• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যে কারণে ঈদ করলেন না ‘রাণী রাসমণি’র অভিনেতা গাজী নূর

বিনোদন ডেস্ক

  ১৪ মে ২০২১, ১৮:২৬
ছবিতে গাজী আব্দুন নূর।

২০১১ থেকে ২০১৯ সালে প্রথমে থিয়েটার এবং এরপর ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিরিয়াল 'রাণী রাসমণী' ধারাবাহিকে রানিমা'র স্বামী রাজচন্দ্র দাসের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান বাংলাদেশের অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর।

করোনাকালীন এই সময়ে নিজের ঢাকার বাড়িতে অবস্থান করছেন এই অভিনেতা।

করোনায় মৃত্যুর মিছিলের কারণে এই এবারের ঈদের আমেজ নেই তার কাছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থা আরও খারাপ। ফলে গাজী আব্দুন নূরের বাড়িতে প্রথম ঈদ উদযাপন হচ্ছে না। কোনো রান্না হয়নি। তবে ফোনে, মেসেজে, হোয়াটসঅ্যাপে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাইকে এমনটাই জানালেন তিনি।

গাজী আব্দুন নূর বলেন, সাময়িক সব ভুলে উৎসবে মাততে মন যে একেবারে চায়নি, তা নয়। পরমুহূর্তে মনে হয়েছে, আমার বাড়িতে উৎসবের হইচই। রান্নাঘরে বিরিয়ানি-হালিম-সিমুইয়ের সুগন্ধ। উল্টো দিকের বাড়িতে তখনই হয়তো স্বজন হারানোর হাহাকার। সঙ্গে সঙ্গে গুটিয়ে গেছি। নিজেকে শাসন করেছি, এবার ঈদ না হয় বাড়িতে একাই কাটালাম। যে দিন পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠবে, সেদিন না হয় সবাই একসঙ্গে আবার আগের মতো করে ঈদ উদযাপন করব।

তিনি আরও বলেছেন, এই বছরের ঈদে ঢাকার বাড়িতে আমি একা। আমার জন্মভিটে যশোরে রয়েছেন মা। উদযাপন থেকে নিজেকে দূরে রাখার ওটাও বড় কারণ। অনেকেই জানেন না, বাংলাদেশের পরিস্থিতিও খুব ভালো নয়। মায়েরও বয়স হয়েছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে এমন দিনেও আমি মায়ের থেকে দূরে। মা, বাড়ির বাকিরা অন্তত সুস্থ থাকুন। ছেলে নেই বলে মা-ও ভালো-মন্দ কিচ্ছু রাঁধেননি। বদলে ফোনে, ভয়েস কলে মা-ছেলের দারুণ আড্ডা জমেছে। ঢাকার বাকি আত্মীয়, বন্ধুদের অনেকেই যদিও দাওয়াত দিয়েছি। আমি কোথাও যাইনি। যাবও না।

আক্ষেপ করে এই অভিনেতা বলেন, তা বলে ভাববেন না, বাংলাদেশে ঈদ পালিত হচ্ছে না। এরই মধ্যে যে যেভাবে পারছেন, মেতে উঠছেন আনন্দে। বাংলাদেশ সরকারের কঠোর বিধি-নিষেধ অমান্য করে প্রায় সবাই বাড়িতে গেছেন ঈদ উদযাপনের জন্য। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়বে। আমি তাই ভীষণ ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। বেশ বুঝতে পারছি, বর্তমানে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির যে অবস্থা, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সেটা আরও খারাপের দিকেই যাবে।

গাজী আব্দুন নূর বলেন, এখন মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস নেটমাধ্যম ছিল! তাই কারোর মুখ দেখতে না পেলেও সান্নিধ্য তো পাচ্ছি। কোলাকুলি অসম্ভব এই পরিস্থিতিতে। তবু তো শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে। আমরা সবাই সবার খোঁজ রাখার চেষ্টা করে চলেছি। এটাই আপাতত করোনার ইতিবাচক দিক। বেশ ভালো লাগছে দেখে। ‘আমি’ থেকে আবার যেন ‘আমরা’য় ফিরছি একটু একটু করে। বর্তমান পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, এখন আর এককভাবে চিন্তা করার সময় নেই।

তিনি আরও বলেন, আরও একটা জিনিস দেখে সত্যিই গর্ব হচ্ছে। কলকাতা এবং বাংলাদেশে আমার বেশ কিছু বন্ধু অসহায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনও চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে, কখনও খাবারের সংস্থানের ব্যবস্থা করে। আমি ওদের বন্ধু। এটা ভেবেই দারুণ তৃপ্তি। ভীষণ শান্তি।

আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে পরিমার্জিত।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh