লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৩৮
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৪
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৪
কোন ধরনের কাপড় ঠিক কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হয়

ফাইল ছবি
কাপড় ইস্ত্রি করার আগে খেয়াল করুন সুতি, সিল্ক, জর্জেট, লিনেন, অর্থাৎ কোন ধরনের কাপড় ইস্ত্রি করছেন। কাপড়ের ধরন বুঝে ইস্ত্রির তাপমাত্রা নির্ধারণ করুন। ইস্ত্রির গায়েই কাপড়ের ধরন অনুযায়ী কত তাপমাত্রা প্রয়োজন তা লেখা থাকে। সুতির কাপড়
ইস্ত্রি না করলে সুতি জামাকাপড় পরাই যায় না। সুন্দরভাবে ইস্ত্রি করতে চাইলে তাপমাত্রা রাখুন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তারপর সমানভাবে ইস্ত্রি করতে থাকুন। পলিয়েস্টার কাপড়
ইস্ত্রির তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক। তাই তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখুন।

সিল্কের জামাকাপড় মানেই সেটি খুব হালকা, সূক্ষ্ম ও কোমল। তাই ইস্ত্রি করতে হবে খুব যত্নে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন সিল্কের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় তাপমাত্রা যেন কোনোভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়। লিনেনের কাপড়
এই ধরনের ফেব্রিক সবচেয়ে বেশি কুঁচকে যায়। তাই ৪৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হবে লিনেনের জামাকাপড়। সিফন জর্জেট
এই ফেব্রিক খুবই মিহি হয়। ইস্ত্রি না করলেও চলে। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়। লাইক্রা
এই ধরনের ফেব্রিক ইস্ত্রি না করাই ভালো। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন কোনোভাবেই ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়। রেয়ন
সুতি বা লিনেনের থেকেও কিছুটা পাতলা হয় এই ফেব্রিক। অল্পতেই কুঁচকে যায় এর তৈরি জামাকাপড়। এই ফেব্রিকে তৈরি জামাকাপড় ইস্ত্রি করার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখুন। উল
উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা ঠিকঠাক না থাকলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা যেন কোনোভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়। ইস্ত্রি করলে কাপড়ের মান দীর্ঘদিন অটুট থাকে। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। জামাকাপড় অল্প ব্যবহারে যদি বেশি ধোয়া পড়ে তাহলে তার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। আবার ইস্ত্রি বেশি করলে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। ইস্ত্রি করা হলে ঘণ্টাখানেক কাপড় ঠাণ্ডা করে তারপর আলমিরাতে রাখুন। এতে কাপড় ভালো থাকবে দীর্ঘদিন। যে পোশাকই পরুন না কেন, তা যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি হয়। পোশাক পরিষ্কার করার পর তা সুন্দর করে ইস্ত্রি করুন। আরো পড়ুন এস/ এমকে