরা নাদের ‘জান টাইমস’ নামের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন প্রকাশ করছেন৷ আফগানিস্তানে বাস করা নারী ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা আফগান নারীরা এতে কাজ করছেন৷ ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকরার পর মেয়েদের অনেক বিষয়ে নিয়ম করেছে৷ এই অবস্থায় সেখানকার নারীদের পরিস্থিতি তুলে ধরতে ২০২২ সালের আগস্টে জান টাইমস চালু করেন জাহরা নাদের৷ আফগানিস্তানে থাকার সময় নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন ৩৪ বছর বয়সী জাহরা৷ এরপর পিএইচডি করতে ক্যানাডা পাড়ি জমান৷ তিনি যখন দেশ ছাড়েন তখনও তালেবান ক্ষমতা দখল করেনি৷ আমার মাতৃভূমির মেয়ে ও নারীদের সহায়তা করার দায়িত্ব অনুভব করেছি আমি, বলেন জাহরা৷ দেশ ও দেশের বাইরে থাকা আফগান নারী সাংবাদিকেরা তার ম্যাগাজিনে কাজ করেন বলে জানান তিনি৷ আফগানিস্তানের অল্প কয়েকজন নারী সাংবাদিক স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ করেন৷ তাদের জন্য কাজ করা খুব বিপজ্জনক৷ তালেবান যে ইস্যুগুলো শুনতে চায় না এমন বিষয়ে তারা প্রতিবেদন পাঠান: এলজিবিটি, মানবাধিকার, পারিবারিক সহিংসতা কিংবা বাল্য বিবাহ৷ প্রতিবেদন করার অনেক কিছু আছে৷ অনেক অবিচার আছে, বলেন জাহরা৷ ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়ে থাকে৷  জাহরা বলেন, তালেবানের প্রোপাগান্ডার সঙ্গে মেলে না এমন বিষয়ে প্রতিবেদন করা খুব বিপজ্জনক৷ আমাদের স্থানীয় সহকর্মীদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়৷ তারা ছদ্মনামে লেখেন আর আমাদের সঙ্গে কথা বলার পর ঘরের বাইরে যান৷ তারা একে অপরকে চেনেন না৷ শুধু বিদেশে থাকা সহকর্মীদের সঙ্গে তাদের পরিচয় আছে, বলে জানান তিনি৷ নিজের কাছে জমা থাকা অর্থ দিয়ে ম্যাগাজিনের কাজ শুরু করেছিলেন জাহরা৷ সে কারণে শুরুতে তাদের বেতন ছাড়াই কাজ করতে হয়েছে৷ তবে এখন তারা বৃত্তি ও দান পাচ্ছেন৷ জাহরা বলেন, আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাই৷ তাদের চিন্তা করতে শেখাতে চাই৷ আফগানিস্তানের নারীরা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা আফগান নারীরা তার ম্যাগাজিন পড়েন বলে জানান তিনি৷
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়