• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:১৩

চারদিনের দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তি নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের সফরে ভারতের সঙ্গে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এসবের বিস্তারিত সময়মতো সবাই জানতে পারবেন। যা করেছি দেশের স্বার্থেই করেছি। আর যেসব সমঝোতা স্মারক হয়েছে এটি শুধু সরকারপ্রধানের সঙ্গেই হয়। সংসদে আলোচনার দরকার পড়ে না।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত সুদৃঢ়। বিবাদের মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব হয় না। বন্ধুত্ব দিয়ে অনেক কিছু আদায় করে নেয়া যায়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।

তিনি বলেন, দেশের মর্যাদা নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ আমার কাছে দেশ ও জনগণ সবার আগে। দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে কারো সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না। যা হবে দেশ ও জনগণের স্বার্থেই। যারা দেশ বিক্রির কথা বলছেন, তারা সব সময় বলবেন। এসব কোথায় পান সেটাই তারা ভালো জানেন। তবে এটুকু বলতে চাই- আমি বেঁচে থাকতে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুই হবে না।

আমাদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে এতো কথা কেন? যারা এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির সমালোচনা করছে তারা চীনের সঙ্গে কী গোপন চুক্তি করেছে তা কি দেশের কোনো সাংবাদিক জানেন?

যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহযোগিতা করেছেন তাদের সঙ্গে চুক্তি করলে কেন এত প্রশ্ন ওঠে? কিন্তু যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, তাদের সঙ্গে করা চুক্তিতে কেন সমস্যা হয় না। আমরা বন্ধু চিনি না। শত্রুকে নিয়ে চলতে পছন্দ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের সফরে ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। অতীতের চেয়ে বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক অনেক ভালো রয়েছে। এই সফরে হতাশ হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। আমরা নিজের দেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে চাই। না হলে আমাদের এসডিজি বাস্তবায়ন হবে না।

বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, আমরা দেশে ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। এবারের সফর নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ী মহলও ভীষণ খুশি।

আমাদের একটি মাত্র শত্রু তা হচ্ছে দরিদ্রতা। সবার সহযোগিতায় আমরা সেটি মোকাবেলা করব। এবারের সফর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি আসবেই, এটি নিয়ে চিন্তা বা বিতর্কের কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সরাসরি না করেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন- আমি ও তিনি ক্ষমতায় থাকতেই এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। যখনই হোক তাদের পানি ছাড়তে হবে। এটা ধরে রাখার কিছু নেই।

ভারত সফর থেকে আমি তো খালি হাতে ফিরে আসিনি। পানি চেয়েছি আমাকে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এখন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারব। কারণ আমাদের এটি অনেক বেশি দরকার।

ধন্যবাদ বিএনপি নেত্রীকে : শেখ হাসিনা

পানি ছাড়তে হবে, আটকে রাখতে পারবে না: শেখ হাসিনা

এইচটি/ সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh