মুখোমুখি হচ্ছেন মেসি-গ্রিজম্যান
ক্রিকেট
দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
প্রথম টেস্ট, চতুর্থ দিন
সরাসরি দুপুর ২টা
সনি সিক্স ও সনি সিক্স এইচডি
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড-করাচি কিংস
সরাসরি রাত ১০টা
টেন স্পোর্টস ও ডি স্পোর্টস
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল)
ব্রাইটন-আর্সেনাল
সরাসরি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১ ও
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ১
ম্যানচেস্টার সিটি-চেলসি
সরাসরি রাত ১০টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১ ও
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ১
স্প্যানিশ লা লিগা
বার্সেলোনা-অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
সরাসরি রাত সোয়া ৯টা
সনি টেন ২
ভ্যালেন্সিয়া-রিয়াল বেটিস
সরাসরি রাত পৌনে ২টা
সনি টেন ২
আরও পড়ুন:
- ইমরান তাহিরের হ্যাটট্রিকে কোয়েটার হার
- বার্বাডোজে সাকিব, সেন্ট কিটসে মাহমুদুল্লাহ
- চোট নিয়েও ম্যাচ উইনার স্যামি
ওয়াই/কেএইচ
মন্তব্য করুন
নিজের পায়ে কি নিজেই কুড়াল মারলেন তামিম ইকবাল?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি রয়েছে আর মাত্র দেড় মাস। চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে দলে গঠনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে অংশ গ্রহণকারী দলগুলোর নির্বাচকরা। তবে দল নির্বাচনকে ছাপিয়ে টাইগার ক্রিকেটে এখনও আলোচনা কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতি ব্যাটারের দলে ফেরা না ফেরার নাটক যেনো কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না।
গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম; যা নিয়ে ব্যাপক সামালোচনার শিকার হতে হয় বিসিবিকে। এর মধ্যেই চাপা পড়ে যায় তামিমের হঠাৎ করে অবসর নেওয়ার রহস্য। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই।
তবে একটু চিন্তা করলে বোঝা যায়, নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন তামিম ইকবাল। যদি খেয়াল করি, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২২ এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে টি-টোয়েন্টি দলের তামিমকে ফেরানোর জন্য অনেক বার আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সে সময় তিনি বার বার একটা কথা বলে গেছেন পাপনকে। যে টি-টোয়েন্টি নিয়ে এই মুহূর্তে তিনি ভাবছেন না। তার ভাবনায় শুধু ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে সেই সময় ওপেনার শঙ্কটে ভুগছিল দল।
মূলত, ২০২১ সালে তৎকালীন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার পরই বেঁকে বসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বার বার আলোচনা করেও তামিমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে পারেননি পাপন। তাই তামিমের এমন বেছে খেলার পরিকল্পনা ভালো না লাগারই কথা বিসিবির।
সেই বছর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় টাইগাররা। এতে অধিনায়কত্বের সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দল থেকে নিজের জায়গা হারান রিয়াদ। এরপর সাকিবের কাঁধে ওঠে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব।
এরপর বিশ্বকাপের বছরে টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০২২ সালে ব্যাট হাতে রান পেলেও ২০২৩ সালে ১১ ইনিংসে মাত্র একটিতে ফিফটি তুলতে পারেন তামিম।
তবে আফগানিস্তানের সিরিজের প্রথম ম্যাচে পুরোপুরি ফিট না হয়ে ফেলার বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করায় তামিমকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন কোচ হাথুরুসিংহে। যেখান থেকেই নাটকের সূচনা হয়।
সিরিজের মাঝ পথে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন তামিম। যার উত্তাপ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরে দেশে। পরিস্থিতি সামলাতে পর দিন তামিমকে সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপরই অবসর ভেঙ্গে ক্রিকেটে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আপাতত দৃষ্টিতে বিষয়টির সমাধান হয়েছে মনে হলেও আসলেই কি সমাধান হয়েছিল?
তামিমের হঠাৎ অবসর নেওয়ার কারণ জানতে পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হয় বিসিবি বসকে। বিষয়টি পাপনের কাছে ভালো না লাগারই কথা। এদিকে দেড় মাস ছুটিতে থাকায় এশিয়া কাপ মিস করেন তামিম। এ সময় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব ওঠে সাকিবের কাঁধে। এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ।
তবে পুরো দায় ওঠে অধিনায়ক সাকিবের কাঁধে। এখানে তামিমের একটি মন্তব্য বড় ভূমিকা পালন করেন। ইনজুরি কারণে ছুটিতে থাকলেও বিসিবির চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে মিরপুরে আসেন তামিম। এসময় বিসিবির এক কর্মচারীকে তামিম বলে বসেন, ‘রিয়াদ ভাইকে দল থেকে বাদ দিয়েদিলেন’। এই ঘটনা চোখ এড়ায়নি গণমাধ্যম কর্মীদের।
যার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। নেটিজেন মধ্যে ধরণা তৈরি হয় সাকিবের ইচ্ছায় এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে আলোচনার ভিড়ে চাপা পড়ে যায় তামিমের অধীনেই আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন রিয়াদ।
এদিকে এশিয়া কাপে দল খারাপ করলেও ওপেনিং দুর্দান্ত ব্যাট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, বিশেষ করে আফগানিস্তান ম্যাচে। সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচগুলোতে ফারুকীর বলে দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তামিম। তাই বিশ্বকাপেও আফগানিস্তান ম্যাচে মিরাজকে দিয়ে ওপেন করানো কথা ভাবছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে ছাড়া খেলবেন না তামিম এটা ভালো করেই জানতে বিসিবি।
ফলে এই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে তারা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তামিমকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়ার হয় ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তামিম। যার ফলেই বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম। অন্যদিকে সেই সময় বন্ধু সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টিও আগে থেকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে বিশ্বকাপ দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার পিছনে ভিলেন বানানো হয় সাকিব আল হাসানকে।
এতে পুরো ক্রিকেট ভক্তরা সাকিবের বিপক্ষে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু সব কিছু ভিড়ে একটা প্রশ্ন চাপা পড়ে যায়, সাকিবের কি তামিমকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আছে? যেখানে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তামিমকে ক্রিকেটে ফিরিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
সুতরাং বোঝা যায় তামিমের দুর্বলতা এবং সাকিবের দ্বন্দ্বকে ভালোভাবেই কাজে লাগানে হয় তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আর সেটার সুযোগ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল নিজেই।
কারণ, অনেকেই মনে করেন সেদিন তামিমকে প্রস্তাবটা দিতে পারতেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অথবা কোচ নিজেই। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা এবং আফগানিস্তান সিরিজের মাঝ পথে হুট করে অবসর নেওয়ায় হাথুরুসিংহের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না তামিমের। এমন অবস্থায় সাকিব কিন্তু কোচের কাছে থেকে প্রস্তাব আশার করাটা কতটা যৌক্তিক এটাও বড় প্রশ্ন।
তবে তামিম বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতেও পারতেন। কারণ ইনজুরির কারণে দলের বাইরে ছিলেন অনেক দিন। ফলে আফগানিস্তান ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করা পরিকল্পনা করতেই পারতেন দেশসেরা এই ওপেনার। এতে বিসিবির ভুল পরিকল্পনার জবাব এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার সক্ষমতাও দেখাতে পারতেন কি না তিনি? যেমনটা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম করে বিসিবির অবহেলার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন দেশসেরা এই ফিনিশার ব্যাটার। পেশাদার ক্রিকেট এমনটাই হওয়া উচিক নয় কি? ফলে বিসিবির পাতানো ফাঁদে পা দিলে এখনও লাল সবুজের জার্সিতে নিয়মিত দেখা যেতো তামিমকে।
তবে সম্প্রতি তামিমকে দলে ফেরাতে নানা ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতটা বাস্তবে রূপ নেই সেটাই দেখার বিষয়।
‘জিম্বাবুয়ে সিরিজ নয়, চেন্নাইয়ের সঙ্গে থাকাটা ফিজের জন্য জরুরি’
