• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
দেশের ব্যাংক খাত ভুগছে নানা সংকটে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের শর্তগুলো নিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। আইএমএফ’র দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোই পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রা বিনিময়ে চাপিয়ে দেওয়া দরের কারণেই দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক ও রিজার্ভে পতন অব্যহত রয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এছাড়া বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদের হার বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় খেলাপি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপেরে বিষয়ে জানকে চেয়েছে সংস্থাটি।  ইতোমধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে সুদের হার বাস্তবায়ন, রাজস্ব আয় বাড়ানো ও বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় চালু করার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মুদ্রা বিনিময় ও ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ায় ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন নিয়ে আপাতত কোনো পরামর্শ দেয়নি বাংলাদেশে অবস্থানরত আইএমএফের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছে আইএমএফ। তিনি আরও বলেন, আইএমএফের মিশনের সঙ্গে বুধবার (২৪ এপ্রিল) আমাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এখন সংস্থাটি আমাদের কাছ থেকে বিশ্লেষণ করার জন্য তথ্যগুলো সংগ্রহ করছে। এরপর হয়তো বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেবে। বৈঠকে উপস্থিত অর্থ বিভাগের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুধু আইএমএফের শর্ত পূরণই নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নে রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি নিয়ে অনেক বছর থেকে আলোচনা হলেও তেমন উন্নতি হয় নি। বরং ২০১৫ সালের তুলনায় কিছুটা কমে গত কয়েক বছর কর জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এ জন্য করনীতি  এবং কর আহরণ কর্তৃপক্ষ আলাদা করার পুরনো আলোচনাও পুনরায় উঠে এসেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আগামীতে সহজ শর্তের এবং কম সুদের বৈদেশিক ঋণ কমে যাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর ঋণের সুদহার বেড়েছে।  আগামী আরও বাড়বে । বাজেট সহায়তা নিলে বিভিন্ন ধরনের শর্ত বিষয় আসে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়ানো গেলে বাজেট সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।  এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় ইতোমধ্যে চলতি হিসাবে বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি রয়েই গেছে।  চলতি হিসাবে স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি আর্থিক ঘাটতি কাঠিয়ে উঠার তাগিদ দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ওপর বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। আইএমএফ গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাস নাগাদ তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ডলার ছাড় করা হতে পারে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫

‘চালের দাম কমানোর কথা বলে আরও বাড়িয়েছে সরকার’
সরকার চালের দাম কমানোর কথা বলে আরও বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সব জায়গায় লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। চালের দাম চড়া। চালের দাম কমানোর কথা বলে সরকার দাম আরও বাড়িয়েছে। সরকারের লোকজন সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেন্ডের কারণে ব্যাংকগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে। ঋণখেলাপিরা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক। ঋণের পর ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে তাদের।’   তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার ঈদে কেনাকাটা অনেক কম হয়েছে। সব মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের আনন্দ কান্নায় পরিণত হয়েছে। যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা কেউ ভালো নেই।’ ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি কোন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন? বিএনপি এক হাজার ইফতার পার্টি করতেই পারে। গরিব- দুঃখীদের নিয়ে ইফতার করেছে বিএনপি। কিন্তু ভারত থেকে নায়ক-নায়িকা নিয়ে এসে পার্টি করেন, ওখানে টাকা খরচ হয় না? সরকার সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।’
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪১

বাস ভাড়া কমানোর দাবি
দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম ইতোমধ্যে দুই দফা কমানো হয়েছে। অথচ বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এর আগেও জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ টাকা কমানোর পরে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা হারে কমিয়ে বাস ভাড়ার তালিকা পুনঃনির্ধারণ করা হলেও যাত্রীসাধারণ এই ৩ পয়সা কমানোর সুফল পাইনি। তখন থেকে সরকার পরিবহন মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এহেন ছোট ছোট অংকের হারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হচ্ছে কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস, লঞ্চ ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানান তিনি। এদিকে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বাস ভাড়া নির্ধারণে বৈঠকে বসবে সরকারি কমিটি। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

