পাকিস্তানে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে নিহত ৩০
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে মারা গেছেন অন্তত ৩০ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন। এদের অনেকের অবস্থাই গুরুত্বর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে সিন্ধুর সুক্কুর জেলার রোহরি রেল স্টেশনের কাছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, স্টেশনের কাছে কান্ধরা রেল ক্রসিং অতিক্রম করছিল পাঞ্জাবগামী একটি বাস। ওই সময় করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী পাকিস্তান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাসটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে দুমড়ে-মুচড়ে প্রায় ২শ’ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে বাসটি। সংঘর্ষের তীব্রতা এতোই বেশি ছিল যে, বাসটি তিন টুকরা হয়ে ভেঙে যায়।
হতাহতদের সবাই বাসযাত্রী। আহতদের রোহরি ও শুক্কুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসজে
মন্তব্য করুন
এপ্রিলেই কারামুক্ত হতে পারেন ইমরান খান!
চলতি মাসেই কারাগার থেকে মুক্তি মিলতে পারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানে—এমনটাই আশা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। দলটির সিনিয়র নেতা লতিফ খোসা এ বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
রোববার (৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘নয়া পাকিস্তান’ নামে সংবাদমাধ্যমটির একটি অনুষ্ঠানে লতিফ খোসা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি এটি নিশ্চিত করে বলছি যে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে (ইমরান খান) এই এপ্রিলেই মুক্তি দেওয়া হবে।’
ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে সরকার-সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে পিটিআইয়ের এ সিনিয়র নেতা বলেন, ইমরান খানের মুক্তি কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে হচ্ছে—এমনটা ভাবা অন্যায়।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে সাইফার মামলা ও ইদ্দত মামলার বিষয়ে খোসা জানান, এগুলোর আসলে ভিত্তি নেই। তিনি বলেন,‘সাইফার মামলায় আদালত ইতোমধ্যেই সেই কথিত ‘সাইফার কোথায় আছে’ সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। আর ইদ্দত মামলাটি একটি লজ্জাজনক বিষয়।’
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে থাকা তোশাখানা মামলার ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঈদের পর এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।
তবে কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ এলেও ইমরান খান এখনো কারাগারে বন্দি। সাইফার মামলা, আরেকটি তোশাখানা মামলা ও সন্ত্রাসবাদী মামলার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল আছে এখনও।
এদিকে ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে লতিফ খোসার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পর একই ধরনের দাবি করেছেন পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহার আলী খানও। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, শিগগিরই কারামুক্ত হবেন ইমরান খান।
উল্লেখ্য, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ইমরান খানকে। সে সময় ইমরান খান ও পিটিআই নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী। পরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সাইফার ও ইদ্দত মামলায়ও অভিযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় বর্তমানে কারাভোগ করছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানে কিশোরকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিক্ষোভ
পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক কিশোরকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করা হয়েছে। শহরের মদিনা কলোনির প্রভাবশালী গ্যাং সদস্যদের হাতে খুনের ওই ঘটনায় নিহতের পরিবার, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় তারা ওই কিশোরের মরদেহ মূল সড়কে রেখে বিক্ষোভ করেন বলে ডন জানিয়েছে।
১৩ বছরের ওই কিশোরের ময়নাতদন্তের পর স্বজনেরা লাশ গ্রহণ করেন। এরপর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। অপরাধীদের ধরতে এবং এফআইআর দায়েরে পুলিশ দেরি করছে বলেও তারা স্লোগান দেন।
নিহতের বাবা গণমাধ্যমে বলেন, অপরাধীরা তার ছেলেকে তাদের গেস্ট হাউসে ডেকে নেয়। সম্ভবত তাকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। যৌন হয়রানির বিষয়ে এর আগে তার ছেলে পরিবারের কাছে অভিযোগও করছিল। প্রভাবশালী চক্রটি তার ছেলেকে টার্গেট করেছিল বলে জানান তিনি।
