• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo
রিমান্ড নামঞ্জুর করে সাবেক শিল্পমন্ত্রীকে কারাগারে প্রেরণ
‘দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে’
নরসিংদী জেলখানাসহ সারাদেশে যারা নজিরবিহীন তাণ্ডব ও নৈরাজ্য চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়নে বদ্ধপরিকর এবং এ জন্য যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছে। নরসিংদী জেলখানায় যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে এজন্য সরকার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ বাহিনীসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে নরসিংদীর পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।   এ সময় নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক), নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
নরসিংদী কারাগারের জেল সুপার ও জেলার বরখাস্ত
নরসিংদীতে সিএনজি-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ২
ছাগলকাণ্ডে লাপাত্তা মতিউরের প্রথম স্ত্রী লাকি, জনমনে নানা প্রশ্ন
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত ১
নরসিংদীতে আ.লীগ নেতাকে হত্যা / ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের নামে মামলা
নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হাসান (৪০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত ও ইউপি সদস্য আতাউর ভূঁইয়াসহ ২২ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ৪২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় নিহতের ছোট ভাই হাফিজ ইসলাম বাদী হয়ে মাধবদী থানায় মামলাটি করেন। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তবে গ্রেপ্তারের স্বার্থে অন্য আসামিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজী হননি তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলের সামনে মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সঙ্গে থাকা সাঈদ হাসান (৩৮) ও ফরহাদ মিয়া (৩৭) নামের দুই কর্মী। নিহত মাহাবুবুল হাসান সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর এলাকার মো. ইমাম উদ্দীনের ছেলে।তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত গত মঙ্গলবারও বেশ রাত পর্যন্ত কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছিলেন মাহাবুবুল হাসান। পরে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে কর্মীদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিতের ব্যক্তিগত কার্যালয়সংলগ্ন ওবায়দুল্লাহ টেক্সটাইল মিলের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটে। টেক্সটাইল মিলটির বিপরীত পাশের গলির মুখে দাঁড়ানো একটি বালুভর্তি ট্রাকের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন আসামিরা। ট্রাকটি অতিক্রম করার সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ও গুলি ছুড়ে। হামলাকারীদের একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহাবুবুল হাসানের কান থেকে ঘাড় বরাবর কোপ দেয়। মাহাবুবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সাঈদ ও ফরহাদ নামের তাঁর দুই কর্মী। পরে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুবুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, ধারালো অস্ত্রের কোপে মাহাবুবুলের বামপাশে কানের ওপর থেকে ঘাড় পর্যন্ত প্রায় ৮ ইঞ্চির মত গভীর ক্ষত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তিনি মারা যান। পরদিন ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসক তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি গুলির অস্তিত্ব পান। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, নিহতের ছোটভাই হাফিজ ইসলাম ২২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আগে আটক করা ৬ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নরসিংদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা, গুলিবিদ্ধ ১
নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হাসান মাহাবুবকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সাইদ হাসার পাপ্পু (৩৮) নামে তার এক সহযোগী। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে মাধবদী থানার ভগিরথপুর এলাকার শাহী ঈদগাহ সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মাহাবুবুল হাসান সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে এবং মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, ভগিরথপুরে অবস্থিত তার ব্যক্তিগত অফিস থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনিসহ বেশ কয়েকজন। এসময় পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে পাপ্পু নামে এক সহযোগী গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুবকে মৃত ঘোষণা করেন। পাপ্পুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হত্যার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। মরদেহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
ইটের স্তূপের নিচে চাপা পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
নরসিংদীর চরাঞ্চলে এক ব্যবসায়ীর স্তূপ করে রাখা ইটের নিচে চাপা পড়ে স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ছগরিয়াপাড়া এলাকার মৃত আক্কেল আলীর পুত্র কালু মিয়া (৭৫) এবং তার স্ত্রী সবমেহের বেগম (৬০)। এ বিষয়ে নিহতের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘ভোরে নামাজ আদায় করছিলেন বাবা-মা। টানা বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে বিশাল স্তূপ করে রাখা ইট ঘরের ওপর ধসে পড়ে। এ সময় টিনের বেড়া এবং চালা ভেঙে তাদের ওপর ইট পড়ে তারা মারা যান। পরে আশপাশের লোকজন ইট সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হক স্বপন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। ঘরের পাশেই এক ব্যবসায়ীর ইটের স্তূপ ভেঙে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে ইট রাখা ওই ব্যবসায়ী আব্বাস ফকিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নরসিংদীতে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