নারী দিবস উপলক্ষে ভারতে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যম এক্সেও এ–সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ঘোষণায় নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রান্নার গ্যাসের দাম কমলে ভারতের কোটি কোটি পরিবারের আর্থিক চাপ কমবে। বিশেষ করে এই সিদ্ধান্তে ‘নারী শক্তি’ উপকৃত হবে।  তিনি আরও বলেন, ‘রান্নার গ্যাস আরও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে আমরা পরিবারের কল্যাণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’ তবে, নরেন্দ্র মোদির এই ঘোষণা নিছক নারী শক্তির কল্যাণে নয় বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহল। তারা মনে করছে, এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটব্যাংক নিজের দিকে টানতেই রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১০০ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। এক্স পোস্টে মোদি অবশ্য লিখেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের জীবনযাত্রা সহজতর করতে আমরা যে অঙ্গীকার করেছিলাম, এই সিদ্ধান্ত তার আলোকেই নেওয়া হয়েছে।’  ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই রান্নার গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর হবে। নির্বাচনের আগে আগে মোদি সরকারের সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের আগস্টে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি করে কমিয়েছিল মোদি সরকার। ভারতে উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্রাহক নন যারা, তাদের জন্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ১০০ রুপি। মোদি সরকার গত বছরের আগস্টে সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি দাম কমানোয় তা ৯০০ রুপিতে নেমে আসে। এবার আরও ১০০ রুপি দাম কমায় উজ্জ্বলা প্রকল্প বহির্ভূত গ্রাহকরা ৮০০ রুপিতে এলপিজি সিলিন্ডার নিতে পারবেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

ওষুধের দাম কমানোর বিষয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধের দাম কমানো বা বাড়ানোর নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ১৫তম ‘এশিয়া ফার্মা এক্সপো’-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমি চাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সুন্দর করতে। তাই ওষুধের দাম যদি সহজলভ্য করা যায়, তাহলে আমরা সাধারণ রোগীদের জন্য ভালো কিছু করতে পারবো। তবে এটির দাম কমানো বা বাড়ানোর নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে, পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।   ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মেডিকেল ডিভাইস আমাদের দেশে সেভাবে তৈরি না হওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, ফলে কয়েকগুণ খরচ বেড়ে যায়। যদি দেশেই তৈরি করা যায়, তাহলে দেশেই চিকিৎসা সহজলভ্য হবে। বিভিন্ন কোম্পানিকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, এখন বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে এবং দেশের মোট অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

আমদানি শুল্ক কমানোর পরও বাড়ছে চিনির দাম (ভিডিও)
আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পর এক টাকাও কমেনি চিনির দাম বরং বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে ৩৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। আর খোলা চিনি ১৪০ টাকা। বিশ্লেষকদের দাবি, চিনি আমদানিতে মনোপলি সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম কমানো কঠিন। তথ্যমতে, চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে গত বছরের নভেম্বরে আমদানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির প্রজ্ঞাপনে, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমানো হয়েছে দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির শুল্ক ৬ হাজার টাকা থেকে করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। শুল্ক ছাড় সুবিধা আমদানিকারকরা পাবেন আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বড় আকারের শুল্ক ছাড়ে ভোক্তারা কম দামে চিনি কিনতে স্বস্তি পাবেন, এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। দাম তো কমেনি বরং প্রায় প্রতি মাসে বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম বেড়েছে গড়ে ৩৫ টাকা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির দাম একটু বেশি হলেও সংকট নেই। তবে, সরকার যদি আমদানি করে আমাদের মাধ্যমে সরবরাহ করে তাহলে দাম কিছুটা কমবে।  বিশ্লেষকরা বলছেন, চিনি আমদানি ও সরবরাহে মনোপলি সিস্টেম ভাঙতে না পারলে বাজারে স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার পুরোপুরি চালু হলে তথ্যে কোন ঘাটতি থাকবে না। তখন মিলগেট থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে কোন জেলায় কতটুকু পণ্য যাচ্ছে সেগুলো আমরা ট্র্যাক করতে পারব।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৮