যৌন নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না জানাতে চক্রটি হুমকিও দিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকার অন্য ছেলেদেরও ওই গ্যাং হুমকি দিয়েছিল, যাতে তারা ছেলেটির ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা না বলে। ঘটনা বলে দিলে অন্যদের সন্তানদেরও একই পরিণতি করার হুমকি দিয়েছিল চক্রটি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী, আইজিপি, শুক্কুর ডিআইজি এবং এসএসপির কাছে ন্যায় বিচারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
নির্বাহী হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না পাকিস্তানের আদালত
পাকিস্তানে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারকদের তোলা অভিযোগের পর প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই বিচারকদের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে আপস করা হবে না।
সুপ্রিম কোর্টে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান বিচারপতি এই বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজিপি) মনসুর উসমান আওয়ানও উপস্থিত ছিলেন।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, বিচারিক কার্যক্রমে গোয়েন্দা সংস্থার কথিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ছয় বিচারক সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন। বিচারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জোরজবরদস্তিমূলক কৌশলের কথা এক খোলা চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন। এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে প্রধান বিচারপতি আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে ও গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রধান ভূমিকার ওপর জোর দেন। বিচার বিভাগীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে বিচারকদের কার্যক্রমে কোনো নির্বাহী হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।
হাই কোর্টের বিচারকদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে ‘পাকিস্তান কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ২০১৭’ এর অধীনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য প্রস্তাব আসে বৈঠকে। নিরপেক্ষ একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে এই কমিশনের লক্ষ্য হবে জটিলতাগুলো খুঁজে বের করে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করা।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনায় উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন শেহবাজ শরীফ। কমিশন গঠন ও অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীন সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ খাতে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য গ্রাহকরা আগামী তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি পরিশোধ করবেন। ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয় করতে বৃহস্পতিবার ‘ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ এবং ‘কে-ইলেক্ট্রিকের’ গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিটে ২.৭৪৯২ রুপি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে।
ইতোমধ্যে নেপ্রা ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মাসিক জ্বালানি চার্জ সামঞ্জস্যের কারণ হিসেবে ‘ডিসকোস’ পিটিশনে প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। সেটি কার্যকর হলে ‘ডিসকোসের’ ভোক্তাদের প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ দিতে হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক সমন্বয়ের জন্য প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি কেটে রাখা হবে।
এর মানে এপ্রিল মাসে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য ডিস্কোর গ্রাহকদের কাঁধে প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ৭.৭৪ রুপির বোঝা পড়বে এবং মে ও জুন মাসে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি গুনতে হবে। একইভাবে কে-ইলেক্ট্রিকের গ্রাহকদের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয়ে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৫ রুপি দিতে হবে।
কিউটিএ’র প্রভাবে ডিসকোস ও কেই এর গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৮৫.২ বিলিয়ন রুপি গুনতে হবে। ফেব্রুয়ারির এফসি’র জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত আরো ৪০ বিলিয়ন রুপি।
কাশ্মীরে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিক্ষোভ
