সংসার চলছে না গাছিদের (ভিডিও)
খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার গাছিরা। আগে এই পেশার আয়ে সংসার চালানো সম্ভব হলেও এখন বিকল্প কাজও করতে হচ্ছে তাদের। তবে উপকূলীয় এই অঞ্চলে আরও গাছ রোপণ করা হলে রস ও গুড় উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস সংগ্রহ ও সুস্বাদু গুড় তৈরির ব্যস্ততা চলে শীতকাল জুড়ে। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ করছেন গাছিরা। এখানকার ৩০ হেক্টর জমির খেজুর গাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাছ আছে নিঝুম-দ্বীপ ও জাহাজমারায়। এই গাছ থেকে বছরে প্রায় ৫শ’ ১০ টন গুড় উৎপাদন হয়। তবে এই পেশায় আয় কমে যাওয়ায় বিকল্প কাজ করতে হচ্ছে গাছিদের।
গাছিরা বলেন, ৩৫ বছর ধরে গাছ কাটি। বোতলের মাঝে রস সংগ্রহ করি। রসে যদি পাখি বা অন্য কোন প্রাণী মুখ দিলে রোগ হয়।
রস সংগ্রহে মাটির হাঁড়ির পরিবর্তে উন্মুক্ত ভাবে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করায় বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তবে রস সংগ্রহে সচেতন করার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের বোতলে রস সংগ্রহ করা হচ্ছে যা খুব ক্ষতিকর। যে ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা আমরা কৃষি বিভাগ থেকে নিবো।
উপকূলীয় এলাকায় প্রণোদনা দিয়ে খেজুর গাছ রোপণ করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার পাশাপাশি খেজুরের রস ও গুড় শিল্প সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জিএম/এসএস
মন্তব্য করুন