• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
স্লটকে দায়িত্ব দিয়ে অ্যানফিল্ড থেকে বিদায় নিলেন ক্লপ
চলতি মৌসুমেই লিভারপুলের ক্লপ অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আনু্ষ্ঠানিকতা। এবার সেই পাঠ চুকিয়ে অ্যানফিল্ডে সাড়ে ৮ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেই সঙ্গে শিষ্যদের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন নতুন কোচের হাতে।  রোববার (১৯ মে) রাতে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল। শিষ্যদের কাছে নিজের শেষ দিনে একটি দারুণ জয় উপহার পাওয়ার আশা করছিলেন ক্লপ।  তবে শিষ্যরাও হতাশ করেননি বিদায়লগ্নে ডাগ-আউটে অপেক্ষামান এই জার্মান কোচকে। এই ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনকে ২-০ হারিয়েছে লিভারপুল। ম্যাচ শেষে নিজের উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা করেছেন ক্লপ। তার উত্তরাধিকারী হয়েছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট। সমর্থকদের সামনে গান গেয়ে স্লটকে সাদরে গ্রহণ করে নেন ক্লপ। স্লটের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে ক্লপ বলেন, নতুন ম্যানেজার, আমি চাই আপনারা তার নাম ঘোষণা করুন। আর্নে স্লট, না না না না না! পরের মৌসুম শুরু হলে নতুন ম্যানেজারের সঙ্গে পুরো সুর মিলিয়ে নিন। আপনি যখন শুরু করেন বিশ্বাস রাখতে শুরু করবেন। বিশ্বাস করা বন্ধ করবেন না। তিনি বলেন, আমি অনেককে কাঁদতে দেখেছি, আমিও নিজে কাঁদছি। কিন্তু পরিবর্তন ভালো। আপনি যদি সঠিক মনোভাব নিয়ে যান এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। লিভারপুলের সদ্য বিদায়ী কোচ বলেন, আজকের মতো এমন অনেক দারুণ দিন কেটেছে। এটিই সত্যিই অসাধারণ ছিল। আবার আমার খারাপ মুহূর্তও ছিল। কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, আজকের দিনে সেটি হয়নি। যা ঘটে তার জন্য আমি কেবল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।  ‘যখন আপনি এটির মধ্যে থাকেন, তখন মাঝে মাঝে ভুলে যান যে, এটি আসলে কতটা মহৎ কাজ। আপনি এটাকে মেনে নিচ্ছেন। ক্লাবের ইতিহাসের একটি অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি।’ ২০১৫ সালে তিন বছরের চুক্তিতে লিভারপুলে এসেছিলেন ক্লপ। এসেই লিভারপুলকে বদলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৭-১৮ মৌসুমে চতুর্থ স্থানে থেকে লিভারপুলকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করান ক্লপ। যে কারণে পরের মৌসুমে সুযোগ পেয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার। সেই মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতে নেয় অলরেডরা। ৩০ বছরের আক্ষেপকে পিছনে ফেলে ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাও জিতে নেয় ক্লপের অধীনে থাকা লিভারপুল। অর্থাৎ আনফিল্ডের দলটির না পাওয়া সবকিছুই ক্লপের হাত ধরেই আসে লিভারপুলের। লিভারপুলকে সফলতার নানা মুকুট পরিয়ে গেল জানুয়ারি মাসে হুট করে বিদায়ের ঘোষণা দেন ক্লপ। ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জানান, জীবনের শেষ দিনগুলো নিজের পরিবারকে দিতে চান ৫৬ বছর বয়সী এই কোচ।
৯ ঘণ্টা আগে

