• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক
এক মুঠো বালু ছিটানোই কাল হলো শিশু মাইশার
নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের চারদিন পর সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মাইশা আক্তার। এ ঘটনায় জালাল শেখ (৪৯), স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লাল নামে তিনজনকে আটক করেছে র‍্যাব। আটককৃতদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি গ্রামে। পলাশে তারা একটি ভাড়া বাসায় থাকত। নিহত মাইশা আক্তার জয়নগর গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে। শিশুটি ২১ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শিশু মাইশা নিখোঁজের ঘটনায় ডাংগা থেকে জামাল শেখ নামে বাড়ির ভাড়াটিয়াকে র‍্যাব আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে ছাদে সেপটিক ট্যাংক থেকে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমরা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া জালাল শেখ, স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লালকে র‍্যাব আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। শিশুটিকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা আটকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারব। শিশুটির বাবা মেহেদি হাসান বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে সহপাঠীদের নিয়ে খেলা করছিল মাইশা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে উঠলে তার কোন সন্ধান না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় নিখোঁজের জিডিও করি আমরা।তবে কে জানতো বাড়ির পাশের প্রতিবেশীদের কাছে নির্মম হত্যার শিকার হতে হবে আমার মেয়েকে। আইসক্রিম তৈরির দুধে বালু পড়ায় প্রতিবেশী জালাল মিয়া, তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন ও ছেলে বিল্লাল শেখ আমার মেয়ে মাইশাকে ধরে এনে বাড়ির মধ্যে হত্যা করে। তারপর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে।’ এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের এএসপি নিশাত তাবাচ্ছুম বলেন, ‘শিশুটি নিখোঁজের পর থেকে তদন্তে নামে র‌্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের একটি টিম। ঘটনার দিন পাশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও দেখে জালাল শেখের ছেলে বিল্লাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালাল শেখ ও মাহফুজা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ লুকিয়ে রাখার তথ্য পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বালু ছিটানো নিয়ে শিশুটিকে অসতর্কতামূলকভাবে মারধরের কারণে তার মৃত্যু হলে মরদেহ গুম করার চিন্তায় বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে বলে স্বীকার করেছে আসামিরা।’ এ দিকে শিশু মাইশার মৃত্যুতে শোকে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম। তুচ্ছ বিষয়ে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মানতে পারছেন না কেউ। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন মঈন খান
হোম ভিজিটের নামে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়
ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ, ২ চালক নিহত
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাইবুল ইসলাম। নিহত এনা পরিবহনের চালক মো. ইদ্রিস আলী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। আর নিহত কাভার্ডভ্যানের চালক ও আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ভোর ৪টার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পাঁচদোনা সড়কের ভাগদী কদমতলা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে এনা পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই পরিবহন চালক ইদ্রিস আলী ও কাভার্ডভ্যানের চালক নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও ছয়জন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় এনা পরিবহনের চালক ও কাভার্ডভ্যানের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সড়কটির দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত এনা পরিবহন ও কাভার্ডভ্যান সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।