আখাউড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন নরসিংদীর আমিরগঞ্জে বিকল হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।  মঙ্গলবার (২১ মে) আমিরগঞ্জ ব্রিজের কাছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।  ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রীরা জানান, পুরাতন ইঞ্জিন দিয়ে ঢাকা-নরসিংদী-আখাউড়া রেলপথে চলাচল করছে তিতাস কমিউটার ট্রেনটি। ঢাকাগামী এ ট্রেনটি আখাউড়া থেকে ৫টা ১০ মিনিটে ছেড়ে নরসিংদীর আমিরগঞ্জ ব্রিজের কাছে আসলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। ঢাকা অভিমুখী চাকরিজীবী তিতাস কমিউটারের নিয়মিত যাত্রীসহ ট্রেনের হাজারও যাত্রী এ সময় গণমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী রেলস্টেশন মাস্টার মুসা মিয়া। তিনি জানান, ‘ঢাকা অভিমুখী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি আমিরগঞ্জ স্টেশন-সংলগ্ন ব্রিজের নিকট আসলে ইঞ্জিল বিকল হয়ে যায়। পরে খানা বাড়ি থেকে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশন এনে রাখা হয়েছে। এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঢাকায় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে।’
নরসিংদীতে মালবাহী ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নরসিংদীর শ্রীনিধি রেলওয়ে স্টেশনে মালবাহী ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। সোমবার (২০ মে) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া।  রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী একটি মালবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশন অতিক্রম করে শ্রীনিধি স্টেশনে প্রবেশের সময় ট্রেনের পেছনের বগির বাম পাশের একজোড়া চাকা লাইনচ্যুত হয়।  এ সময় বিকট শব্দ করে ট্রেন থেমে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘ডাউন লাইনে (বিকল্প লাইন) ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক  রয়েছে। আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন রওনা দিয়েছে। বিকেলের মধ্যেই মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধার করা হবে।’
চমক দেখিয়ে ফের দেশসেরা নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল 
এসএসসির ফলাফলে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৯৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।  রোববার (১২ মে) বেলা ১১টায় অনলাইনে এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও মিসেস নাছিমা মোল্লা।  এর আগে ২০২৩ সালে শতভাগ পাসসহ ৯৭ দশমিক ১২ শতাংশ জিপিএ-৫ ও ২০২২, ২০১৭ এবং ২০১৫ সালে শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে দেশসেরা ফলাফল অর্জন করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিবছরই বোর্ডে দেশসেরার স্থান দখল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৯৪ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। বাকি একজন শিক্ষার্থী জিপিএ ৪ দশমিক ৯৪ পেয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালে ২৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৭০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০২২ সালে ২৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৬৬ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এ ছাড়া ২০২১ সালে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৩৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০২০ সালে ২১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২০০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০১৯ সালে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৬৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৩৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল এবং ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছিল। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া কারিমা জামান রিনভী জানায়, ‘আমি স্কুলের হোস্টেলে থাকি নাই। কিন্তু কখনো মনে হয়নি আমি বাসায় রয়েছি। সর্বদা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গাইড শিক্ষকসহ সবাই তদারকির মধ্যে রেখেছে। আমার মা ও বাবা অনেক কষ্ট করেছে। জিপিএ-৫ পাওয়া সাদিয়া নওরীন প্রভা জানায়, এই ফলাফলের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই এই ভাল ফলাফল সম্ভব হয়েছে।’ জিপিএ-৫ পাওয়া আবিদ নূর জানায়, ‘স্যারদের কঠোর নজরদারিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনে হয়েছে আমার নয় শিক্ষকদের পরীক্ষা। প্রতিটা বিষয়ে যেখানে সমস্যা সেখানেই হাতেকলমে ধরে দিয়েছেন তারা। কৃতজ্ঞতা স্যারদের জন্য।’ নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বরাবরই দেশসেরা ফলাফল করছে। এবারও প্রায় শতভাগ পাসসহ দেশসেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সারাদেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি আমরা দেশসেরা অবস্থানে আছি। মূলত নরসিংদীর মতো মফস্বল শহরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়েই আমি ও আমার সহধর্মীণী নাসিমা বেগম স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানব সম্পদে পরিণত হোক। যাতে আমাদের সমাজে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার না। এই সাফল্য পুরো নরসিংদীবাসীর। এরই লক্ষ্যে আমার পরিচালনাধীন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন শুধু আমাদের পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, জেলার প্রায় ৩১৫ টি স্কুল ও কলেজে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন বলেন, ‘একটি বিদ্যালয়ের ভাল ফলাফলের মূলমন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে সমন্বয়। আর আমাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে আবদুল কাদির মোল্লা। স্যারের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, সময়োপযোগী সঠিক দিক নির্দেশনায় আমরা এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে।’ উল্লেখ্য, নরসিংদীতে মানসম্মত শিক্ষা দানের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে শহরের ভেলানগর এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা নরসিংদীতে তার এবং তার স্ত্রী মিসেস নাছিমা বেগমের নামে যৌথভাবে নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১৭৩ জন তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্কুলটি কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন।