• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মতো মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় খেত-খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তোলার কাজ হচ্ছে ব্যাহত।  মেহেরপুর জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, আবদুর রজ্জাক ও জাবেদ মজুমদার বলেন, রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষী। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি।  তারা আরও বলেন, বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

ফসল রক্ষা করতে গিয়ে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু   
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৪ মার্চ) রাতে ভারতীয় গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার মহিশলেটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম ওই গ্রামের মো. আব্দুল হালিম ওরফে ফালাইন্নার ছেলে। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন রাতে সাইফুল ইসলাম তার পেঁয়াজখেতে পানি দিতে যান। এ সময় একদল ভারতীয় হাতি সীমান্ত পেরিয়ে এসে তার সবজি ফসল নষ্ট করা শুরু করে। এই খবরে হাতি তাড়াতে জড়ো হয় গ্রামের লোকজন। এ সময় স্থানীয়রা হাতি তাড়াতে গেলে উল্টো হাতির দল তাদের আক্রমণ করে। এতে অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাতি চলে গেলে স্থানীয়রা সাইফুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আরও জানান, মৃতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:০১

হাবিপ্রবিতে ফসল চুরিতে ব্যাহত হচ্ছে গবেষণা
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গবেষণা মাঠের ফসল চুরি হয়ে যাওয়ায় গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। চুরি প্রতিরোধে কোনো কার্যকর উপায় না পাওয়ায় গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।  কে বা কারা প্রতিনিয়ত গবেষণা মাঠের ফসল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। তারের বেড়া ও নেট দিয়ে গবেষণা মাঠ ঘিরে রেখেও আটকানো যাচ্ছে ফসল চুরি। কৃষি অনুষদের বায়োক্যামেস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ভালো গবেষণার ফল আসার পর ধরে রাখতে পারলাম না যেইটা সত্যিই দুখঃজনক। চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখার পরও জমির পাশে নোটিশ দিয়ে রেখেছিলাম যাতে কেউ গবেষণার টমেটো সংগ্রহ না করে। এসব তোয়াক্কা না করেই গতকালই এক মণের অধিক টমেটো চুরি হয়ে গেছে। আমার পরিকল্পনা ছিল এই টমেটো থেকে বীজ সংগ্রহ করে গবেষণায় সামনের দিকে অগ্রসর হব । কিন্তু জৈব নিরাপত্তা না পাওয়ায় এই গবেষণার উদ্দেশ্যে পূরণ করতে পারলাম না। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মাঠ থেকে টমেটো, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবছরই এইরকম গবেষণার ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় । আরেক গবেষক ফসল শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তি গবেষণার স্যাম্পল তুলে নিয়ে গিয়ে গবেষণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এটা থেকে যেনো সরে আসে। সবার প্রতি একটাই আহ্বান থাকবে যে গবেষণার স্যাম্পল যাতে নষ্ট না করে এবং এই ন্যক্কারজনক কাজ থেকে যেনো বিরত থাকে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ফসল চুরির ব্যাপারে আমি এখনও কোনো অভিযোগ পায়নি। উল্লেখ্য, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ব্যয় করে শ্রম দিয়ে গবেষণা মাঠে গবেষণার ফসল উৎপাদন করেও চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে গবেষণার ফলাফল তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটছে, যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়ছেন তারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪

শৈত্য প্রবাহে ফসল রক্ষার উপায়
সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। শীতে কাবু পুরো দেশ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ার কারণেও এত শীত অনুভূত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আরও পড়ুন : কুয়াশায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বিমান ও নৌ চলাচল    মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ফসল রক্ষায় কিছু জরুরি পরামর্শসমূহ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যেমন- কুয়াশা ও মৃদু/তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে নতুন পানি দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশার দাপট আরও যতদিন থাকতে পারে   আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে। ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়