কিডনিতে পাথর হলে বুঝবেন কিভাবে?
কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে কিডনিতে স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার কথা এখন প্রায়ই শোনা যায়।
কিডনির সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্টোন বা পাথর। কিডনিতে পাথরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে পাথরের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
কিডনিতে পাথর জমার কারণ
* শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।
* বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা।
* অত্যধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
* শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ
* বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
* রক্তবর্ণের প্রসাব।
কিডনির অবস্থানে ‘কোমরের পিছন দিকে’ ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসা পরামর্শ
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রস্রাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হলো কিডনিতে পাথর অন্যটি ইনফেকশন। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রস্রাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়।
সতর্কতা
* কখনও প্রস্রাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। প্রস্রাবের বেগ এলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাব করার।
* কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
* বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
* দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।
সূত্র: জি নিউজ
জিএম/পি
মন্তব্য করুন