টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
‘বিশ্বকাপে তামিমের না থাকাটা দলের দুর্ভাগ্য’
গত ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তামিম ইকবাল ছিলেন দলের অন্যতম সদস্য। সবশেষ ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তামিম ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অথচ তিনিই কী না আসন্ন বিশ্বকাপের দলে নেই।
নেই বলতে নিজে থেকেই নাম সরিয়ে নিয়েছেন। এর কারণ অবশ্য এক বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে না খেলা। সব শেষ ম্যাচ খেলা হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
তামিম ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় খোলাসা করেন কেন তিনি খেলছেন না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তিন নির্বাচক মিলে ঘোষণা করেছেন ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল। সঙ্গে রয়েছে দুজন অতিরিক্ত খেলোয়াড়ও। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন তামিমের না থাকার অভাববোধের কথা।
“অবশ্যই তামিম ইকবাল তিন ফরম্যাটে আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। ও নিজে থেকে সরিয়ে নিয়েছে, আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম বিশ্বকাপে ওর মত খেলোয়াড়কে পাবো। পাইনি এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরাও মিস করবো তামিমকে। আমরা আত্মবিশ্বাসী ও আবার ফিরে আসবে।”
তামিমের অনুপস্থিতিতে বাকি ওপেনাররা কতটা সামলে উঠতে পারবে এমন প্রশ্নে নান্নু বলেছেন, “অবশ্যই যারা সুযোগ পেয়েছে এটা বিরাট প্লাটফর্মের মধ্যে আছে। তাদের অবশ্যই সামর্থ্য আছে ভাল খেলার এবং বিশ্বকাপে এই ওপেনারদের ওপর আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে ওরা ভাল করবে।”
দলের আট সদস্যই খেলবেন প্রথবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন প্রত্যেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
প্রধান নির্বাচক মনে করছেন দলে যারা আছে তারা যদি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলে তাহলে ভালো কিছু করা অসম্ভব না।।
“যারা সুযোগ পেয়েছে তারা বিরাট প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আছে এবং তাদের সামর্থ্য আছে ভালো করার ইন শা আল্লাহ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা আছে ওপেনার তাদের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী তারা ভালো করবে।”
বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ।
রিজার্ভ: আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রুবেল হোসেন।
এমআর/
মন্তব্য করুন