কয়েক দিন আগেই বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেছিলেন আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে বিসিবির এমন মন্তব্যে কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার থেকে ধোনি, ব্রাভো এবং হেড কোচ ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে থাকাটা বেশি জরুরি মনে করেন এই ক্রিকেট বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, মোস্তাফিজ ১ মে আইপিএল ছেড়ে চলে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর বলেছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে খেলাটা মোস্তাফিজের জন্য বেশি ভালো। ব্রাভো যখন পাথিরানাকে শেখাবে তখন ফিজ খুব বেশিদিন থাকবে না। ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্যরকম ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, বিসিবি পরিচালক যা বলেছে আশা করি তা মিথ্যা প্রমাণ হবে। কারণ, সে বলেছে আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তখনই প্রশ্নটা উঠছে কোথায় তাহলে তার জন্য ভালো। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটা। আসলে বাংলাদেশের রীতিটা ঠিক করতে হবে। এখানে খেলাটা মোস্তাফিজের জন্য খুবই ভালো। কারণ, এখানে সে দারুণ বোলিং করছে।
আইপিএলের জন্য মোস্তাফিজুর রহমানকে শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এরপর এক দিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। ১ মে চেন্নাই বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচ রয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেই ম্যাচ খেলে পরদিন ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন ফিজ।
মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মোস্তাফিজকে খেলানোর পরিকল্পনা বিসিবির। তাই আইপিএলের পুরো আসরের জন্য এই পেসারকে এনওসি দেয়নি বোর্ড।
কয়েক দিন আগেই মোস্তাফিজকে আইপিএলে না খেলিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আইপিএলে থেকে এই পেসারের শেখার কিছু নেই।
আগামী ৩ মে থেকে ঘরের মাঠে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে কেন্দ্র করে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
গতিমানব থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উসাইন বোল্ট
উসাইন বোল্ট এখনও বিশ্বের দ্রুততম মানব। অ্যাথলেট হিসেবে পরিচিত হলেও ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে এই জ্যামাইকান স্প্রিন্টারের। স্প্রিন্টার না হলেও হয়তো ক্রিকেটেই মনস্থির করতেন তিনি। এবার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার দুর্দান্ত এক উপলক্ষ পেয়েছেন বোল্ট।
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতিমানব বোল্টকে শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে। বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী সাবেক এই স্প্রিন্টারের ভাষ্য, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। তারা যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, সেটি একেবারে ঠিকঠাকভাবে করে। তারা উজাড় করে দেয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ২৯ জুন ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তার অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন বিসমাহ। ২৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে দলটির টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দায়িত্ব নেন তিনি। পরের বছরই তাকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬২৬ রানের পাশাপাশি ৮০টি উইকেট শিকার করেছেন ৩২ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে কোনো শতক না পেলেও ৩৩টি ফিফটি করেছেন তিনি।
অবসর নিয়ে বিসমাহর ভাষ্য, ‘যে খেলাটা আমি সবচেয়ে ভালোবাসি, সেখান থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চ্যালেঞ্জ, জয় ও ভুলে যাওয়ার মতো নয়—এমন সব স্মৃতি মিলিয়ে অসাধারণ এক অভিযাত্রা ছিল। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পরিবারের সমর্থন ছিল, সে জন্য পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের অবসর বার্তায় পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মন্তব্য, ‘ক্যারিয়ারজুড়ে যেকোনো জায়গায়, যেকোনোভাবে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাওয়ার ভক্তদের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আর সবার শেষে আমি ধন্যবাদ জানাই সতীর্থদের। তারা আমার কাছে পরিবারের মতো। মাঠ ও মাঠের বাইরে যে সম্পর্ক আমরা তৈরি করেছি, সেটা সবসময়ই মনে থাকবে।’
মোস্তাফিজের নতুন নাম দিলো চেন্নাই
চলমান আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে শুরুটা ভালো হলেও সবশেষ কয়েক ম্যাচে ভালো করতে পারেনি মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে এখনও পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে আছেন এই টাইগার পেসার।
তাই ফিজের উপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। যার প্রমাণ মিলেছে মোস্তাফিজকে নিয়ে চেন্নাইয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মোস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই।
এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ে মোস্তাফিজের সুযোগ পাওয়াটাই ছিল এক চমকপ্রদ ঘটনা। কয়েক বছর ধরে অফ ফর্মে থাকা এই পেস বোলার আইপিএল নিলামে জায়গা করে নিলেও তাকে কেউ কিনবে কি না এই নিয়ে সন্দিহান ছিল সবাই। তবে সবাইকে অবাক করে ঠিকই চেন্নাই দলে জায়গা করে নেন তিনি।