ভোটে জিতলেই অভিনয়কে বিদায় জানাবেন কঙ্গনা
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌত। কাজের পাশাপাশি নানান বিতর্কিত মন্তব্যের কারণেই খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। বলিপাড়ায় ঠোঁটকাটা হিসেবেও বেশ পরিচিতি রয়েছে এই অভিনেত্রীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে উঠে আসেন চর্চায়। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও বেশ সরব তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন এই নায়িকা। চলতি সপ্তাহে তিনি নিজের মনোনয়ন জমা দেন। এরপরই তার বড় ঘোষণা। জানালেন, ভোটে জিতলে অভিনয় ছেড়ে দেবেন।  সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মান্ডির বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যদি মান্ডি আসন থেকে জেতেন তবে কি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি ধীরে ধীরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে আসবেন? উত্তরে কঙ্গনার স্পষ্ট জবাব, হ্যাঁ অবশ্যই। একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা আমায় বলেছেন আমি একজন ভালো অভিনেত্রী। আমি যেন অভিনয় না ছাড়ি। আমি ভালো অভিনয় করি ঠিকই। সবটাই আমি প্রশংসা হিসেবে নিই। কঙ্গনা জানান, তিনি ভোটের ডিউটি অত্যন্ত সিরিয়াসলি নেন। কঙ্গনা তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ৯১ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৮.৭ কোটি টাকা, অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬২.৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশের মানালিতে তার একটি বাংলো রয়েছে, যার দাম ১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া মুম্বইয়ে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ৬.৭ কেজির সোনার গহনা রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। তার ওপরে ১৭ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।  ‘কুইন’খ্যাত অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফে লড়ছেন বিক্রমাদিত্য সিং। বিক্রমাদিত্যের পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ পোক্ত। তার মা ও বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। একের পর বাক্যবানে বিরোধীকে নিশানা করলেও লড়াই যে ‘আসান’ নয় তা বুঝে গিয়েছেন বরাবরই বিতর্কের শিরোনামে থাকা অভিনেত্রী কঙ্গনা।  
১৯ মে ২০২৪, ১৯:০৩

‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস।  সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের। ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য। মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। ২০০০ সালে মেলিন্ডা তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। ফাউন্ডেশনটি থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।  দীর্ঘ ২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন সে সময়। বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এ ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।  ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের উপার্জন থেকে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দান করেছেন এ ফাউন্ডেশনে।  
১৪ মে ২০২৪, ১০:১৫

অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মুনরো
টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা সময়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন কলিন মুনরো। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে বিশ্বকাপের দলে জায়গায় না পাওয়ায় স্থায়ী ভাবে আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মুনরো। এক বিবৃতিতে মুনরোর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড  ক্রিকেট বোর্ড। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর তিনি টেস্ট খেলেছেন মাত্র একটি। মূলত সাদা বলেই এক সময় ছিলেন অপরিহার্য। ৪৭ ওয়ানডেতে ২৪.৯২ গড় ও ১০৪.৬৯ স্ট্রাইকরেটে করেন ১২৭১ রান।  তবে টি-টোয়েন্টি তার পারফরম্যান্স দারুণ।  ৬৫ টি-টোয়েন্টিতে ৩১.৩৪ গড় আর ১৫৬.৪৪ স্ট্রাইকরেট রেখে করেন ১ হাজার ৭২৪ রান।  আছে তিনটা সেঞ্চুরি। অবসরের ঘোষণায় মুনরো বলেন, ব্ল্যাকক্যাপস জার্সিতে খেলা আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। এই জার্সির চেয়ে অন্য কিছুতে আর এত গর্ব অনুভব করি না।  ১২৩ বার সব সংস্করণ মিলিয়ে এই জার্সি গায়ে চাপাতে পেরেছি। যেটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য। অবসর বার্তায় ইঙ্গিত দেন কিছুটা আশা থেকে যাওয়ায় ঘোষণা দিচ্ছিলেন না এতদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ড দলে নিজের নাম না দেখে বুঝে ফেলেন ভবিতব্য। তিনি বলেন, আমি হাল ছাড়িনি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে  গেছি। কিন্তু এবার বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর বুঝে গেছি আমার চ্যাপ্টার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বোঝায় যায়, অনেকটা অভিমান করেই আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মুনরো। এই ক্রিকেটারের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটও। প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিক বিবৃতিতে বলেন, কলিন প্রথম কয়েকজন আগ্রাসী ব্যাটারের একজন ছিলেন, যে কিনা ৩৬০ ডিগ্রি ঘরানায় খেলতে পারত। খেলাটা এগিয়ে নেওয়ার একজন সে। নিউজিল্যান্ডকে শতাধিক ম্যাচে অবদান রাখায় তাকে ধন্যবাদ। তার উজ্জ্বল আগামী প্রত্যাশা করছি। সবশেষ ২০২০ সালে ঘরের মাঠে কিউইদের জার্সিতে খেলেছিলেন মুনরো। ইন্ডিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। এই ইনিংস দিয়ে আন্তজার্তিক ক্যারিয়ারের ইতিটানলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার।
১০ মে ২০২৪, ১২:১৩

বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিনিটে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে ঢাকা দূতাবাসে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।  ডেভিড স্লেটন মিল বর্তমানে বেইজিংয়ে মা‌র্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশনের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ঢাকায় ডেপুটি মিশন প্রধান ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলির নাম ঘোষণা ক‌রেন। সিনেটে শুনানির পর মিলিকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।  জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলি বেইজিংয়ে দা‌য়ি‌ত্ব পালনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইকোনমিক ব্যুরোর ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন বিভাগের উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি।  মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিলি। শিক্ষিকা লিসা ওডোনেলকে বিয়ে করেন মিল। থিও এবং বেনেট নামে কলেজপড়ুয়া দুই ছেলে রয়েছে এই দম্পতির।
১০ মে ২০২৪, ১০:৫২

শেষ বিদায়ে ভালোবাসায় সিক্ত জাতীয় পতাকার নকশাকার
শেষ বিদায়ে কুমিল্লার মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নিজ জন্মস্থান কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় তিনি বলেন, শিব নারায়ণ দাস মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। শিবুদার মাঝে রাজনীতি নিয়ে ক্লান্তি ছিল না। উনি আমাদের হাতে পোস্টার বানিয়ে দিতেন। আমরা পুরো শহর সেই পোস্টার বিলিয়ে দিতাম। এমন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে কুমিল্লার মানুষ হারিয়েছে। যত দিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে, ততদিন এ জাতি উনাকে স্মরণ করবে। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিব নারায়ণ দাস একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পতাকা শিব নারায়ণ দাসের হাতেই হয়েছে। উনি কখনো নিজের জন্য ভাবেননি। উনিই প্রথম কুমিল্লার টাউনহল মাঠে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়েছিলেন। আমরা সবার পক্ষ থেকে দাবি জানাই, শিব নারায়ণ দাসকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হোক। শিব নারায়ণ দাসের সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতশ্রী চৌধুরী বলেন, আমি ৫৫ বছর ধরে তার সঙ্গে ছিলাম। শেষ সময় পর্যন্ত কুমিল্লাবাসী শিব নারায়ণ দাসের পাশে ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিব নারায়ণ দাস বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার মূল নকশাকার। তিনি একজন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৬ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলন করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

রোনালদোর লাল কার্ড, সেমি থেকে বিদায় আল-নাসরের
উড়ন্ত ফর্মে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন হঠাৎ করেই মাটিতে আছড়ে পড়লেন। পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আল-নাসরকে জয় এনে দেওয়া পর্তুগিজ মহাতারকা সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল-হিলালের বিপক্ষে বনে গেলেন ভিলেন। হাইভোল্টেজ ম্যাচে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়লেন জনপ্রিয় এই ফুটবল জাদুকর। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে সৌদি সুপার কাপের জমজমাট সেমিফাইনালে আল-হিলালের মুখোমুখি হয় আল-নাসর। এদিন মাঠ জুড়ে শুরু থেকেই উত্তেজনার পারদ ছড়াতে থাকে।  প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ওটাভিওর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় নাসর। তবে উল্লাসে মাতার পরক্ষণেই রেফারির অফসাইডের পতাকা উঠতে দেখে অবাক হন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। কারণ, নিশ্চিত ছিলেন  অফসাইডের ফাঁদে পড়েননি তিনি। ডি-বক্সে ভেসে আসা দারুণ ক্রস ওটাভিওর কাছে আসার আগেই তা পায়ের স্পর্শে গোলে পাঠাতে চেয়েছিলেন অফসাইড পজিশনে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর তাতেই কি না বাধে বিপত্তি। গোল বাতিল হওয়ার পর ওটাভিওর হতাশা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতে না পারার হতাশা ভোলার আগেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই  দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে নাসর। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ফরোয়ার্ড সালেম আল দাউসারী লিড এনে দেওয়ার পর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন হিলালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যালকম। দুই গোল এগিয়ে যাওয়ার পর লিড ধরে রাখতে বাকি সময়ে রক্ষণাত্মক পজিশনে খেলা শুরু করে হিলাল। ফাইনালে যাওয়ার মিশনে গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে আল-নাসর। একের পর এক আক্রমণ করলেও ফিনিশিংয়ে তালগোল পাকিয়ে রোনালদো-ওটাভিও-মানেরা গোলের দেখা পাননি। একের পর এক সুযোগ মিস ও অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ায় বেশ চাপেই ছিলেন রোনালদো। তার চোখে মুখে হতাশ আর বিরক্তিও দেখা গেছে। সেই চাপেই কিনা শেষমেশ মেজাজ হারালেন সি’আর সেভেন। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে সময় ক্ষেপণ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন রোনালদো। ম্যাচে এর আগেই হলুদ কার্ড দেখা রোনালদোকে ফের কার্ড দেখান রেফারি। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হলেও এই পর্তুগীজ মহাতারকাকে লাল কার্ড নিয়ে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর ১০ জনের দল নিয়ে লড়াই চালিয়ে যায় নাসর। শেষদিকে সাদিও মানের গোল ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি লুইস কাস্ত্রোর দল। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল-হিলালের কাছে প্রো লিগের শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে থাকা নাসর এবার সুপার কাপ থেকেও বিদায় নিলো।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২

জুমাতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল 
পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আজ। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। রমজান আর জুমা একত্রে মিলিত হয়ে এ দিনটিকে করে তুলেছে মহিমান্বিত। আর আজকের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ঢল।  রমজান মাসের শেষ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পবিত্র জুমাতুল বিদার এই দিনে নামাজের আগেই মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ঢাকার অধিকাংশ মসজিদ।  আজানের পরপরই শুরু হয় খুতবা। আলোচনায় আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়, পবিত্র এ মাসের ফজিলতের কথা। রমজানের শেষ শুক্রবারে কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ পূর্ব বয়ানে খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন পবিত্র মাহে রমজান, শবেকদর, জুমাতুল বিদার তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন। জাকাত ও ফিতরা আদায়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উপস্থিত মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। নামাজ শেষে খতিব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং শান্তিকামনা করে মোনাজাত করেন।  এ সময় মুসল্লিদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো মসজিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি। রমজান মাসের শেষ জুমার এ দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ বিশেষ দিন পালিত হলো।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৬

সহকর্মীদের চোখের জলে ভাসিয়ে বিদায় নিলেন খালিদ
বাংলা সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’র মতো অনেক গান দর্শকদের উপহার দিয়েন তিনি। তবে হুট করেই যেনো সংগীত জগতে নেমে এলো অন্ধকার। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেখে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় এই  সংগীতশিল্পী।   জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতসহ শোবিজ অঙ্গনে। হুট করেই তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সহকর্মীরা। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খালিদের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি ও তার গানের লাইন শেয়ার করে জানাচ্ছেন বিদায়। চাইছেন আত্মার শান্তি। নগর বাউল জেমস খালিদের কালজয়ী গান ‘কোনো কারণে ফেরানো গেলো না তাকে’ এই গানের দুই লাইন শেয়ার করে লেখেন, সে যে হৃদয় পথের রোদে, একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী খালিদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। কান্না ভেজা কণ্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি আর খালিদ একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। ওর এমন অকাল মৃত্যু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। তার আত্মার শান্তিকামনা করছি। সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর খালিদের মৃত্যুর সংবাদ কিছুতেই মানতে পারছেন না। এরপর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একযুগ আগের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, কোনো বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে, সে যে হৃদয় পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। গানের দুটি লাইন শেয়ার করে তিনি আরও লেখেন, নিজের গাওয়া প্রিন্স মাহমুদের অমর গানের সঙ্গে হারিয়ে গেলেন চাইম ব্যান্ডের প্রিয় ভোকালিস্ট খালিদ ভাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রেখে গেলেন একরাশ মায়া। খালিদ ভাইয়ের মায়াবী কণ্ঠ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কৈশোর ও যৌবনের প্রিয় গায়ক খালেদ ভাইয়ের এই মৃত্যুতে আমি হারিয়ে ফেললাম খুব প্রিয় একটা কণ্ঠ! জাতি হারালো নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে! আমি আমরা শোকাহত। খালিদ ভাইয়ের আত্মার শান্তিকামনা করি। মহান আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক বইবার শক্তি দিন। আমিন। ছবিটি আমার বিয়ের একযুগপূর্তিতে তোলা ১০/০৭/২০০৪, সেদিন মিতালী মুখার্জি দিদিও ছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ খালিদের দুটি লাইন, কোনো বাঁধনেই বাঁধা তো গেল না কিছুতেই, লিখে তার আত্মার শান্তিকামনা করেন। এ ছাড়া শূন্য ব্যান্ড, আর্টসেল, ওয়ারফেজ, শিরোনামহীন, অর্থহীনসহ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো তার আত্মার শান্তিকামনা করে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। তার জন্ম গোপালগঞ্জে। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। তার স্ত্রী ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা সংগীতশিল্পী খালিদের। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি। ছিলেন চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতিটি গানই এখন ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে ফ্রিতেই শুনতে পারেন শ্রোতারা। তবে একসময় চাইমের খালিদের গলার সেই সুর শুনতে সিডি প্লেয়ার, ক্যাসেট ইত্যাদি কেনার ধুম লেগে যেত বাঙালি শ্রোতাদের।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০