‘প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা’
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, সরকার নগদে যে ভর্তুকি বা প্রণোদনা দিতো তা তুলে দিলেও অন্যভাবে পূরণ করা যায়। কোনো প্রকার বাছ-বিচার না করে হঠাৎ করে প্রণোদনা তুলে দিয়ে প্রতিযোগিতার সীমা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। সংকট হবেই। প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত এ সময়ে অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। সরকার পোশাক খাতসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে প্রণোদনা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে মতামত ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শুধু গার্মেন্ট শিল্প থেকে নয়, সরকার অনেক কিছু্র ওপর থেকেই প্রণোদনা উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এমন সময়ে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, যখন আমরা বৈশ্বিকভাবে বিশেষ চাপের মধ্যে আছি। তৈরি পোশাকের অর্ডার কমছে। আমেরিকা ও ইউরোপে দিন দিন রপ্তানি কমছে। কমে আসার নানা কারণ আছে। বিশেষত করোনা মহামারির এখনো প্রভাব রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, পাশাপাশি ডলার ক্রাইসিস তো আছেই। ডলার সংকট ব্যবসার নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, এখানে ডলারের যে ক্রাইসিস তা আমাদের এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে। এ সময়ে প্রণোদনা কমিয়ে আনা বা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যারা মধ্যআয়ের দেশে যাচ্ছে। অথচ, তারা এখনো ভর্তুকি তুলে নেয়নি। কেউ কেউ তুলে নিলেও অন্যভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। যেমন, জ্বালানির ওপর দিচ্ছে, বিদ্যুতের ওপর দিচ্ছে। আমরা তো সে প্যাকেজও ঘোষণা করতে পারতাম। আমার তো মনে হয় না, সরকার কোনো ব্যবসায়ী বা সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বুঝে শুনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হয় না। অপ্রচলিত বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অপ্রচলিত অনেক আইটেম যেমন প্লাস্টিকের ওপরও ভর্তুকি কমিয়েছে। মানুষ তো বিকল্পভাবে বাজার ধরার চেষ্টা করছে। আবার অপ্রচলিত বাজার যেমন- ভারত-অস্ট্রোলিয়ায় পোশাক শিল্প বিশেষ বাজার তৈরি করতে যাচ্ছিল। উৎপাদন ব্যয় না কমাতে পারলে ভারতের বাজার ধরা যাবে না। ভর্তুকি কমালে এ বাজার ধরা বড় মুশকিল হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সরকার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যআয়ের দেশে যাচ্ছে ভালো কথা। আমরাও তো চাই। এ যাত্রায় সবারই অবদান আছে। ব্যবসায়ীরা ভালো না থাকলে অর্থনীতি ভালো থাকবে না। সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য অন্যভাবে প্যাকেজ ঘোষণা করুক। বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোতে সহযোগিতা করুক। বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ডলারের মার্কেট প্রাইস ১২৫ টাকা। আর রপ্তানিকারকরা পাচ্ছি ১০৯ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে তো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবো না। ব্যবসা অন্য দেশে চলে যাবে। ভারত-পাকিস্তানে আমাদের বাজার চলে যেতে পারে। মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলারের প্রাইস যদি সমন্বয় না করা হয়, তাহলে সংকট কোনোভাবেই কাটবে না। রেমিট্যান্স আসছে না একই কারণে। কারণ তারা বাইরে ভালো রেট পাচ্ছে। কম রেটে বাংলাদেশে তারা ডলার পাঠাবে কেন? সরকার সাহস করে ডলার প্রাইসকে মার্কেট প্রাইসের সঙ্গে সমন্বয় করুক। হয়তো সাময়িক একটু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এক সময় এসে ঠিক হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় প্রসঙ্গে  তিনি বলেন, সমস্যাটা কোথায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানার কথা। ডলার প্রাইস ওপেন করা দরকার। কারণ এ সংকট থাকলে ডলার তো আসবে না। এর কারণ বের করুক। ব্যাংক ডলার পাচ্ছে না। হুন্ডি ব্যবসায়ীরা কিন্তু ঠিকই পাচ্ছে। ডলার প্রাইস কেন সমন্বয় নেই তার দায় বাংলাদেশ ব্যাংকের। কেন কালোবাজারে যাচ্ছে? ব্যাংকগুলো ডলার ভিন্ন ভিন্ন রেটে কীভাবে বিক্রি করে তার ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংকটের কারণে তো অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। প্রণোদনা তুলে দিচ্ছেন, আবার ডলারে মার খাচ্ছি। এভাবে তো ব্যবসা করা যাবে না।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৯