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদের সমন্বিত স্বাস্থ্য কর্মসূচি ‘মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য’ (এমএনসিএইচ) এর কর্মীরা তাদের বেতন না বাড়ানো এবং কোনো রকমের নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এই কর্মসূচির যুক্ত কর্মীদের যথাসময়ে বেতন বাড়ছে না। এমনকি নোটিশ ছাড়াই বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এএনআই জানিয়েছে, বিক্ষোভে অংশ এক নারী বলেন, আমার বাচ্চাদের খাওয়াতে হয়, তারা গত ছয় মাস ধরে স্কুলে যাচ্ছে না। তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারছি না। কম বেতনের কারণে তাদের পড়ালেখা চালাতে পারছি না। আমরা গরীব, খাওয়া-পড়া বাদে অন্যান্য খরচও সামাল দিতে হয়। আমার মেয়েদের অন্যের বাড়ির কাজের জন্যও পাঠাতে হয়েছিল, কারণ কোনো বিকল্প ছিল না।
কর্মীদের অনেকেই এমএনসিএইচ কর্মসূচিতে ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন জানিয়ে আরেক নারী বলেন, কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ১২৪২ জনকে বিনা নোটিশে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত নয় মাসে তাদের বেতন দেওয়া হয়নি।
তার ভাষ্য, এসব সমস্যার প্রতিবাদে রোজা রেখেও আমরা রাস্তায় নেমেছি। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অনেক সহকর্মী বিধবা আর দরিদ্র। পাকিস্তানে এই প্রকল্প সাধারণ গ্রেডে আনা হয়েছে। আমাদের দাবি, কাশ্মীরেও এটি সাধারণ গ্রেডে নিয়ে আস হোক। আমরা গত ১৭ দিন ধরে প্রতিবাদ করছি। কিন্তু আমাদের কথা কর্তৃপক্ষের কেউ শুনতেও আসেনি।
অধিকৃত কাশ্মীরে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ মানবাধিকার কাউন্সিলে
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সভায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চলমান জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন এক রাজনৈতিক কর্মী।
বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে তার ওই হস্তক্ষেপের সময় জাতীয় সমতা পার্টি জেকেজিবিএল এর চেয়ারম্যান সাজ্জাদ রাজা বলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ‘অ্যাক্ট ৭৪’ ও গিলগিট বাল্টিস্তান ‘আদেশ ২০১৮’ দ্বারা শাসিত। উভয় আইনই ওই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জাতিগত বৈষম্য পরিচালনায় কর্তৃপক্ষকে সাংবিধানিক সুরক্ষা দিচ্ছে।
সাজ্জাদ রাজা বলেন, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের আদিবাসীদের সক্ষমতা ও অর্জন থাকার পরও মুখ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, অডিটর জেনারেল ও অর্থ সচিবের মত পদে পদোন্নতি তারা পাচ্ছে না। এই পদগুলো কেবল পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের পাকিস্তানি জাতিসত্তার কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত।
ব্যবস্থাপকের পদ ছাড়াও বেশিরভাগ চাকরির সুযোগ অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের দখলে জানিয়ে তিনি বলেন, এই অবস্থার কারণে আমাদের যুবকরা তাদের জমি ও সম্পদ বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ বা অন্য কোথাও অভিবাসী হচ্ছে। বাহিনীর এই সাংবিধানিক জাতিগত বৈষম্য স্পষ্টভাবে ‘ডারবান ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ লঙ্ঘন করে।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্তানে ‘ইউএনএইচসিআরসি রেজুলেশন ২১-৩৩’ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ন্যূনতম প্রতিক্রিয়া না জানানোয় সমালোচনা করেন তিনি। চলমান অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসময়।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় সিনেট নির্বাচন পেছাতে পারে
খাইবার পাখতুনখোয়ার সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণে প্রদেশটির সিনেট নির্বাচন মুলতবি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।
পাকিস্তান ভিত্তিক জিও নিউজ জানিয়েছে, আগামী ২ এপ্রিল ওই সিনেট নির্বাচনের তারিখ রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সাত পৃষ্ঠার একটি রায় দেন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার আইনপ্রণেতাদের প্রশাসনিক শপথের আদেশ চেয়ে সিনেট নির্বাচন স্থগিতের রাখার এক আবেদনের ওপর ওই রায় দেন সিইসি।
পাকিস্তানের নির্বাচনি কর্তৃপক্ষের জারি করা ওই রায়ে বলা হয়, ভোট দেওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। কোনো ভোটারই ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে না।
আরও বলা হয়, নির্বাচন যাতে সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সুষ্ঠু ও আইনানুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করতে কমিশনের কাছে এ ধরনের নির্দেশনা এবং অনুরূপ আদেশ জারি করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে। কমিশন খাইবার পাখতুনখোওয়ার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের শপথ পর্যন্ত সিনেট নির্বাচন সম্পন্ন করার সময় বাড়াতে পারে।
এর আগে খাইবার পাখতুনখোওয়া পরিষদের বিরোধী দলগুলো সংরক্ষিত আসনের আইন প্রণেতাদের শপথ গ্রহণের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) সদস্যরা সংরক্ষিত আসনে শপথ নিতে যাওয়া আইন প্রণেতারা যাতে আসন্ন সিনেট নির্বাচনেও ভোট দিতে পারে, এক পিটিশনে সেই আবেদন জানান।