• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলি
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি
যশোরে প্রায় ২১ তিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। একদিন বিরতি দিয়ে ফের যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় জেলায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে বুধবার (১ মে) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ। তার আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে রেকর্ড ভাঙা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ। তিনি বলেন, ‘আজ যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আজ সূর্য কিরণের তীব্রতা একটু কম এবং আকাশ মেঘলা থাকায় আগের চেয়ে তাপ একটু কম মনে হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে কিছুটা ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে মানুষের শারীরিক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি একটু কমেছে।’ সরেজমিনে যশোরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আজও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে গোটা এলাকা ছিল উত্তপ্ত। রাস্তাঘাট, ফসলের খেতে মরুর উত্তাপ বিরাজ করছে। ঘরের বাহিরে বের হলেই প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।  সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস শরীর ঝলসে যাচ্ছে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর 
যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি
কেক কাটার পর চলন্ত ট্রেনের নিচে মা-মেয়ের ঝাঁপ
যশোরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভিডিওকলে ‘বাঁচার আকুতি’ জানান রকি, হয়নি শেষরক্ষা
পরিবারের হাল ধরতে মাত্র ২ মাস আগে যশোরের ছেলে কামরুল হাবিব রকি (২১) কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। কর্মরত ছিলেন ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে যে ৪৬ জন মারা যান তাদের মধ্যে একজন কামরুল হাবিব রকি। ভিডিওকলে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি মারা যান। শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় তার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে রকির বাড়ির পরিবেশ। নিহত রকি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।  নিহত রকির মামা জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রকির মেসেঞ্জারে ভিডিওকল দিয়েছি, সে রিসিভ করেনি। পরে আমাকে কল ব্যাক করে বাঁচার আকুতি জানায়। কিছুক্ষণ পর কল কেটে যায়। আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা জানান, উদ্ধারকাজ চলছে, ধৈর্য্য ধরুন। এরপর আমি ঢাকায় রওনা হই। সেখানে হাসপাতালে পাই রকিকে। ততক্ষণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমিই রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরির পর আমিই ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে সে চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’ নিহত রকির ভাই কামরান হোসেন সাজিম জানান, তার ভাই আলিম পাস করে গত ডিসেম্বরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় আগুন লাগে। রকি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান রকি। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।
যশোরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন খুন 
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া দিয়াপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কাজী নাইমুর রহমান হিমেল নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিবাদের সময় খুন হন তিনি। নাইমুরের স্ত্রী তামান্না রহমানের দাবি, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। নিহতের মা লুৎফুন নাহার জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষ হিমেলকে এর আগেও কয়েকবার মারপিট করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করেন তিনি। যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।  তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। 
চোর সন্দেহে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটুনি, যুবক নিহত 
যশোরে চোর সন্দেহে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় যশোর সদর উপজেলার রামনগরের সতীঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ফয়েজুল গাজী (২৭) যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটা গোলদারপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিন গাজীর ছেলে। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে রামনগরের সতীঘাটা এলাকায় চোর সন্দেহে ফয়েজুল গাজীকে মারপিট করেন স্থানীয় একদল লোক। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়েজুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।  হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত ফয়েজুলের ভাতিজা মো. বাদল গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমার চাচা একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। ভাটা থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধরে নিয়ে একটি কারখানার মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি, রড দিয়ে মারপিট করা হয়েছে।  চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিট করা হলেও তার চাচা কোনো ধরনের খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত নয় বলেও জানান নিহত ফয়েজুলের ভাতিজা। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। চোর সন্দেহে তাকে স্থানীয় জনতা মারপিট করে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।