রপ্তানিমুখী ৪৩ খাতে প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত ‘আত্মঘাতী’ বলছেন ব্যবসায়ীরা
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে রপ্তানিমুখী ৪৩টি খাতে প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের মধ্যে শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত খুঁজে পাচ্ছেন শিল্প মালিকরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী হিসেবে উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। গত ৩০ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে চূড়ান্তভাবে বের হওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে রপ্তানিমুখী ৪৩টি খাতে নগদ প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এতে বলা হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দিয়েছে। ডব্লিউটিওর বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানিনির্ভর সাবসিডি (সাবসিডি কন্টিনজেন্ট আপন এক্সপোর্ট পারফরমেন্স) হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এগ্রিমেন্ট অন সাবসিডিস অ্যান্ড কাউন্টারভেইলিং মেজার্স (এএসসিএম) অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোন ধরনের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়, উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রফতানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। তাই এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   সিদ্ধান্ত অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে জাহাজিকরণ করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার জন্য নতুন প্রণোদনার হার নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে আক্ষেপ প্রকাশ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, 'এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কোনো স্টেকহোল্ডারকে ডাকা হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন তিনি কিছু জানেন না। কেউ এ বিষয়ে জানে না। কেন এই ধরনের সার্কুলার হঠাৎ করে দেয়া হলো? এর সিদ্ধান্তের পেছনে কারা?'   এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কাদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে - এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বিশ্লেষণ বলছে, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রধান ৫টি পণ্যে (টি-শার্ট, সোয়েটার, নিটেড শার্ট, পুরুষদের আন্ডার গার্মেন্ট এবং ওভেন ট্রাউজার ও জ্যাকেট) দেওয়া নগদ সহায়তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অথচ গত অর্থবছর এ খাতের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৫.৫২ শতাংশই এসেছিল এই ৫টি পণ্যের উপর ভর করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রধান এই পাঁচ পণ্যের রপ্তানি আয় ছিল ২৫.৯৫ বিলিয়ন ডলার।   একইভাবে রপ্তানি প্রণোদনার বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে নতুন বাজার খ্যাত জাপান, ভারত আর অস্ট্রেলিয়াকে। গত অর্থবছরে পোশাক খাতের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮ শতাংশ বা ৩.৭৭ বিলিয়ন ডলার এ তিন দেশ থেকেই এসেছিল। প্রণোদনা কমানোর নামে পোশাক খাতে বিদ্যমান প্রণোদনার প্রায় ৭০ ভাগই তুলে নেওয়া হয়েছে।   এর আগে গত ২৪ আগস্ট দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে প্রণোদনা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেভাবেই ক্রয়াদেশ নিয়ে উৎপাদন ও রপ্তানি প্রক্রিয়া চালু রেখেছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু মাঝপথে এভাবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকে শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন তারা।   রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আকস্মিক সিদ্ধান্তে শুধু পোশাক খাতই নয়, চামড়া খাতের উপরও বড় চাপ পড়েছে। চামড়া খাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৭০ শতাংশ ক্রাস্ট লেদার রপ্তানি করা হয়। এখনও আমরা সেভাবে পণ্য বহুমুখীকরণে যেতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে এভাবে প্রণোদনা বন্ধ করে দিলে তা খাতের জন্য একটি বিপর্যয় বয়ে আনবে। চাপ পড়েছে রপ্তানি বাজারে সম্ভাবনার আলো ছড়ানো পাট-প্লাস্টিকসহ সব খাতেই। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রপ্তানিতে দেয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়ে শিল্প মালিকরাও এক মত। তবে তা সহনশীল উপায়ে করার দাবি তাদের। বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বিজ্ঞপ্তি প্রয়োগ হয়। এখনও সময় আছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করা হোক। আমাদের সঙ্গে বসে তারপর এমন কিছু ধীরে ধীরে করা হোক। আমি বলছি না, আমাদের সারাজীবন প্রণোদনা দিতে হবে।   বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে রপ্তানিকারকদের যতটা সম্ভব ছাড় দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবিরের। তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই প্রণোদনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের সময় না দিয়ে হঠাৎ করেই নেওয়া এ সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিতে খুব একটা ভালো ফল নিয়ে আসবে না। সরকার হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবে এক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২০