চেন্নাই দলে জায়গা পাওয়ার পরেও কয় ম্যাচ খেলতে পারবেন তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দেয়। তবে চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট ফিজের ওপর ভরসা রেখে ঠিকই তাকে প্রথম ম্যাচ থেকেই তাকে খেলিয়ে যাচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই ভরসার প্রতিদানও ঠিকই দিয়েছেন টাইগারদের এই কাটার মাস্টার।
প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে পান ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। এরপর থেকে খেলা প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন তিনি। তার এই দুর্দান্ত ফর্ম মোস্তাফিজকে করে তোলে চেন্নাই সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয়ও।
চেন্নাই সমর্থকদের বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার সম্পর্কে আরও জানাতে এবার চেন্নাই তাদের স্যোশাল মিডিয়া পেজে তাকে নিয়ে এই আলাদা আয়োজন করে। ফেসবুকে মোস্তাফিজ সম্পর্কিত এই ভিডিওতে মোস্তাফিজ নিজের মুখেই অনেক কথা বলেছেন, জানিয়েছেন অনেক অজানা তথ্যও। ভিডিওটি প্রকাশের এক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রায় দুই লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে প্রথম আইপিএল খেলা শুরু করে মোস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলে ১৬ উইকেট নিয়ে হায়দ্রাবাদের সমর্থকদের মনও জয় করে নিয়েছিল এই টাইগার পেসার। বর্তমানে মোস্তাফিজের যে ডাক নাম ‘দ্য ফিজ’ সেটিও আসে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছ থেকে।
আইপিএলের গত দুই আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন ফিজ। ২০২২ সালের আসরে ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট এবং ২০২৩ সালের আসরে মাত্র দুই ম্যাচ খেলে একটি উইকেট পান তিনি। ২০২৪ সালের নিলামের জন্য ফিজকে ছেড়ে দিয়েছিল দিল্লি।
যুবরাজের চোখে বিশ্বকাপের ৪ সেমিফাইনালিস্ট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে। সময়ের হিসেবে বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞ শুরু হতে আর ৩৪ দিন বাকি। তবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের দামামা বাজতে শুরু করেছে।
২০ দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া সংক্ষিপ্ত ওভারের এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেবে পয়েন্ট তালিকার প্রথম চার দল। তাই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে এখন থেকেই সমীকরণ মেলানো শুরু হয়েছে। কার হাতে উঠতে যাচ্ছে, এবারকার শিরোপা! শুধু শিরোপার ভবিষ্যদ্বাণীই না। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সেমিফাইনালিস্ট, ফাইনালিস্ট নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী চলছে।
সমীকরণ মেলানোর তালিকায় প্রতিবারই ক্রিকেটবোদ্ধা, বিশ্লেষকদের পাশাপাশি নাম লেখান সাবেক ক্রিকেটাররা। সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বর্তমান পারফরম্যান্স, গেম প্ল্যান ও অভিজ্ঞতার বিচারে সেমিফাইনালিস্ট চার দলকে বাছাই করেছেন তিনি।
এদিকে এই মুহূর্তে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দে আছে। এর মধ্য থেকে চারটি দল বেছে নেওয়া সহজ নয়। তবে কঠিন সেই কাজটিই করেছেন যুবরাজ।
ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডারের চোখে ৪ সেমিফাইনালিস্ট হলো- ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী তারকা এই ক্রিকেটার।
যুবরাজের ভাষ্যমতে, ‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবার ফেবারিট।’ তবে এই চার দলকে বাছাই করার পেছনে কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
চমক রেখে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা ভারতের
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
ঘোষিত স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সাঞ্জু স্যামসন। এ ছাড়া লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও শিভাম দুবেও এই দলে আছেন। তবে মূল দলে জায়গা হয়নি শুভমান গিল ও রিংকু সিংয়ের। রিজার্ভ হিসেবে তাদের রাখা হয়েছে।
এদিকে শিভাম দুবের সঙ্গে হার্ডিক পান্ডিয়াকেও বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকা ঋষভ পান্ত। তবে আইপিএলে ফিরেই দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন তিনি।
সাঞ্জু ফেরায় বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ কেএল রাহুল। মূলত টপ-অর্ডার স্লট না থাকায় স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার।
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশাভ পন্ত, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
ট্রাভেলিং : শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।