অল্পের জন্য তামিমের রেকর্ডটা ভাঙা হলো না মুমিনুলের
মুমিনুল হকের সামনে সুযোগ ছিল তামিম ইকবালের রেকর্ড ভেঙে লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা নিজের করে নেয়ার। তবে মাত্র ৬ রানের জন্য তা হয়ে উঠলো না পয়েট অব ডায়নামো খ্যাত এ ব্যাটসম্যানের। ফলে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও শেষ পর্যস্ত আক্ষেপ-আফসোস নিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি।
চলতি প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ রাউন্ডে ১৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট এ ক্যারিয়ারে তামিমের আছে ১৫৭ রান। আর ৬ রান করলেই তামিমকে টপকে যেতেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এ ব্যাটসম্যান।
বুধবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি মেরে শুরু থেকেই চাপে রাখেন সাগর পাড়ের ছেলে মুমিনুল। দেড় শ’ পেরনো ইনিংসটি খেলতে বাঁহাতি তারকা খরচ করেন মাত্র ১২০ বল। ১৬ চার ও ৬ বিশাল ছক্কার সাহায্যে এ ইনিংস সাজান তিনি।
বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেই বিশ্বজুড়ে খ্যাতি মুমিনুলের। জাতীয় ওয়ানডে দলের অনেক ব্যাটসম্যানের থেকে স্ট্রাইকরেট ও এভারেজও বেশি এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের।
মুমিনুল ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৪ বলে। সেঞ্চুরি ৮৯ বলে। তারপর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয় পঞ্চাশ রান করতে খেলেন ৩৫ বল। সেখানে তৃতীয় ৫০ রান করেছেন মাত্র ২৮ বলে। তার সঙ্গে বড় জুটি গড়া মিস্টার ফিনিশার নাসির হোসেন ফিরেছেন ফিফটি করে।
ইনিংসটাকে আরো বড় করতে পারতেন মুমিনুল। আউট হন ৪২তম ওভারে। ক্লান্তির কারণে মেরে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে মিডিয়াম পেসার ফরহাদ রেজার বলে আব্দুল মজিদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রানেই দু’ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে গাজী-শিবির। সেখান থেকে মুমিনুল ও নাসির ১৫৩ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান দলকে।
যদিও শেষ দিকে গাজীর ক্রিকেটাররা সেভাবে রান তুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে ৩০৭ রানে অলআউট হয় গাজী।
প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ফরহাদ রেজা নেন ৪ উইকেট। দেলোয়ার হোসেন নেন ৩ উইকেট। আর ১টি করে উইকেট যায় মোহাম্মদ এনামুল ও আরাফাত সানির দখলে।
ওয়াই/ডিএইচ
মন্তব্য করুন