• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অভিবাসীদের অর্ধেক প্রাণ হারিয়েছেন সমুদ্রে ডুবে
অভিবাসীদের জন্য গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিভীষিকাময় বছর ছিল ২০২৩। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ সংস্থাটি জানায়, গত বছর অভিবাসন রুটে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে আট হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছে৷ অনিয়মিত পথে উত্তর-আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসা অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমধ্যসাগরীয় পথে গতবছর ২০২২ এর চেয়ে ২০% বেশি অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন৷  বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বলেছে, এই বছর মৃত্যুর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে৷ সংস্থাটির মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের মৃত্যু ও নিখোঁজ হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে৷ আইওএম-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রকল্পের সংগৃহীত এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সবার জন্য নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই আরও বড় পদক্ষেপের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে৷ যেন এখন থেকে ১০ বছর পর মানুষকে উন্নত জীবনের জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে না হয়৷ অভিবাসীরা বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ পথে বেছে নিতে ২০২৩ সালে অভিবাসীদের মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৬ সালের রেকর্ড আট হাজার ৮৪কে ছাড়িয়ে গেছে৷ নিরাপদ, নিয়ন্ত্রিত পথের অভাবের কারণেই হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী বিপজ্জনক পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আইওএম৷ ভূমধ্যসাগর অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ হিসেবে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর সময় এ পথে ২০২৩ সালে কমপক্ষে তিন হাজার ১২৯ জন মারা গিয়েছিল৷ যা ২০১৭ সালের পর এই রুটে সর্বোচ্চ মৃত্যু৷ ২০২৩ সালে আফ্রিকা (১,৮৬৬) ও এশিয়া (২,১৩৮) মহাদেশে জুড়ে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে৷ যার মাঝে অনেকেই আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি ও স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্র পথে মারা গেছেন৷ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা ও আফগান শরণার্থীও এশিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে৷ প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মারা যাওয়া মোট অভিবাসীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন সমুদ্রে ডুবে৷ এছাড়াও গাড়ি দুর্ঘটনায় ৯% ও সহিংসতায় ৭% মারা গেছেন৷ ২০২৪ সালের প্রথম দুমাসে এ পর্যন্ত ৫১২ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন৷
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৯

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মালয়েশিয়ার ‘বিশেষ সুযোগ’
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে নিয়মিত চলছে অভিযান। তা সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসীদের বড় একটি অংশ রয়ে গেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এবার অবৈধ এই অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার জন্য বিশেষ সুযোগ দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। শিগগিরই তাদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এমন সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সাধারণ ক্ষমার আওতায় স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করা হবে নতুন এই কর্মসূচি।   তবে, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবেশ, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার আগে অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে পুলিশের হাতে আটক ও কারাগারে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন অভিবাসীরা।   এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে ‘আরটিকে ২.০’ নামের একটি প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়, যার মেয়াদ বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে। তবে রেজিস্ট্রেশন পর্ব শেষ হলেও, এর যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চলবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।    এই প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত ম্যানুফ্যাকচারিং, কনস্ট্রাকশন, ফার্মিং, এগ্রিকালচার ও সার্ভিস সেক্টরে প্রায় ৫ লাখ ১৮ হাজার অবৈধ অভিবাসী তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়