শুল্ক কমানোর ঘোষণায় দাম কমেছে ভোগ্যপণ্যের 
রমজানে দাম সহনীয় রাখতে আমদানিতে প্রধানমন্ত্রীর শুল্কহার কমানোর ঘোষণাতেই মাত্র একদিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার দাম মণপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। নতুন শুল্কহার কার্যকর হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় মিল মালিকরাও আটকে রাখা পণ্য ছেড়ে দিচ্ছেন দ্রুত। এতে নাগালে আসতে শুরু করেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার।     গত এক বছরে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের বুকিং রেট কয়েক দফা কমলেও দেশের বাজারে তা কমানো হয়নি। কিন্তু আমদানি করা ভোজ্যপণ্যের শুল্কহার কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণায়ই ধস নামতে শুরু করেছে তেলের বাজারে। সোমবার বিকেলেই প্রতিমণে ৫০ টাকা, একইভাবে আরও ৫০ টাকা কমেছে মঙ্গলবার। বর্তমানে ভোজ্যতেলের বুকিং রেট (প্রতি মেট্রিক টন) সয়াবিন ৯১৫ মার্কিন ডলার এবং পাম অয়েল ৯০৫ মার্কিন ডলার। ৫ শতাংশ শুল্কহার কমলে ১৮০ এবং ১০ শতাংশ কমলে অন্তত ৪০০ টাকা কমাতে হবে। তাই ভোজ্যতেলের মিল মালিকেরা এতোদিনের মজুত আগেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।  ছোলার কোনো শুল্কহার না থাকলেও এতোদিন ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছিলেন আমদানিকারকরা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছোলা আমদানির হার বাড়তে থাকায় দামও কমছে। গত এক সপ্তাহে ৯৪ টাকার অস্ট্রেলিয়ান ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়। আর সাধারণ মানের ছোলা নেমে এসেছে ৮০ টাকায়। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স এফ এম ট্রেডার্স এর মালিক মো. মহিউদ্দিন জানান, রমজানের চাহিদা এখনও শুরু হয়নি। এর মধ্যে সরবরাহ বাড়ার কারণে চাহিদার কোন সংকট নেই। ফলে দাম কমেছে। চিনির পাইকারি বাজারে মজুদ করা চিনি মিল মালিকেরা ছাড়লেও কাঙ্ক্ষিত দামে ক্রেতা পাচ্ছেন না। যে কারণে প্রতি ঘণ্টায় মণপ্রতি দাম কমছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা দরে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স এ এম এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মাহমুদুল হক লিটন বলেন, যে পরিমাণ মাল আসছে তা কম দামেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। এখন শুল্ক কমিয়ে দিলে মণে আরও ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা আছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, দাম কমে যাওয়ার শংকায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খেজুর ছাড় করছেন না আমদানিকারকরা। যে কারণে দাম এর নিয়ন্ত্রণে আসছে না। অবশ্য আমদানি করা খেজুর দ্রুত বাজারে আসলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এটা রাজস্ব বোর্ডে কার্যকর হলে দাম অবশ্যই কিছুটা কমবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩

তেল-চিনি-খেজুর-চালে শুল্কহার কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আসন্ন রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের শুল্কহার কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রমজানে যাতে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের সরবরাহ কম না হয়। তাই আগামী রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের শুল্কহার কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সচিব আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সবশেষ অবস্থা জেনেছেন তিনি। মন্ত্রীরা কী কাজ করেছেন, তাও তারা বলেছেন। মন্ত্রীদের কাছ থেকে তথ্য শুনে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা যাতে অব্যাহত থাকে। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, মন্ত্রীরা তা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, সে অনুসারে তারা পদক্ষেপ নিয়েছেন।   নিত্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছরের এই সময়ে ৩৭ হাজার ১০৭ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছিল, যেখানে এ বছর একই সময়ে ৪৪ হাজার ৭৩৪ মেট্রিক টনের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। কাজেই নিত্যপণ্য আমদানি করতে ডলারের সংকট আছে, পরিসংখ্যান কিন্তু এমনটা বলছে না। জানা গেছে, রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে ছোলা, মসুর ডাল ও মোটরসহ মসলা জাতীয় পণ্যের। তবে দাম বেড়েছে মুগডালের। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গত ৬ মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৩৪ মেট্রিক টন। এর আগে, রোববার (২১ জানুয়ারি) রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানিতে শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রোববার (২১ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকের পর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি এনবিআরে পাঠানো হয়। 
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়