ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই
চারদিনের দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তি নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এবারের সফরে ভারতের সঙ্গে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এসবের বিস্তারিত সময়মতো সবাই জানতে পারবেন। যা করেছি দেশের স্বার্থেই করেছি। আর যেসব সমঝোতা স্মারক হয়েছে এটি শুধু সরকারপ্রধানের সঙ্গেই হয়। সংসদে আলোচনার দরকার পড়ে না।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত সুদৃঢ়। বিবাদের মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব হয় না। বন্ধুত্ব দিয়ে অনেক কিছু আদায় করে নেয়া যায়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।
তিনি বলেন, দেশের মর্যাদা নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ আমার কাছে দেশ ও জনগণ সবার আগে। দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে কারো সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না। যা হবে দেশ ও জনগণের স্বার্থেই। যারা দেশ বিক্রির কথা বলছেন, তারা সব সময় বলবেন। এসব কোথায় পান সেটাই তারা ভালো জানেন। তবে এটুকু বলতে চাই- আমি বেঁচে থাকতে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুই হবে না।
আমাদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে এতো কথা কেন? যারা এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির সমালোচনা করছে তারা চীনের সঙ্গে কী গোপন চুক্তি করেছে তা কি দেশের কোনো সাংবাদিক জানেন?
যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহযোগিতা করেছেন তাদের সঙ্গে চুক্তি করলে কেন এত প্রশ্ন ওঠে? কিন্তু যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, তাদের সঙ্গে করা চুক্তিতে কেন সমস্যা হয় না। আমরা বন্ধু চিনি না। শত্রুকে নিয়ে চলতে পছন্দ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, এবারের সফরে ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। অতীতের চেয়ে বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক অনেক ভালো রয়েছে। এই সফরে হতাশ হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। আমরা নিজের দেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে চাই। না হলে আমাদের এসডিজি বাস্তবায়ন হবে না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, আমরা দেশে ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। এবারের সফর নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ী মহলও ভীষণ খুশি।
আমাদের একটি মাত্র শত্রু তা হচ্ছে দরিদ্রতা। সবার সহযোগিতায় আমরা সেটি মোকাবেলা করব। এবারের সফর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি আসবেই, এটি নিয়ে চিন্তা বা বিতর্কের কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সরাসরি না করেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন- আমি ও তিনি ক্ষমতায় থাকতেই এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। যখনই হোক তাদের পানি ছাড়তে হবে। এটা ধরে রাখার কিছু নেই।
ভারত সফর থেকে আমি তো খালি হাতে ফিরে আসিনি। পানি চেয়েছি আমাকে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এখন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারব। কারণ আমাদের এটি অনেক বেশি দরকার।
ধন্যবাদ বিএনপি নেত্রীকে : শেখ হাসিনা
পানি ছাড়তে হবে, আটকে রাখতে পারবে না: শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনা-প্রণব বৈঠক
- শেখ হাসিনা- সোনিয়া বৈঠক
- আজমির শরিফ জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
- এক নজরে হাসিনা-মোদির বৈঠক
- হাসিনা-মোদি সরকারেই তিস্তার পানি
- বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ কোটি ডলার দেবে ভারত
- হাসিনা মোদি বৈঠক, ২২ চুক্তি-সমঝোতা সই [ভিডিও]
- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন
- সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা নিয়ে শেখ হাসিনার প্রশংসায় মোদি
- ভারত সফরে গুরুত্ব পেয়েছে তিস্তা
- বাংলাভাষায় মোদির নববর্ষের শুভেচ্ছা
- গান্ধীর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
- একান্ত বৈঠকে হাসিনা-মোদি
- হাসিনা-মোদি হঠাৎ কেন হাসলেন [ভিডিও]
- শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠক শনিবার সকালে
- শেখ হাসিনা-মমতার বৈঠক শনিবার রাতে
- ওবামা ও জায়েদের মতোই মোদির অভ্যর্থনা পেলেন শেখ হাসিনা
- প্রধানমন্ত্রী আজ ভারত যাচ্ছেন
এইচটি/ সি
মন্তব্য করুন