‘বিয়ে যখন হচ্ছে স্কুলে গিয়ে বিদায় নিয়ে আসি’
স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের থেকে বিদায় নিয়ে আসার কথা বলে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছেন এক কনে। ওই কনের বয়স ১৩ বছর। রাজশাহীর আলোর পাঠশালায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছেন তিনি। রোববার (১০ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।  মেয়েটি জানায়, গতকাল শনিবার রাতে তাকে বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানো হয়। রোববার সকালে বরপক্ষ আসে বিয়ের জন্য। মেয়েটি কৌশল করে মাকে বলে, ‘বিয়ে যখন হচ্ছে স্কুলে গিয়ে বিদায় নিয়ে আসি।’ পরে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের তার বিয়ের বিষয়টি জানালে জানা যায়, মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মা জোর করে তাকে বিয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষকেরা সব শুনে তার বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে রাজশাহীর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন জানান, মেয়েটি তাদের বিদ্যালয়ের একজন ভালো ছাত্রী। পড়াশোনার প্রতি খুবই আগ্রহী একজন শিক্ষার্থী। মেয়েটির বাবা নেই। মা অন্যত্র আবার বিয়ে করেছেন। কয়েক দিন আগে মেয়েটি জানিয়েছিল, মা ও সৎবাবা তাকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা যেকোনো সময় তার বিয়ে দিয়ে দেবেন। কিন্তু সে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে চায় না। যেভাবেই হোক বিয়ে ঠেকাতে হবে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটায় বিদ্যালয়ে এসে ওই কিশোরী শিক্ষকদের বিয়ের বিষয়টি জানায়। কৌশল করে সে বিদ্যালয়ে এসেছে। এদিকে মেয়ের ফিরতে দেরি হওয়া দেখে মা বাড়ির মালিককে বিদ্যালয়ে পাঠান। বাড়ির মালিক এসে বলেন, মেয়ে না যাওয়ায় মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য শিক্ষকদের জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন, মেয়ের মা অসুস্থ হননি। অসুস্থতার কথা তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সকাল ১০টায় আলোর পাঠশালার শিক্ষকরা মেয়েটির বাসায় যান। তারা মেয়েটির মাকে সব বুঝিয়ে বলার পর মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ওয়াদা করেন মা। শিক্ষকেরা চলে আসার পর বরপক্ষের লোকজন ফোন করে প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুনকে জানান, বিয়ে করতে না দিলে তাদের যাতায়াতের খরচ দিতে হবে। এ অবস্থা দেখে প্রধান শিক্ষক মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে ফোন করেন। তিনি এসে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেন এবং অঙ্গীকার করান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তিনি মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। সবাই চলে যাওয়ার পর মেয়ের মা প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বলেন, সরকারের ঘরে যখন আমার নাম গেছে, আমার যখন এতই দোষ, এখন এই মেয়ের দায়দায়িত্ব আমি আর বহন করতে পারব না। তবে আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক জানান, এ ঘোষণা দেওয়ার পর রাতে কী হয়, তিনি বলতে পারছেন না। তারা সতর্ক আছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ০০:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়