• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে অবৈধ যান নির্বাচনে এসে বৈধ
কয়েক দিন আগেই দিনাজপুরের হিলির বিভিন্ন সড়ক থেকে ভটভটি, অটোরিকশা, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার (৭ মে) সেই ভটভটি, ট্রাক্টর (ইট ও বালু বহন) চড়েই নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। উপজেলা নির্বাচনে এখন সেই ভটভটিই প্রশাসনের প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ভটভটিতে করে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে হাকিমপুর উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা চত্বরে সারি সারি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে অসংখ্য ভটভটি ও ট্রাক্টর। উপজেলা নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বের করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর মাইকে কেন্দ্রের নাম ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নাম ধরে ডাকা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে মালামাল বুঝে নিচ্ছেন। এরপর তা তোলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ভটভটি অথবা ইট-বালু বহন করা অবৈধ ট্রাক্টরে। প্রতিটি ভটভটি ও ট্রাক্টরের সামনে বড় করে কাগজে লেখা রয়েছে কেন্দ্র নম্বর, কেন্দ্রের নাম ও  দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু হাকিমপুর উপজেলাতেই নয়, জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও নির্বাচনী সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভটভটি ও ট্রাক্টর। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের এবং তাদের মালামালও পরিবহন করা হচ্ছে এই ভটভটি ও ট্রাক্টর দিয়ে। হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল হোসেনে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশেই ভটভটি ও ট্রাক্টরগুলো নেওয়া হয়েছে। তাদের কিলোমিটার হিসেব করে তেল খরচ দেওয়া হবে। নির্বাচনের সময় বেশি গাড়ির প্রয়োজন হয়। যার জন্য ভটভটি ও ট্রাক্টরগুলো ভাড়া করা হয়েছে।  হাকিমপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল সরকার ফোনে বলেন, নির্বাচনের সময়ে ট্রাক্টর ব্যবহারের বিষয়ে কি আইন আছে তা আমার জানা নেই। তবে প্রতিটি যানবাহনের জন্য নির্ধারিত একটি বরাদ্দ আছে। এটি জেলা কর্মকর্তা বলতে পারবেন।   
১০ ঘণ্টা আগে

গাইবান্ধায় ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল
গাইবান্ধার লাইসেন্সবিহীন ১৭৯টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে কেন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রনণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী ১৭৯টি ইটভাটা উচ্ছেদ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালযের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও গাইবান্ধার জেলা প্রসাশকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।  এ বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি আবদুর রাজ্জাক। গত সপ্তাহে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।  এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গাইবান্ধা জেলার কৃষি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে গাইবান্ধা জেলার অবৈধ ইটভাটার তথ্য ও তালিকা চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় অফিস এ আইনজীবীকে লিখিত তথ্য সরবরাহ করে।  সেখানে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার আওতাধীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ১৭৯টি। এ তথ্য অনুযায়ী বসতবাড়ি ও ফসলি জমির পাশ থেকে ইটভাটা উচ্ছেদসহ ফসলি জমি উদ্ধারের জন্য গত ২ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বরাবর আবেদন করেন। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদন অনুসারে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে পরবর্তিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রিটকারী আবদুর রাজ্জাক। তারপরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
২৩ ঘণ্টা আগে

গাজীপুরে দিনভর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাটিকাটা বাজার এলাকায় বন বিভাগের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বনবিভাগ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় দিনভর এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৪২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।  ঢাকা বন বিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জ অফিসার মনিরুল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বন বিটের আওতাধীন মাটিকাটা বাজার এলাকায় কিছু জবরদখলকারী বন বিভাগের গাছপালা কেটে বনের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আসছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।’ ঢাকা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল আলম জানান, উচ্ছেদ অভিযানে বন বিভাগের প্রায় এক একর (১০০ শতাংশ) জমি দখল মুক্ত করা হয়েছে; যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে গাছে চারা লাগিয়ে দেওয়া হবে।
০৫ মে ২০২৪, ১৯:৫২

ফের পেছাল এস কে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার প্রতিবেদন
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফের সময় দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন ২৬ জুন দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আক্কাস আলী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা) এস কে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়। মামলার বিবরণে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউজার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা নিয়েছেন তা বিদেশে পাচার করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে। এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এরমধ্যে মানিলন্ডারিংয়ে সাত বছর এবং অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন আইজিপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছেন। দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে একটি প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে একই অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, ঈদের পর ১৮ এপ্রিল কমিশনের প্রথম সভায় বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদক আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম তদারক করার জন্য তদারক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী যা যা করা দরকার তারা তা করবেন। বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আইওয়াশ কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা সত্য না। এর আগেও বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলেছিল, সেটা নথিভুক্ত হয়েছে। সেটাকে পুনরায় শুরু করা যায়নি কেন, জানতে চাইলে সচিব বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। সোমবার বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান এই রিট দায়ের করেন। এ ছাড়া বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুদককে দেওয়া ওই আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম। এতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি। বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৮

ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবাজারের অবৈধ দোকান
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবাজারে গড়ে ওঠা অবৈধ ও অস্থায়ী দোকান।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত হয় এ কার্যক্রম।  ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাছের জানান, নতুন করে মার্কেট করার লক্ষ্যে এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ এপ্রিল অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর সবচেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারকে আধুনিক রূপদান এবং সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ‌‌বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান।  ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হতে যাওয়া বহুতল ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট, এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠা-নামানোর জন্য।  ভবনটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। গত বছরের ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ৩ হাজার ৮৪৫ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় বলেও উল্লেখ করা হয়। পরে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ফাঁকা স্থানে শামিয়ানা ও ছোট ছোট চৌকি বসিয়ে কোনোমতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা (ভিডিও)
রাজধানীতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে ধূসর বা রূপালী রঙের এসব অটোরিকশা। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে আশপাশের জেলার অটোও ঢুকছে অবাধে। ১৫ হাজার বৈধর সঙ্গে নগরে এখন অবৈধ সিএনজি ২২ হাজারের বেশি। পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে অবৈধ এই কারবার। রাজধানীতে ধূসর সিএনজি অটো আছে প্রায় চার হাজার। যার বেশির ভাগের মালিক ট্রাফিক বা পুলিশ সদস্য। ফলে ব্যক্তিগত যান অবলীলায় হয়ে যাচ্ছে ভাড়ায়চালিত। রাজধানীর কাওরান বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে দেখা গেল বেশির ভাগ অটোরিকশাই ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রেশন করা। শুধু তাই না, রাজধানীতে অন্য জেলার অটোও চলছে অবাধে। অথচ মহানগরে বাইরের যান চলার কথা নয়।  রাজধানীতে অবৈধ সিএনজিচালিত অটো রয়েছে ২০ হাজারের বেশি। যেখানে বৈধর সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। এরমধ্যে অনেকগুলোর আবার বৈধ কাগজ নেই। বলতে গেলে অবৈধদের ভিড়ে বৈধরাই এখন কোণঠাঁসা।  চালক ও মালিকদের অভিযোগ, অবৈধ অটোর বড় অংশের মালিক ট্রাফিক পুলিশ। তাই তারা থাকেন নির্ঝঞ্ঝাট।  ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি হাজী বরকতুল্লাহ বুলু বলেন, প্রাইভেট সিএনজির ৮৫ শতাংশই ট্রাফিক পুলিশের মালিকানায়। এই গাড়িগুলো দাপটের সঙ্গে চলে। অথচ, বৈধ গাড়িগুলো মোড়ে মোড়ে চেক করে।   রাজধানীতে হাজার হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা থাকলেও তা জানা নেই ট্রাফিক বিভাগের কর্তাদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, সাদা প্রাইভেট সিএনজিগুলো কমার্শিয়ালি চলার কোনো অনুমতি নেই। কেউ ধরা পড়লে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।  বিশেষজ্ঞরা বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যদের যোগসাজোস ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই সরকারে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় অটোরিকশার ভিন্ন রং থাকলেও ব্যতিক্রম কেবল রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলো। এখানে সব সবুজ মিলেমিশে একাকার।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

আরটিভিতে খবর প্রচারের পর অবৈধ সেমাই কারখানাতে অভিযান
বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির বিষয়ে খবর প্রচারের একদিন পরেই দিনাজপুরের হিলির সেমাই কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও সহকারী কর্মকর্তা লায়লা আক্তার। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুটি সেমাই কারখানার মালিককে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা করা সেমাই কারখানা দুটি হলো, রিমা লাচ্ছা সেমাই এবং মারুফ আকাশ লাচ্ছা সেমাই। রিমা লাচ্ছা সেমাইয়ের মালিক আব্দুর রাজ্জাককে ৫০ হাজার এবং মারুফ আকাশের মালিক হাবিবুর রহমানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, হাকিমপুর উপজেলার খ্রটামাধবপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে অবৈধ সেমাই কারখানা তৈরি হয়েছে। সেখানে নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করা হচ্ছিল, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  তিনি বলেন, অভিযানের সময় সেমাই তৈরিতে ব্যবহৃত নোংরা তেল, ডালডা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৪

পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার নিষিদ্ধ হাঙ্গরসহ ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ চরঘেরা ও ৪ পিস বেহুন্দি জাল জব্দ করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনব্যাপী পাথরঘাটার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী বলেশ্বর নদীর পাড়সহ বিভিন্ন নদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাথরঘাটার বিভিন্ন নদী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী নদীর পাড় এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার কেজি হাঙর জব্দ করা হয়। এছাড়াও পাথরঘাটার লঞ্চ ঘাট, তালতলা, চরদুয়ানী, টেংরা, হাজীরখাল, রুহিতা ও পদ্মা এলাকা থেকে মাছ শিকারে ব্যবহৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল ও ৪ টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হাঙর শিকারি ও অবৈধ জাল ব্যবহারকারী জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জব্দকৃত হাঙর উপজেলা বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া উপজেলা মেরিন ফিশারী অফিসার মো. রিয়াজ হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস কারা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, প্রতিদিন বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে  আমাদের অভিযান চলে অবৈধ সকল জালের ওপরে এবং সকল সময় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।     
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৪

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঈদকে সমানে রেখে যাত্রী সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ সরকারের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।   উচ্ছেদকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি হোটেল, কনফেশনারী, মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা। ৬৮ শতাংশ সম্পত্তির ওপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোও উচ্ছেদের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়