• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল আরও এক দেশ
করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা 'কোভিশিল্ড' এবং 'ভ্যাক্সজেভরিয়া'র বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা বৈশ্বিকভাবে নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।  মঙ্গলবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, করোনা মহামারির সময়ে যে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ছিল— এখন আর তা নেই। ‘করোনা ভাইরাস’ নামের যে ভাইরাসটির বিস্তার প্রতিরোধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ২০২০ সালের শেষ দিকে যে টিকা বাজারে এনেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেই ভাইরাসটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়, এমনকি মূল ভাইরাসটি থেকে যেসব ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে— সেগুলোও এখন আর প্রাণঘাতী নয়। বর্তমানে বাজারে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির সব অংশীদারদের ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। ব্রিটেনের আদালতে সম্প্রতি ১০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের মামলা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মামলার কার্যক্রম চলার মধ্যেই এই ঘোষণা দিলো কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অবশ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল। টিটিএস হলো এমন একটি শারীরিক জটিলতা, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্ল্যাটিলেট কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, ‘নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের। বিভিন্ন দেশের সরকার আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং করোনা মহামারি দূর করতে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে— তা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। ‘কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি। ইতোমধ্যে অংশীদারদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।’ সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা: নিহত বেড়ে ৯০, নিখোঁজ শতাধিক
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবনধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ৪৮
পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন 
দেশে পা রাখা মাত্রই গ্রেপ্তার কুয়েতের সাবেক মন্ত্রী
সেই ভিডিওতে নিজেকে নাচতে দেখে যা বললেন মোদি
প্রায় মাসখানেক ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনসার্টের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, উৎফুল্ল ভঙ্গিতে নাচের ঢংয়ে এই গায়ক মঞ্চ মাতাচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া সেই কনসার্টের ভিডিওটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় নিজের মুখ বসিয়ে অনেকেই ভিডিও প্রচার করছেন। অনেকেই আবার বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি জুড়ে দিয়ে এই মিম ভিডিও (ফানি ভিডিও) বানাচ্ছেন। এমনই নিজের একটি নাচের এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (৬ মে) এক্স হ্যন্ডেলে ভিডিওটি শেয়ার করে মোদি ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের ভরা মৌসুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময় ভিডিওটি শেয়ার করেছেন যখন দেশটিতে লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মোদির ভিডিওটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের একটি এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। আর এই ভিডিওটিই ফের শেয়ার করেছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত মার্কিন র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী লিল ইয়াচটির মঞ্চে প্রবেশ করার। ২০২২ সালের ২১ জুন ইউটিউবে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল।
চুরির অভিযোগে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার মার্কিন সেনা 
চুরির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক সার্জেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া। গর্ডন ব্ল্যাক নামে ওই মার্কিন সেনা দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ডন ব্ল্যাক নামে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন সেনাবাহিনীর এক স্টাফ সার্জেন্টকে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাকের বিরুদ্ধে একজন নারীর কাছ থেকে চুরি করার অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়ার সুদূর পূর্বের শহর ভ্লাদিভোস্টকে গত ২ মে গ্রেপ্তার হন তিনি। তবে সেসময় তিনি সরকারি সফরে ছিলেন না। সোমবার হোয়াইট হাউসে (৬ মে) ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘এই ঘটনার পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কেও অবগত’। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি নন তিনি। মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সিনথিয়া স্মিথ বলেছেন, রাশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ওই সৈনিক অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। মার্কিন সেনাবাহিনী তার পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করেছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাকে উপযুক্ত কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করছে।
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (৭ মে) পশ্চিমবঙ্গে চার লোকসভা আসন- মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদে ভোট শুরু হয়েছে। এই চার আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫১ জন। সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৪৬০ টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। ভোট শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে লম্বা লাইন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করতে এই চার কেন্দ্রে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী ও পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে থেকে আনা মোট ১০ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তৃতীয় দফার নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের খান, বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর ঘোষ এবং সিপিএমের প্রার্থী মো. সেলিমের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মালদা উত্তর আসনে লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা প্রসূন ব্যানার্জি, বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু এবং কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। অপরদিকে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের শাহনাজ আলী রায়হান, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী এবং জাতীয় কংগ্রেসের ঈসা খান চৌধুরীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ ছাড়া আজ জঙ্গিপুর কেন্দ্রীয় তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ, জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী মোরতাজা হোসেনের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে। প্রথম দুই দফার ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই হয়েছে। তৃতীয় দফায়ও সেই ছন্দ ধরে রাখতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি), হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ওয়েবক্যাম, ড্রোনের মাধ্যমেও ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছে জাতীয় কমিশন। ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে দেশটির ২৭টি আসনে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। এই ২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুটি কেন্দ্র বরাহনগর এবং ভগবানগোলা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিস আলীর মৃত্যুতে ভগবানগোলা কেন্দ্রটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভগবানগোলা বিধানসভায় ভোট শুরু হয়েছে। এই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকার, কংগ্রেসের অঞ্জু বেগম এবং বিজেপির প্রার্থী ভাস্কর সরকার। পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪২টি আসনে সাত দফায় নির্বাচন হবে। সেখানে আরও ৪ দফার ভোট বাকি আছে। চতুর্থ দফায় ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৬ মে এবং সপ্তম শেষ দফার ভোট হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা হবে আগামী ৪ জুন।
পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরাইলি ‍নৃশংসতা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্যও পুরস্কৃত করা হয়েছে বার্তা সংস্থাটিকে। এ ছাড়া তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ মে) এবারের পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার; সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত এটি। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্যও এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড এ পুরস্কার ঘোষণা করে। এবার পুলিৎজারের ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে একটি আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের। তাতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। ছবিটি এ বছর সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও পেয়েছে। এছাড়া ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বা ‘জাতীয় বিষয়াদি নিয়ে প্রতিবেদন’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। ‘দ্য মাস্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স’ শিরোনামে ধারাবাহিক ওই প্রতিবেদনে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স, নিউরালিংক ও টেসলার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।   রয়টার্সের পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টও। যুক্তরাষ্ট্রের এআর-১৫ রাইফেল এবং দেশটিতে বিভিন্ন বন্দুক হামলায় এই অস্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যমটি। এ প্রতিবেদন ছাড়াও ‘এডিটোরিয়াল রাইটিং’ (সম্পাদকীয়) এবং ‘কমেন্টারি’ (মতামত) বিভাগে পুরস্কার জিতেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া ‘ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং’ (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন), ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) ও ‘ফিচার রাইটিং’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছে নিউইয়র্ক টাইমস। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা, ইসরাইলি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা ও ইসরাইলের পাল্টা হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।   পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয় পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ডকে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা নিউ ইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে এবার পুলিৎজার পেয়েছে লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল।   এবারের পুলিৎজারে অভিবাসীদের নিয়ে ছবি প্রকাশ করে ‘ফিচার ফটোগ্রাফি’ বিভাগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। ‘এক্সপ্লেনেটরি রিপোর্টিং’ (বিষদ ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন) ও ‘ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন দ্য নিউইয়র্কারের সাংবাদিকেরা। আর ‘ক্রিটিসিজম’ (সমালোচনা) বিভাগের পুরস্কারটি দখলে গেছে দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের।
জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরায়েলি নির্বিচার আগ্রাসনের সাত মাস পূর্ণ হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিগত তিন-চার মাসে কয়েক দফায় আলোচনার পর অবশেষে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্তে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতদিন যুদ্ধবিরতি না হওয়ার জন্য হামাসের বারবার পিছিয়ে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখাচ্ছিল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তাই অবশেষে হামাসের সম্মতির খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে গাজার বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের সে উচ্ছ্বাস হয়তো স্থায়ী হচ্ছে না; জিম্মি মুক্তিতে হামাস রাজি হলেও বেঁকে বসেছে ইসরায়েলি প্রশাসন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ফের হামলা শুরু করেছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা।  এরই মধ্যে রাফাহর পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলার খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে রাফাহ। পূর্ব রাফাহর আল-জাইনা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র বলছে, এর আগেও দুটি বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।  এদিকে অ্যাসোসিয়েট প্রেস এজেন্সি (এপি) জানিয়েছে, ইসরায়েলি বেশকিছু ট্যাঙ্ক রাফাহ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে।  বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৬ মে) মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা গাজা যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।  কিন্তু ইসরায়েল এখন বলেছে, নতুন প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি পূরণ করেনি এবং চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি রাফাহতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে সমঝোতা হয়নি। যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে, তা মিসরের প্রস্তাবের একটি তুলনামূলক নমনীয় সংস্করণ। এতে এমন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে, যা ইসরায়েল কখনও মেনে নেবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা এও বলেছেন, এটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে মনে হয়ে ইসরায়েল চুক্তি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে ইসরায়েলের দাবি পূরণ হয়নি। তবে ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে আলোচকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করতে মঙ্গলবার (৭ মে) কায়রো যাবে তাদের প্রতিনিধি দল। তবে এরই মধ্যে রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তাদের দাবি, গাজায় পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য প্রধান এই শহরটিতে অভিযান চালিয়ে যাওয়া দরকার।  অবশ্য পুনরায় আলোচনার আগে রাফাহ আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ছাড়া হামলা করা উচিত নয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সঙ্গে হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা করবে এবং এ পর্যায়ে এ ধরনের একটি চুক্তি ‘একেবারেই অর্জনযোগ্য’। উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটিতে মানবিক বিপর্যয়ের এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ছাড়াও বড় অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ অব্যাহত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি দখলদার রাষ্ট্রটি বরাবরই নৈতিক ও আর্থিক সমর্থন পেয়ে আসছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মতো মিত্রদের কাছ থেকে। সবশেষ সোমবারও (৬ মে) গাজার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রাফাহতে আকাশ ও স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মূলত সাত মাসের ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞে গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সব বাসিন্দাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হামাস, গাজাবাসীর উচ্ছ্বাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মধ্যস্থতায় রয়েছে কাতার ও মিশর। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা। খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস। হামাসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও একই কথা জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিসর। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
গত সপ্তাহে অস্ত্র-গোলাবারুদের যে চালানটি পাঠানোর কথা ছিল, তা আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এই প্রথম অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস প্রথম এই সংবাদ প্রকাশ করে।  ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াশিংটনের আকস্মিক এ পদক্ষেপে উদ্বেগ বোধ করছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। ঠিক কী কারণে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে তা জানতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। কেননা এই চালানটিতে জরুরি কিছু অস্ত্র আসার কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এখনও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছিল সিএনএন। তবে তিনি সরাসরি কোনো  উত্তর দেননি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে শত শত কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক মাসে ইসরায়েলকে যত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, তা গত কয়েক দশকেও দেওয়া হয়নি। শুধু হামাসই নয়, হিজবুল্লাহ ও ইরানকে মোকাবিলা করার জন্যও আমরা ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়েছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলকে গাজায় অভিযান চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে বেসামরিক লোকজনের হতাহতের ঘটনা কমাতে, গাজায় ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশে বাধা না দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েল এসব বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। সবশেষে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান চালাতেও নিষেধ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশনাও অমান্য করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার ‘হুঁশ’ ফেরাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। সূত্র: এক্সিওস, নিউইয়র্ক পোস্ট