সব হারানোর ক্ষত এখনো শুকায়নি পদ্মাপাড়ের মানুষের
দিন দিন বেড়েই চলেছে রাজবাড়ীর পদ্মাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ। সব হারানোর ক্ষত এখনো শুকায়নি পদ্মাপাড়ের মানুষের। নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষ। নতুন করে যেখানে অস্থায়ী আবাস গড়েছেন, তা নিয়েও আছেন শঙ্কায়, যদি আবারো শুরু হয় ভাঙন! ভাঙন প্রতিরোধক স্থায়ী বাঁধ হলেই কেবল শঙ্কা কাটতে পারে নদী পাড়ের মানুষের।
গেল বর্ষার কথা, চোখের সামনেই সব নিয়ে গেছে পদ্মা। বাড়ি-ঘর, গাছ-পালা, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, কোনও কিছুই রক্ষা পায়নি রাজবাড়ী জেলার পদ্মার কড়াল গ্রাস থেকে।
কয়েক বছর আগের দূরেই ছিল নিজের স্বপ্নভূমি। এখন সেখানে চর জাগতে শুরু করেছে। যেখানে অস্থায়ী আবাস গড়েছেন নতুন করে ভাঙছে সেখানে। গত কয়েক বছরে রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার নি:স্ব হয়েছেন পদ্মায়।
কেউ একবার ভিটেহারা হয়েছেন। কেউ কয়েকবার। নতুন করে ভিটে গড়েছেন কেউ কেউ। কেউবা ভাড়া কিংবা অস্থায়ী আশ্রয় নিয়ে সংসার পেতেছেন জীবনের নিয়মে। বর্ষা এলে পদ্মা যেভাবে চোখ রাঙায় তাতে বুক আঁতকে ওঠে পাড়ের মানুষদের।
চার-পাঁচ মাস পরই-তো বর্ষা আসছে। স্থায়ী বাঁধ হলেই হয়তো তারা মুক্তি পেতেন বলছেন সাধারণ মানুষ।
রাজবাড়ী সদর ও গোয়লন্দ নিয়ে রাজবাড়ী-১ আসন। এখানকার সংসদ সদস্য সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। তিনি জানালেন পদ্মার ভাঙন কবলিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর কথা। চাইলেন স্থায়ী বাঁধ।
রাজবাড়ী জেলাটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৮৫ কিলোমিটার আর এই ৮৫ কিলোমিটার নদীর পাড়ে অবস্থিত। এর মাঝে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪.৫ কিলোমিটার এলাকাকে রক্ষার জন্য দরকার স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর মানুষ বলছে, যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে যদি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয় তাহলে রাজবাড়িকে রক্ষা করা সম্ভব।
এসএস
মন্তব্য করুন